ফটোগ্রাফি পোস্ট- এ্যাকুরিয়ামের কিছু মাছের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি আমার মত করে আপনারাও বেশ ভালো আছেন। শুনেছি সরকারি চাকুরি নাকি এক রকমের শান্তির চাকুরি। তাইতো সবাই শুধু সরকারি চাকুরী করতে চায়। আমি কিন্তু সেই শান্তি কোথাও খুঁজে পাইনি। হয়তো শান্তি আমায় পছন্দ করে না। তাই তো সমস্ত রোজার মাস ধরেই ব্যাস্ত সময় পার করতে হয়েছে। আর শেষ সময়ে এসে ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছে নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু কাটা করার বিশাল নদীতে।
প্রতিদিনের মত করে আজও কিন্তু আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে।সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি করতে এতই ভালো লাগে যে যখনই ফটোগ্রাফি করি তখনই কেন জানি ভুরি ভুরি ফটোগ্রাফি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করি।আর তাই তো আজও মোবাইল ক্যামেরার গ্যালারী হতে মনের মত কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যাতে করে আপনাদের ও কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে।তাহলে চলুন তো দেখে আসি আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো।
এ্যাকুরিয়ামের কিছু মাছের ফটোগ্রাফি
এ্যাকুরিয়ামের কিছু মাছের ফটোগ্রাফি
বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম সোনারগাঁ। বাংলার তাজমহল সহ ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ এবং মিশরের পিরামিড দেখার উদ্দেশ্যে। তবে একবার নয় দু দুবার গিয়েছিলাম। প্রথম বার গিয়ে অবশ্য তেমন কিছু ঘুরে দেখতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়বার কিন্তু পুরোটাই ঘুরে দেখা হয়েছে। যার কারনে মোবাইলের গ্যালারীতে রয়েগেছে অসংখ্য ফটোগ্রাফি। যে গুলো আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে শেয়ার করার ইচ্ছে আছে।
ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ দেখতে গিয়ে দেখা হয়েছে পুরো শুটিং স্পর্ট। যেখানে রয়েছে বহুলার বাসর ঘর সহ শুটিং করার জন্য বেশ সুন্দর সুন্দর জায়গা। এমন কি এ্যাকুরিয়ামে থাকা বিদেশী মাছ গুলোও কিন্তু আমাদের চোখ কে এড়াতে পারেনি। বেশ কিছু এ্যাকুরিয়াম রাখা আছে সেখানে। যার মধ্যে রয়েছে রং বে রং এর বিদেশী মাছও। তাই তো এমন সুন্দর কিছু দৃশ্য কে আর হাত ছাড়া করতে মনে চাইলো না। করে নিলাম ক্যামেরা বন্দী।
এক একটি এ্র্যাকুরিয়ামে রাখা হয়েছে এক এক প্রজাতির বিদেশী মাছ। মাছ গুলো শুধু পানির মধ্যে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছে। অবশ্য এসব প্রজাতির মাছের নাম আমার জানা নেই। যেহেতু ছেলেবেলা থেকেই এ্যাকুরিয়ামে থাকা মাছের প্রতি আমার একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে।তাই এবার এত এত মাছ দেখে বেশ আনন্দ লাগছিল।
বিদেশী এসব মাছ গুলো কে ধরে রাখার এবং জীবিত রাখার জন্য এ্যাকুরিয়ামের মধ্যে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় আদার। মাছগুলো ঘুরে ফিরে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য গুলো ঠঁকিয়ে ঠুঁকিয়ে খাচ্ছে। যেহেতু সমুদ্রের তলদেশে মাছেরা কি করে সেই দৃশ্য গুলো কোন দিন দেখা হয় নি। তাই এ্যাকুরিয়ামে থাকা মাছ গুলোর এমন দৃশ্য দেখেই কিছুটা অনুভব করা এই আর কি।।
বেশ কিছুটা সময় সেই পাশ হতে ওপাশের ফটোগ্রাফি করতে হয়েছে আমাকে। কারন শুটিং এর সুবিধার জন্য এই জায়গায় নানা রকমের মাছ ভর্তি এ্যাকুরিয়াম রাখা হয়েছে। আর যতই কষ্ঠ হউক না কেন এমন দৃশ্য কি আর ক্যামারা বন্দী না করে থাকা যায়।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ |
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে কিছু আনকমন জিনিসের ফটোগ্রাফি করতে মনে চায়। মনে চায় এমন আনকমন দৃশ্য গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে আপনাদের কেও দেখার সুযোগ করে দেই।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet