লাইফ স্টাইল- কলেজের অনুষ্ঠানে কিছুটা আনন্দ ঘন সময়|| lifestyle by @maksudakawsar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু বেশ ভালো আছি। তবে বেশ ব্যাস্ততার মধ্যে যাচ্ছে দিন গুলো। একদিকে অফিস আর একদিকে সংসার। আবার এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাস। সব কিছু একা একা সামলানো। তাহলে বুঝুন তো কেমন যাচেছ আমার দিন আর রাত। চোখে মুখে যেন অন্ধকারের ঘনঘটা। তবে এমন করেই চলতে হবে। আর এরই নাম জীবন।
প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আরও একিট লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে যাচিছ। বেশ কিছুদিন আগে মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি কালচারাল প্রোগ্রাম হয়েছিল।আর আমরা সব কলিগরা মিলে সেই অনুষ্ঠান বেশ মজা করেছিলাম। সেই মজার কিছুটা অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আজ আবার চলে আসলাম।।
কলেজের অনুষ্ঠানে কিছুটা আনন্দ ঘন সময়
কলেজের অনুষ্ঠানে কিছুটা আনন্দ ঘন সময়
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা যদি আবার নতুন করে শুরু করা যেত, তাহলে জীবনের ভুল গুলো কে আবারও শুধরে নিতাম। আবার নতুন করে কিছু না পাওয়া আনন্দ বা উল্লাস কে নিজের মত করে উপভোগ করে নিতাম। আর এমন চিন্তা ভাবনা গুলো তখনই আসে যখন দেখি চোখের সামনে নিজের জীবনের কিছু আনন্দ মাখা সময়গুলো। এই তো কিছু দিন আগে আমাদের অফিসে হয়ে গেল এক আনন্দ ঘন অনুষ্ঠান। আরে না আমাদের জন্য নয়। অনুষ্ঠানটি ছিল মেডিকেল কলেজে পড়া ছাত্রছাত্রীদের কে নিয়ে এক অনুষ্ঠান। বেশ আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানের মাঝেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজের শিক্ষা জীবনে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ছাত্রদের ন্যাশনাল বির্তক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানটিতে আমরাও ছিলাম আমন্ত্রিত। কারন আমরা ছাড়া তো অনুষ্ঠান অপূর্ণই থেকে যেত। ওমা সকাল সকাল চলে গেলাম। বেশ ঝাঁকঝমক পূর্ণ অনুষ্ঠানটির জন্য পুরো কলেজ প্রাঙ্গন কে সাজানো হয়েছিল ফুল দিয়ে। আলোক সজ্জায় ভরে দিয়েছিল কলেজেরে প্রতিটি ফ্লোর। আবার সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। যদিও বেশী আনন্দ করতে যেয়ে ভাগে জুটিনি সেদিনের সেই মজাদার এবং লোভনীয় খাবার।তাতে কি আনন্দ তো ভাগে পেলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
সেদিনের অনুষ্ঠান কে আরও বেশী আকর্ষনীয় করে তুলার জন্য কলেজে আনা হয়েছিল ঘোড়ার গাড়ী আর ব্যান্ডপার্টি। ব্যান্ডপার্টির ঢোল আর বাজনার শব্দে বেশ মুখরিত হয়ে উঠেছিল কলেজের সমস্ত পরিবেশ। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন একটি প্রোগ্রামে না গেলেই হয়তো মিস করে ফেলতাম সমস্ত আনন্দটুকু। ঝাঁকে ঝাকেঁ ছাত্ররা কলেজের সামনের অংশে এসে ভিড় জমিয়েছে। সবাই যেন সেলফি তুলতে ব্যাস্ত। আবার কলেজের টিচাররাও কিন্তু কম যায় নি। বেশ সুন্দর করে একএকজন সাজুুগুজু করে ছিল সেদিন। অবশ্য আমার কলিগরাও সেদিন মাঞ্জা মেরে এসেছিল। কিন্তু আমি আবার এসব তেমন একটা পছন্দ করি না। তাই সাদামাটা থেকেই যোগ দিয়েছিলাম সেই প্রোগ্রামে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
হঠাৎ শুনলাম ঘোড়ার গাড়ী নিয়ে কলেজ হতে শুভাযাত্রা বের হবে। তাই ভাবলাম যে সেই শুভাযাত্রাটি আমি ভিডিও করবো এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কিন্তু সেখানে বাধঁ সাধলো আমার কলিগরা । সবাই বলতে লাগলো না যাওয়ার জন্য। কারন আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার আবার একটু রাগী। তিনি নাকি এসব পছন্দ করেন না। কিন্তু আমার মনে মানলো না। ভাবলাম যে একটু ভিডিওগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলে খারাপ হয় না। তাই চলে গেলাম সাহস নিয়ে ভিডিওগ্রাফি করতে। শুভাযাত্রার একেবারে সামনে থেকে পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করলাম। মজার বিষয় হলো যদিও সবাই বলেছে যে প্রিন্সিপাল স্যার বেশ রাগ করবে কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো শুভাযাত্রার সম্মুখে থাকা আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে দেখেও কিছু বলল না। বরং আমার দিকে বেশ খুশি ভরা চোখে তাকিয়ে রইল। হি হি হি
শেষ কথা
শেষ কথা
সেদিন বেশ আনন্দ পেয়েছিলাম। আর অনুভব করছিলাম যে মাঝে মাঝে জীবনের জন্য কিছুটা আনন্দ বেশ প্রয়োজন। তাহলে জীবনের হতাশা গুলো কিছুটা হলেও ব্যালেন্স হয়ে যায়।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Tweet
আসলেই আপু অফিস বাসা তার উপর রমজান মাস সবকিছু সামলানো বেশ কষ্টকর।তার উপর বেশ কয়েকদিন ধরে অনেক রোদ উঠছে।যাই হোক যদি অতীত ফিরে পাওয়া যেত তাহলে সকলেই জন্য বেশ ভালো হতো। আপু আপনার বেশ সাহস আছে বুঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কলেজের ন্যাশনাল বির্তক প্রতিযোগিতায় আপনি আমন্ত্রিত ছিলেন। কলেজের সব প্রাঙ্গণ খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। তবে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে যেয়ে খাবার ভাগে পাননি। কলেজের এই অনুষ্ঠানে ঘোড়ার গাড়ি এবং ব্যান্ড পার্টি ও আনা হয়েছে। ভালো লাগলো আপু ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। মুহূর্তগুলো সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য।
অফিস এবং সংসার এই দুটো একসাথে চালানো খুবই কষ্টের আপু। তবে আপু কলেজ লাইফের এই অনুষ্ঠানগুলো আসলেই বেশ আনন্দঘন হয়। যদিও সব থেকে বেশি ভালো লাগলো ব্যান্ড পার্টি এবং ঘোড়ার গাড়ি আনার কথা শুনে। তাছাড়া আমার মনে হয় আপনাদের প্রিন্সিপাল স্যার কিছু না বলার কারণ হলো উনি নিজেও উপভোগ করছিল ব্যাপারটা। হা হা হা... ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে।
দিদি আমারও মনে হয় স্যারব্যাপারটি উপভোগ করছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কলেজের এই অনুষ্ঠানে আপনি আমন্ত্রিত ছিলেন এবং এখানে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একইসাথে এই অনুষ্ঠানে ঘোড়ার গাড়ি ও ব্যান্ড পার্টিও আনা হয়েছিল যা আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম কিছু নতুন জিনিস দেখতে পেলাম৷
ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ৷
বাহ্! ন্যাশনাল বির্তক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গন তো খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছে ফুল দিয়ে। ব্যান্ড পার্টি এবং ঘোড়ার গাড়ি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার তো দেখছি ভাগ্য খুব ভালো, কারণ আপনাকে ভিডিওগ্রাফি করতে দেখেও রাগী প্রিন্সিপাল স্যার কিছু বলেনি। ভিডিওগ্রাফিটা শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আশা করি ভিডিওগ্রাফিটা খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পারবো না মানে। আমি একটু জিদ করলে আমার সব কিছুই আদায় করে ছাড়ি। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।