শৈশবে গরমে স্বস্তির জন্য মালাই আইসক্রিম খাওয়ার অনুভুতি II written by @maksudakawsar II
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি যে যেখানেই থাকেন না কেন সুস্থ আর ভালোই আছেন। তবে এও আশা করবো জলবায়ুর এর দুর্যোগী আবহাওয়ায় আপনারা নিজেদের প্রতি একটু যত্নবান এবং স্বাস্থ সচেতন হবেন। পৃথিবী আজ বিভীষিকাময়। আমাদের দেশে তো এখন নামে গ্রীষ্মকাল। কিন্তু গ্রীষ্মকালের বৃষ্টির ছোঁয়া কিন্তু এখনও চোখে দেখলাম না।
বন্ধুরা আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলা নিয়ে কিছু স্মৃতি শেয়ার করার জন্য। আসলে শৈশব আমাদের জীবনের সাথে এমন করে মিশে আছে যে আমরা হাজার চাইলেও সেই শৈশব কে ভুলতে পারি না। পারি না শৈশব কে দূরে ঠেলে দিতে। শৈশব আমাদের কে বার বার হাতছানি দেয়। চোখের সামনে মেলে ধরে হাজারও স্মৃতি। আর সেই শৈশব কে আকঁড়ে ধরে আজও আমরা বেঁচে আছি।
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি
শৈশবে গরমে স্বস্তির জন্য মালাই আইসক্রিম খাওয়ার অনুভুতি
শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতি
শৈশবে গরমে স্বস্তির জন্য মালাই আইসক্রিম খাওয়ার অনুভুতি
বেশ গরম পড়েছে। আর এই গরমের হাত হতে নিজেদের কে বাচিঁয়ে রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রন্থা অবলম্বন করছি। চেষ্টা করছি নিজেদের কে একটু হলেও শান্তির পরোশ দিতে। তাই তো ওম ওয়ালা মুরগির মত করে এখন আমরাও ঠান্ডার ওম খুঁজে বেড়াই। মাঝে মাঝে ভাবী যে যদি পারতাম এক পুকুর পানিতে সারাদিন নিজেকে চুবিয়ে রাখতাম। আর উঠতামই না। ঠান্ডা লাগে লাগুক গিয়ে। হি হি হি। কিন্তু যেহেতু ঢাকায় থাকি তাই গরমের সাথেই বসবাস করতে হচেছ ।
আর এই গরমে প্রায় প্রতিদিনই চকবার খাচ্ছি। ক্ষতি হয় হউক গিয়ে। তবে সেই চকবার খেতে খেতে গতকাল মনে পড়ে গেল ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি। ছেলেবেলায় তো আর চকবার ছিল না। ছেলেবেলায় ছিল মালাই আইসক্রিম আর কুলফি। স্কুলে বা বিকেলে কোয়াটারের মাঠে দেখতাম কুলফি বা মালাই ওয়ালা এসে ডাকতো। এই আইসক্রিম.......। মালাই খেলে শান্তি পাবে, গরম তখন দূরে যাবে। তাই দৌড়ে যেয়ে আট আনা বা একটাকা দিয়ে একটি কুলফি বা কোন আইসক্রিম বা মালাই আইক্রিম কিনে খেতাম।
সেই সময়ের সেই একটাকার আইসক্রিমে যে স্বাদ ছিল এখন ৪০-৫০ টাকার চকবারে সেই স্বাদ আর পাওয়া যায় না। এটা কিন্তু বেশী দিন আগের কথা নয়। এই তো নব্বই দশকের কথা। তখন আইসক্রিমে থাকতো নারিকেল। আর মালাই আইক্রিমে অনেক সময় আবার পয়ঁসাও দেওয়া থাকতো। তখনকার সময়ে এই একটাকার আইসক্রিম খেয়ে যে স্বাদ পেতাম সেটা আজও মুখে লেগে আছে। এই এক টাকার আইক্রিম খাওয়ার জন্য কতই না বাবার পিছে পিছে ঘুরেছি টাকার জন্য। ঠান্ডা লাগবে বলে বাবা দিতে চাইতো না।
আবার যখন বাবা চুপি চুপি পয়ঁসা দিতো তখন অন্য বোনদের সাথে ঝগড়া হতো। মাঝে মাঝে বাবা পয়ঁসা দিয়েছে সেটা বলতাম না। বলতাম জমানো টাকা দিয়ে খাচ্ছি। প্রতিদিন চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতাম কখণ আসবে সেই মালাই আইসক্রিম ওয়ালা। কখন তার ঘন্টা বেজে উঠবে। ঢং ঢং। আর কখন দৌড়েঁ যেয়ে সবার আগে দাঁড়াবো মালাই আইসক্রিম কেনার জন্য। মাঝে মাঝে তো মালাই আইসক্রিম কেনার জন্য বান্ধবীদের সাথে ঝগড়াও হতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। আর থাকলেও সেই মজা নেই। এখন সব কিছুই স্মৃতিময় বেদনা।
শেষ কথা
শেষ কথা
আসলে অতীত আমাদের সাথে এমন করে জড়িয়ে আছে যে আমরা কিন্তু হাজার বার চেষ্টা করলেও চোখের সামনে থেকে সেই দিন গুলো কে সরাতে। হায়রে অতীত আবার যদি ফিরে পেতাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
আপনি পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আমাদের ছোট বেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো কখনো ভুলা সম্ভব নয়। আপনি এইটা ঠিক বলেছেন আগের এক টাকা দামের আইসক্রিম আর এখন কার দামি আইসক্রিমের চেয়ে অনেক বেশি স্বাদ লাগতো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
একটি নষ্টালজিক পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের কত কথা মনে পড়ে গেল, আইসক্রিম খাওয়া নিয়ে! আপনি ঠিকেই বলেছেন, সেই সময়ের মালাই বা কাঠি আইসক্রিম যে মজা করে খেতাম,এখনকার ৪০/৫০ টাকার আইসক্রিমে সে স্বাদ নেই! স্মৃতিজাগানিয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি কিন্তু আপু এখনও যদি পাই তাহলে খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু খুবই স্মৃতিময় পোস্ট শেয়ার করলেন আজ। মাঝে মাঝে এই কথা গুলো শুনেছি আপনার কাছে। তবে আমার মনে হয় সে সমস্ত দিন গুলোই বেশ ভালে ছিল। আর এখন তো আমরা চকবার ছাড়া আর কিছুই চোখে দেখি না । যাও দেখি সেই চকবারের মতই দাম। বেশ ভালো লাগলো আজকের পোস্টটি।
ধন্যবাদ সুন্দুর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই গরমের মধ্যে ঠান্ডা মালাই আইসক্রিম খেলে শরীরের মধ্যে অন্যরকম স্বস্তি কাজ করে। তবে ঠান্ডা খাবার বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়।আর ছোট বেলায় আমরা কোথাও আইসক্রিম ওয়ালা দেখতে পারলেই দৌড় দিয়ে তার কাছে গিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আসতাম। আপনার ছোট বেলার আইসক্রিম খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো আপু।
তাহলে তো আপনাকে একটা চিমটি দিতে হয় ভাইয়া। হি হি হি। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আহা! আপু শৈশবের কথা মনে করে দিলেন। আমি তো ডিম চুরি করে তারপর আইসক্রিম খেতাম 😂। আর মায়ের হাতের মাইর ত আছেই। সে সময় বাশেরঁ কঞ্চির দুই টাকার আইসক্রিম ছিল। খেতেও মজা লাগতো
হি হি হি মজা পাইলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে আপু আমিও যেন আমার ছোটবেলার অনেক আইসক্রিম খাওয়ার মুহূর্তগুলো স্মরণ করতে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা এই স্মৃতিচারণ মূলক আইসক্রিম খাওয়ার অনুভূতি। যেন আমিও শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম এবং সেই সমস্ত দিনগুলো স্মরণ করতে পারলাম।
এমন করে শৈশবের কোন স্মৃতি সামনে থাকলে তো আমিও সেই শৈশবে ফিরে যাই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম মনের কথা বলেছেন আপু এই অস্থির গরমে আমারও এমনটাই মনে হয় যদি সারাদিন পুকুরে ডুবে থাকতে পারতাম। আর সেই শৈশবের কথা মনে করে দিলেন আইসক্রিম মামা এসে যখন জোরে জোরে বলতে আইসক্রিম আইসক্রিম তখন এক টাকা দুই টাকা দিয়ে সেই ঠান্ডা ঠান্ডা আইসক্রিম খেতাম। এখনতো গ্রামে আইসক্রিম মামাদের দেখাই যায় না।ধন্যবাদ আপু শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
পাবেন কোথায় তাদের ? মামারা তো এখন চকবার বিক্রি করে। হি হি হি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।