THE CITY PALACE রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
অনেক দিন পর রংপুর এর বাসায় যাই কিছু কাজে, কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার আমার রংপুরের বাসার সবাই গ্রামের বাসায় এসে রয়েছে। তাই খাওয়া-দাওয়ার খুব সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। আমি আবার রান্নাবান্না করতে পারি তবে ভাবলাম যেহেতু কাজে এসেছি রান্নাবান্নার চাপ নিলে কাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই কি করবো ভাবছিলাম, তারপর অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর ঠিক করলাম বাহিরে কোথাও খেতে যাব।
রংপুরে আমি বেশ সকাল সকাল এই গিয়েছিলাম তাই তাড়াতাড়ি সেখানে সব কাজ শেষ করে নেই। আর সেদিন বেশ গরম পড়েছিল তাই কাজ শেষ করে সোজা বাসায় যাই একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য। ফিরে শুতে যাওয়ার আগেই ছোট ভাই নোহানকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলাম। সে আমায় বলল তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বের হও আমি তোমার বাসার দিকে এগোচ্ছি। তাই আমি দেরি না করে স্নান করতে ঢুকলো বললাম।
স্নান করে বেরিয়েই দেখি ফোনে নোহান ২-৪ বার ফোন দিয়েছে। তাকে ফোন দিতে এসে বলল সে আমার বাসার নিচে এসে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর তাকে উপরে ডাকলাম কারন আমার রেডি হতে একটু বেশি সময় লাগে। সে বসে থাকতে থাকতেই আমি রেডি হয়ে নিলাম। তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় দুপুরের খাবার খেলে ভালো হয়। সে বলল বাসার কাছেই একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে সেখানের খাবারের মান বেশ ভালোই। তাই ঠিক করলাম আমরা সেখানেই খেতে যাব।
এটা হচ্ছে রংপুরের জি এল রায় রোড, যেখানে সেই নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। এখানে আগে অন্য একটি রেস্টুরেন্ট ছিল তাদের খাবারের মান বেশ ভালই ছিল। আর রেস্টুরেন্টের ভেতরের ডেকোরেশন এর কথাতো না বললেই নয়।
সেই সকাল বেলা খেয়েছিলাম তাই আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিল। আর আমার ছোট ভাইয়েরও প্রচুর খুদা লেগেছিল তাই আমরা বাহিরে আর বেশিক্ষণ দেরী না করে রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। সেদিন শুক্রবার ছিল তাই তাদের রেস্টুরেন্ট এর ভেতর বেশি লোকজন ছিল না। এটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো ছবি তুলে মজা পাওয়া যাবে হি হি হি।
তারপর সেখানের ওয়েটারকে ডাক দিয়ে মেনু কার্ড দিতে বললাম। মেনু কার্ড দেখে বেশ ভালই লাগলো, মেনু কার দে প্রচুর খাবারের আইটেম ছিলো। তারপর খাবারের দাম এর দিকে তাকালাম সেখানের খাবারের দামও হাতের বেশ নাগালে ছিল। সব মিলিয়ে খুশি হয়ে গেলাম।
তারপর আমি কিছুক্ষণ মেনু ঘাটাঘাটি করার পর ঠিক করলাম ক্রিসপি চিকেন রাইস খাব যার দাম ছিল মাত্র ১৫০ টাকা, আর সাথে কোক অর্ডার করেছিলাম। কোকের দাম নিয়েছিল ২০ টাকা করে।
এবার আসি তাদের রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন এর কথায়। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন সত্যি বলতে আমার কাছে ভীষণ ভাল লেগেছিল। সবথেকে ভালো লেগেছিল তাদের পিকচার জোন। এই ধরনের পিকচার জোন গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
রেস্টুরেন্ট এর ভেতরটা কাঠ এবং বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিল যা সত্যিই আমার কাছে ভীষণ ভাল লেগেছিল। একদম পরিপাটি একটা পরিবেশ। সবথেকে ভালো ব্যাপার তাদের ওখানে সাউন্ড বক্সে মৃদু আওয়াজে গান ছেড়ে দেওয়া ছিল সেই গান শুনতে শুনতে সেখানে বসে থাকতে বেশ ভালই লাগছিল।
দীর্ঘ ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর তারা আমাদের খাবার নিয়ে এসেছিল। খাবার নিয়ে আসতে দেখে আমি যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম কারণ আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগে ছিল। খাবার চলে আসার পর বেশিক্ষণ দেরী করলাম না, দুই ধরনের চামচ হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
তাদের খাবারের মান আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। ফ্রাইড রাইসটি মোটামুটি ভালো ছিল তবে ফ্রাইড রাইস এর সাথে বাকি যে আইটেম গুলো ছিল সেগুলো খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। বিশেষ করে তাদের স্যালাডটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল কারণ স্যালাডে মেয়োনিজ দেয়া ছিল। মেয়োনিজ খেতে আবার আমি খুব বেশি পছন্দ করি।
তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওয়েটারকে বললাম আমাদের বিল নিয়ে আসতে। আমাদের বিল এসেছিল মাত্র ৩৪০ টাকা, ভালোই পেটভরে খেয়ে ছিলাম সে তুলনায় বিলটি সত্যিই অনেক কম এসে ছিল।
সবমিলিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে ছোট ভাইসহ দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছি। এই ধরনের রেষ্টুরেন্টগুলোতে খাবার দিতে একটু দেরি করে, তেমন আমাদের খাবার নিয়ে আসতেও তারা অনেক দেরি করেছিল কিন্তু সেখানে বসে থাকতে আমরা একটুও বিরক্ত হচ্ছিলাম না কারণ সেখানের পরিবেশটা আসলেই ভাল লাগার মত ছিল।
তাহলে আজ এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আবারও দেখা হবে আমার অন্য কোনো এক নতুন পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রেস্টুরেন্টে খুব অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাই সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে। এত অসাধারণ মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
দারুন তো রেস্তোরাটা 😍
বেশ চমৎকার গোছানো সুন্দর পরিবেশ যাকে বলে। রংপুর এলে যাবো ইনশাল্লাহ 🤗
তুমি তো সব দারুন জায়গা দেখিয়ে আমাকে ব্যাকুল করছো যাবার জন্য ☺️
বেশ ভালো ছিল পুরো পোস্ট।
দোয়া সবসময়ই রয়েছে 🥀
ভাইয়া দেরি কেন করছেন আজই চলে আসুন রংপুর। 😁
এর থেকেও আরো অনেক ভালো ভালো জায়গা আছে অবশ্যই ভবিষ্যতে দেখানোর চেষ্টা করব। 🥰
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রংপুরে কাজে গেলে সিটি প্যালেসের সামনে দিয়ে সবসময় যাওয়া আসা করি। কিন্তু কখনো সেখানে খাওয়া হয়নি এখন দেখে মনে হলো অনেক বড় মিস করেছি। একদম ঠিক বলেছ খাবারের মান হিসাবে বিলটা কমই মনে হচ্ছে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও আমার কাছে খুব ভালো মনে হলো। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ মামা খাবারের মান হিসেবে খাবারের দামটা আমার কাছেও অনেক কম লেগেছে। এরপর অবশ্যই রেস্টুরেন্টে যাবা আশা করি তোমার কাছেও ভালো লাগবে।
https://twitter.com/mahir4221/status/1536367083008577548?t=-WnT_q4iJUSufyMsn01z2A&s=19
THE CITY PALACE রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্ত গুলো ভালো ছিল ,সাথে আপনার ছবিগুলো ।রেস্টুরেন্টে আলো সজ্জা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ,সব কিছু কাঠের তৈরি ছিল দেখে বোঝা যায়,এটি আমার রংপুরের । ঠিক আমারো ক্ষিদে পেলে আমার সহ্য হয় না অপেক্ষা , আর অপেক্ষা নাম বস্তুটা আমার কাছে বিরক্তি লাগে। শুভেচ্ছা রইল
আসলেই রেস্টুরেন্টটি অনেক সুন্দর আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে সেই রেস্টুরেন্টের পরিবেশ। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
আমি রেস্টুরেন্টে সময় কাটাতে পছন্দ করিনা। যে কয়বার রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছি তখনই মনে হয়েছিল আমি আজ এ জায়গায় অবস্থান করতেছি কিন্তু অনেক হতদরিদ্র মানুষ সামান্য পরিমাণ টাকা পাচ্ছে না, যা পেটের ক্ষুধা নিবৃত্ত হবে। কেমন জানি বিবেকে বাধা দেয় তাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারি না এ বিষয়ে।
আসলেই ভাই এই বিষয়গুলো চিন্তা করলে খুবই খারাপ লাগে। তাই সবসময় চেষ্টা করি যেভাবেই হোক মানুষের পাশে থাকার। ভালো লাগলো আপনার মতামত টি দেখে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং সেইসাথে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া সেই রেস্টুরেন্টের অনেক সুন্দর একটিসময় অতিবাহিত করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
সিটি পেলেস রেস্টুরেন্ট এ ছোট ভাইয়ের সাথে ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখলাম। রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের পরিবেশও বেশ সুন্দর। গুছিয়ে লিখেছেন সব কিছু। ভাল ছিল। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।