জেনারেল রাইটিং:- অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি।
"আসসালামু আলাইকুম" আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু আজকে আমার নতুন ব্লগ। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নিয়ে কিছু কথা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক....
বেশ কিছুদিন বললেও ভুল হবে, কয়েক মাস ধরে প্রচুর পরিমাণ গরম। এই গরমে মানুষের জীবন একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর এত গরম পড়বেই বা না কেন? বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক ভাবে যা কিছু ঘটছে সবকিছুর মানুষ সৃষ্টি। আমরা আমাদের প্রকৃতিকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারছি না। প্রকৃতির তার কোমলিয়ত হারাচ্ছে। যার কারনে প্রত্যেকটা সময় আমাদের খারাপের দিকে যাচ্ছে। যেভাবে প্রতিনিয়ত বন জঙ্গল উজার হয়ে যাচ্ছে তাতে করে তাপমাত্রা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। শুধু কি তাই জনসংখ্যার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষের বাসস্থানের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ ইচ্ছা করলেই বনজ সম্পদ গুলো রাখতে পারছে না কেটে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে বসে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং পানির বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে।
প্রতিদিন যত পানি বাষ্পীয় আকারে উপরে উঠে গেছে তার কয়েক শতাংশ কম পানি বৃষ্টি হয়ে নেমে আসছে। বাকিগুলো উপরেই থেকে যাচ্ছে। যার কারণে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত কিছুর পরেও শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশে বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি হয়েছে। গতকালের আগ পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কোন বৃষ্টি ছিল না। মনের দিক থেকে বেশ আফসোস লাগছিল। যে সব জায়গায় কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এই দিকে বৃষ্টি হচ্ছে না। তবে গরমের মধ্যে আমরা বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সহ্য করতে করতে আর তেমন কিছু মনে হয় না। গতকাল রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ছেলেটার পাশে শুয়ে ছিল। রাত্রে অনেকটা জ্বালাতন করে। কখন কোন সময় ঘুমিয়ে পড়ি সেটা টের পায় না। হয়তোবা রাত তখন একটা থেকে দেড়টা। বেশ ভালোই মেঘ বিজলী চমকাচ্ছিল। মেঘ ডাকছিল মনে হয়েছিল বৃষ্টি হলেও হতে পারে। হঠাৎ করে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলো। এরপরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে হতে হঠাৎ জোরে বৃষ্টি নেমে পড়ল।
রাত্রে যদিও বাইরে যেতে পারিনি ঘরে বসেই বৃষ্টির আনন্দটা উপভোগ করেছিলাম। অনেক ইচ্ছা করছিল বাইরে গিয়ে যদি একটু বৃষ্টিতে ভিজতে পারতাম কিন্তু রাত্রি তো সেটা তো পারা যায় না। তবে যতটুকু বৃষ্টি হয়েছে অনেক স্বস্তি লেগেছে। মনে হয়েছিল প্রকৃতি যেন আপন রূপে ফিরেছে। আসলে বৃষ্টি হলো নেয়ামত আল্লাহর দেয়া বড় একটা নেয়ামত। যে নেয়ামতটা আজ কয়েক মাস ধরে মানুষের মধ্যে থেকে বেশ দূরেই ছিল। গতকাল বৃষ্টির পর রাতের শেষ অংশটুকু বেশ ঘুমিয়ে ছিলাম। যতটুকু বৃষ্টি হয়েছে গরমটা অনেকখানি কমে গেছে। তবে যখন বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে এখন আশা করা যায় বৃষ্টির ধারাবাহিক বজায় থাকবে। তবে সবশেষে বলবো এই স্বস্তির বৃষ্টি আসলে আমাদেরকে নতুন করে আসা জাগিয়েছে।
পরিশেষে ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
👩🦰আমার নিজের পরিচয়👩🦰
আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আজকে যদিও আম্মুর সঙ্গে কথা হলো আম্মু বলছিল আপনাদের এলাকায় নাকি আজকে অধিক বৃষ্টি হয়েছে এবং রাতে ঝড়ো আবহাওয়া বয়েছে। যাই হোক আপনার অনুভূতিটা অনেক ভাল ছিল এবং আপনি পোষ্টের ভিতরে কিছু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করেছেন এগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। আমাদের এই সাইটে অনেক বৃষ্টি হয়েছে গতকাল রাতে যাই হোক স্বস্তির বৃষ্টিতে আমরা সবাই অনেক আনন্দিত।
আপু আপনাদের ওদিকে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি এসে প্রকৃতিকে একদম ঠান্ডা করে দিয়েছে। যদিও বা আমাদের এদিকে এখনো বৃষ্টি হয়নি, তবে আকাশটা মেঘলা থাকে যার কারণে গরম একদম নেই বললেই চলে। আর এমন ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপু, অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি আপনাদেরকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপু প্রকৃতি এতো নিষ্ঠুর নয় মানুষ যতটা নিষ্ঠুর। ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টিতে ভিজতে আমারো ইচ্ছে করেছিল কিন্তু বৃষ্টি রাতে হওয়াতে আর সুযোগ হয়নি।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
মাত্রা অতিরিক্ত গরমের পরে এরকম বৃষ্টি আসলে সবারই ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে। তবে লেখার পরিমাণ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
আচ্ছা ভাইয়া সামনের পোস্টে অবশ্যই লেখা বাড়ানোর চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত ৩-৪ দিন ধরে আপনি কোন পোস্ট করছেন না, আপনার যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে জানাতে পারেন। এভাবে করে হুট করে ব্লগিং ছেড়ে দিলে অনেকটাই সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।
ভাইয়া ব্যস্ততার জন্য ৩ দিন পোস্ট করতে পারি নাই। আজ থেকে করবো ইনশাআল্লাহ। পরবর্তীতে এমন হইলে অবশ্যই আপনাদের অবগত করবো।
ঠিক আছে
এটা ঠিক কথা, প্রকৃতির এই বিপর্যয়ের কারণে পুরোপুরি আমরাই দায়ী। তবে আপু আপনি বৃষ্টিতে না ভিজে ভালোই করেছেন। রাত্রিবেলা বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ হতে পারত। তবে বৃষ্টি যেহেতু একবার হয়েছে, আশা করা যায় এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত আপনাদের ওদিকেও বৃষ্টি হয়েছে, এটা জেনে খুব খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।