জেনারেল রাইটিং- একটি মেয়ের জীবন
আমি @mahmuda002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম একটি মেয়ের জীবন।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মেয়েটির জন্ম একটি ছোট বাজারের পাশে গড়ে ওঠা মহল্লায়। মেয়েটি যখন ছোট ছিল তখন এতটাই আদরে ছিল যে কেউ তাকে কোল থেকেই নামাতো না৷ তার মা বাবা দাদী ফুফু সবাই তাকে কোলে কোলে রেখে দিও। মেয়েটিকে পাড়ার সবাই ও অনেক ভালোবাসত৷ যখন যা বলতো তাই এনে দিতে চেষ্টা করতো তার বাড়ির সবাই। অভাবের সংসারে ও বেশ সাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠছিল সে। তারা যেখানে থাকতে সেখানে তার একজন খেলার সাথী ও হয়ে গেছিল। মেয়েটি সব সময় তার সাথে খেলা খেলতো। একবার তো তারা খেলার ছলে ঈদের চাঁদ দেখতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল। সে কি কান্না তাদের। তারপর দুই পরিবার মিলে তাদের খুঁজে বের করে। এই ঘটনার বেশ কিছু দিন পর তারা একটি দোকানে যায় চকলেট কিনতে৷ সেখানে গিয়ে দেখে দোকানে দোকানি নেই। তারা তাদের কাছে যা টাকা ছিল সব টা দোকানে রেখে যতগুলো বয়াম ছিল চকলেটের সবগুলো নিয়ে বাড়ি চলে যায়। তারপর দোকানি যখন দেখে ফেলে তাদের, দোকানি তাদের বাবা কে বলে দেয়। তারপর তাদের বাবা তাদের অনেক বকাবকি করে এবং চকলেট গুলো দোকানিকে ফেরত দিয়ে দেয়। এভাবেই হাসি মজাতে কাটছিল তাদের সুন্দর ছেলেবেলা।
এরপর সময়ের পরিবর্তনে বড় হয় তারা। এবং দুজন দুদিকে চলে যায়। মেয়েটির বয়স যখন চার বছর। তখন তার সুন্দর ফুটফুটে একটি ভাই হয়। আর অখন থেকেই মেয়েটিকে দূরে থাকতে হয় তার বাবা মার থেকে। এরপর দেখতে দেখতে মেয়েটি স্কুল জীবনে পা দিল। এখন থেকে শুরু হলো মেয়েটির জীবন যুদ্ধ। একে একে মেয়েটি ৫ম শ্রেণিতে উঠল। তখন পি এস সি পরীক্ষা চালু ছিল। মেয়েটির অনেক স্বপ্ন ছিল এই পরীক্ষার পর সে একটি ভালো স্কুলে পড়বে। কিন্তুু সামান্যর জন্য তার জিপিএ ৫ হলো না। আর তাই মেয়েটির বাবা রাগ করে তাকে গ্রামের একটি যতসামান্য স্কুলে ভর্তি করে দিল। তখন থেকেই শুরু হলো তার জীবনের স্বপ্ন ভঙের গল্প
কিন্তু একই রেজাল্ট যখন তার ছোট ভাই করলো তখন কিন্তু তার বাবা অন্য কারো কথা শুনে নাই। তার বাবা তখন ঠিকই তার ভাইকে শহরের ভালো নামি দামি একটি স্কুলে ভর্তি করালো। এভাবেই মেয়েটি প্রতি পদে পদে নিজের স্বপ্ন গুলো কে ভেঙে দিতে লাগলো তার পরিবারের চাপে। এভাবে একটা সময় আসলো ভার্সিটি পরীক্ষার। মেয়েটির স্বপ্ন ছিল সে রাজশাহী ভার্সিটিতে পড়বে। সে ভালো পরীক্ষা ও দিয়েছিল এবং ৫৫৪ তম হয়েছিল৷ কিন্তু তার পরিবার তখন তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। আর এই চাপে তার এই স্বপ্ন টাও স্বপ্ন থেকে গিয়েছিল। সেই স্বপ্ন ভঙ্গ মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় একটা রাজপুত্রের সাথে। ছেলেটি মেয়েটিকে অনেক ভালোবাসে। মেয়েটির অনেক খেয়াল রাখে। চেষ্টা করে মেয়েটিকে সব সময় হাসি খুশি রাখতে। আর মেয়েটিও অনেক ভালোবাসে ছেলেটিকে৷ তাদের কোল জুড়ে আসে একটি ফুটফুটে সুন্দর ছেলে৷ মেয়েটি তার স্বামী আর সন্তান নিয়ে অনেক ভালো আছে। অনেক ভালোবাসে সে তার স্বামী সন্তানকে।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | redmi 12 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি মাহমুদা মিলা রত্না। আমার জন্ম ১৯ আগষ্ট ২০০২ সালে। আমার বর্তমান বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাস। আমার সব থেকে বড় শখ হলো আর্ট। এছাড়াও আমি ,কবিতা লিখতে ও আবৃতি করতে অনেক পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
একটি মেয়েকে নিয়ে দারুণ একটি গল্প লিখেছেন আপনি আপু। মেয়ে মানুষের জীবনটা আসলেই কষ্টসাধ্য। তবে কথায় আছেনা কষ্টের পর সুখ মিলবে। ঠিক তেমনটাই তো হলো আপনার গল্পের সেই নায়িকার জীবনী। একে একে তার সব সমস্ত স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছিল তাও সে ধৈর্য ধরে ছিল। কিন্তু শেষে বিয়ে করার পর এমন একজনকে পেয়ে গেল জীবনে কোন রকম সমস্যা আর হবে বলে মনে হয় না। কেননা একটা মেয়ের জীবনে সব থেকে বড় পাওয়া বিয়ের পর স্বামীর ভালোবাসা।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই মেয়েদের জীবনসঙ্গী ভালো হলে তারা অনেক ভালো থাকে।