ট্রাভেল পোস্ট- " ভালো লাগার জায়গা পূর্বাচল " II written by @maksudakawsarII
কেমন আছেন সবাই? আসলে এখন কেমন আছেন কথাটি যেন আপেক্ষিক। আমি জানি আমরা কেউ তেমন একটা ভালো নেই। তবু চেষ্টা করছি ভালো থাকার। কিন্তু চারদিকে এত এত খারাপ খবর গুলো ভেসে আসছে যেন ভালো থাকার অনুভূতিগুলোই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোন কাজেই যেন মন দিতে পারছি না। কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। আপনাদেরও কি আমার মত হচ্ছে?
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশের ঢাকা হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
মন হলো আমাদের চালিকা শক্তি। আর মন যদি ভালো না থাবে তখন দেহও হয়ে পড়ে অকেজো। আর আমরাও ধীরে ধীরে অসুস্থতার কাছে পরাজয় স্বীকার করি। তাই তো আমাদের কে প্রতিনিয় ভালো থাকার চেষ্টা করে যেতে হবে। আর ভালো থাকার একটি উপায় হলো নিজেকে প্রকৃতির কাছে বিলিয়ে দেওয়া। তাই তো সামান্য একটু সুযোগ পেলেই চলে যাই প্রকৃতির কাছে।এবারও গিয়েছিলাম পূর্বাচলে। আমার ভালো লাগার একটি জায়গা। আর আজ চলে আসলাম পূর্বালে ঘুরে বেড়ানোর কিছু গল্প শেয়ার করতে।
Canva দিয়ে তৈরি
ইদানিং যে গরম পড়েছে তাতে মনে হয় জীবনটাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর গরমের যন্ত্রণায় তো দেহে কোন শান্তিই যেন পাচ্ছি না। তারপর আজকাল দেহ আর মন দুটোতেই জম পড়ে গেছে। দুটোই যেন চলে না। সেই সাথে চলে না মাথার ব্রেণও। সব যেন ভুলে যাই। মাঝে মাঝে হলুদ, মরিচ আর লবন ভুল করে ফ্রিজেও রেখে দেই। কি যে করবো বুঝি না। সে যাই হোক। মনটাকে একটু ফ্রেশ করতে গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম পূর্বাচলে একটু ঘুরতে। আমরা গিয়েছিলাম বিকেলে। কারন রাতের পূর্বাচল আবার অনেক সুন্দর। অবশ্য এর আগে আমি বহুবার সেখানে গিয়েছিলাম।
পূর্বাচলে গেলে যে কারও মনটা এমনি তেই ভালো হয়ে যাবে। কারন এখানে যেমন বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক রাইড আছে তেমন করে বড়দের জন্য রয়ে এক অপূর্ব প্রকৃতি। আর এমন প্রকৃতিতে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ালে মনটা এমনিতেই চাঙ্গা হয়ে যায়। চাঙ্গা হয়ে যায় দেহ আর প্রাণ। আমরা সেখানে বিকেল পৌঁছেই নদীর পাড়ে চলে গিয়েছি। কারন প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে অনুভব করার খুব ইচ্ছে নিয়ে সেখানে গিয়েছি। তাই প্রথমেই নদীর পাশে ঘুরে বেড়ালাম কিছুটা সময়।
পূর্বাচলে লেকের উপর ছোট ছোট অনেক চিরকুটের মত রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। যেখানে বসে গল্প করে কাটিয়ে দেওয়া যায় অনেক সময়। অবশ্য এগুলোতে এখনকার যুগের প্রেমিক প্রেমিকারাই বেশী আড্ডা দেয়। আমরা বুড়াবুড়ি আর সেখানে যেয়ে কি করবো। বরং নদীর পাড়ে হেটে হেটে চারদিকের পরিবেশ দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। ভালো লাগছিল নদীর পারে নৌকা নিয়ে বসে থাকা মাঝি কে দেখেও। অবশ্য আমাদের কে অনেকবার ডাকাডাকি করলেও এবার কিন্তু আর নৌকায় উঠতে ইচ্ছে হলো না। ইচ্ছে হলো না পানির মধ্যে ভেসে বেড়াতে। শুধু মন চাইলো ঘুরে বেড়াতে।
যাই হোক তারপর আমরা ধীরে ধীরে পূর্বাচলের লেকের পাশ দিয়ে হাটছিলাম আর প্রকৃতিকে উপলব্দি করছিলাম। এমন সুন্দর প্রকৃতি কিন্তু দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সকল ক্লান্তি আর অবসাদ যেন দূর হয়ে যায় নিমেষে। তাই তো কিছুটা সময় হেটে হেটে প্রকৃতি দেখলাম। তারপর পর প্রকৃতির এমন অপরূপ রূপ দেখার পর চলে মনকে শান্ত করে চলে গেলাম গল্প কথার চটপুটি খেতে। এই গল্পকথার চটপুটির স্বাধটাই কেন যেন আলাদা।বেশ ভালো লাগে । তাই ঝাল ঝাল দিয়ে গল্প কথার চটপুটি খেলাম।
তারপর ভাবলাম যে খুপরির মধ্যে যেহেতু এমন সুন্দর লাল চুড়ি দেখা যাচ্ছে তাহলে সেখান থেকে একটু চুড়ি কিনে নেওয়া যাক। যেই ভাবনা সেই কাজ। যদিও আমি চুড়ি পড়ি না। আর চুড়ি আমার পড়াও হয়ে উঠে না তবুও দুই ডজন লাল চুড়ি নিয়ে নিলাম ঘরে সাজিয়ে রাখতে। বেশ ভালো লাগছিল আমার কাছে সেই চুড়ি গুলো। তারপর যেহেতু সন্ধ্যা ছুঁই ছুইঁ তখন আমরা আবার সেই আগের জীবনে চলে আসলাম প্রকৃতির ভালোবাসা কে দূরে ঠেঁলে দিয়ে।
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে নিজেকে একটু প্রকৃতি মাঝে হারিয়ে দিয়ে কিন্তু ক্ষতি হয় না। বরং বেশ ভালোই লাগে। দেহ আর মন খুঁজে পায় আনন্দ আর অবসাদ। তাই আমাদের সবারই একটু করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া দরকার। কেমন লাগলো আমার আজজেক পোস্ট জানার অপেক্ষায় রইলাম’।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি আপু মন ভালো না থাকলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে জম ধরে যায়। আমারও পছন্দের একটি জায়গা এটি। আপু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় এই জায়গাটা যদি একটু কাছে হত। তাহলে প্রতিদিন কিছুটা সময় নিয়ে হলেও এখানে সময় কাটিয়ে আসতাম। আমিও তো গিয়েছিলাম এই জায়গাটায়। তারপরও কেন যেন বারবার যেতে ইচ্ছে করে।আজ আপনার পূর্বাচলের ভ্রমন পোস্টটি দেখে আবারো যেতে খুব ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।
বাহ্ জায়গাটি বেশ সুন্দর ।এরকম একটি জায়গা ঘুরতে গেলে তো এমনিতেই মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা।আপনি বেশ সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন।ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য ।
মনকে একটু ফ্রেশ করার জন্য ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পূর্বাচল এর এই জায়গাটাতে কখনো যাওয়া হয়নি। জায়গাটা খুবই সুন্দর। এরকম নিরিবিলি এবং সুন্দর একটা পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে মন ভালো হয়ে যাবে। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।
সত্যি আপু মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। মন ভালো থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে। আসলে মাঝে মাঝে মানসিক শান্তিটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। আপু আপনি ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পূর্বাচলে গিয়ে দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। চটপটির নাম শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। এসব নাম তারা কোথায় পায়। কথার পল্প চটপটি। যায়হোক জায়গাটা কিন্তুু দারুন। সেখানে ঘুরলে অবশ্যই মন ভালো হয়ে যাবে। সব খুপরির ভিতরেই কি লাল চুড়ি বিক্রয় করে না কি,জানতে চাই আমার মন,হে হে হে । ধন্যবাদ।
আমি তো আর সব খুপরি ঘুরে ঘুরে দেখিনি। একবার যেয়ে জেনে আসেন না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।