🥀 ষড়ঋতুর বর্ষাকাল। |
আমি @mahmuda002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। যাইহোক সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ... |
🌺ডাই পোস্ট। |
হুপের ওপর সুঁচ সুতা দিয়ে কাজ করা অনেক জটিল। সাধারণ সেলাই আর এই সেলাই এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। হুপের ওপর আমি এখানে যে কাজগুলো করেছি এগুলো সম্পূর্ণই থ্রিডি কাজ। থ্রীডি কাজ বলতে বোঝায় যে কাজগুলো দেখতে কিছুটা রিয়েলিস্টিক মনে হয়। আমি আজ যে পদ্মপুকুর তৈরি করেছি। এটি তৈরি করতে আমার অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে। সময় এবং ধৈর্য সহকারে এ কাজগুলো করলে কাজ দেখতে অনেক সুন্দর হয়। তারপরও হুপ এবং যে কাপড়ের উপর সেলাই করা হয় সেই কাপড় যদি ভালো না হয় তাহলে কিন্তু এটি খুব একটা ভালো লাগে না। বর্তমান বাজারে এই ধরনের হুপের কাজগুলো মানুষ অনেক পছন্দ করে। বলতে গেলে এর চাহিদা এখন অনেক। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী এমনকি যেকোনো অনুষ্ঠানেই প্রিয় মানুষ তার প্রিয় মানুষকে উপহার হিসেবে এগুলো উপহার দিয়ে থাকে। আর উপহার হিসেবে এগুলোর মূল্য অনেক। বরাবরই আমার সেলাইয়ের কাজ গুলো অনেক ভালো লাগে। আমি যখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি তখন থেকেই সেলাই টুকটাক শিখতে থাকে। সেলাই এর হাতে খড়িটা আমার আম্মুর কাছ থেকে শুরু হয়। তারপর আস্তে আস্তে নিজে প্র্যাকটিস করতে করতে আজ এ পর্যন্ত। প্রথমে আমি শাড়ি এবং থ্রি পিস এর ওপরে সেলাই এর কাজ করলেও ধীরে ধীরে হুপের ওপর এই ধরনের সেলাই গুলো করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। পরবর্তীতে আমি এ ধরনের কাজ বিক্রিও করেছি। তাই আজ সেই ভালোলাগা থেকেই আপনাদের মাঝে আরো একটি হুপের ওপর কাজ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার আজকের এই ব্লকটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ।
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
১ | কাপড়। |
২ | কেঁচি। |
৩ | সুঁচ। |
৪ | সুতা। |
৫ | মার্কার পেন। |
৬ | কেঁচি। |
প্রথমে সাদা কাপড়টিকে ফ্রেমে আটকিয়ে নিয়ে এর ওপরে মার্কার পেন দিয়ে পদ্মফুল ও তার কলির ছবি আঁকিয়ে নিয়েছি।
এবার পদ্ম ফুলের মাঝের অংশটি এঁকে নিয়েছি। যাকে গ্রামবাংলায় ভ্যাট বলা হয়।
এবার পদ্মফুলের পাপড়ি গুলো সুচ সুতা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছি।
পাপড়ি তৈরি করে নেওয়ার পর পদ্মফুলটি দেখতে ঠিক এরকম হয়েছিল।
পূর্বের ন্যায় এভাবে আমি তিনটি পদ্মফুল তৈরি করে নিয়েছি।
ফুলগুলো তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পদ্ম পাতা ও ফুলের কলি বানিয়ে নিয়েছি।
এবার আমি ফ্রেমটিকে নীল কালার করে নিয়েছি।
ব্যাস এভাবেই তৈরি করে নিয়েছি ফ্রেমের ওপর ছোট্ট পদ্ম পুকুর।
এবার এটির সম্পূর্ণ একটি ছবি তুলেছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
ডিভাইস | redmi12 |
লোকেশন | মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফি | ডাই পোস্ট |
👩🦰আমার নিজের পরিচয়👩🦰
আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ফুলের ডিজাইনটা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে । আর এরকম সেলাই করে ডিজাইন করতে গেলে সময় তো একটু বেশি লাগবেই । তবে পদ্মফুল গুলো দেখতে কিন্তু সুন্দর হয়েছে । আপনি আপনার আম্মুর কাছ থেকে সেলাই শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো । এটা কি এভাবে ফ্রেমের সাথেই থাকবে নাকি খুলবেন ? আর হুপ কি জিনিস সেটাই তো বুঝলাম না আপু ।
না আপু এটা ফ্রেমের সঙ্গেই থাকবে। ফ্রেমের সঙ্গে থেকে এটাকে লেমেনেটিং করতে হয়। ফ্রেমকেই হুপ বলে।
সত্যি বলতে আপু হুপের উপর সুই সুতা দিয়ে এ কাজগুলো করা অনেক কঠিন । সাদা কাপড়টি ফ্রেমে আটকিয়ে মার্কার দিয়ে পদ্মফুল এঁকে নেওয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তিনটি পদ্মফুল তৈরি করা হয়ে গেলে , পুরোটা নীল রং করে নেওয়া আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।