ভ্রমন পোস্ট- হঠাৎ বিশেষ কাজে মুন্সীগঞ্জ ভ্রমন
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কয়েকটা দিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করলাম। আর ব্যস্ত সময় পার করবোই না কেন। পাশের মানুষটি যদি বেশ অসুস্থ্য থাকে। তাহলে কার ভালো লাগে, বলেন তো? মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিন এখন সুস্থ্য। তবে এই সময়টি ছিল আমার জন্য অনেক কঠিন একটি সময়। না আজ আমি আপনাদের সাথে সেসব গল্প করবো না। সেই গল্প আমি অন্য একদিন করবো না হয়। আমি @maksudakawsar। আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আপনারা যারা আমাকে ভালোবাসেন আর আমার পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় থাকেন তাদের জন্য আজ আমি একটি ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করতে চলে আসলাম।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
ব্যস্ত জীবন আমার। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ভালোবসি না। ভালোবাসি চারপাশের মানুষগুলো কে একটু ভালো রাখার। যখনই সুযোগ পাই তখনই ছুটে যাই এদিক সেদিক কোন না কোন কাজে। এই যেমন কয়েকদিন আগে শরীর টা তেমন ভালো ছিল না। আবার সপ্তাহে মাত্র একটি দিন বন্ধ। তবুও একটি বিশেষ কাজে চলে যেতে হলো ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জে। তো সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা বাসা হতে সি এন জি করে সাইনবোর্ড গিয়ে নামিে এবং সেখান থেকে সিএনজি তে সরাসরি মুন্সীগঞ্জ যাওযার জন্য অপেক্ষা করতে লাগি।বেশ কিছু সিএনজি দাড়িঁয়ে থাকলেও কিন্তু আমরা কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম একটু কমে দামে একটি সিএনজি তে উঠার জন্য। এক সময়ে আমরা আমাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সিএনজি পেয়ে গেলাম।
আমাদের সিএনজি চাষাড়া হয়ে যাচিছল। কিন্তু সেখানে রাস্তা মেরামতরে কাজ চলায় অনেক সিএনজির ঝাকুনি তে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু কি আর করার যেতে তো হবে। রাস্তার ধুলাবালি গুলো যেন মুখ চোখ বন্ধ করে দিচেছ। এভাবেই যেতে থাকি ঝুকুর ঝাকুর রাস্তা দিয়ে। তবে রাস্তার দু পাশে তাকালে কিন্তু মনটা অনেক ভরে যায়। কারন রাস্তার দু পাশে কি যে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। তা যেতে যেতে আমি সিএনজি তে বসে বসে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
একসময়ে আমরা মুক্তারপুর ব্রীজ হয়ে পৌছেঁ যাই মুন্সীগঞ্জে। আমরা সেখান থেকে কিছু ফল কিনে নেই। কারন আমরা সেদিন একটি বিশেষ কাজে সেখানে গিয়েছিলাম। আর যে বাসায় গিয়েছিলাম সেখানে আমাদের কে অনেক কিছুই নিতে হবে। তো আমরা দামাদামি করে আমাদের পছন্দের মত কিছু ফল কিনে নেই। তার পর মিষ্টির দোকানে যেয়ে আবার মিষ্টিও কিনে নেই। আরে আপনারা তো জানেন যে বিক্রমপুরের মিষ্টি কতটা সুস্বাদু। তাই নিজের বাসার জন্য কিছু কিনে নেই। দাম কিন্তু অনেক কম।অবশ্য সেখানকার মিষ্টির দোকান গুলো অতটা হাইফাই না।তারপর আমরা সেখান থেকে আবার একটি অটোনেই।
কিছুক্ষনের ভিতর আমরা পৌছে যাই আমাদের সেই গন্তব্য স্থল। কিন্তু আমি তো সেখানে যেয়েই অবাক। কি সুন্দর করে বাড়ির বাহিরের পরিবেশ সাজানো। বাড়ির বাহিরের রাস্তাটি যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন তেমনি করে বাড়িটি ও সাজানো হয়েছে ফুলে ফুলে। বাড়িতে ঢুকতেই বাড়ির গেইটে লাগানো গেইটফুলগুলো আপনাকে স্বাগতম জানাবে। কি সুন্দর রুচির মানুষ এ বাড়িতে বসবাস করে। আমি কিছু টা সময় এই চিন্তা ভাবনা করতে করতে মসগুল ছিলাম। এক সময়ে অনুভব করলাম আমি সিড়িঁ দিয়ে উঠতে উঠতে আমার গন্তব্য স্থানের মেইন দরজায় দাঁড়ানো।
তারপর আমাদের কে ভিতরে নিয়ে বসতে দিলো। আমরা যে রুমে বসলাম সে রুমের তো বিশাল অবস্থা। আবার তারা রুমটিকে বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছে। আমি কিছুটা সময় বাড়িরর চারদিক টা ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম। মনে হচেছ যে উনাদের বেশ রুচি আছে। এমন সুন্দর করে তারা তাদের ড্রয়িংরুম সাজিয়েছে যে যে কেউ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবে।রংবে রং এর ফুল, দোলনা দিয়ে রুমটি বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে। আমার কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে। এরপর আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যে কাজ ছিল সেটা সম্পন্ন করে আর খাওয়া দাওয়া করে তাদের থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে যাই।
আমাদের বের হতে হতে সন্ধ্যা। অনেক বছর মু্ন্সীগঞ্জে যাওয়া হয় না। তাই মুন্সীগঞ্জের এত উন্নতি ও আমার চোখে পড়েনি। আসার পথে দেখলাম মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা দেখতে বেশ লাগছে। তাই মুক্তার পুরের কিছুটা আগেই নেমে যাই অটো হতে। তারপর মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাটি একটু ঘুরে ঘুরে দেখি। নিজের গ্রামের এমন উন্নতি দেখে তো মনটা বেশ ভরে গেল। এরপর আমরা আবার সিএনজি নিয়ে ঢাকায় চলে আসি।
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার আজকের ভ্রমনের গল্প? আপনাদের মতামত গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1681570373828251650?s=20
আপু আপনি যে বিক্রমপুরের মেয়ে সেটা আমি অনেক আগেই জানি। আপনি তো বিক্রমপুর যাওয়ার সময় আমার বাসার সামনে দিয়ে গেছেন। একদিনে মুন্সীগঞ্জ গিয়ে আবার ফিরেও এসেছেন। আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আমি কি জানতাম আপনার বাসার সামনে দিয়ে গিয়েছি? তাহলে তো নেমে কিছু খেয়ে আসতাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।