জেনারেল রাইটিং- আত্মহত্যাই জীবনের শেষ ভরসা নয় || written by@maksudakar ||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি বেশ ভালো আছেন। আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো আছি। আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশের ঢাকা হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার লেখার যাদু দিয়ে কমিউনিটির বন্ধুদের কে মুগ্ধ করার জন্য। হয়তো বা আমি আপনাদের মত এত ভালো করে লিখতে পারি না। পারি না আমার মনের ভাষা গুলো কে আপনাদের সামনে সঠিক ভাবে লিখার যাদুতে উপস্থাপন করতে। তবুও চেষ্টা করি। তাই তো আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের সামনে আরও একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আশা করি আমার আজকের জেনারেল রাইটিংটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।
মানুষের জীবনে অনেক ভুল থাকে। থাকে অনেক না বলা অনুভূতি। আর সেই সকল ভুল নিয়েই মানুষ এগিয়ে চলে দিনের পর দিন। আশায় থাকে, হয়তো চলার পথে কোন এক সময়ে শুধরাতে পারে সেই সকল ভুল গুলো। আবার হয়তো ভুল গুলো ভুল হিসাবেই থেকে যায়। জীবন চলার পথে দুঃখ বেদনা হতাশা আর না পাওয়ার হাজারও গ্লানি থাকবে। সেই সকল গ্লানি গুলো কে মনের শক্তি দিয়ে অতিবাহিত করতে পারলেই জীবনে আসবে স্বার্থকতা আর সাফল্য। কিন্তু সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে যারা আত্মহত্যা কে জীবনের শেষ পথ হিসাবে বেছে নেয় তারা সত্যিকার ভাবে কি পেণ?
CANVA দিয়ে তৈরি
যেহেতু চাকুরি করি তাই প্রতিদিন কত রকমের মানুষের সাথে যে পরিচয় হয় তার হিসাব নেই। তাছাড়া তো পেপার পত্রিকা রয়েছেই। আজকাল পেপার পত্রিকা গুলো পড়তে বসলেই পাওয়া যায় হাজারও আত্মহতার সংবাদ। কেউ হয়তো স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে এই পথ বেছে নেয়। কেউ হয়তো প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়ার কারনে এ পথ বেছে নেয়। আবার কেউ হয়তো জীবনের হতাশা থেকে মুক্তির জন্য এই পথ বেছে নেয়। কিন্তু কথা হলো কেন এমন পথ বেছেঁ নিতে হবে? জীবন কে সুন্দর করে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কি আর অন্য কোন পথ নেই?
এই তো কদিন আগের কথা আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে একুশ দিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে অবেশেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে আমাদের এক কলিগ এর এক আত্মীয়। ভদ্র মহিলার সংসারে বড় বড় দুটো ছেলে আছে। যতটুকু শুনেছি উনি নাকি বেশ হাসি খুশি একজন মানুষ ছিলেন। কারও সাথে তার কোন দ্বন্দ ছিল না। কিন্তু কেন সে হারপিক খেয়ে নিজের জীবন কে এমন করে মৃত্যুর মুখে ঠেঁলে দিলেন সেটাও কেউ বলতে পারে না। এমন কি তার পরিবারের কেউই এ বিষয়ে জানেনা। আবার তার স্বামীও জানে না।
আচ্ছা আমি মানলাম পৃথিবীর সবার অগোচড়ে যদিও ভদ্র মহিলার স্বামী খারাপ থেকেই থাকতো তাহলে তো সেই স্বামীর সাথে সংসার না করলেও হতো। আর যদি অন্য কোন বিষয়ের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তো তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। আর এমন করে যদি নিজের জীবন কে সুন্দর কোন পথে বা সাফল্যের কোন পথে পরিচালিত করতে পারতো তাহলে হয়তো তার জীবন হয়ে উঠতো অনেক সুন্দর।
সত্যি বলতে যারা এমন করে নিজেদের কে মৃত্যুর মুখে ঠেঁলে দেয় তারা তো দুই দুনিয়া হতে বঞ্চিত হয়। আর এই মানুষ গুলো যদি শত আঘাতের পরেও নিজেকে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে পারতো তাহলে একদিন না একদিন সুখ তাদের জীবনে আসতোই। তাই তো জীবনের গ্লানি গুলো কে শক্তি তে পরিনত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে নিজেকে। কে আসলো আর কে আসলো না, সেটা ভাবলে হবে না। কে ভালোবাসলো আর কে ভালোবাসলো না সেই ভাবনা কে দূরে ঠেঁলে দিতে হবে। জীবনে হতাশা থাকবেই। হতাশা কে দূরে ঠেঁলে দিতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কে আত্মহতার মত ভয়ানক ব্যাধি থেকে বাঁচাতে পারবো।
শেষ কথা
শেষ কথা
সত্যি বলতে জীবনটা অনেক সুন্দর। জীবনের দাঁড়প্রান্তে হাতছানি দিচ্ছে হাজারও সুযোগ আর সময়। শুধু হাত বাড়িয়ে ধরতে পারলেই নেমে আসবে সাফল্য। তাই পরিশেষে বলতে চাই এমন মানুষ গুলোর বোধদয় হউক। আত্মহতা নয়, জীবনের সাফল্য হউক জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
ধন্যবাদ সকলকে
@maksudakawsar
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু পৃথিবীতে প্রত্যেকটি ধর্মেরই একটি নিয়ম আছে আত্মহত্যা করলে সে জাহান্নামে যাবে। আর এখনকার মানুষজন সব একটু তেই আত্মহত্যা করছে। দেখেন না আপু আশেপাশে কত মানুষ প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়েই মারা গেল। তবে আপনাদের হাসপাতালের ওই মহিলার ঘটনাটি শুনে বেশ খারাপ লাগলো। উনার সংসারে যদি ঝামেলা হতো তাহলে উনি সংসার ছেড়ে চলে আসতে পারতেন অযথা হারপিক খেয়ে মারা গেলেন। এরকম শিক্ষানীয় একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Tweet
হ্যাঁ আপু প্রতিনিয়ত নিউজে বা পথচলায় এমন অনেক ঘটনা আমাদের সম্মুখে আসছে। কেউ পরকীয়ার জন্য আত্মহত্যা লিপ্ত হচ্ছে। কেউ স্বামীর অত্যাচারে আবার কেউ প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে, এভাবে নারী পুরুষের কম বেশি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে দেখা যায়। তবে মৃত্যু মানুষের সমাধান নয়। সমাধান হতে হবে নিজের সজাগ সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা। আমরা জানি যে পথে আমাদের ক্ষতি হতে,পারে সে পথ থেকে আগেই বিরত থাকতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এটি শতভাগ সত্য আপু। আত্মহত্যা কখনো এ সমাধান হতে পারে না। উল্টো সমস্যা আরো বৃদ্ধি করে। বিগত ইতিহাসে যারা এ ধরনের কাজ করেছে তারা হেরে গিয়েছে। এপার ওপার সবকিছু হারা এরা। শুধু ধৈর্য ধরে টিকে থাকার নামই জীবন। খুবই ভালো লিখেছেন আপু।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মানুষের জীবনে অনেক বেশি ভুল থাকে, কিন্তু এই ভুলগুলো করতে করতে একটা সময় দেখা যায় মানুষ অনেক হতাশায় পড়ে যায়। তবে আমি মনে করি আমরা যতই হতাশায় পড়ি না কেন, কখনোই আত্মহত্যা করার ডিসিশনটা সঠিক হয় না। এমনকি আমি মনে করি আমাদেরকে সকল ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আজকের লেখাটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মানুষের জীবনে হয়তো অনেক ভুল থাকে। কিংবা অনেক কষ্ট থাকে। তবে আত্মহত্যা কখনোই সঠিক সমাধান নয়। আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া সব সময় একটি ভুল সিদ্ধান্ত। আপু আপনার লেখা পোস্ট পড়ে আমার ভালো লেগেছে। আর আপনি কিন্তু খুবই ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ই আপু আত্মহত্যাই জীবনের শেষ ভরসা নয়। এই বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে ভালো ই করেছেন। আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে।আপনি আপনার এক কলিগের আত্মীয়ের কথা বললেন,আসলে মানুষ সব সময় সুখী এমন টা নয়।তবে কারো জন্য জীবন কেন দিতে হবে।আল্লাহ জ্ঞান দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন। কাউকে কারো ভালো না ই লাগতে পারে বা যেকোনো সমস্যা হতে পারে।এজন্য আত্মহত্যা কেন করতে হবে।নিজেকে সরিয়ে নিলেই তো হয়।নিজেকে আরো যোগ্য করে তুললে আত্মহত্যার কথা মাথায়ও আসবে না।আর হারপিক ই বা কিভাবে খায়??হারপিক খাওয়ার কথা মরার আগে ভেবেই তো বমি করতে করতে শেষ।
আসলে মানুষ যে কেন এমন করে সেটাই বুঝি না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আত্মহত্যা মহাপাপ নরকে গমন।কোন ধর্মেই আত্মহত্যার সমর্থন করেন না। সব ধর্মেই আছে যে আত্মহত্যাকারী নরকে গমন করবে।একদমই ঠিক বলেছেন স্বামীর কারনে যদি আত্মহত্যার কথা ভাবতে হয় তাহলে স্বামী থেকে আলাদা থাকা যেতে পারে অন্য কোন বিষয় হলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে।আত্মহত্যা মানে কোন কিছুর সমাধান নয়।আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া।আত্মহত্যা মানে যার কারনে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন তাকে জয়ী করা।ধন্যবাদ আপু চমৎকার সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
একদম ঠিক। আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি এবং একদমই বাস্তবের কিছু কথা আপনার এই পোস্টের মধ্যে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে এমন অনেক মানুষ আছে যারা আত্মহত্যাকে নিজেদের জীবনের শেষ পথ হিসেবে নেয় এবং এই আত্মহত্যার কারণে সে তার নিজের জীবনকে যেরকম শেষ করে দিচ্ছে পরকালেও সে কোনভাবেই শান্তি পাবে না৷
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।