লাইফ স্টাইল-নিজেদের মত করে ঈদ উদযাপন || lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
দেখতে দেখতে চলে গেল রমজান আর ঈদ। বছরে দুটো ঈদ আসে অপার আনন্দ নিয়ে। আর সেই ঈদে আমরা কিন্তু অনেক আনন্দ আর উল্লাস করি পরিবার পরিজন নিয়ে। দীর্ঘ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার মত এমন আনন্দ আর কোন কিছুতেই নেই। আর এমন একটি আনন্দ বা খুশির দিনে আমরা চেষ্টা করি পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালো আর মন্দ খাওয়ার জন্য।
যেহেতু ঈদে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয় তাই তেমন করে আমি আমার নিজের বাসায় তেমন কিছু রান্না করতে পারিনি। আর এমনটা আমার সাথে প্রতি বছরই হয়। আর প্রতি বছরই ঈদের কয়েকদিন পর আমি আমার মত করে ঈদের কিছু আয়োজন করি। আর এবারও তাই করলাম। কিন্তু ঈদের ভালোমন্দ কি আর একা একা খাওয়া যায়? তাই তো বুদ্ধি করে ছোট বোন আর ভাইকে আসতে বললাম। আর আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার সেই ছোট ঈদ আয়োজনে কি কি রান্না হয়েছিল সেই গল্প নিয়ে। আশা করবো আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে।
নিজেদের মত করে ঈদ উদযাপন
নিজেদের মত করে ঈদ উদযাপন
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
যেহেতু আয়োজন করবোই তাই আগের দিনই সব কিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম কি কি আইটেম করবো। একদিকে চরম গরম। আর অন্য দিকে এত গুলো আইটেম তৈরি করা। অবশ্য এগুলো ছাড়াও আরও অনেক আইটেম ছিল। আর যেহেতু মায়ের বাসার সবাই কে দাওয়াত করেছি এবং যারা আসতে না চাইবে তাদের জন্য খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাই আয়োজনটাও ছিল একটু বড়ই। সেই কথা মাথায় রেখেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যে গুলো মেরিনেট করার সেগুলো আগে থেকেই মেরিনেট করে রেখেছিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
রোস্টের মুরগি মেরিনেট করে নিয়ে বেশ সুন্দর করে ভেজে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম মনের মত করে রান্না করবো। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। মুরগি গুলো ভেজে নিয়ে মেরিনেট করা মসলা দিয়ে এবং নতুন কিছু মসলা দিয়ে রোস্ট রান্না করে নিলাম। কিন্তু কি জানেন? রোস্টের মসলা দিতেই একেবারে ভুলে গেছি। রান্না করে ডেকোরেশন করার পর আমার মসলার কথা মনে হয়েছে। হি হি হি। ভাবলাম ছাই এ খাবার আবার কে খাবে? আরে না খেতে বসে তো দেখি সবাই বেশী করেই খেয়ে নিলো। আর আমিও মসলা না দেওয়ার কথাটি লুকিয়ে গেলাম। কারন সবাই বলছিল যে বেশ ভালো হয়েছে রোস্টটি। ভাবছি মসলা ছাড়াই যদি রোস্ট এত মজা হয় তাহলে কি দরকার আর মসলা কিনার?
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তারপর একে একে সব কিছু রান্না করে নিলাম। বেগুন ভাজি। অবশ্য বেগুন ভাজির এই রেসিপিটি আমি আমার শ্বাশুড়ীর কাছ থেকে শিখে ছিলাম। আমি তো আবার রান্না বান্না কিছুই পারতাম না। যাই হোক বেশ সুন্দর করে বেগুন গুলিও মেরিনেট করে ভেজে নিয়েছিলাম। কিন্তু আবার সমস্যা। পোলাউ রান্না করলাম কিন্তু পোলাউয়ের মধ্যে কেওড়া দিতে ভুলে গেলাম। হি হি হি। সেটাও কিন্তু বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। তারপর একে একে সব রান্না শেষ করে নিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এরপর সেই বিখ্যাত সালাদও করে দিলাম। এত খাবার তৈরি করবো আর সালাদ করবো না তা কি হয়। আর এরই মাঝে ছোট বোন বায়না ধরলো যে তাকে কাচাঁ আমের জুস করে খাওয়াতে হবে। কি আর করার ? মেহমান বলে কথা। তাই নিজের যত কষ্টই হোক না কেন করে দিলাম কাঁচা আমের শরবত। আর এর মাঝে তো ছিল ওদের নিয়ে আসা বিভিন্ন ফল আর মিষ্টি। অবশ্য আপনাদের ভাইয়া আবার দই নিয়ে এসেছিল। আর এমন করেই শেষ হয়েছিল আমার ঈদ আয়োজনের রান্না বান্না। তারপর তো বেশ গল্প আর মজা করে সময় পার করলাম।
শেষ কথা
শেষ কথা
মাঝে মাঝে মনে চায় পরিবারর মানুষ গুলো কে একটু বাড়তি কিছু উপহার দিতে। আর সেই সুযোগটা যেহেতু পেয়েই গেছি তাই আর হাতছাড়া করতে মনে চাইলো না। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আপনি তো দেখতেছি আপু নিজের মত করে খুব সুন্দর ঈদ উদযাপন করেছেন। বোন এবং ছোট ভাইকেও নিমন্ত্রণ করলেন। তবে নিজের পছন্দমত কিছু যদি করে সবাইকে খাওয়ানো হয় তখন অন্যরকম ভালো লাগে। তবে আমাদের ভাই আপনাদের জন্য দই ও নিয়ে আসলো। যাইহোক আপু পোস্টটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার এই ঈদ উদযাপন বিষয়ে সুন্দর পোস্ট দেখতে পেরে। ভাগ্য ভালো পোস্ট করেছেন না জানতেই পারতাম না কেমন ঈদ উদযাপন করেছেন। রান্নার শেষে মসলার কথা স্মরণ হয়েছে সত্যি ভালো লাগলো জেনে। বেশ দারুণ ছিল আপনার উপস্থাপনা।
যাক আপু আমার উপস্থাপনা আপনার ভালো লেগেছে যেনে আমারও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি দেখছি নিজের বাড়িতে আপনার পরিবারের সবাইকেই নিমন্ত্রণ করেছিলেন আর সবাই মিলে অনেকগুলো খাবার একসাথে উপভোগ করেছেন দেখছি। যদিও মুরগির রোস্ট তৈরি করতে গিয়ে রোস্টের মসলা দিতে ভুলে গিয়েছিলেন, তবে সেটি আবার খেতেও ভালো হয়েছিল দেখছি। আবার পোলাও এর মধ্যে কেওড়া দিতেও ভুলে গিয়েছিলেন দেখছি। যাইহোক অনেকগুলো আইটেম একসাথে করেছেন, সাথে আবার তাদের আনা ফল মিষ্টি ছিল। আবার দই এনেছিলেন দেখছি ভাইয়া। সবমিলিয়ে দারুন মজা করেছেন নিশ্চয়ই আপনারা।
খুব ভালো লাগলো জেনে যে আপনি আমার পোস্টটি পুরোটাই পড়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা আপু। যেহেতু ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় বাসায় ঈদের কোন আমেজ থাকে না। চলে যায় আবার আসি সব আনন্দ গুলো গ্রামের মধ্যে রেখে আসি। আপনি আপনার ভাই-বোনদেরকে ডেকে আবার খুব সুন্দর আয়োজন করলেন বাসায়। দুঃখের বিষয় আমার বড় বোন আসার সুযোগ পায়নি। তাছাড়া সব ভাইয়েরা তো অনেক দূরে থাকে বিশেষ করে দেশের বাইরে থাকে। এবারে আমার মা ও নেই সবকিছু মিলিয়ে বেশ নীরবতা একটি পরিবেশ পালন করলাম। আপনার সুন্দর মুহূর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো খাবারের বেশ আয়োজন করলেন।
আপু মন্তব্য পড়ে বেশ কষ্ট লাগলো। আসলে মা ছাড়া সব কিছুই শূণ্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঈদ উপলক্ষে দেখছি অনেক মজার মজার খাবারের আয়োজন করেছিলেন। আমিও ঈদের সময়ই মজার মজার খাবারের আয়োজন করি সবাই একসাথে খাওয়ার জন্য। অনেক ভালো লাগে যখন ফ্যামিলিকে নিয়ে খাবারগুলো খাই। যেহেতু আপনার ছোট বোনেরাও এসেছিল তারা নিশ্চয়ই সবকিছু মজা করে খেয়েছিল। আপনি তো দেখছি রেসিপিগুলোর মধ্যে কোন না কোন কিছু দিতে ভুলেই গিয়েছিলেন। তবুও সুস্বাদু হয়েছে জেনে ভালোই লাগলো। আপনি যদি বলে দিতেন রোস্টে মসলা দেন নাই, তাহলে হয়তো তারা দুষ্টামি করে বলতো তাইতো বলি খাবারের স্বাদ এরকম কেন। আপনি লুকিয়েছেন দেখে ভালোই হলো । ভালোভাবেই ঈদের মুহূর্তটুকু উপভোগ করলেন দেখছি।
নিজের মতো করে ঈদ উদযাপন করার মজাই আলাদা। এবং নিজের পছন্দ মত খাওয়ার দাওয়াত এবং প্রিয় মানুষগুলোকে নিমন্ত্রণ করতে পারলে তাহলে খুশি আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে ঈদ উদযাপন করতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আর সবাই চাই নিজের মত করে সবকিছু করতে। তবে বেগুন ভাজি খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যদিও এই রেসিপিটি আপনি আপনার শাশুড়ির কাছ থেকে শিখেছেন। সত্যি পছন্দের খাবারগুলো বানিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন দেখে ভালই লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
নিজেদের মতো করে দেখছি ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করেছেন। মজার মজার খাবার তৈরি করেছেন। আর আপনার বাবার বাড়ির লোকদেরকেও দাওয়াত দিয়েছিলেন। সবাই একসাথে মজা করে খাবারগুলো খেয়েছেন। যেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। রেসিপিতে মসলা ব্যবহার না করলেও মজাদার হয়েছিল শুনে ভালো লাগলো। এবার থেকে তাহলে মসলা কিনবেন না, এমনিতেই রান্না করে ফেলবেন। তাহলে টাকাও বেঁচে যাবে 😜। বোনের আবদারে আবার কাঁচা আমের শরবত তৈরি করেছিলেন, দেখে তো ইচ্ছে করছে এখনই শরবতটা খেয়ে ফেলি।
সেটা তো আমিও বলি। কি লাভ তাকে দিয়ে মসলা কিনে? ধন্যবাদ মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
Tweet