"The Spacewalker" হলিউড মুভি রিভিউ
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমরা যখন আকাশের দিকে তাকাই তখন আমাদের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে আমাদের এই মহাবিশ্ব কতটা এলাকা জুড়ে প্রশস্ত, আর কত কিছুই বা আছে এই মহাবিশ্বের ভেতর। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের মনে এই প্রশ্নগুলো বিরাজ করছে। সাইন্সের শক্তিতে এখন আমরা এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি, মহাবিশ্ব এতটাই বড় যে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমরা এ যাবৎ যে সকল তথ্য জানতে পেরেছি তা নিতান্তই ক্ষুদ্র।
তবুও আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীগণ মহাবিশ্ব নিয়ে রিসার্চ করে চলেছে এবং দিন দিন নতুন সব তথ্য আমাদের সামনে নিয়ে। আর আমরাও সেই তথ্যগুলো জানতে শুনতে ভীষণ পছন্দ করি, কারণ এই মহাবিশ্ব নিয়ে আমাদের সকলেরই কিউরিসিটি অনেক অনেক বেশি।
আর এ পর্যন্ত এই মহাবিশ্ব নিয়ে হলিউড আমাদের বিভিন্ন রকম মুভি উপহার দিয়ে গিয়েছে সেই মুভি গুলো দেখতে সকলেই ভীষণ পছন্দ করে। আজ আমি আপনাদের মাঝে ঠিক তেমনি একটি মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম যে মুভিটিতে আপনারা মহাবিশ্ব নিয়ে মানুষ জাতির অ্যাচিভমেন্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই মুভিটির নাম হল "The Spacewalker"। তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরি না করে মুভিটি রিভিউ দেখে আসা যাক।
"The Spacewalker"
| সিনেমা | "The Spacewalker" (২০১৭) |
|---|---|
| পরিচালক | ডীমেট্রী কিসিলেভ |
| রচয়িতা | সার্যে কলুভানোফ |
| প্রডিউসড বাই | সার্যে আগেভ |
| অভিনয়ে | ইভগিন মিরনভ, কনস্যমটিন খাবেনসকি, ভিলাদিমির লিন, এনাটলি কতিন্যভ, |
| মিউজিক | সালভাদর কেসাইস |
| সময় | ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট |
| মুভি রিলিজের তারিখ | ০৬ এপ্রিল, ২০১৭ |
 |
|---|
মহাকাশে কারা আগে যাবে এই প্রতিযোগিতায় অনেক আগে থেকেই আমেরিকা এবং রাশিয়া লেগেই আছে। আপনারা এই মুভিতে রাশিয়ার প্রথম মহাকাশ যাত্রার কাহিনী দেখতে পারবেন। কিভাবে তারা মহাকাশে প্রথম স্পেসওয়াক করেছে সেটাও এই মুভিতে দেখতে পারবেন।
 |
|---|
 |
|---|
রাশিয়া যেন আমেরিকার আগেই মহাকাশে যেতে পারে তারা এই প্রচেষ্টা খুব জোরদারভাবে চালাচ্ছিল। মহাকাশে যাওয়ার জন্য তারা দুজন কসমোনোট বেছে নেয় যারা ছিল রাশিয়ান এয়ার ফোর্সের অফিসার্স। একজনের নাম ছিল অ্যালেক্সি এবং অন্যজনের নাম ছিল পাভেল।
তারা দুজনেই রাশিয়ান এয়ার ফোর্সের খুবই দক্ষ পাইলট ছিল তাই তাদের মহাকাশে যাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় এবং তাদের মহাকাশের টিকে থাকার জন্য ভালোভাবে ট্রেইন করা হয়। মাঝে পাভেল একবার পায়ে আঘাত পায় তাই তাকে মহাকাশে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় কিন্তু পরে সে সুস্থ হয় এবং আবার পারমিশন পায় মহাকাশে যাওয়ার। এতে আলেক্সি ভীষণ খুশি হয় কারণ পাভেল আলেক্সির খুবই প্রিয় একজন লোক ছিল।
 |
|---|
দেখতে দেখতেই পাভেল এবং আলেক্সি তাদের ট্রেনিং সম্পন্ন করে ফেলে । তারপর তাদের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে একটি বিদায় শ্রীমনির আয়োজন করা হয়। সেখানে তাদের দুজন এবং তাদের পরিবারকে সাথে নিয়ে ফটোশুট করা হয়।
 |
|---|
তারপর সেই দিন চলে আসে যখন আলেক্সি এবং পাভেলকে রকেটে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে। মিশন কন্ট্রোল রুম এবং তাদের দুজনের দক্ষতা মাধ্যমে তারা সঠিকভাবে রকেট লঞ্চ করতে সক্ষম হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা মহাকাশে পৌঁছে যায়। তারপর এক এক করে তাদের রকেট থেকে বাকি বুস্টারগুলো আলাদা হয়ে যায়। এখন শুধু তাদের মডিউলটি মহাকাশে ঘুরছে। এই মডিউলে করেই তারা পৃথিবীতে আবারো ফিরে আসবে।
 |
|---|
 |
|---|
এবার সেই সময় আসে যখন আলেক্সজিকে মডিউলার বাইরে গিয়ে স্পেস ওয়াক করতে হবে এটাই তাদের মুখ্য মিশন। আলেক্সি কিছুক্ষণের মধ্যে মডেল থেকে বের হয়ে স্পেস ওয়ার্ক করে তাদের মিশন সাকসেসফুল করে এবং সে সেখান থেকে পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।
তারপর দুর্ভাগ্যবশত কিছুক্ষণের মধ্যেই আলেকজির স্পেস শুটের মধ্যে গরমিল শুরু হয়ে যায়, তার স্পেস শুট ফুলতে থাকে ফলে সে তার হাত-পা ঠিক মতো নাড়াতে পারছিল না সে যে মডিউলের সাথে বাধা দরিটি ধরে মডিউলে ঢুকবে সেটারও কোন উপায় সে খুঁজে পাচ্ছিল না। এদিকে মিশন কন্ট্রোল রুমের সাথে সে কথা বলাও ছেড়ে দিয়েছিল ফলে তারা ভেবে নিয়েছিল আলেক্সি সম্ভবত আর নেই। এটা আসলে সে করেছিল মিশন কন্ট্রোল রুম যেন ভয় না পেয়ে যায়। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আলেক্সি অনেক কষ্টে সেই দড়িটি ধরে মডিউলের ভিতর প্রবেশ করে।
 |
|---|
মিশন কমপ্লিট করে অনেক কষ্টে পর আলেক্সি মডিউল এর ভিতর ঢুকতে সক্ষম হয় । তারপর তারা ডেট জনের ভিতর চলে আসে, দেড় জন এমন একটি জন যেখান থেকে পৃথিবীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কন্ট্রোল রুম থেকে তাদের ল্যান্ডিংয়ের পারমিশন দিতে পারে না তাই তাদের মডিউলের ভিতরেই অপেক্ষা করতে হয় পরবর্তী আদেশের জন্য।
শুধু এটাই নয় এর মধ্যেই তাদেরকে আরো কিছু বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। যে বিপদগুলোকে তারা ভালোভাবেই কাটিয়ে ওঠে। এগুলো আপনারা মুভিতেই দেখতে পারবেন।
 |
|---|
 |
|---|
কন্ট্রোল রুমের ত্রুটির কারণে তারা পৃথিবীর থেকে ঠিক সময়ে বের হতে পারেনি তাই তাদের ল্যান্ডিং লোকেশন একদমই ভুল হয়ে যায়। তারা ঠিকঠাক ভাবে পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারলেও তারা পৃথিবীর দুর্গম একটি স্থানে ল্যান্ড করে যে এলাকাটি পুরোটাই বরফ দিয়ে আবৃত। সেখান থেকে তারা না দিতে পারছে কোন সিগনাল না পারছে কারো কাছে কোন সাহায্য নিতে।
কন্ট্রোল রুম তাদের কাছ থেকে অনেকক্ষণ সিগনাল নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কোনভাবেই তাদের কোন হুদিস পাওয়া যায় না। তাই তারা ভাবে কসমোনট দুজন হয়তো ল্যান্ডিংয়ের পর আর বেঁচে নেই। তাই তারা তাদের নিউজ চ্যানেলগুলোতে তাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দেয়।
 |
|---|
তারপর কন্ট্রোল রুম একজন লোকাল রেডিও অপারেটরের কাছ থেকে কিছু রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কোঅর্ডিনেট পায় এবং সেই লোকেশন অনুযায়ী তারা তাদের এয়ার ফোর্সকে পাঠিয়ে দেয়। এয়ারফোর্স তাদের দুজনকে অনেকক্ষণ খোঁজার পরেও কোন সিগনাল না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঠিক তখনই আকাশে একটি ফ্লায়ার দেখতে পাওয়া যায়। তারপর সেই ফ্ল্যাট দেখে এয়ার ফোর্স দুজন কসমোনোটকেই সেখান থেকে উদ্ধার করে।
 |
|---|
তারপর আলেক্সি এবং পাভেলকে মস্কোতে ফিরিয়ে আনা হয়, তারপর তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্বর্ধনা দেয়া হয় এত বড় একটি মিশন কমপ্লিট করে রাশিয়ার নাম পুরো বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য। আর এখানেই এই মুভিটি শেষ হয়ে যায়।
অন্যান্য স্পেস রিলেটেড মুভি গুলোর মত এই মুভিতে খুব একটা চমকপ্রদক সিন না থাকলেও এই মুভিটি আমার কাছে মোটামুটি ভালই লেগেছে। যারা স্পেস রিলেটেড মুভি গুলো দেখতে পছন্দ করেন তারা এই মুভিটি অবশ্যই দেখবেন আশা করছি আপনাদের কাছেও এই মুভিটি ভালো লাগবে।
| • ৭.২/১০ |
|---|
| অভিনয় | ৮.৫/১০ |
|---|---|
| কাহিনী | ৮/১০ |
| সব মিলিয়ে | ৮/১০ |
| YouTube |
|---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
TWITTER LINK
মুভিটি মনে হয় একটু দেখেছিলাম, তাও অনেক আগে। তবে পুরো মুভিটা দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে মুভিটি আবার দেখা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
অবশ্যই দেখা উচিত যদি আপনি স্পেস রিলেটেড মুভির ভক্ত হয়ে থাকেন। এটা সত্যি দারুন একটি মুভি।
খুব শীঘ্রই দেখে নেব ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে সাজেস্ট করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই মুভি কখনো দেখা হয়নি তবে আপনার মুভি রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। মুভির কাহিনি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই ধরনের মুভি দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদি সময় পাই তাহলে একবার দেখে নেব।ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
সময় পেলে অবশ্যই এই মুভিটি দেখবেন আপু, যেকোন মুভি ডাউনলোড ওয়েবসাইটে এই মুভিটি হিন্দি ডাবডও পেয়ে যাবেন।
হ্যা এই মুভিটি আমি দেখেছি তবে বেশ কয়েকবছর আগে। তবে কাহিনী পরে মনে পরলো দেখেছি এটা। কাহিনী বেশ দুঃসাহসিক অভিযানের। সবমিলিয়ে চমৎকার গুছিয়ে উপস্থাপন করেছো। ধন্যবাদ চমৎকার রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য।
আমার কাছে এই মুভিটি বেশি ভালো লেগেছে এটা সত্য ঘটনার উপর নির্মিত বলে।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে হলিউড মুভি রিভিউ করেছেন। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আসলে আগে এই ধরনের অনেক মুভি দেখতাম। এখন সময়ের কারণে আর দেখা হয় না। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সময় পেলে নিশ্চয় দেখে নেব। এত সুন্দর মুভি রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সময় পেলে এই মুভিটি অবশ্যই দেখবেন ভাই আশা করছি আপনার কাছে খুবই ভালো লাগবে।
আপনার মুভি রিভিওগুলো আগেও পড়েছি। বেশ ভালো লেখেন আপনি। বিশেষে করে সাই ফাই মুভিগুলো সম্ভবত আপনার প্রিয়। আজকের কাহিনীটাও বেশ ভালো লাগলো। শুধু একটাই সমস্যা এমন রিভউ পড়ার পর আর ছবি দেখেতে ইচ্ছে করেনা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমি মুভি রিভিউ এর পাশাপাশি মুভি স্পয়েল করছি ভাইয়া। আর আমি তো পুরোপুরি কাহিনী তুলে ধরিনি চমকপ্রদক সিনগুলোর কথা আমার রিভিউতে লিখাই নেই। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।