জেনারেল পোস্ট- আবারও আসছে সুখ দুঃখের শীত || written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ রাত্রিভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। নিশ্চয় আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। দিন যতই যাচেছ ততই যেন পৃথিবীর চারপাশটা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একের প্রতি অন্যের মায়া বা মমতাবোধটা ও যেন কমে যাচ্ছে। চারদিকে তাকালে শুধু স্বার্থের খেলা। কেউ যেন স্বার্থ ছাড়া পাও সামনে বাড়াতে চায় না। তবুও এই অস্থিরতার মধ্য দিয়েই কেটে যাচেছ সময়, দিন আর বছর। বন্ধুরা আজও সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগটি। আশা করি আমার আজকের পোস্ট পড়ে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
চারদিকে চলছে আবহাওয়া পরবর্তনের জয়ঝংকার। শীতের আগমনী বার্তা যেন বৃষ্টির ঝরনায় সমস্ত পৃথিবীকে শীতল করে দিয়ে জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর শীতের এই আগমনী বার্তাও যেন মানুষের মনে নানান ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। শীতের এই আগমনী বার্তায় হয়তো কেউ সুখী, আবার কেউ হয়তো সুখী নয়। কারন শীত আসে পৃথিবীতে সুখ আর দুঃখ উভয় ভেলায় চড়ে। শীতের আমেজে চারদিক হয়ে পড়ে শীতল আর স্নিগ্ধ। ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যায় নানান রকমের আয়োজন। আর গ্রামে তো এই আয়োজন আরও বেশী দেখা যায়।শীতকাল যেন গ্রামের ঘরে ঘরে এক নতুন আনন্দ ধারা জাগিয়ে তুলে। নতুন চালের পিঠা পায়েস আর মজাদার রান্নায় মুখরিত হয় সমস্ত গ্রাম।
শীত আসলে সমাজের ধনী লোকেরা তাদের শীত নিবারন করার জন্য হাজারও ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নতুন শীতের পোশাক, নতুন কম্বল আরও যে কত কিছু করতে হয় শীতের বা ঠান্ডার হাত হতে নিজেকে রক্ষা করতে। শীতের রাতে প্রচন্ড ঠান্ডায় কম্বল বা কমফোর্ট দিয়ে শীত নিবারন করার যে সে কি চেষ্টা সেটা বুঝিয়ে বলার নয়। তার উপর আছে আবার ওয়াস রুমে গ্রীজারের মত আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার কিন্তু এখন ঘরে ঘরে। শীত কে নিবারন করার জন্য মহা আয়োজন করে থাকে মানুষ আগে থেকেই।
কিন্তু অন্যদিকে সমাজের নিচু শ্রেণীর কথা গুলো যদি আমরা একবার ভাবী তাহলে কি দেখতে পাবো? সমাজের নিচু শ্রেণীর লোক গুলো যেখানে একবেলা ভাত মুখে তুলে নিতে হিমশিম খেয়ে যায়, সেখানে বিলাসিতা করার তাদের সময় কই? তারা শুধু স্বপ্ন দেখতেই পারে। কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো তাদের মনেই রয়ে যায়। শীতের পোশাক তো দূরের কথা চোখে তো শীতের পিঠাও দেখা হয় না তাদের । অনেকের রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে। তাদের নেই কোন ঠান্ডা, নেই কোন শীতের কাপনি। কন কনে শীতও তাদের কে টলাতে পারে না। শীতে বলে তাদের ডিকশনারি তে কোন কথাই যেন নেই।অসহায় আর পেটের কষ্টের কাছে শীতও যেন তাদের কাছে হার না মানা এক অধায়ের নাম।
বিলাসিতার পিঠা , পায়েস, চিতই পিঠা দিয়ে হাঁস রান্না সমাজের নিচু শ্রেণরীর মানুষগুলোর কাছে যেন এক অবাস্তব পৃুথবীর নাম। সেখানে শীত নিবারন তো দূরে থাক। পেটের ক্ষুধা মিটাবে নাকি দেহের ক্ষুধা? তবে একটি কথা কিন্তু ভেবে দেখার মত আমরা কিন্তু শীতের বিশাল আয়োজনে আনন্দ আর উদ্ধিপনায় থেকেও নানা রকরেম অসুস্থতায় আক্রাান্ত হয়ে পড়ি।কিন্তু প্রচন্ড শীতে আর খোলা আকাশের নিচে থেকেও সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষ গুলো জ্বর বা ঠান্ডার স্পর্শ পায় না। কি দারুন বিষয় তাই না?
শীত আসছে বলে আনন্দ আর উদ্দীপনায় মাতোয়ারা না হয়ে যদি সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষ গুলোর জন্য একটু চিন্তা ভাবনা করি। যদি তাদের দুঃখ কষ্ট লাগব করার কিছুটা চিন্তা করি তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও তারা শীতের এই কষ্ট হতে নিজেদের কে রক্ষা করতে পারবে। তাই আসুন নিজেদের আনন্দের পাশাপাশি কিছু দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করার চেষ্টা করি এই শীতে।
পোস্টের ধরন | জেনারেল পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | আগারগাঁ, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
আসলে এই শীত যেমন কিছু মানুষের জন্য সুখের, তেমনি আবার এই শীত কিছু মানুষের জন্য দুঃখের। কিছু মানুষ রয়েছে যারা রাস্তাঘাটে নিজেদের দিন কাটিয়ে থাকে। পেলে খায় আমার না পেলে খায় না। আমাদের উচিত এরকম ভাবে মাতোয়ারা না হয়ে ওই নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর কথা ভাবা। আপনি কিন্তু বেশ বাস্তবিক টপিক তুলে ধরেছেন আজকের এই পোস্টটাতে যা আমার খুব ভালো লেগেছে পড়তে।
ভাইয়া চেষ্টা করেছি মাত্র। ভালো কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
[Tweet}(https://x.com/maksudakawsar/status/1716696014747537504?s=20)
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, সুখ-দুঃখের শীতটা আবারো চলে আসছে। অনেকের জন্য এই শীত সুখের আবার অনেকের জন্য এই শীত অনেক বেশি দুঃখের। সেই মানুষগুলোর জন্য শীত একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের গায়ে থাকে না কোনরকম শীতের জামা, থাকে না পড়ার মতো কোন কম্বল। ওই মানুষগুলো অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে আর শীতের সময় আরো বেশি কষ্ট করে। এত সুন্দর করে পোস্টটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো পড়তে। বিশেষ করে পোস্ট লেখার টপিকটা দারুন ছিল।
জি আপু এমন মানুষগুলো কে দেখলে কিন্তু বিষণ কষ্ট লাগে আমার । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শীত কিছু মানুষের জন্য আনন্দের আবার অনেক গরীব মানুষের জন্য কষ্টের। শীতে বড় লোক মানুষগুলো খুব আরাম আইসে এবং মজার খাবার খেয়ে জীবন যাপন করে। আর গরিব মানুষগুলো শীতের সাথে লড়াই করে বাঁচতে হয়। তবে শীতকে সভ্যতা মাস বলে থাকে। শীতের আগমনে চারদিকে ঘন কুয়াশা এবং পরিবেশ দেখতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বেশ দারুন একটি মন্তব্য করেছেন আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেকের কাছে শীতকাল আসলে ভালো লাগে আবার অনেকের কাছে শীতকাল আসলে খারাপ লাগে। বিশেষ করে ফুটপাতে বা গরিব লোকের কাছে শীত অনেক কষ্টের। আর বড় লোক গুলো দালান কোঠায় থাকে তাদের কাছে শীত তেমন লাগেই না। তবে এই মুহূর্তে হালকা কুয়াশায় হালকা ঠান্ডা ভোরবেলা অনেক ভালো লাগে ঘুমাতে। তবে শীতকালে সুখ দুঃখ দুটিই আছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে শীতকাল হচ্ছে ভদ্র মাস। শীতকালে মানুষ সব সময় কাপড় সুপট গায়ে ব্যবহার করে। খুব শিক্ষনীয় একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হা হা হা না হেসে তো পারলাম না। শীতকাল আবার ভদ্রমাস। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমরা অপেক্ষা করে থাকি কবে শীতকাল আসবে। শীত কালকে ঘিরে আমরা কতো ধরনের প্ল্যান করে থাকি। এখানে সেখানে ঘুরতে যাবো, খেজুরের রস খাবো,মজার মজার পিঠা খাবো, কম্বল দিয়ে আরাম করে ঘুমাবো আরও কতো কি। কিন্তু যারা একেবারে নিম্নবিত্ত তারা শীতের পোশাক পর্যন্ত পায় না। অনেক মানুষ রাস্তা ঘাটে শীতের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে। এমন করুণ দৃশ্য গুলো দেখলে ভীষণ খারাপ লাগে। আমাদের উচিত নিম্নবিত্ত মানুষদেরকে যথাসম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা। যাতে করে তারা শীতের সময় কিছুটা হলেও শান্তি অনুভব করতে পারে। দারুণ লিখেছেন আপু। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর এবং মূল্যবান একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। প্রতিটি কথাই বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।