আমার পছন্দের কিছু বাংলাদেশী স্ট্রিটফুড
বাংলাদেশি স্ট্রিটফুডগুলো যেন এমনই, একটির সাথে অন্যটি অতুলনীয়। আমি আজ এমনই প্রিয় কিছু স্ট্রিট ফুড সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো
স্ট্রিটফুডের কথা উঠলে অনেকেরই প্রথম পছন্দ হিসেবে ফুচকার নাম আসে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা একেবারেই ব্যাতিক্রম। ফুচকা এবং ভেলপুরির মধ্যে আমি সবসময়েই ভেলপুরিকে এগিয়ে রাখি।
ভেলপুরি ফুচকার থেকে আকারে কিছুটা বড় ও মচমচে বেশি। এর ভিতরে ঘুগনি, শশা, বিভিন্ন প্রকার মশলা ও টকের সংমিশ্রণ এর স্বাদকে অতুলনীয় করে তোলে। প্রতি পিস ৫ টাকার এ ভেলপুরি একবার খেতে শুরু করলে
খাওয়া যেন থামাতেই মন চায় না। প্রতিদিন আরামবাগে কলেজ শেষে বন্ধুরা মিলে দাঁড়িয়ে একের পর এক পিস সাবাড় করে দেয়ার স্মৃতিগুলো প্রায়ই খুব মনে পড়ে।
পিয়াজু আমাদের প্রচলিত স্ট্রিট ফুডগুলোর মধ্যে প্রাচীন এবং অন্যতম একটি আইটেম। করোনার আগমন ঘটার আগে প্রায়শই বিকাল/সন্ধ্যাবেলা বাসার কাছের দোকান থেকে পিয়াজু কিনে আনতাম। মধ্যম আকারের পিয়াজু প্রতি পিস ৩ টাকা, আবার একটু বড় আকারের পিয়াজু হলে সেগুলো ৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।
পিয়াজ, ডাল দিয়ে বানানো তেলে ভাজা এ পিয়াজু মুড়ির সাথে মিশিয়ে খেলে অনন্য স্বাদ পাওয়া যায়।
আলুর চপের সাথে ডিম চপের খুব একটা পার্থক্য নেই। মূলত মশলা-মিশ্রিত আলুর মধ্যে অর্ধেক ডিম দিয়ে তেলে ভাজা চপই হলো ডিম চপ।
প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হওয়া এই আইটেমটি আমি বিভিন্ন জায়গায় বহুবার খেয়েছি। তবে একবার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর ফরিদপুরের আটরশিতে মেলার সময়ে খাওয়া ডিম চপ খুবই সুস্বাদু লেগেছিলো। আমার মনে হয় দেশের প্রায় সব মেলাতেই খাবার গুলোর স্বাদ অন্য লেভেলের হয়ে থাকে।
ফুচকার সাথে দই ফুচকার মূল পার্থক্য হলো এতে দই, চানাচুর, ডালিম ইত্যাদি যোগ করে খাবারের স্বাদ আরো বৃদ্ধি করা হয়।
সত্য কথা বলতে বেশি দামের কারনে এই আইটেমটি আমার খুব বেশি খাওয়া হয় নি৷ বেশিরভাগ সময় নিজেই বাসায় তৈরী করে খেয়েছি। তবে প্লেট প্রতি ৮০ টাকা দরে একবার এই আইটেমটি খেয়ে বেশ ভালো লেগেছিল।
আমি এই পোস্টটি শেষ করতে চাই এমন একটি আইটেম দিয়ে যেটির কাছে অন্য যেকোনো আইটেম বারংবার হেরে যায়। সেটি হচ্ছে টং এর দোকানের মামার হাতে বানানো রঙ বা দুধ চা।
সারাদিনের কাজের ক্লান্তি নিয়ে এই এক কাপ চা খেলেই যেন সকল জড়তা কেটে গিয়ে শরীর-মন সতেজ হয়ে ওঠে। আবার বন্ধুরা মিলে একসাথে আড্ডা দেয়ার সময় চা এর কোনো বিকল্প-ই হয় না
আমাদের দেশের এই স্ট্রিট ফুডগুলো খোলামেলা পরিবেশে বিক্রি করায় কিছুটা অস্বাস্থ্যকর হলেও দিনশেষে এগুলোর স্বাদের কাছে আমরা বারবার হার মেনে যাই। এ খাবারগুলোর সাথে বহু মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, স্মৃতি মিশে আছে
তো এই ছিলো আমার আজকের লিখা, করোনাভাইরাস এর প্রকোপ এর কারনে চাইলেও বর্তমানে বাইরের খোলা খাবারগুলো খাওয়া হচ্ছে না। যাই হোক, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
(উপরে ব্যাবহৃত সবগুলো ছবি আমার নিজের তোলা)
Best Regards: @mahirabdullah
খুব টেস্টফুল খাবার
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
কতদিন হলো খাওয়া হয় না এসব । দেখেই খেতে মন চাচ্ছে যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই মিস করি খাবারগুলো। ধন্যবাদ প্রশংসা করার জন্য
স্ট্রিটফুড সবসময় মজাদার। করোনার কারণে খুব একটা খাওয়া হয়না। তবে আপনার ছবি দেখে জিভে জল চলে আসল।