জেনারেল রাইটিং- ঈর্ষা
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা সবাই? ভালো আছেন তো না? সবসময়ই দোয়া করি আমার প্রিয় বন্ধুগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে। তা যাই হোক প্রচন্ড গরম আর ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমার দিন। দিনের পরে রাত দেখার আর সময় হয়ে উঠে না। আর এ সব ব্যস্ততার মধ্যেও চেষ্টা করে যাচিছ প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে একটু উকিঁ ঝকিঁ মারতে। এই আর কি।
বন্ধুরা আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয় নিয়ে কিছু টা আলোচনার ঝড় তুলতে। ঈর্ষা শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। পরিচিত বলছি কেন এই শব্দটির গ্রাসে হয়তো আমাদের অনেকেই পড়েছেন। হয়তো বা অনেকের জীবনের অনেক স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে শুধুমাত্র এই ঈর্ষা শব্দটির কারনে। কেন জানি মানুষ গুলো একে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।আর অন্যের ভালো না দেখতে পারলেই সে হয়ে উঠে এগ্রিসিভ। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে এই ঈর্ষা শব্দটি নিয়েই কিছু কথা শেয়ার করতে চাই। আশা করি আমার আজকের কথা গুলো আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
জীবন চলার পথে হয়তো বা আমরা আমাদের মেধা দক্ষতা আর সুন্দর জ্ঞানের ভান্ডার কে কাজে লাগিয়ে অর্জন করে নেই অনেক সুনাম। আর আমাদের এমন সুনাম আবার চারপাশের অনেকের অনেক ক্ষতির কারন হয়ে পড়ে। ঈর্ষায় ফেটে পড়ে সে সকল মানুষ গুলো যারা নিজেদের যোগ্যতায় কিছুই করতে পারে না। অনেক সময় সমাজের এসব অসহ্য লোকের ঈর্ষার কবোলে পড়ে অনেকের জীবন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কেউ কারো যোগ্যতায় ভালো স্বামী পেতেই পারে। পেতে পারে ভালো সংসার। হতে পারে সে আমাদের চেয়ে অনেক সুখী। কিন্তু আমরা কি করি? আমরা অনেক সময় সেই মানুষটির সুখের সংসারে আগুন লাগানোর চেষ্টা করি। চেষ্টা করি যাতে করে তার সুখের সংসারটি ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। কিন্তু এতে করে কিন্তু তার ক্ষতি হওয়ার চেয়ে নিজের ক্ষতিটাই বেশী হয়। আর এটা আমরা বুঝে উঠতে পারি না। এমন কি অনেক সময় আমাদের কাছের বন্ধুটিও আমাদের জীবনের উন্নতিতে ফেটে পড়ে ঈর্ষায়। এতে করে অনেক সময় ভেঙ্গে যায় অনেক বন্ধুত্ব।
আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষই আছে যারা তাদের কর্মজীবনে সফল। তার সফলতার গল্পটি কে মূল্যয়ন না করে। তার সফলতার জন্য তাকে উৎসাহ না দিয়ে আমরা হয়ে পড়ি ঈর্ষান্বিত। আর এই ঈর্ষার বেড়াজালে পড়ে কর্মক্ষেত্রেও অনেক ভালো মানুষ গুলো কে পড়তে হয় অনেক যন্ত্রদায়ক পরিস্থিতিতে। কেন বাবা। অন্যের সফলতার পিছনে না লেগে নিজের যোগ্যতায় কিছু করলে আপনার ক্ষতি কোথায়? যার যার যোগ্যতায় তাকে মূল্যায়ন করতে শিখুন না। কি লাভ ভাই ঈর্ষা করে?
আবার অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের চারপাশের অনেকে হয়তো তাদের যোগ্যতায় গাড়ী বাড়ি ফ্লাট বা টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। আর এসব দেখে সমাজের অনেক মানুষ তার আয়ের উৎস খুঁজতে শুরু করে দেয়।ঈর্ষায় ফেটে পড়ে অন্যের উন্নতি দেখে। কিন্তু কি দরকার অন্যের উন্নতি দেখে এত জ্বলে পুড়ে মরার। নিজের যোগ্যতায় কিছু করার চেষ্টা করান না ভাই। হতেই পারে কেউ ধনী। হয়তো উপর ওয়ালা তাকে দিয়েছে। তাতে আপনার সমস্যা কোথায়?
আজকাল মানুষ গুলো হয়ে পড়েছে অমানুষ। ঈর্ষার কোরালে পড়ে তারা অন্যের যে কোন ক্ষতি করতে পিছ পা হয় না। কিন্তু আমরা সবাই জানি শুধু ইসলাম ধর্মে নয় পৃথিবীর সকল ধর্মে ঈর্ষাকে নিষেধ করা হয়েছে। হিংসুক মানুষ কোনও দিনও ভালো হতে পারে না। না ভালো হতে পারে সামাজের জন্য না হতে পারে সংসারের জন্য। অন্যের উন্নতিতে ঈর্ষা না করে। অন্যের সাফলে ঈর্ষা পোষণ না করে আমরা যদি নিজের মন থেকে অন্যের সাফ্যলে খুশি হতে পারি। তাহলে হয়তো আমাদের জীবনে নেমে আসবে শান্তি।
আমাদের চারপাশ আজ ধ্বংস হয়ে যাচেছ ঈর্ষার অভিশপ্ত নিঃশ্বাসের দাবানলে। নষ্ট হয়ে যাচেছ সমাজের, কর্মস্থলের আর সংসারের পরিবেশ। তাই আমাদের কে এই ঈর্ষার কোরাল গ্রাস থেকে বেচেঁ আসতে হবে। দূর করতে হবে আমাদের মনের সকল কুলুষতা। সমাজটাকে গড়ে তুলতে হবে সুন্দর মনের সুন্দর ভালবাসার সুবাসিত ফুলের বাসরে। আমরা যদি আমাদের মনের সকল কোলষতা দূর করে ভালো মন্দ সব কিছুকে সুন্দর করে মেনে নিতে পারি তাহলে দূর হয়ে যাবে আমাদের মনের সকল ঈর্ষা।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগটি ? অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের অনূভূতি গুলো জানার।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1655424908351115264?s=20
ঈর্ষা মানুষের জীবনে ধ্বংসের একটি বড় কারণ। অন্যের উন্নতি দেখে ঈর্ষানীত না হয়ে তার সফলতার লক্ষ্যকে কাজে লাগিয়ে নিজেরাও অনেক কিছু শিখতে পারি। তা না করে উল্টো আমরা প্রতিটি মানুষই অন্যের ভালো দেখলে ঈর্ষানীত হই। ঠিকই বলেছেন আপু কেউ জীবনে উন্নতি করলে অন্য লোকরা খুঁজে বের করে তার অর্থের উৎস। এরকম অহরহই দেখা যায়। খুব সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
আমিও তাই মনে করি আপু অন্যের উন্নতি দেখে জ্বলে পুড়ে না মরে নিজের জীবনের উন্নতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করলেই অনেক কাজে আসবে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঈর্ষা নামক শব্দটি শুনলেই কেন জানি ভেতরটা হাহাকার করে। আসলে এই শব্দটি যেমন ছোট কিন্তু এর ভয়াবহতা অনেক বেশি। আপু আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সবসময় দারুন লিখেন।
সত্যি আপু এই শব্দটি ছোট হললেও এর ভয়াবহতা কিন্তু অনেক ব্যাপক।
আসলে একজনকে দেখে এভাবে ঈর্ষা করাটা একেবারেই ঠিক না কারো। যার জন্য অনেক সংসারে আবার অনেক সমাজে অশান্তি নেমে আসে। আসলে এটি ছোট একটি শব্দ হলেও এর কাজ অনেক বড়। অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে যায় এই কারণে। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা যদি আমাদের মনের সকল কৌশলতা দূর করে ভালো-মন্দ সবকিছুকে সুন্দর করে মেনে নিতে পারি তাহলে দূর হয়ে যাবে আমাদের মনের সকল ঈর্ষা। ভালোই লিখেছেন আপনি সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো আমার কাছে।
একেবারে ভাইয়া সত্য কথা। শব্দটি অনেক ছোট হলো এটা কিন্তু অনেক ক্ষতিকারক একটি বিষয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঈর্ষা মানুষের জীবনের সবথেকে খারাপ একটা দিক।এটার বশবর্তী হয়ে অনেকে নিজে জীবনে বেশিদূর যেতে পারেন না।আবার যাকে ঈর্ষা করেন,তার জীবনেও নানা কুফল বয়ে আনে।সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে ঈর্ষা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের সবার।আর যারা সফল ব্যক্তি তাদেরকে অবশ্যই উৎসাহ দিতে হবে সামনে এগিয়ে যেতে।খুব সুন্দর করে পোস্টটি গুছিয়ে লিখেছেন আপনি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর এবং বাস্তব কথা বলেছেন আপু যারা সফল ব্যক্তি তাদেরকে আমাদের আরো বেশি উৎসাহ দেওয়া উচিত। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে ঈর্ষা শব্দটি অনেক ক্ষতিকারক। এর জন্য অনেকের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। আপনি এই বিষয়টা নিয়ে আজকে খুব সুন্দর ভাবে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে অন্যের উন্নতি দেখলে অনেকেই ঈর্ষায় একেবারে মরেই যায়। ভালোই লিখেছেন আপনি এই বিষয়টা নিয়ে। আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্টটি পড়ে।
আমার কি মনে হয় আপু জানেন? আসলে নিজের কোন যোগ্যতা নাই বিধায় এ ধরনের লোক গুলো অন্যের উন্নতি দেখে হিংসে জ্বলে পুড়ে মরে। ধন্যবাদ আপু উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে এটাই মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যে অন্যের উন্নতি দেখলে ঈর্ষায় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এসব মানুষ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সেটা করতে না পারলে আবার নিজের সংসার বা জীবন হয়ে যেতে পারে ছন্নছাড়া। তবে আপু এই মানুষগুলোর কথা আসলে কান দেওয়ার কোন দরকার নেই। নিজের জীবনটা সবসময় নিজের মতো করে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
জ্বী দাদা বর্তমানে অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের জীবনটাকে নিজে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে উপদেশ দেওয়ার জন্য।
খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করেছেন, পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।এই ছোট শব্দটি ঈর্ষা ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনে মানুষের জীবনে।এর থেকে মুক্তির উপায় একটাই, নিজের যা কিছু আছে তাতে সন্তুষ্ট থাকা।আর তা না হলে,সমাজ, দেশ সব জ্যয়গাতে এটা ব্যাধির মতো ছড়িয়ে যাবে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা নিজের যা কিছু আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই কিন্তু এই শব্দটি থেকে মুক্তি পাবো। ধন্যবাদ আপু।