ফটোগ্রাফি পোস্ট- ছেলেবেলার স্মৃতিময় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি ||original photography by @maksudakawsar||
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
শুভ রাত্রি প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার। সকলের সুস্থ সুন্দর জীবন এবং প্রানবন্ত মন কামনা করেই আজ আবার চলে আসলাম নতুন আরও একটি ব্লগ নিয়ে। মানুষ যতই বড় হোক না কেন কখনও নিজের অতীত কে ভুলতে পারে না। পারে না নিজের ছেলেবেলা কে মুছে দিতে জীবন থেকে। জীবনে কোন না কোন সময়ে ছেলেবেলা তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকেই যায়। কত শত স্মৃতি বিজড়িত দিন পার করতে হয়েছে তার ছেলেবেলায়। আজও পথে চলতে বা যে কোন জায়গায় যদি ছেলেবেলার কোন প্রতিচ্ছবি চোখে পড়ে তাহলে মনটাই ভরে যায়। যেমন ভরে গিয়েছিল আমার। এই তো কয়েকদিন আগের কথা। চোখের সামনে দেখতে পেলাম ছেলেবেলার কিছু স্মৃতিময় খাবার। যে খাবার গুলো বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে যেয়ে খাওয়া হত। আবার কখনও কখনও বাবা নিজেই নিয়ে আসতো বাজার থেকে। আর তাই তো ভাবলাম আমি কেন একা একা এমন খাবার গুলো দেখবো? আপনাদের সাথেও কিছুটা শেয়ার করি। তাহলে আপনাদের ও বেশ ভালো লাগবে।
দেখেন তো আপনাদের কার কার মনে আছে এই মুড়ালী গুলোর কথা? আগে ছেলেবেলায় এরকম ছোট বড় গুড় দিয়ে বানানো মুড়ালী গুলো কত যে খেতাম। আমার এখনও মনে আছে। বাসায় এনে রাখলে চুরি করে বেশীর ভাগ আমিই কিন্তু খেয়ে নিতাম। কি যে মজার একটি খাবার। আর যখন খেতাম শুধু কটমট আওয়াজ হতো।
এই খাবার গুলো কে আমরা বলতাম ছোট কদমা আর বড় কদমা। এগুলো ভাঙ্গলে ভিতরে মজার একটি বাতাম থাকতো। উপরে সাদা খোসার ভিতরে বেশ সুন্দর একটি বাদাম থাকায় ছোট ছোট বাচ্চাদের কাছে এই খাবার গুলো অনেক মজা লাগতো। আর আমি তো বাদাম খাওয়ার জন্যই এ গুলো চুরি করে খেতাম।
এবারের খাবারের মধ্যে আমার কাছে নাড়ুটা খেতেই কিন্তু বেশ ভালো লাগতো। অনেক পূজার অনুষ্ঠানে কিন্তু এমন নাড়ু অহরোহ পাওয়া যায়। নারিকেল আর গুড় দিয়ে বানানো এই নাড়ু গুলো খেতে কিন্তু বেশ সু স্বাদু লাগে। আর এর সাথে তো আছে বাতাসা। ছেলেবেলায় কত যে এমন বাতাসা খেয়েছি। আজও তার স্বাদ মুখে লেগে আছে। যদিও চিনি দিয়ে বানানো হয়।
আহারে বাবার কথা বেশ মনে পড়ে গেল। এমন সুন্দর নিমকি আর বালুসার দেখে কিন্তু আমার বাবা বেশ খুশি হতো। খুব প্রিয় ছিল আমার বাবার। তাই এই লোভনীয় জিনিস গুলো দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না। বেশ মজাদার এই নিমকি আর বালুসার। ছোট বেলায় যখন কোন অসুখ হতো তখন বাবা এই বালুসার আর নিমকি নিয়ে এসে আমাদের কে খাওয়াতো।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
ছোটবেলায় খাবার গুলো অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ ছিল এবং এই খাবারগুলোকে অনেক বেশি পরিমাণে খেতে ইচ্ছে করতো। তবে এখনকার সময়ে এই খাবার গুলো আর দেখাই যায় না৷ আর আজকে আপনি সেরকমই কিছু সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন, যা দেখে মুখে পানি চলে আসল।
সত্যি ভাইয়া এখনকার সময়ে এসব খাদ্য আর দেখাই যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি খুবই মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমি এখনো এগুলো খেতে অনেক পছন্দ করি। আমার কাছে প্রতিটা খাবার খুব ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তবে মেলায় গিয়ে এখনো এগুলো কিনতেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেও এত সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য
এ খাবারগুলো এখনও বিভিন্ন মেলায় বেশ দেখতে পাওয়া যায়। আমার ও বেশ পছন্দ ছিল খাবারগুলো ।তবে বড় কদমগুলো মিস্টি বেশি একটা পুরো খাওয়া যেতো না। তবে আমি এখনো বাসায় মাঝে মাঝে বানাই মুড়ালী ও নিমকি। বেশ ভালো লাগে খেতে।
ইস্ তাহলে তো একবার আপনার বাসায় হামলা দিতে হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই খাবারগুলো সত্যিই অনেক লোভনীয়। যদিও এখন খুব একটা এই খাবারগুলো দেখা যায় না। কিন্তু এই খাবারগুলো দেখলে ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চিমটি। আমারও তো। এই খাবার গুলো দেখলে সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ আপু সন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।