লাইফ স্টাইল- মন খারাপের ঈদের শপিং
আসসালামু আলাইকুম
ঈদ মোবারক। আমার প্রিয় কমিউনিটির সকলকে বৃষ্টি ভেজা ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ আবার উপস্থিত হলাম আমি @maksudakawsar। আশা করি পবিত্র ঈদের আমেজে কেউ ঘর থেকে বের না হতে পারলেও পরিবারের সাথে বেশ আমেজে ঈদ উদযাপনে ব্যস্তময় সময় কাটাচেছন। আমিও বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। কারন বছরে তো ঈদ একটাই আসে নাকি? তাই পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করার মত আনন্দ আর কিসে আছে আমি জানিনা। আপনা যদি জানেন তাহলে আমাকে একটু জানাবেন প্লিজ।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
বছরে দুটি মাত্র ঈদ আর দুটি ঈদে কেন জানি পরিবারের সবার সাথে কাটাতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সে যাই হোক এবার কিন্তু সব মিলিয়ে আমার মন টা বেশ খারাপ। কেন জানিনা গত এক সপ্তাহ ধরে কোন কিছুতেই আনন্দ পাচ্ছি না। এমনিতেই বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিন যাচেছ। তার উপর আাবার মনটা খারাপ। আসলে কেন খারাপ সেটা নিয়ে অন্য কোনদিন একটি পোস্ট লিখবো। তবে মন খারাপ কি কেউ আর মানে না বুঝে। জীবনে নিজের মনের বিরুদ্ধে অনেক কিছু করা লাগে। এই যেমন ঈদ করতে শ্বশুর বাড়ী যাওয়া লাগবে, তাই নতুন কাপড় কিনে নিতে হবে। তাও আবার নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। কারন এবার যেমন মনটা ভালো নেই তেমনি করে হাতের অবস্থাও ভালো না। তবেও অনেক অনুরোধ করার পর আর আমাকে ৭০০০/- টাকা জোর করে ধরিয়ে দেওয়ায় আমাকে নিজের ইচেছর বিরুদ্ধে যেতে হলো শপিং এ রেডিমেট পোশাক কিনতে তাও আবার ঈদের দুদিন আগে।।
গেল কিছুদিন যাবৎ বেশ বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির মধ্যেই রওনা হলাম নিউ মার্কেটের গ্রীনস্মরনীকা শপিংমলে। কারন সেখানেই ভালো রেডিমেট পোশাক পাওয়া যায়। তাই সকাল সকাল চলে গেলাম। যদিও বৃষ্টির মধ্যে খিলঁগাও হতে এত দূরে যাওয়ার সি এনজি ভাড়া বেশীই চাচিছলো কিন্তু কিছুই করার নেই জোড় করে নিয়ে যাওয়া। দুপুর ১২.০০ টার মধ্যে পৌছে গেলাম আমি সেখানে। আপনারা তো জানেন যে আমার আবার সহজে কিছু পছন্দ হয় না। তাই ভাবলাম পাশের ইষ্টার্ণ মল্লিকায় একটু ঘুরে দেখি ভালো কিছু পাওয়া যায়নি । কিন্তু সেখানে ৪টি ফ্রোর ঘুরে শুধু ঝাকানাকা ড্রেস গুলোই চোখে পড়লো। কিসের সারারা, গাড়ারা, আরও কত কি। কেন জানি মেজাজ গরম হতে লাগলো। কারন আমার আবার নরমাল কাপড় পছন্দ। যদিও এক দোকানে পেলাম তাও আবার দাম চায় আকাশ কুসুম। আর আমার তো ৭০০০ /- টাকার পুরোটা খরচ করার ইচ্ছে নেই। যা বাচাঁতে পারি তাই আমার মাটির ব্যাংকে ফেলে দিবো। আমার মাটির ব্যাংকটায় কতদিন টাকা পয়সা ফেলি না।
তা ফিরে গেলাম আমার পছন্দের গ্রীন স্মরনিকায়। সেখানে অবশ্য আমার একটি দোকানের পোশাক আমার বেশী ভালো লাগে। এই দোকানে আবার অনেক উন্নত মানের কিছু রেডিমেট পোশাক পাওয়া যায়। তো আমাদের কে পছন্দ করানোর জন্য ভাইয়া বেশ অনেক ড্রেস দেখালো। আমার সেখান থেকে একটি দুপিস আর একটি থ্রিপিস পছন্দ হলো। আমি বেশ দামাদামি করতে লাগলাম। কিন্তু উনি বেশ নাছর বান্দা। তারপর বেশ দামাদামি করে দুটো ড্রেস ৪০০০/- টাকায় রফাদফা করলাম। মনে মনে বেশ খুছি হলাম আমি ভাবলাম আমার তো ড্রে কিনা শেষ। তাহলে ৩০০০/- টাকা ব্যাংকে ফেলবো।
কিন্তু আসার পথে অন্য আর একটি দোকানে ঢুকলাম। কারন বাহির হতে মনে হচ্ছিলো যে দোকানের ড্রেসগুলো বেশ সুন্দর। তাই সেই দোকানে ঢুকে ড্রেস দেখতে দেখতে আমার আর একটি ড্রেস পছন্দ হয়ে গেল। অবশ্য ড্রে একই রকমের কিন্তু রং ভিন্ন। আর অন্য রকমের রং দেখে তো আমার পছন্দ হয়ে গেল। তাই সেখান থেকে দামাদামি করে নিয়ে নিলাম আরও একটি ড্রেস। সেখানেও আমাকে গুনতে হলো আরও ২০০০/- টাকা। এখন হাতে রইল আর এক হাজার টাকা। মনে পড়ে গেল আমার বাসার কিছু জিনিসি না কিনলেই না। তাই আরও কিছু টুকিটাকি কেনার জন্য চলে গেলাম নিউ মার্কেটে। আর বাসার টুকি টাকি কিনতে কিনতে শেষে মেষ দেখলাম আমার নিজের গেছে আরও ২০০০/-টাকা। হি হি হি । মাটির ব্যাংকে রাখবো কি, বরং নিজের ব্যাগ থেকে আরও ভরতে হলো। তারপর মনের দুখে বাসায় ফিরে আসলাম। আর অতিরিক্ত টাকা খরচ করার জন্য কষ্ট গুলো বুকে চেপে রাখলাম। মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানেন? যদি অনেক টাকা থাকতো তাহলে অনেক শপিং করতাম। আবার মাঝে মাঝে মনে হয় টাকা অনেক খারাপ। দরকার নেই যেমন আছি ভালোই আছি।
অবশেষে বাসায় নিয়ে আসলাম আমার এবারের ঈদের ড্রেস গুলো। আর মনে মনে ভাবলাম আপনাদের কে একটু দেখাই আমার কেনা নরমাল ড্রেস গুলো। ঈদের গুলো কেমন হলো বলেন তো?
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? অপেক্ষায় রইলাম মতামতের।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সারাবছর যতই কেনাকাটা করা হোক না কেনো তারপর বিশেষ দিন গুলোতে কিছু না কিছু কিনতেই হয়।ভাইয়া আপনাকে জোর করে সাত হাজার টাকা দিয়ে শপিং করতে বলেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।এরকম মানুষ খুব কমই হয়।আপু আমরা যতই প্ল্যান করি না কেনো যে মার্কেটে গেলো কেনাকাটা করার পরও কিছু টাকা বাঁচাবো কিন্তু তা কখনোই সম্ভব হয় না বরং উল্টো বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়।যেমনটি আপনা৷ ক্ষেত্রে হলো।যাক তারপরও নিজের পছন্দসই ড্রেস কিনতে পেরেছেন এটাই অনেক। অনেক সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ড্রেস গুলো পড়তে বেশ আরাম দায়ক কিন্তু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যেকোনো কাজই হোক না কেন যদি সেটা মনের বিরুদ্ধে করা হয় তাহলে তাতে কোন আনন্দ থাকে না। আবার বৃষ্টির সমস্যা তো রয়েছেই এত দূর থেকে এসেছেন কেনাকাটা করার জন্য।
আরে ভাই আমার মন খারাপ তো অন্য কারনে। সে যাই হোক বেশ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
আপু আপনার মনটা কেন খারাপ সেটা আমি জানিনা। তবে আমাকে যদি কেউ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শপিং করার জন্য সাত হাজার টাকা ধরিয়ে দিতো,তাহলে আমি তাকে সাতবার প্রণাম করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শপিং করতে চলে যেতাম, হাহাহা। ধন্যবাদ আপু।
ভাবছি সাতবার প্রণাম পাওয়ার জন্য তো আপনাকে টাকাটা দেওয়াই যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে কেনাকাটা করতে গেলে এরকমটা হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি মার্কেট ভ্রমণ করেন তাহলে অনেক কিছু আপনার চোখের সামনে এসে হাজির হবে আপনি হয়তোবা একটা জিনিস কেনার জন্য গিয়েছেন কিন্তু এমন এমন জিনিস গুলো আপনি দেখছেন যেগুলো আপনার কিনতে মন চাইবে এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে আপনি সেগুলো কিনবেন। আর এভাবেই আমাদের অতিরিক্ত খরচ হয় কিন্তু এটা আমরা কখনো বুঝতেই পারি না,বুঝলেও তখন আর কিছু করার থাকে না। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আরে কি বলেন ভাই তখন তো মনে হয় পুড়ো মার্কেট টাই তুলে নিয়ে আসি হি হি হি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বুঝতেই পারছি আপু বেশ মন খারাপের মধ্যে দিয়ে ঈদের শপিং করেছেন। নরম হলেও খুব সুন্দর দেখতে তিনটি জামা কিনেছেন আপনি। আশা করছি এই জামাগুলো পড়লে আপনাকে খুব সুন্দর মানাবে এবং দেখতেও বেশ ভালো লাগবে। শপিং মলে গেলে আপনার জামা কাপড় বেশি পছন্দ হয় না এটা আগে থেকেই জানা রয়েছে। আর যেগুলো পছন্দ হয় সেগুলো কিনে নিয়ে আসেন। সবশেষে বলতে হয় জামা তিনটি বেশ দারুন ছিল।
খুব আরামদায়ক জামাগুলো। জি ভাইয়া বেশি ঘুরে ঘুরে আমি জামা কাপড় কিনতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয় পরিবারের সবার সাথে ঈদ উদযাপন করার মধ্যে। আপনি তো দেখছি এবারের ঈদের শপিং টা মন খারাপের মধ্যে দিয়ে করেছেন। মন খারাপের মধ্যে দিয়ে হলেও খুবই সুন্দর তিনটা ড্রেস কিনেছেন। আমার কাছে তিনটি খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে উপরেরটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে দেখতে।