শীতের সকালে খেজুর রস খেতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
======================================
কাল রাত থেকে ছোট খালাতোভাই রা সহ প্লান করেছিলাম আজ ভোর বেলা উঠবো, উঠে যাবো খেজুর রস খেতে। আমাদের বাসার খুব কাছেই এক জায়গায় কয়েকটি গাছে রস করা হয়। তো প্লান অনুযায়ী আমরা সকাল সকাল উঠে ফ্রেস হই। ফ্রেশ হয়ে বের হই খেজুর রস খাওয়ার উদ্যেশ্যে।
আজ অনেক দিন পর ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেছি। ভোর বেলা উঠে ভালই লাগছিলো। ভোর বেলার পরিবেশ টা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর। চারিদিকে হাল্কা কুয়াশা ছিল, ভেবেছিলাম অনেক বেশি কুয়াশা দেখতে পারবো। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছিলো।
আমাদের বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম, ভেবেছিলাম রাস্তা একদমই জনমানবশূন্য হবে। কিন্তু না রাস্তায় অনেক লোক ছিলো। সবাই সবার কাজের উদ্দেশ্য ছুটছিল। আর আমার বাসার কাছেই ট্রেন স্টেশন কিছু মানুষ ছুটছিল স্টেশন এর উদ্যেশ্যে। এই সময়ই ইন্টার সিটি ট্রেন আসে আর এসে আবার রংপুর যায়। রংপুর গামি লোক গুলো এই সময় ট্রেনই ব্যাবহার করে। তাই রাস্তায় লোকজন দেখতে পেয়েছিলাম।
এগোতে এগোতে আরো অনেক মানুষ দেখলাম তারা বের হয়েছিলো সকালে হাটতে। তার মধ্যে অনেক চেনা মানুষের সাথেও দেখা হয়ে গিয়েছিল। সবাই একই প্রশ্ন করছিল এত্ত সকালে কোথায় যাচ্ছি। সবাই মনে হয় একটি অবাকই হয়েছে আজ আমাকে এত সমালে দেখে, হাহাহ। এত সকালে আমি খুব কমই উঠি।
- |
---|
আমার বাসা থেকে ২ মিনিট হাটার পরেই ট্রেন লাইন গুলো দেখা যায়। ট্রেন লাইনে উঠেই দেখি ট্রেন দারিয়ে আছে। অনেক লোক ঢাকা থেকে আসলো। আবার অনেক লোক রংপুর যাওয়ার উদ্যেশ্যে ট্রেন থেকে নামছে।
সেখানে কিছুক্ষণ দারিয়ে ছোট ভাই রা সহ গল্প করি। তার পর আবার আমরা সেই মজাদার খেজুর রসের উদ্যেশ্যে রওনা হই।
আমাদের এলাকার আশে পাশে ধানি জমিও আছে। যাওয়ার সময় তেমনি একটা জমি পরে। যেখানে কেবলই কিছু ধানের বীজ রোপণ করে হয়েছে। কেবল অঙ্কুরিত গাছ গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগছিলো, প্রত্যেকটি পাতায় কুয়াশার ফোটা লেগে ছিলো যা পাতা গুলো কে আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছিলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যাই আমাদের গন্তব্য স্থল। এতো সকালে উঠে যে সেখানে গিয়ে হতাশ হতে হবে তা আগে ভাবি নি। সেখানে গয়ে দেখি রস ওয়ালা গাছি ভাই আমরা আসার আগেই রস নামিয়ে অন্যান্য যায়গায় বিক্রি করতে চলে গিয়েছে। শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। যাই হউক কি আর করার। আমরা আসতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। তাই দেরি না করে আবার সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। যা বুঝলাম এর পরের দিন একটু তারা তারি বের হতে হবে। এর পরের দিনের অভিজ্ঞতাও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সে অব্দি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।
ছবি গুলো তোলার মাধ্যম | Realme 8 5g |
---|---|
ছবি তুলেছে | মাহির শাহরিয়ার ইভান (@mahir4221) |
জায়গার নাম | কুড়িগ্রাম |
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://twitter.com/mahir4221/status/1481451180597592067?t=qSjLT65P2m7U6bIhGUp-Ag&s=19
শীতের সকালে খেজুর রস খেতে গিয়ে অনেক সুন্দর করে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। খেজুর রস খেতে আমার ও ভিশন ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
দুঃখজনক ব্যাপার হল খেজুর রস খেতে পারি নি ভাইয়া। যেতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো।
পুরোটা পড়ে আমার দুঃখ হচ্ছে আবার হাসিও পাচ্ছে। এত কষ্ট করে সকালে উঠে এতদূর গিয়ে সেই কাজের কাজই হলো না। আসলেই এটা দুঃখের একটি বিষয়। এই বছরে আমি একবার খেয়েছি খেজুর রস। যাইহোক অন্যদিন পথে বেশি সময় অতিবাহিত না করে সঠিক সময় যাবেন। তাহলে হয়ত অপূর্ণ ইচ্ছাটা পূরণ হবে।
হাহাহা আমারাও এখন হাসি পাচ্ছে ভাইয়া। যাই হউক খেজুর রস খেতে না পারি সকালে হাটতে ভালোই লেগেছে। এর পরের দিন খাবো ইনশাআল্লাহ।
শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে গিয়ে অনেক মজা করতে পেরেছেন। রেললাইনের উপর দিয়ে ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য চলে এসেছিন। সত্যিই খেজুরের রস খেতে খুবই মজা লাগে। তেমনি আমার রেল লাইনের উপরে হাঁটতে ভালো লাগে। আপনাদের বাড়ির পাশেই তোর রেললাইন আছে। সেটা জেনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। কার রেল লাইনের উপরে হাঁটতে সময় কাটাতে আমার ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার মুল্যবান মতামত এর জন্য।
দারুণ অভিজ্ঞতা। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি কিন্তু ভোরে উঠতে পারছি না। টাটকা খেজুরের রস খেতে মন চায় কিন্তু নিপাহ ভাইরাসের কথা মনে পড়লে আর খেতে মন চায় না। খেজুর গাছে ওঠার পদ্ধতি দারুন লেগেছে। সুন্দর মইয়ের মত। এমনটা এর আগে দেখিনি কোথাও। যাই হোক সব মিলিয়ে ঠিকঠাক সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ।
ভাইয়া এখন খেজুর রসের হাড়ি গুলোতে চুন দেয়া হয় তাই বাদুড় বসে না হাড়ি তে। তাই নিপাভাইরাস এর ভয় নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।
শীতের সকালে খেজুরের রস খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার খুব পছন্দ এটি । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগছে ভাইয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনিও দেখছি একই পথের পথিক সকালে উঠতে পারেন না😁।আপনার আজকের খেজুরের রস খাওয়ার অভিজ্ঞতা টি কিন্তু দারুন ছিলো।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
হাহা আসলে অনেক রাতে ঘুমাই তো তাই আরকি হাহাহা। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।