ভ্রমন পোস্ট- বড়ালু গ্রামে প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময়
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবা্ই বেশ ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। আবার কয়েকদিন যাবৎ গরমে মানুষ অসহ্য জীবন যাপন করছে। তবুও জীবন আর জীবিকার তাগিদে মানুষ কে চলতে হয়। বন্ধুরা আজ আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়। অবশ্য টাইটেল দেখ আপনারা সবাই বুঝেই গেছেন আমি কি পোস্ট আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচিছ। তাহলে চলুন ঘুরে আসি আমার আজকের পোস্ট হতে।
চারদিকে যে পরিমান গরম তাতে করে জীবন যেন অচল হয়ে পড়েছে। কোন কিছুই যেন ভালো লাগছিল না। বেশ কিছুদিন যাবৎ মনে হচেছ কাছাকাছি কোন প্রকৃতির কাছ হতে ঘুরে আসি। তাহলে হয়তো কিছুটা ভালো লাগবে। তা ছাড়া প্রকৃতির কিছু বিশুদ্ধ বাতাস ও গায়ে লাগবে। যা বলা তাই করা । চলে গেলাম অফিস থেকে সরাসরি ঢাকার খুব কাছেই একটি গ্রামের প্রকৃতির ছায়ায়। না না একা যায়নি কিন্তু। আমি যেখানে গিয়েছিলাম সেই জায়গাটির নাম বড়ালু। আর আমি শুনে ছিলাম বড় আলু। তাই ভাবছিলাম যে সেখানে মনে হয় বড় বড় আলুর চাষ হয়। হি হি হি। তো সে দিনের সে বড়ালু গ্রামে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ানোর গল্প আর কিছু ফটোগ্রাফি মাঝে কিছু টা সময় ঘুরে আসা যাক।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
ঢাকার কাছাকাছি হলেও কিন্তু সেখানে সরাসরি সিএনজি যায় না।প্রথমে বাসে করে যেয়ে ডেমরা স্টাফ কোয়াটারের আগে নামতে হয়। তো আমরা তাই করলাম আমরা বাসে করে প্রথমে ডেমরা স্টাফ কোয়াটারের কিছুটা আগে নামলাম। নেমেই দেখি সেখানে অনেকগুলো সিএনজি দাড়িয়ে আছে। আমরা সেখানে বেশীক্ষন অপেক্ষা না করে একটি সিএনজি ভাড়া করে নিয়ে উঠে পড়লাম।
আমরা যখন সিএনজি করে যাচ্ছি তখন দেখতে পেলাম রাস্তার দু পাশে খেরের বোঝা।বুঝতে পারলাম এখান থেকে সেই বড়ালু গ্রামের শুরু। তাই যাওয়ার পথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ উপভোগ করছিলাম। রাস্তার দু পাশে খেরের বোঝা করা দেখতে বিষন ভালোই লাগছিল। অবশেষে দেখতে দেখতে চলে গেলাম সেই বিখ্যাত বড়ালু বাজারে। তারপর আমরা আমাদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিলাম।
আমরা যখন আমাদের গন্তব্য পথের দিকে রওনা দিয়েছিলাম সেখানে পথে মধ্যে দেখতে পেলাম বড় বাজার । তারপর আশে পাশে জি্জ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে সেদিন ছিল গ্রামের হাটবার। আসলে সত্য বলতে কি আমি এ রকমের হাট কখনও দেখি নাই। তাই বেশ কিছুক্ষন সেখানে আমি দাড়িঁয়ে হাটের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর ছোট ভাই কে বললাম হাটের থেকে ঘুরে আসতে কি কি পাওয়া যায়।।
তারপর আমরা চলে গেলাম আমাদের কাজ সাড়তে। মানে আমরা যে কাজে সেখানে গিয়েছিলাম। সেই বাড়িতে যেয়ে তো আমি মহাখুশি রে ভাই। গাছ ভরা কাচাঁ আম। বলেন তো কি করে সেই লোভ সামলাই। আবার লোভ করেই বা কি হবে। এত কাছের তো আর কেউ না যে আমাদের কে আম দিয়ে দিবে। তো মনের দুঃখ মনেই রেখে দিলাম। কিন্তু খুব অবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম তারা আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছে। মানে তারা সেদিন আমাদের কে গাছের আম আর তাদের নিজের ক্ষেতের কচু শাক দিয়ে দিয়েছে। আমি তো মনে মনে বেশ খুশি। আর উপরে উপরে বলছি না না কোন দরকার নেই । আবার ঝামেলা করছেন কেন। কিন্তু উনারা মনে হয় মানুষের মন বুঝতে পারে তাই আর ছাড়লো না। গাছের আম আর কচু শাক দিয়ে দিলো ব্যাগ ভরে। ।
তারপর নামায় হয়ে গেলে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। তখন সবাই মিলে প্রায় অনেকক্ষন নদীর পাশে একটু দাড়িয়ে রইলাম। কারন কোন সিএনিজি পাচিছলাম না। তাই নদীর পাশে দাড়িঁয়ে বিশুদ্ধ বাতার গ্রহন করলাম কিছুক্ষন।কিছুক্ষন পর সিএনজি পেয়ে গেলে আমরা সেই বড়ালু গ্রামে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম।
কেমন লাগলো বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার বড়ালু নামক গ্রামে প্রকৃতির মাঝে কছুটা সময়? আপনাদের মতামত গুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPvpuVEKcuADe4Q4QTCaYgX94unPsrwnH1mRJVCyWmiYo/image.png)
https://twitter.com/maksudakawsar/status/1660641823444946944?s=20
আপু আপনি তো আমাদের বাসার এদিকে চলে এসেছেন তাহলে একবার বললে তো আমিও যেতে পারতাম। ওদিকে একটা জায়গার নাম বরফা শুনেছি কিন্তু বড়ালু নাম আছে জানা ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। আপনাদের আবার সাথে করে গাছের আম ও ক্ষেতের কচু শাক দিয়ে দিয়েছে শুনে ভালো লাগলো। তবে কারো মনের কথা কেউই বুঝতে পারেনা তার জন্য হয়তো আপনাকে চা তৈরি করে খাওয়ানো হয়নি।
আমি তো জানিনা আপনার বাসা ঐদিকে। জানলে অবশ্যই আপনাকে ডেকে একসাথে মামার দোকানে পান খেতাম। ধন্যবাদ আপু।
ভালোই তো ঘোরাঘুরি হয়েছে দিদি দেখে মনে হচ্ছে। এমন হাট আমিও কখনো দেখিনি। বেশিরভাগ হাটই বিকেল বেলা খোলা আকাশের নিচেই হয়।কিন্তু এখানে দেখছি মাথার উপরে শেড দেওয়া আছে সবার। সেটা একটা ভালো ব্যাপার। এই গরমে নয়তো আরো কষ্ট হয়।আর মনের কথা বুঝে আপনাদের আম এবং কচুর
শাক দিয়েছে দেখে বেশ খুশি হলাম। একেই বলে টেলিপ্যাথি।তোমাদের মনের কথাটা বুঝে গিয়েছিল জানো তো। আর পান একটু কম খাও কিন্তু। বেশি পান খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না। দিদির মত ভেবে বললাম। কিছু মনে করো না।
না না দিদি আমি পান টান খাইনা। এই মামার দোকানে মিষ্টি পান দেখে বেশ ভাল লাগলো তাই খেয়ে নিলাম আর কি। ধন্যবাদ দিদি।
আপু সত্যি প্রকৃতির বাতাস গায়ে লাগলে অনেক ভালো লাগে। আপনি বড়ালু গ্রামকে বড় আলু মনে করে গিয়েছেন হা হা হা। যাইহোক উনারা আপনার মনের কথা বুঝতে পেরে কিছু কচুশাক ও কাঁচা আম দিয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগল।আসলে আপু আমার মনে হয় উনারা চা খায় না তাই আপনাকে চা দেয়নি। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর মূহুর্তে কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরে আমি তো ভেবেছিলাম জায়গাটির নাম বড় আলু। আর সেখানে বড় বড় আলু পাওয়া যায়। হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
বেশ সুন্দর দৃশ্য ছিল কড়ালু গ্রামের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো। আরে কি যে বলেন মানুষ বলেনা চোখ যে মনের কথা বলে আপনার মনে যে কি চাই সেটা ওরা তো ঠিকই বুঝবে কারণ আপনার চোখে মুখে যে কথা বলতেছে হি হি হি। শেষমেষ কাঁচা আম ও পেলেন এবং কচু শাক ও পেলেন বেশ ভালোই হলো। তবে কাঁচা আমের কথা নাইবা বললাম কিছু শাক যদি পাঠিয়ে দিতেন তাহলে ভালো হতো।
ইস্ কত বড় ভুল হয়ে গেল রে । আমার তো দরকার ছিল আপনাকে কিছু কচু শাক পাঠিয়ে দেওয়া। তাহলে আপনিও বুঝতেন গলা চুলকানোর মজা! হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
যখন কোন ইউজার আমাদের মাঝে নতুন কোন স্থান উপস্থাপন করে তখন আমার দেখতে খুবই ভালো লাগে কারণ নতুন জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে এবং নতুন জায়গা দেখতে আমি খুব ভালোবাসি। আজ আপনি আমাদের মাঝে নতুন একটি স্থান সম্পর্কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন তাই আপনার এই এত সুন্দর পোস্ট আমার খুবই ভালো লাগলো। ধারণা পেলাম নতুন কিছু।
ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর করে নিজের অনুভুতি ব্যাক্ত করার মাধ্যমে একটি সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখছি।