"TROLL" হলিউড মুভি রিভিউ
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
যারা মুভি দেখতে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই কল্পকথা জাতীয় মুভি গুলো বেশি প্রিয়। মুভিতে একটু অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার থাকলেই সেই মুভিটি দেখার মজাই অন্যরকম হয়ে যায়। একটু অলৌকিক ব্যাপার সাথে একটু থ্রিলিং এবং সাসপেন্স হলেই একটি মুভি পরিপূর্ণ হয়। আজকাল এই ধরনের মুভি গুলোই মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আজ আপনাদের মাঝে আমি ঠিক এমনই একটি মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। এই মুহূর্তে আপনারা ঠিক তেমনি কিছু ব্যাপার দেখতে পারবেন যা আপনাদের গায়ের লোম শিউরে তুলবে। আমি আজ আপনাদের মাঝে যে মুভিটি রিভিউ করব এটা একটি হলিউড মুভি।
আপনারা যারা আমার আজকে রিভিউ করা মুভিটি দেখেননি তারা অবশ্যই মুভিটি দেখবেন আশা করছি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে মুভিটি রিভিউ দেখে আসা যাক।
"TROLL"
সিনেমা | "TROLL" (২০২২) |
---|---|
পরিচালক | রওয়ার উথাউগ |
রচয়িতা | স্পেন আউকান, রওয়ার উথাউগ |
প্রডিউসড বাই | স্পেন হর্ন |
অভিনয়ে | ইনে মেরি উইলম্যান, কিম ফ্ল্যাক, ম্যাড সাজোগার পিটারসেন, গার্ড বি. ইজবোল্ট, |
মিউজিক | জোহানেস রিংগেন |
সময় | ১ ঘন্টা ৪১ মিনিট |
মুভি রিলিজের তারিখ | ০১ ডিসেম্বর, ২০২২ |
মুভিটি শুরুতেই আমরা নরা এবং নরার বাবাকে একটি পাহাড়ের উপর দেখতে পাই, সেই পাহাড়ের উপর বসে নরার বাবা নরাকে ট্রলের কাহিনী শোনায় কিন্তু নরা ট্রল বিশ্বাস করে না। তারপর নরার বাবা নরা কে চোখ বন্ধ করে মনের চোখ দিয়ে পাহাড়ের দিকে তাকাতে বলে সে ঠিক তেমনটাই করে তারপর সামনের দিকে তাকাতেই সে অবাক হয়ে যায় কারণ সামনের পাহাড়গুলোতে সে এমন কিছু দেখে যা একদমই ট্রলের মত।
তারপর অনেক পরের কথা যখন নরা বড় হয়ে যায় তখন সে একদিন তোর অফিসের কাজ করছিল কিন্তু তখনই তাদের অফিসের টিভি স্ক্রিনে তারা এমন কিছু খবর দেখতে পায় যাক ট্রল কে ইঙ্গিত করছিলো। এটা দেখে সে কোনভাবেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না যে এটা আসলেই ট্রলের কাজ। কারন সে ভাব তো ট্রলের অস্তিত্ব শুধু কাল্পনিক গল্পেই সম্ভব।
তারপর সে তার বাবার কাছে যায় এবং এসব ঘটনা খুলে বলে তার বাবা তখন বলে আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম ট্রলের অস্তিত্ব বাস্তব জীবনেও রয়েছে। তারপর তারা সকলেই পাহাড়ি অঞ্চলে যায় এবং কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পর হঠাৎ একটি পাহাড় মানুষের মতো করে দাঁড়িয়ে পড়ে। এটাই সেই ট্রল।
তারপর সেই দেশের সরকার মিলিটারি বাহিনীকে হুকুম দেয় জঙ্গলে গিয়ে সেই ট্রলকে যেভাবেই হোক গোলাবারুদের মাধ্যমে মেরে ফেলতে। সরকারের কথামতো মিলিটারি বাহিনী জঙ্গলে যায় সব ধরনের গোলাবারুদ সঙ্গে নিয়ে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা ট্রলকে দেখতে পায়।
তারপর তারা হামলা শুরু করে কিন্তু কোন ভাবেই ট্রল কে তারা হারাতে পারছিল না। সব ধরনের গোলাবারুদ ট্রলের উপর প্রয়োগ করার পরেও ট্রলের কোন ক্ষতিই হচ্ছিল না। তারপর মিলিটারী বাহিনীর কমান্ডার ফায়ারিং থামাতে বলে। ঠিক তখনই নরার বাবা ট্রলের সামনে গিয়ে ট্রল কে শান্ত করে কিন্তু কেউ একজন ভুলবশত ট্রলকে রাগিয়ে দেয়ার কারণে ট্রল আবার উত্তেজিত হয়, আর এখানেই নরার বাবা মৃত্যুবরণ করে। অনেকদিন পর সে বাবাকে পেয়েছিল বাবাকে পেয়ে এত তাড়াতাড়ি হারানোর কারণে সে অনেক বেশি কষ্ট পায়।
তারপর ট্রল একদিন শহরের দিকে চলে আসে তখন সেখানে সবাই অনেক ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে তার কিছুক্ষণ পরেই মিলিটারি বাহিনীর হেলিকপ্টার কিছু ঘন্টা নিয়ে ট্রলের কাছে চলে আসে ঘন্টাগুলো বাচতেই ট্রল কিছুটা কাবু হয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সে আরো রেগে গিয়ে হেলিকপ্টার গুলোকে ধ্বংস করতে থাকে। তাই মিলিটারি বাহিনী এবারও ফেল হয়ে চলে যায়।
তারপর তারা অনেক রিসার্চ করে এটা জানতে পারে যে ট্রল আসলে মানুষকে মারার জন্য শহরের দিকে আসছে না। শহরের কোন এক জায়গায় তার পুরনো বাড়ি ছিল সেই বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্যই সে শহরের এদিক আসছে। রিসার্চ করার পর এও জানতে পারে ট্রলকে মারার শুধু একটাই উপায় আছে, ট্রলকে যদি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে নিয়ে আসা হয় তাহলেই সে মরে যাবে। এবার তারা ট্রলকে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করবে।
তারপর ট্রল যখন শহরের মাঝে আসে তখন মিলিটারি বাহিনী এবং নরা মিলে কৃত্রিম সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করে তারা সঠিকভাবে ট্রল কে সেই আলোর মাঝে আনতেও সক্ষম হয়। তারপর যখন সেই কৃত্রিম সূর্যের আলো জ্বালিয়ে দেয়া হয় তখন আস্তে আস্তে ট্রল ধ্বংস হতে থাকে। কিন্তু নরা কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আলো গুলো নিভিয়ে ট্রল কে বুঝাতে থাকে তাকে এখান থেকে যেতে হবে। ট্রলও নরার কথা বুঝতে পারে, সে হয়তো এখান থেকে যাওয়ার জন্য রাজী ও হয়েছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঠিক তখনই সূর্যোদয় হয় আর সূর্যের রশ্মি ট্রলের গায়ে পড়ে। সূর্যের রশ্মি ট্রলের গায়ে পড়ার সাথে সাথেই সে ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে নুয়ে পড়ে। আর এখানেই মুভিটি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু মুভির শেষের একটি সিন দেখে আমাদের বুঝানো হয় যে শুধু একটি ট্রল এই পৃথিবীতে নেই পাহাড়ের ভিতর হয়তো আরো কিছু ট্রল জীবিত রয়েছে।
যারা একটু অলৌকিক মুভি পছন্দ করেন তাদের জন্য একটি সত্যি অসাধারণ একটি মুভি হবে বলে আমি মনে করি। এই মুভিটির কাহিনী আমার কাছে এক কথায় অসাধারণ লেগেছে। আপনারা যারা এই মুভিটি এখনো দেখেননি তারা অবশ্যই দেখবেন। যে কোন মুভি ডাউনলোড ওয়েবসাইটে এই মুভিটি আপনারা হিন্দি ডাবড এও খুব সহজেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
• ৫.৮/১০ |
---|
অভিনয় | ৮.৫/১০ |
---|---|
কাহিনী | ৯/১০ |
সব মিলিয়ে | ৯.৫/১০ |
YouTube |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter Link