শীতের কুয়াশা মাখা দিনের এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
❤️আসসালামু আলাইকুম❤️
আজ সোমবার, ১৯ই ডিসেম্বর ২০২২ ইং
বাংলা ৪ঠা পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
হ্যালো, বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি শীতের আবহাওয়ায় আপনারা সবাই বেশ ভাল আর আনন্দেই আছেন। আমিও বেশ ভাল আছি। |
---|
চারদিকে শীতের আমেজ। শীতের হিম হিম ঠান্ডায় হয়তো এখন অনেকেরই বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না। তবুও শীতের সকাল, মিষ্টি রোদ, কুয়াশা মাখা দিন মিস করতেও মন চায় না। শীতের মিষ্টি সকাল ভাল লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
শীতের এই আবহাওয়া কে মিস করতে কেন জানি মনে চাইলো না। আর তাই তো সে দিন মহান স্বাধীনতা দিবসে আমিও খুঁজে নিয়েছিলাম নিজের স্বাধীনতা আর সুখ। চলে গেলাম মুক্ত বিহঙ্গে ডানা মেলে একটু শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য।
আজ আমি আপনাদের জন্য সেই দিনের শীতের কুয়াশা মাখা মূহুর্তের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে আসলাম। জানি না আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগবে।।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
কুয়াশা মাখা বিকেলে হঠাৎ যখন চোখ পড়ল কুয়াশা আচ্ছন্ন আকাশের দিকে, তখন লক্ষ্য করলাম এক ঝাঁক পাখি ডানা মেলে বাড়ি ফেরার জন্য মুক্ত আকাশে ছুটাছুটি করে বেড়াচ্ছে। দেখে মনে হলো এ যেন ছবি তে আকাঁ কোন ছবি। সাথে সাথে দৃশ্যটি ক্যামেরা বন্দী করে ফেললাম আপনাদের জন্য।
এমনিতেই সেদিন কুয়াশার জন্য আর সূর্য মামা কে দেখা যায়নি। তার উপর আবার পড়ন্ত বিকেল। প্রকৃতির মাঝে সূর্য মামার এ আর একধরনের খেলা। তাই বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা আসার সময় হলো। তখন আকাশের বুকে দেখা দিলো এক চিলতে সূর্যের হাসি মাখা মুখ।
বাংলার প্রকৃতি এত মধুর যে সামনে থেকে না দেখলে এর সৌন্দর্য দেখে মনে তৃপ্তি আসে না। কুয়াশার জন্য নদীতে যেন নৌকা বা মানুষ কিছুই দেখা যায় না। কি অপরূপ সেই দৃশ্য। আর এমন সুন্দর দৃশ্য দেখে মুঠো ফোন কি আর ব্যাগে রেখে দেওয়া যায়?
বেশ কিছু পরে আস্তে আস্তে কুয়াশার রেশ কাটতে শুরু করলো । তখন চোখে পড়ল প্রকৃতির কিছু অপরূপ দৃশ্য। আর সাথে কিছু নতুন জিনিস যা হয়তো আমি ইতোপূর্বে দেখিনি। আসলে জীবনে অনেক কুঁড়ে ঘরের কথা শুনেছি। কিন্তু তা আর চক্ষু মেলিয়া দেখা হয় নাই। শুনলাম এই ঘরটার নাম নাকি কুঁড়ে ঘর। তাই নিয়ে আসলাম আপনাদের জন্য।
অপেক্ষা বড় বেদনাদায়ক। যে অপেক্ষা করে সে বুঝে তার বেদনা কতটুকু। এই যে দেখছেন মাঝি মামা বসে আছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে তার কত চিন্তা। আসলে সে আছে একজন পেসেঞ্জারের অপেক্ষায়। কখন পেসেঞ্জার আসবে। কখন সে তার নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াবে। এ যেন বাংলার চিরায়িত রূপ।
আমার আজকের সর্বশেষ ফটোগ্রাফিটি হলো চরকি । ছেলেবেলায় আমরা সবাই কম বেশী কিন্তু চরকি তে চড়েছি। আমি কিন্তু বড় হয়েও অনেক চড়েছি। গ্রাম বাংলার মেলাগুলোতে আজও দেখা যায় এই চরকি। সেদিন কিন্তু কোয়াশার কারনে তেমন কাউকেই চরকি তে চড়তে দেখা যায় নাই।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Oppo-A16 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | লেকসিটি পূর্বাচল, ঢাকা |
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছ আমার আজকের ফটোগ্রাফির ব্লগটি ? জানার অপেক্ষায় রইলাম। |
---|
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPvpuVEKcuADe4Q4QTCaYgX94unPsrwnH1mRJVCyWmiYo/image.png)
ঠিকই বলেছেন আপনি। শীতের হিমহিম ঠান্ডায় সকালবেলা বিছানা থেকে উঠতে মন চায় না। কিন্তু আপনি মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। কুয়াশা মাখা দিনের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি ভালো ছিল। তবে বিশেষ করে কুড়ো ঘরের ফটোগ্রাফি এবং প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বেশি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন চারদিকে শীতের আমেজ। শীতের হিম হিম ঠান্ডার কারণে বিছানা থেকে উঠতে মন চায় না। তবুও সকাল সকাল উঠে পড়ি কারণ এরকম একটি মিষ্টি সকাল মিস করা যায় না কারণ শীতের সকাল আমার খুবই প্রিয়। আমিতো সকাল সকাল উঠে পড়ি খুবই ভালো লাগে শীতের সকালে মুহূর্ত কাটাতে। আপনি বেশ দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল মানে ভিন্ন প্রকৃতি ভিন্ন ধরনের কিছু। এখন চারদিকের উপর কি দিয়ে এত মনোরম হয়েছে প্রকৃতির মাঝেই পড়ে থাকতে মন চায়। এক ঝাঁক পাখি আকাশে উঠছে দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমরা যদি পাখি হতাম তাহলে এভাবে উড়ে বেড়াতাম ।যাইহোক কুয়াশা মাখা প্রকৃতির ফটোগ্রাফির দারুন হয়েছে।
সত্যি বলেছেন আপু শীতের হিমশিম ঠাণ্ডায় সবার সকালের রোদ ভালো লাগে, কিন্তু বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না । আসলে পাখি গুলো ডানা মিলে নীড়ে ফিরছিল দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার প্রতিটি ছবি চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শীতের সকাল আমারও খুব ভালো লাগে।। তবে সমস্যা হচ্ছে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না, তাই কখনো শীতের সকাল উপভোগ করা হয় না। যাইহোক আপনার শেয়ার করে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে।
তবে এই জিনিসটা আমার কাছে অনেকটাই আনকমন লাগলো। এর আগে মনে হয় এরকম জিনিষ আমার চোখে পড়েনি।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে আপু।কুয়াশা ভেজা পরন্ত বিকেলে আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,দেখে খুব ভাল লাগলো। কুঁড়ে ঘর ও পাখির উড়ে যাওয়া বেশ ভাল লেগেছে।কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।