লাইফ স্টাইল- সুপার ফুড ডিম নিয়ে যত কথা
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
❤️শুভদুপুর আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সকলকে❤️। চারদিকে রিমঝিম বৃষ্টি । আর বৃষ্টির এই কলকাকলী মনকে দোলা দিয়ে যাচেছ বার বার। ইস্ যদি পারতাম এই শীতল বৃষ্টির ছোঁয়ায় নিজেকে কিছুটা শীতল করতে! কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়। তাই আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। আমি @maksudakawsar ।সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ❤️। প্রতি সপ্তাহের মত আজও নতুন একটি লা্ইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলাম। যদিও আমি কোন ডায়টেশিয়ান নয়, তবুও মনে হলো নিজের জানা কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করি। চলুন তো পড়ে আসি আমার আজকের লাইফ স্টাইল ব্লগ।
বর্তমানে সময়ে বেশ কিছু খাবার নিয়ে মানুষের মনে দদূল্যমান তৈরি হয়েছে। আর সে সকল খাবারের মধ্যে একটি হচ্ছে সুপার ফুড ডিম। আর এই ডিম নিয়ে কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই বেশ চিন্তিত। কেউ কেউ তো আবার ভয়ে ডিম খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে। কি হতে আবার কি হয় এই ভেবে। কেউ কেউ কুসুম ফেলে দিয়ে সাদা অংশ খাচ্ছেন। কেউ আবার দিনে চারটা ডিমও খাচ্ছেন। তাহলে চিন্তার বিষয় হলো কোন টা ঠিক, তাই না?
আমাদের জেনে রাখা ভালো যে একটি ডিমের মধ্যে প্রোটিন, এ্যামনো এসিড, কোলেস্টরল, মিনারেল এবং ভিটামিনের যথেষ্ট পরিমান উৎস রয়েছে। আর এ কারনেই এ সময়ের পুষ্টিবিদেরা ডিম কে সুপার ফুড হিসাবে মনোনীত করেছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে এই সুপার ফুড ডিম নিয়েই কিছু কথা শেয়ার করবো।
★ডিম সূর্যরশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব হতে আমাদের চোখকে রক্ষা করে। আমরা যখন বাহিরে যাই তখন সূর্যের রশ্নির ক্ষতিকারক প্রভাব আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু ডিম আমাদের সেই প্রভাব হতে রক্ষা করে। এছাড়াও ডিম আমাদের চোখের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে।
★ ডিম গর্ভস্থ শিশুর মস্তিস্ক বিকাশে সহায়তা করে।
★ডিম আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম কে শক্তিশালী করে এবং সুস্থ্যতার জন্য ইমিউনিটি সিস্টেম অত্যান্ত জরুরী।
★ডিম উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
★এসময়ের মহামারি হচ্ছে ক্যান্সার। ডিম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে একজন সুস্থ্য মানুষ প্রতিদিন কুসুম সহ একটি ডিম খেতে পারে। সেই হিসাবে সপ্তাহে সাতটি কুসুম সহ ডিম খেতে পারবে। যদি দুটো ডিম খেতে চায় তাহলে একটি ডিম কুসুম ছাড়া খেতে পারবে। তবে কোন ভাবেই কোন সুস্থ্য মানুষের চারটি ডিম খাওয়া ঠিক নয়। আর যদি কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিকস, হৃদরোগে, হা্ই কলেস্টরোল সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত থেকে থাকে তাহলে তারা কুসুম সহ ডিম না খাওয়াই ভালো। তবে যদি কুসুম খেতে চায় তাহলে কুসুমের হাফ খেতে পারে। তবে ডিম খেতে হলে আমাদের সব সময়েই দেশী ডিম খাওয়া উচিত। যদি দেশী ডিম পাওয়া না যায় সে ক্ষেত্রে কোন খামারীর কাছ হতে ডিম সংগ্রহ করে খাওয়া যেতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই জীবন আমাদের একটাই । আর সেই জীবন সুস্থ্য আর সুন্দর করে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আামাদের নিজেদেরই । কোন কিছু যেমন অতিরিক্ত বেশী বেশী করা ঠিক নয়। তেমনি আবার কম করাও ঠিক নয়। তাই আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এই সুপার ফুডটি সঠিক ভাবে গ্রহন করলেই আমরা পেতে পারি এর সঠিক পুষ্টিগুন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার আসবো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে নতুন ভাবে আপনাদের কাছে। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
আমি @maksudakawsar। একজন বাংলাদেশী ইউজার। চাকুরী, ব্লগিং এবং সংসার সামলানো হলো আমার পেশা। ভালোবাসি নিজের মনের কথাগুলো কে কলমের আচড়ে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে। ভালোবাসি আমার প্রিয় মাতৃভূমি এবং সুন্দর প্রকৃতিকে। আমি ভালোবাসি দেশে বিদেশ ঘুরে বেড়াতে। মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াতে আর ভালোবাসি প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে। খুব মিস করি আমার মায়ের ভালোবাসা্। প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ড আর প্রতিটি ক্ষন মায়ের ভালোবাসার আচলে নিজেকে সুপে দিতে বেশ ভালো লাগে। তাই মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ তিনি যেন আমার মাকে ভালো রাখেন ।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPvpuVEKcuADe4Q4QTCaYgX94unPsrwnH1mRJVCyWmiYo/image.png)
ডিম নিয়ে বেশ চমৎকার কিছু কথা বলেছেন, যা হয়তো অনেকের জানা ছিলো না। আমি নিজেও ডিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি। তবে সত্যিই সবকিছু মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়, অবশ্যই পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে পরিমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে এত কিছু যদিও জানা ছিল না, তবে আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। আর প্রতিদিন কি পরিমান ডিম খাওয়া যাবে এটাও বুঝতে পারলাম। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার লেখা এই পোস্টটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে বেশ খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপু এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু। আপনি ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলেছেন। তবে আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে কৃত্রিমভাবে যে ডিম তৈরি করা হচ্ছে সেই ডিম থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর ভাবে একটিতমন্তব্য করার জন্য