লাইফ স্টাইল- ব্যাস্ততার মাঝেও কলিগদের সাথে কাটানো আনন্দ ঘন কিছু মূহূর্ত || lifestyle by @maksudakawsar ||

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই ? বেশ আছেন তো? আমি কিন্তু বেশ ভালো আছি। জীবনে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই জীবন কে একটি সুন্দর ধারায় পরিচালিত করা দরকার। একমাত্র ‍সুন্দর ভাবে জীবন চালানোর মাধ্যমেই আমাদের জীবন হয়ে উঠতে পারে সুন্দর এবং সাবলীল। আর তখনই আমরা পাবো সুখ এবং শান্তি। তবে আমার মতে যে যত ব্যাস্ত থাকবে সে তত বেশী ভালো থাকতে পারবে। আর তাই তো জীবন কে সুন্দর করতে চাইলে অবশ্যই ব্যাস্ত থাকতে হবে।

হাজারও ব্যাস্ততার মাঝেও একটু যদি আনন্দ আর হাসি থাকে তাহলে ক্ষতি কিসে? এই তো কিছু দিন আগের কথা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের অনেক বেশী ব্যাস্ত দিন পার করতে হয়েছে। আর তাই তো আজ আবার চলে আসলামে সেই সমস্ত ব্যাস্ত দিন গুলোর মাঝে কিছুটা শান্তি আর আনন্দ আমরা কি করে ভাগ করে নিয়ে ছিলাম সেই বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।

নদী পাড়ের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভিডিও গ্রাফি (1).png

Banner credit --@maksudakawsar

ব্যাস্ততার মাঝেও
কলিগদের সাথে কাটানো আনন্দ ঘন কিছু মূহূর্ত

গত কয়েক মাস যাবৎ বেশ ব্যাস্ত সময় পার করতে হচ্ছে আমাকে। জানিনা এমন ব্যাস্ততা হতে কবে মুক্ত হবো। আজ এই কাজে ব্যাস্ত তো কাল সেই কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়তে হচেছ। তবুও এরই মাঝে আপনাদের মাঝে একটু একটু করে ছুটে আসি। আজও আসলাম। আপনারা অনেকেই জানেন যে বেশ ব্যাস্ততায় যাচেছ জীবন আমার। এই তো কিছুদিন আগেই শেষ হলো অফিসে ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দফার কাজ। আর সামনে আসছে আবার পরীক্ষার দ্বিতীয় দফার কাজ। কি পরিমানের যে ব্যাস্ততা। সারা জীবন শুনেছি যে সরকারি চাকরি করলে নাকি স্বাধীন। ইচ্ছে মত যাও আর আসো। কিন্তু আমার কপালে আর সে সুখ জুটলো না। ঐ যে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও বাড়া বান্ধে।

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

প্রতিদিন পরীক্ষার কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ৯-১০ বেজে যেত। দুপুরের খাবার তো অফিসেই হয়। তারউপর আবার সন্ধ্যার নাস্তা আর রাতের খাবারও অফিস থেকে করেই ফিরতে হতো বাসায়। তাহলে বুঝুন তো কতটা কষ্টে দিন গিয়েছে আমার। তবে এসব কিছুর মধ্যেও যখন সবাই মিলে আনন্দ আর হাসি তামাসার মাঝে বিকেলের নাস্তা করতাম তখন কিন্তু বেশ ভালো লাগতো। এক নিমিষেই সব ক্লান্ত শেষ হয়ে যেত। আসলে সত্য বলতে কাজের মাঝে কিছুটা আনন্দ হলে কিন্তু মন্দ হয় না।

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

এত এত ব্যাস্ততা যখন শেষ হয়ে গেল। তখন হলো পরীক্ষার আগের দিন। শেষের দিনে কাজ করার জন্য আমাদের কে তিনটি কেন্দ্রের জন্য তিন ভাগ করা হলো। আমি পড়লাম আমার পছন্দের একজন মানুষের গ্রুপে। তবে কথা হলো কেন্দ্রে কাজে যাওয়ার আগে আমাদের কে খাওয়া দাওয়া করানো হবে। তাই তো গ্রুপের বার জন মিলে চলে গিয়েছিলাম পাশের অনুরাগে। সিদ্ধান্ত হলো অনুরাগে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা আমাদের কেন্দ্রে যেয়ে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো।

image.png

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

আমরা অনুরাগে যেয়ে সবার মতামত নিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানীর অর্ডার করে দিলাম। সাথে কিন্তু বোরহানীর অর্ডার দিতে ভুল করিনি। অর্ডাার করে গ্রুপের সবাই বসলাম যার যার সীটে। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হলো খাবারের জন্য। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চলে আসলো আমাদের অর্ডার করা খাবার গুলো। কি যে লোভনীয় সেই কাচিচ বিরিয়ানীর ঘ্রাণ। সবাই মিলে বেশ আনন্দ করে খেলাম। আর খাবোনাই বা কেন , এটা তো সরকারি খাবার। সালাদ, বোরহানী আর কাচিচ বিরিয়ানী খেতে খেতে সবাই মিলে বেশ আনন্দ আর উল্লাসও আমরা করেছিলাম।শত ব্যাস্ততার পর এমন একটু শান্তির ট্রিট কিন্তু সত্যি সেদিন প্রশান্তি এনে দিয়েছিল।

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

কেবল আমিই না। সেদিন যারা ছিল আমাদের গ্রুপে সবাই বেশ মজা করেছিল। সবার মনে ছির অফুরন্ত আনন্দ। মনে হচিছলো যেন সবাই পিকনিক করছে। তারপর আসলো বিলের পালা। ওরে বাপরে বাপ বিল দেখে তো আমার মাথা শেষ। আপনারা শুনে তো অবাক হবেন। মাত্র বিশ জন খেলাম। আর বিল আসলো ১০০০০ টাকা। আসুক গিয়ে টাকা তো আর আমি দিবো না। তাই আনন্দ করে খেয়ে নিলাম। আর খাওয়া দাওয়া শেষে আবারও ব্যাস্ত হয়ে গেলাম কেন্দ্রের কাজে।

image.png

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

শেষ কথা

হাজার কাজের মাঝেও যদি কিছুটা আনন্দ থাকে তাহলে কিন্তু সেই কাজের আরও বেশী প্রাণ ফিরে আসে। আর সারা জীবনই আমি আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। আপনাদের মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

image.png

Screenshot_1.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 5 months ago 

আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু জীবন মানে সংগ্রাম। আমাদের এই ব্যস্ততার মধ্যেই একটু আনন্দ পেলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি হাজারো কাজের মধ্যে এভাবে একটু সবারই সাথে খাওয়া দাওয়া করলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনারা নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

হাজারো ব্যাস্ততার মাঝেও কিছুটা আনন্দ খুজে পেয়েছেন। দেখে ভালোই লাগলো। আপনার অফিস কলিগগুলো মনে হচ্ছে অনেক ভালো। আপনার মতো অনেক জলি মাইন্ডের। এইরকম কলিগ ও সুন্দর কিছু মূহূর্ত পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আপু। ভালো লাগলো আপু আপনার ব্যাস্ততার মাঝেও কলিগদের সাথে কাটানো আনন্দ ঘন কিছু মূহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 66437.76
ETH 3321.27
USDT 1.00
SBD 2.71