মামা শ্বশুরের নজরকারা ছাদ বাগানের কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম

আজ শুক্রবার, ৩রা নভেম্বর ২০২২ ইং
বাংলা ১৮ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সবাই কেমন আছেন? ভাল আছেন নিশ্চয়। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। তবে কয়েকদিন যাবৎ আমি শাররীকভাবে বেশ অসুস্থ্য। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

গত সপ্তাহে আমি আমার মামা শ্বশুরের ছাদ বাগানের কিছু ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আপনারা অনেকেই সেই ফটোগ্রাফি পোস্টটি অনেক পছন্দ করেছেন। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে আমার মামা শ্বশুরের সম্পন্ন ছাদ বাগানটির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।

যতদূর জানি মামা ছেলেবেলা থেকেই নাকি খুব বাগান বিলাসি।গ্রামের বাড়িতেও মামা প্রায় ১ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি বাগানবাড়ী। তাই মামা কে কখনও বাজার হতের ফলমূল আর সবজির কিনে খেতে হয় না। তাইতো মামাকে তার বন্ধুরা আদর করে বাগান পাগলা বলে ডাকে।

image.png

চলুন তাহলে ঘুরে দেখে আসি মামা শ্বশুরের স্বপ্নে ছাদ বাগান।

আমি মনে করি ফটোগ্রাফি হলো একটা শিল্প। আর এই শিল্প কাজটি আমাদের করা উচিত সেরকম নান্দনিক স্থান বা বিষয় নিয়ে। যদিও ফটোগ্রাফি আমার পেশা নয়। তবুও এই রকম প্রকৃতির দৃশ্য দেখলে কি আর ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায়। আমরা ছাদে উঠার পর যে পথ দিয়ে বাগানে প্রবেশ করলাম তার দু পাশে ফল আর ফুলের বাগান দিয়ে সাজানো হয়েছে। দেখলে মনে হয় কোন জমির উপর বাগানটি তৈরি করা হয়েছে। আর ছাদ বাগানের মাঝে দিয়ে যে রাস্তা করা হয়েছে তার নাম করন করা হয়েছে স্বপ্নের রাজ্যের প্রবেশ পথ।

image.png

লোকেশন

ফটোগ্রাফি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য দেখতে ভালো লাগে। আর ছাদ বাগানে এরকম ঝুলন্ত বাগান দেখলে কার না হাত নিশফিশ করবে ফটোগ্রাফি করতে । রংবে রং এর ফুলের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে ঝুলন্ত বাগানটি। দূরে বলেন আর কাছ বলেন যে জায়গা থেকে দেখেন না কেন বাগানটি দেখে মনে হয় যেন কোন বেদেশী বাড়ী।

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

নান্দনিকতার ছোঁয়ায় যে শিল্প গড়ে উঠে তার থেকে মুখ ফেরানো অনেক দায় হয়ে পড়ে। আর ফটোগ্রাফি করতে গেলে আমরা সবসময় চোখ রাখি চারদিকের নান্দনিক বিষয়গুলোরউপর। আর তাই তো ঝুলন্ত টবের মধ্যে ফুটে থাকা লাল হলুদের সমারোহের এই নাম না জানা ফুলটি ও আমাকে করেছে আনন্দিত ও পোলকিত।

image.png

লোকেশন

বাগান জুড়ে ফল ও ফুলের চাষের পাশাপাশি কিছু নাম না জানা বিদেশী উদ্ভিদ গাছের চাষ করতে ও দেখা যায়। আর এসব উদ্ভিদ গাছগুলো ছাদ বাগানের সৌন্দর্য যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি অবশ্য একসময় আমাদের বাসার বারান্দায় এসব উদ্ভিদ গাছ গুলো টবে লাগাতাম। আর সে সময়ে বারান্দায় বসে বিকেলের এক কাপ চা খেতে কতই না ভাল লাগতো।তাই আজ সেই সকল উদ্ভিদ এর ফটোগ্রাফি না করে আর থাকতে পারলাম না।

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

আমি আগেই বলেছি যে আমার কাছে ফটোগ্রাফি হলো একটি নান্দনিক শিল্প। আর এই নান্দনিক শিল্প কে আমি সবসময়ই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। তাইতো ছাদ বাগান হতে দূর আকাশে ভেসে উঠা রংধনু আর বাগানের মধ্যে ছাতা দিয়ে বাসার জায়গাটি ও আমি আমার ফটোগ্রাফির ভিতর নিয়ে আসতে কোন প্রকার দ্বিধাবোধ করিনি ।

image.png

লোকেশন

image.png

লোকেশন

জানিনা কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি। আশা করি আমার মত আপনাদের কাছে ভাল লেগেছে। অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের মতামত জানার জন্য।

আপনারা সবসময় প্রাণবন্ত, ভাল ও সুস্থ্য থাকুন।

image.png

ফটোগ্রাফির বিবরন
বিষয়ফটোগ্রাফি
ডিভাইসOppo-A16
ফটোগ্রাফার@maksudakawsar
ভৌগলিক অবস্থানবারিধারা, ঢাকা

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Sort:  
 2 years ago 

আপনার মামা শশুর এর ছাদ বাগান টা দেখে অনেক ভাল লাগলো।আমরা গ্রামে এমন মাটিতে বাগান করে থাকি শহরে ছাদি হলো একমাত্র বাগান এর সঠিক জায়গা। অনেক দারুন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি উপস্থপনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনি সত্যি বলেছেন শহরের ছাদে হল বাগান করার একমাত্র অবলম্বন।

 2 years ago 

কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ছাদ বাগানের পরিবেশ যে এত মনোরম হতে পারে জানা ছিল না, উনি নিঃসন্দেহে একজন বাগান বিলাসী মানুষ তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এক বিঘার উপরে ওনার বাগানবাড়ি আছে না জানি সেটা আরও কত সুন্দর। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে আপু, আমার তো চোখ জুড়িয়ে গেলো, আমিও গাছ অনেক ভালোবাসি। বসার জায়গা টা অনেক সুন্দর ছিল, আর বনসাই গাছগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।

 2 years ago 

আপু সুযোগ পেলে আপনাদেরকে অবশ্যই মামার এক বিঘা জমির উপর নির্মিত বাগান বাড়িতে দেখাবো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সাবলীল এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

দারুণ ছবি তুলেছেন। বাগানটা সত্যিই সুন্দর। এমন জায়গায় কিছুক্ষণ বসে থাকলেও মন ভালো হয়ে যায়।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য। আমি এখানে বেশ কিছু একা বসে ছিলাম। আমার ভালই লেগেছে

 2 years ago 

বাহ একদম পুরো চাঁদটাকেই সবুজে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সবুজের মধ্যে থাকা বিদেশি ফুলগুলো আসলেই ছাদ বাগানের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে। এই ফটোগ্রাফি পড়বে সবুজের সমাহার আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার মনটা একটু বানানে ভুল আছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। শুধু বিদেশি ফুল কেন দেশি ফুল এবং ফলের সমারহে গড়ে উঠেছে এর সৌন্দর্য ।

 2 years ago 

আপু আপনার মামা শ্বশুরের ছাদ বাগান সত্যিই অসাধারণ। আমিতো ভেবেছিলাম এটি কোন ছোটখাটো নার্সারি । প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ও দেখার মত ছিল । টবে ঝুল থাকা লাল হলুদ রঙের ফুলটি দেখতে আসলেই বেশ সুন্দর কিন্তু এর নাম আমারও জানা নেই।

 2 years ago 

না আপু এটা কোন নার্সারি না এটা আমার মামাশ্বশুরের ছাদ বাগান। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 
মানুষের ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই করা সম্ভব যা আপনার মামা শ্বশুর করিয়ে দেখিয়েছেন। আপনার মামা শ্বশুরের ছাদ দেখে মনে হচ্ছে এটা যেন পরিবেশ বান্ধবের একটা কারখানা।আপনি ঠিকই বলেছেন যেভাবে বাড়িটা গাছ পালায় সজ্জিত, দেখে মনে হচ্ছে বিদেশী বাড়ি। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
 2 years ago 

এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার কাছে সাতবা কেন উঠলে বাড়িতে বিদেশী বাদী মনে হয়।

 2 years ago 

আপু আপনার মামা শ্বশুরের ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। গাছ আমিও ভালবাসি। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। বনসাই গাছগুলো ও অসাধারণ লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার মাধ্যমে বনসাই গাছের কথা জানতে পারলাম। এটা আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago (edited)

আমার নিজেরও এরকম বাগান করার ভীষণ ইচ্ছে। কিন্তু আসলে এটা অনেক পরিশ্রম এবং সময়ের প্রয়োজন। এজন্য করা হয়ে ওঠেনা। আপনার মামাশশুর বাগান বিলাসী জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আর এত সুন্দর বাগান প্রত্যেকটা গাছ টবে করে খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আসলে এগুলোর যত্ন করাটাও ভীষণ টাফ বিষয়। এছাড়া অনেক গ্রামেও এরকম বাগান করেছেন শুনে আরো ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আপু আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এটা যেন ভালো লাগলো যে আপনারও বাগান বাড়ি করার শখ।

 2 years ago 

যাই বলুন আমি কিন্তু আপনার ছবিগুলো দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এরকম একটা বাগান আমার কবে হবে 🤔 ইনশাআল্লাহ ইচ্ছে আছে এধরনের একটি বাগান তৈরি করার। বিশেষ করে ঝুলন্ত গাছের আইডিয়া আরো দূরদান্ত ছিল। তবে পুরো পরিবেশটা ভীষণ সবুজময় সুন্দর। আর আপনার ছবি তোলার হাত দেখছি বেশ ভালো। তবে ছবি তোলার আরো বিশেষ কিছু কায়দা রয়েছে যা ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন ইনশাআল্লাহ। দোয়া রইল তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64333.84
ETH 2760.35
USDT 1.00
SBD 2.65