লাইফ স্টাইল- বাটার জুতা কিনতে কয়েকটি শোরুমে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
ভালো আছেন আপনারা সবাই? আমি কিন্তু এই অসহ্য গরমের মধ্যে তেমন ভালো নেই। সারাদিন গরমে শেষ হয়ে যাচ্ছি। খুব ক্লান্ত লাগে শরীরটা কোন কাজ যেন হাতে উঠতেই চায় না। কিন্তু কি আর করার জীবন তো চালাতেই হবে। আমি বললে তো আর জীবন আমার মত করে চলবে না। সব কিছুর মধ্যেই চেষ্টা করে যাচিছ নিজেকে সচল রাখার । কারন শুধু মাত্র তো আর নিজেকে নিয়ে জীবন নয়। পাশের মানুষগুলোর দিকেও তো একটু খেয়াল দিতে হয়। আর সবাই কে নিয়ে ভালো থাকাটাই কিন্তু জীবনের আসল মজা।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
গরম হোক আর যাই হোক পরিবারের সবার কথা ভাবতে তো হবেই। তার মধ্যে আবার নিজের প্রয়োজন। কয়েকদিন যাবৎ শ্বাশুড়ীর জন্য এক জোড়া জুতা কিনার কথা ভাবছি। তার সাথ সাথে নিজের জন্যও কিন্তু কিনার কথাও ভেবে নিলাম। দৈনিক অফিস করতে এক জোড়া জুতায় কি আর হয়? কিন্তু সময় তো আর করতে পারছিলাম না। অবশেষে গত কয়েকদিন আগে সন্ধ্যায় একটু সুযোগ হলো। আর সেই সুযোগেই ভাবলাম জুতাটা কিনে নেওয়া যাক। তাই চলে গেলাম জুতা কিনতে। ও আর একটি কথা আমি কিন্তু আবার বাটার জুতা ছাড়া জুতা কিনি না। তাই বাটার আউট লেটই গেলাম। অবশ্য বাটার আউটলেট আমাদেতর এলাকায় মোট তিনটি। খিঁলগাও তালতলা মার্কেট থেকে শুরু করে চৌধুরী পাড়া পর্যন্ত জুতার মোট তিনটি আউট লেট।তাই তালতলা মার্কেটের আউটলেট হতেই দেখা শুরু করলাম।
প্রথম আউটলেটের এই মাথা থেকে সেই মাথা পর্যন্ত কোন জুতাই যেন পছন্দ হলো না। কিন্তু ডিসকাউন্টে কিছু জুতা বিক্রি করা হচ্ছিল। আমি মনে করলাম দুই তিন জুড়া জুতা নিলে একদিন এক জোড়া করে অফিসে পড়ে যাওয়া যাবে। এমন হলো তো মন্দ হয় না। প্রতিদিন যদি জুতা প্লাটে পড়ে যাই তাহলে তো দেখতেও ভালো লাগবে। তাই সেলস ম্যান কে জিজ্ঞেস করলাম কয়দি লাস্টিক করবে। সে জানালো কমের পক্ষে ছয় মাস। তাই এদিক সেদিক আর চিন্তু ভাবনা না করে মোট চার জোড়া স্যান্ডেল নিলাম। তাও আবার ২৪০০/- টাকায়। সে জুতার আসল দাম ৪৮০০/- টাকা। বাসার আনার পড়ে কিন্তু অনেকে বলছে যে জুতা গুলো নাকি একমাস ও লাস্টিক করবে না। তাই ভাবছি ২৪০০/- টাকাই কি জ্বলে গেল নাকি? আপনারা কি বলেন?
প্রথম আউটলেটে আমার শ্বশুড়ির জন্য আমার কোন স্যান্ডেল পছন্দ হলো না। তাই চলে গেলাম মার্কেটের পাশে অন্য আর একটি আউট লেটে। সেখানেও কয়েকবার সম্পূর্ণ আউটলেটটি ঘোরাঘুরি করেও কোন স্যান্ডেল পছন্দ হলো না। আমি কিন্তু আবার অল্প সময়ে শপিং করতে পারি না। আর এজন্য কত যে বকা খাই। যাক সেসব কথা। বকা আর আমার শরীরে লাগে না। যার যা বলার বলুন আমি ঘুরেঘুরেই আমার পছন্দ মত জিনিস কিনবো।আর এটাই আমার মজা লাগে। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে প্রিয় পানি পুড়ির দোকানে চলে গেলাম। ঝাল ঝাল এক প্লেট পানি পুগি খাওয়ার জন্য। কিন্তু এক প্লেটে আমার হলো না। তাই দুই প্লেট খেয়ে নিলাম। অবশ্য আপনাদের ভাইয়া আবার এক প্লেটেই ঝালে হো হা করেছে কতক্ষন। পড়ে তাকে জরিমানা স্বরূপ লাচিছ খাওয়াতে হয়েছে। হিহিহি
আমার কাছে অবশ্য সব সময়ই মনে হয় খিলঁগায়ের তিনটি বাটার আউটলেটের মধ্যে আপন কফি হাউজের অপজিটের আউটলেটেই বেশ ভালো কিছু জুতার কালেকশন থাকে। তাই চলে গেলাম সেখানে। এরই মধ্যে রাত ৯.০০ টা বেজে গেল। আউটলেট না বন্ধ হয়ে যায়। না আমরা যেয়ে দেখি খোলা আছে এবং তাদের কে জিজ্ঞাসায় জানতে পারি যে যেহেতু রাস্তার পাশে তাই তাদের আউটলেট রাত ১০.০০ পর্যন্ত খোলা। কিন্তু সেখানে ঢোকার আগে আমি বাহিরের কয়েকটি ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।
ভিতরে যাওয়ার পর দেখলাম এখানের স্যান্ডেল গুলো অন্যান্য শোরুম হতে ভিন্ন। মানে এখানে ভিন্ন কিছু কালেকশন রয়েছে। কিন্ত যেমন গুড় তেমন মিষ্টি। পছন্দ মত জিনিস কিনতে হলে তো পছন্দ মত দামটাও দিতে হবে। অনেকক্ষন দেখার পর পছন্দ মত নিজের জন্য দু জোড়া স্যান্ডেল ৩২০০/- টাকায় আর শ্বশুড়ীর জন্য দু জোড়া স্যান্ডেল ২৪০০/- টাকায় নিয়ে নিলাম। কিন্তু মুসকিল হলো আমার জুতার সাইজ নাই। তার জন্য আমাকে সেখানে আর ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হলো। তারা যেন কোথা হতে নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠালো। ততকক্ষনে আমি আর আপনাদের ভাইয়া কিছুক্ষন এসির ঠান্ডা বাতাস খেয়ে নিলাম আর ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। তারপর আমাদের কেনা জুতার মূল্যা পরিশোধ করে দিয়ে হাটতে হাটতে বাসায় চলে এলাম। তবে আসার সময় বার বার আপনাদের ভাইয়ার মুখের দিকে তাকালাম যে প্রায় ৮০০০/- টাকার জুতা কিনে তার মুখের অবস্থা কি? কিন্তু না হেসে বেশ হাসিখুশি দেখলাম তাকে। বরং আমাকে চকবার কিনে খাওয়ালো। হি হি হি।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? অপেক্ষায় রইলাম মতামতের।
বাটার জুতা পড়তে কিন্তু অনেক আরাম। অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে কোথাও দরকারি কাজে যাওয়া হয় না। যাক লাস্ট পর্যন্ত জুতা পছন্দ করে কিনে ফেললেন। আপনার জন্য এবং আপনার শাশুড়ির জন্য। যদিও আপনার জুতার সাইজ ছিল না তারপরও তারা সংগ্রহ করে দিল। তবে এই জুতা গুলো অনেকদিন পর্যন্ত লাস্টিং করে। ভালোই করেছেন জুতাগুলো কিনে অন্তত টেনশন ছাড়া কয়েক মাস ব্যবহার করতে পারবেন।
ঠিকই বলেছেন আপু । এখন আর কোন টেনশন নেই। কয়েক মাস অন্তত পড়তে পারব । ধন্যবাদ আপনাকে।
বাটার জুতার মান কিন্তু অনেক ভালো। আর বাটার জুতা পড়তেও খুব ভালো লাগে। আপনি অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করার পরে সর্বশেষে জুতা কিনেছেন, এটা জেনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ৩২০০ টাকায় আপনার জন্য ২ জোড়া জুতা এবং ২৪০০ টাকায় আপনার শাশুড়ির জন্য দুই জোড়া জুতা নিয়ে নিয়েছিলেন। অবশেষে জুতা পছন্দ হয়েছে আপনার। আপনাকে তো দেখছি ভাইয়া চকবারও খাইয়েছিল। যাইহোক সবমিলিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
আরে আমি তো ভেবেছিলাম এত দাম দিয়ে এত গুলো জুতা কিনে দিয়েছে। এবার মনে হয় বাসায় নিয়ে পিটাবে। কিন্তু না হিহিহি শেষে চকবার খাওয়ালো।
জুতা কেনার অনুভূতি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, অবশ্য আমাদেরও যেতে হবে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন কিছু কেনার জন্য। আশা করি আগামী কাল আমরা অনেক কিছু কেনাকাটার জন্য গাংনী বাজারে যাব। আজ আপনি এই বিষয়ে বিভিন্ন দোকানে ঘোরাঘুরি এবং তার সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন খুব সুন্দর ভাবে তাই দেখে অনেক ভালো লাগবে।
না না ভাইয়া আমি তো শুধু বাটার শোরুমগুলো তে ঘুরেছি মাত্র। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।