ভ্রমন পোস্ট- মামা শ্বশুড়ের বাড়ি হয়ে সোনারগাঁ জাদুঘরের পাশে গায়েবী মসজিদ ভ্রমন

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

ঈদের আমেজ কাটিয়ে আবার আমরা ফিরে আসলাম আমাদের সেই ব্যস্তময় জীবনে। ফিরে আসলাম আমাদের চিরচেনা শহরে। আর আমরা যখন আবার আমাদের ব্যস্তময় জীবনে ফিরে আসি ঠিক তখনই অনুভব করি যে গ্রাম আর প্রকৃতি কে। অনুভব করি নিজের অস্থিত্ব কে। যদিও আমি গ্রামে বসবাস করি না। ঢাকায় আমার জন্ম তবুও আমি কিন্তু গ্রাম আর প্রকৃতিকে বেশ মিস করি। আমি @maksudakawsar। আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কি ভালো করি নি? না হয় কিছুটা সময় আমার বকবকানি একটু পড়লেন। আশা করি খারাপ লাগবে না।

সোনারগাঁ জাদুঘরের পাশে.png

ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar

ঈদের ছুটিতে মুসলধারে বৃষ্টির আনাগোনায় আমরা হয়তো ঘর হতে বের হতে পারিনি। পারিনি প্রিয় মানুষগুলোর সাথে নিজের প্রিয় কোন জায়গায় যেয়ে কিছুটা সময় কাটাতে। আর এজন্য কতবার যে আমরা বৃ্ষ্টিকে বকা দিয়েছি তা আর বলতে। আর না না আমাদের কমিউনিটির বৃষ্টি আপু দের কথা বলছি না। বলছি আকাশ থেকে যে বৃষ্টি ঝড়ে আমাদের দেহ মন আর প্রকৃতিকে শান্ত করে দিয়ে যায়, তারই কথা। তবে মন তো আর মানে না এই বৃষ্টির কিছুটা বিশ্রামের সময় আমরা বের হয়ে পড়েছিলাম ঘুরতে। চলে গিয়েছিলাম পানাম নগরী আর সোনার গাঁ যাদু ঘরে। আমরা যখন পানাম নগরী ঘুরে বন্ধ পেলাম তখন আমরা কিছুটা সময় সেখানে ঘুরাঘুরি করে চলে গেলাম আমাদের পরবর্তী গন্তব্যে।

image.png

image.png

image.png

image.png

গন্তব্য বলতে আমার মামা শ্বশুড়ের বাড়ি। সোনাগাঁ এর গোয়ালদি গ্রামে আমার শ্বাশুড়ীর বাবার বাড়ী। তাই ভাবলাম সোনারগাঁ জাদুঘর ভ্রমন করার আগে কিছুটা সময় মামা শ্বশুরের বাড়ী বেড়ানো যাক। তাতে করে রেস্ট ও নেওয়া হবে আর সময়টাও ভালো কাটবে। তাই চলে গেলাম মামা শ্বশুড়ের বাড়িতে।অবশ্য মামা এরই মধ্যে দুই তিনবার ফোন দিয়ে দিয়েছে। আমরা বেলা ২.০০ টায় যেয়ে মামা সেখানে পৌছাঁই। আমরা হাত মুখ ধুয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। তারপর মামার আম বাগান আর আমার শ্বশুড়ীর জমিটা দেখতে বের হই। বেশ ভালোই লাগছিল মামার সেখানে যেয়ে প্রকৃতির সাথে বেশ ভালোই কিছু সময় কাটে আমাদের । আবার কিছু কাচাঁ আমও পেরে নিয়ে আসি মামার আম গাছ হতে। তারপর মামার সাথে কিছুটা সময় গল্প করি। গল্পের এক পর্যায়ে জানতে পারি যে সেখানে একটি গায়েবী মসজিদ আছে। যেটা নাকি নিজে থেকে উঠেছে। কেউ সেটা কে নির্মান করেন নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে সে মসজিদ টি যাওয়ার পথে দেখে যাবো।

image.png

image.png

image.png

image.png

তারপর আমরা মামা, মামী আর আমরা ছোট ছোট দুটো দুষ্ট ননদীনির কাছ হতে বিদায় নিয়ে সেই গায়েবী মসজিদের দিকে রওনা হই। অবশ্য যেতে যেতে অটো ওয়ালার মুখ হতে সেই মসজিদ সমন্ধে বেশ কিছু কথা জানতে পারি। জানতে পারি সত্যি সত্যি মসজিদ টি নিজে নিজে উঠেছে। আগে নাকি মসজিদ টি বেশ গরম ছিল। মানুষ জন সেখানে অনেক ভিড় জমাতো। অনেকে অনেক কিছু মানতও করতো। যারা এখানে এসে কিছু মানত করতো তাদের মনের ইচ্ছে গুলো নাকি পূরণ হয়ে যেত। তবে এখন আর তেমন লোকজনও হয় না।

image.png

image.png

image.png

আমরা সেখানে যেয়ে দশ মিনিটের মধ্যে পৌছেঁ গেলাম। তারপর অটো থেকে নেমে আমরা সেই গায়েবী মসজিদ টি দেখতে লাগলাম। বেশ পুরানো মসজিদ টি। বর্তমানে এই মসজিদ টির সংস্কারের দায়িত্ব সরকার নিয়ে নিয়েছে। মসজিদ টির ভেতরে তালা লাগানো। কেউ চাইলেও মসজিদটির ভিতরে যেতে পারবে না। শুধু চারপাশ হতে মসজিদ টি দেখতে পাবে। আর মসজিদটির বাহিরে রাখা একটি সাদা পাথরে হাত দিয়ে তাদের মনোবাসনা ব্যক্ত করতে পারবে। কিন্তু শর্ত হলো জুতা খুলে ঢুকতে হবে। আমি মসজিদটির কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তারপর মসজিদের সেই সাদা পাথরের সামনে দাড়িঁয়ে নিজের মন বাসনা ব্যক্ত করলাম।

image.png

image.png

আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন যে মসজিদটির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো। কিন্তু সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা একটি মসজিদ। আমিও কিন্তু বিশ্বাস করতাম না। আমার শ্বশুড়ীও বলেছে। এই মসজিদ হলো গায়েবী মসজিদ। যেখানে এক সময় শত শত মানুয আসতো। অবশ্য এখনও আসে। তারপর আমরা বেশ কিছুটা সময় সেই গায়েবী মসজিদের কাছে থেকে আর মসজিদ টি ভালো করে দেখে শুনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই আপনাদের জন্য।

image.png

image.png

এরপর গায়েবী সেই মসজিদের পার্ট শেষ করে আবার অটোতে উঠে পড়ি। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য হলো সেই সোনারগাঁ জাদুঘর। যা নিয়ে অন্য একদিন আবার আপনাদের সাথে গল্প করবো।

কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে সোনারগাঁ এর এই গায়েবী মসজিদের গল্প শুনতে? আপনাদের মতামত গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আপু ঢাকায় বড় হওয়া, বসবাস করা সত্ত্বেও কখনও সোনারগাঁও যাওয়া হয়নি।আপনি আপনার মামা শ্বশুরের বাসায় গেলেন গায়েবী মসজিদ দেখবেন বলে।এই মসজিদ সম্বন্ধে অনেক কিছুই জানলাম আপনার পোস্ট পড়ে। খুব ভাল লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়েও।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য। আপনারা এরপর সোনারগাঁও যাদুঘরে গেলেন।যাক অন্য একদিন হয়ত দেখতে পাবো।

 last year 

জি আপু আমিও সেদিন এই মসজিদ সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে ছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58083.18
ETH 2578.52
USDT 1.00
SBD 2.42