ফটোগ্রাফি পোস্ট- জাতীয় জাদুঘরের মিউজিয়ামে রক্ষিত প্রিয় ফলগুলোর ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আমি @maksudakawsar । আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আর বাংলাদেশী ইউজার হিসাবে আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি মাতৃভাষায় বাংলায় নিজের মনের ভাবগুলো কে সুন্দর ও সাবলিল ভাষায় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। মাতৃ ভাষা বাংলায় যে ভাবে নিজের মনের ভাবগুলো কে প্রকাশ করা যায়, আমার মনে হয় পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় সে ভাবে প্রকাশ করা যায় না। তাই তো আমরা আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা কে নিয়ে এত এত গর্ব করি।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
জন্মগ্রহণ করার পর হতে ঢাকায় বসবাস। তাই জন্মগতভাবেই আমি ঢাকার স্থানীয়। ছেলেবেলায় অনেক বই খাতায় পড়েছি জাতীয় জাদুঘরের কথা। হয়তো বা কখনও টিভিতে দেখেছি। আবার এই প্লাটফর্মে এসে অনেকের পোস্ট দেখেছি। কিন্তু জাদুঘরের এত এত কাছাকাছি বসবাস করার পরও কিন্তু কোনদিনও জাদুঘর স্ব-চোখে দেখা হয়ে উঠেনি। কিন্তু এবার প্রিয় কমিউনিটির কথা ভেবে। আর প্রিয় কমিউনিটির মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে একটু ঘুরে আসলাম বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর। কিন্তু কি ভাবনায় পড়ে গেলাম। কারন জাদুঘরের এতো এতো ফটোগ্রাফি করেছি যে তা কত দিনে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো সেটাই তো বিষয়। একটি কথা কি এক রকমের তরকারি দিয়ে যেমন প্রতিদিন খেতে ভালো লাগে না। তাই একই ধরনের জিনিস প্রতিদিন দেখতেও কিন্তু ভালো লাগে না। তাই আমিও ভেবে ছি আমার করা জাদুঘরের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে পর্ব ভিত্তিক শেয়ার না করে মাঝে মাঝে শেয়ার করবো। আর আজ আমি জাদুঘরের মিউজিয়ামে রাখা আপনাদের বাংলাদেশের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি।
আজকের আমার প্রথম ফটোগ্রাফি হলো আমাদের দেশের মানে বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঠাঁলের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আর এখন তো চলছে কাঠাঁলের মৌসুম। কাঠাঁল খেতে ভালোবাসেনা এমন কেউ হয়তো বা নেই। এমন ভাবে কাঠাঁলটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দেখে তো মনে হয় সত্যিকারের কাঠাঁল।
এবারের ফলটি হলো আনারস। আমি কিন্তু আবার আনারস খেতে বেশ পছন্দ করি। দেখে কিন্তু মনে হচেছ সত্যি কারের আনারস। আপনাদের কি তাই মনে হচেছ?
ফটোগ্রাফি আর কি করবো। দারোয়ান বেটা গো ধমক খেতে খেতে তো দিন পার। তবুও কিন্তু আমার হাত থেমে থাকে নি। যে ফলটি আমাদের দেহ কে রাখে সুস্থ্য সেটি আর কিছুই নয়। সেটি হলো পাকাঁ পেপেঁ। পাকা পেপেঁ খেলে দেহের অনেক রোগ ব্যাধিও ভালো হয়ে যায়।
কথায় বলে একটি কলা নাকি এক কলস পানির পিপাসা মিটায়। তাই আমিও প্রতিদিন একটি কলা খাওয়ার চেষ্টা করি। তাই তো জাদুঘরে ফলের সমাহার দেখে এই ফলটির ও ফটোগ্রাফি করা আর বাদ দেয়নি।
তালের রসের পিঠা পছন্দ করে না বা তালের রস জ্বাল দিয়ে খাওয়া কেউ পছন্দ করে না এমন বাঙালি মনে হয় আমি ছাড়া কেউই নেই। ভাদ্র মাসের তালের রসের ঘ্রাণে চারদিক থাকে মুখরিত। আর সেই প্রিয় তালের ফটোগ্রাফি কি করে আমি না করি।
ডাব আর নারিকেল কিন্তু আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী। আর এমন একটি মজাদার ফল তো সবার কাছেই প্রিয়। বেশ সুন্দর করে ডাবের পাশে ঝুনা নারিকেল টি রাখা হয়েছে। দেখেতে কিন্তু বেশ লাগছে।
ইস্ জাম্বুরা! শুকনা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খেতে যে কি ভালো আর মজা লাগে তা আর বলার না। তাই তো এত সুন্দর করে প্লেটে রাখা জাম্বুরার ফটোগ্রাফিটা করেই নিলাম।
হায়রে সেই ছেলেবেলায় কত যে চালতা আচার খেয়েছি। তার কিন্তু হিসাব নেই। চালতা আচারের কথা শুনলে তো জীবের গোড়ায় পানি জামা হয়ে যায় সবার আগে।
বন্ধুরা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ব্লগটি? একটু হলেও যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের মন্তব্যগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-S22 |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
ভৌগলিক অবস্থান | জাতীয় জাদুঘর শাহবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ওয়াও আপনি দেখছি আজ আমাদের মাঝে জাতীয় জাদুঘরের মিউজিয়ামে রক্ষিত প্রিয় ফলগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফলগুলোর দেখতে বেশ অসাধারণ এই ফলগুলো কম বেশি আমি খেয়ে থাকি কিন্তু পেঁপে ফলটি আমার অনেক প্রিয়। অনেক সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এত সুন্দর সুন্দর ফলের দৃশ আজ আপনি মিউজিয়াম থেকে ফটোগ্রাফি করে এনে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এত সুন্দর এই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। শুধু ফটোগ্রাফি নয় পাশাপাশি আপনি দারুন ভাবে বর্ণনা করেছেন তাই সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার।
ভাইয়া আমার আজকের ফটোগ্রাফিটি আপনাকে মুগ্ধ করতে পেরেছে এটাই আমার জন্য অনেক কিছু।।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার তো মক্কার মানুষ হজ্জ্ব পায়নার মতো অবস্থা । ঢাকায় বেড়ে উঠা আর জাদুঘরে যাননি! তবুও আমার বাংলা ব্লগের কল্যানে গেলেন। ফটোগ্রস্ফিগুলো বেশ ভালো তুলেছেন দারোয়ানের বকা খেয়েও। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু মক্কার মানুষের হজ পায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঢাকাতে বসবাস করে এবং জাদুঘরের পাশে থাকার পরও আপনি এতদিন জাদুঘর দেখতে যেতে পারেন নাই। তবে এইবার গিয়ে অনেক পরিচিত সবজির ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার জাদুকরের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আশা করি মাঝেমধ্যে আরও ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। তবে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
না আপু শুধু সবজির ফটোগ্রাফি নয়। আরো অনেক ফটোগ্রাফি করা হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।