খুব সহজেই ডিম খিচুড়ি রান্নার রেসিপি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আজ শুক্রবার
১৩ই কার্তিক
১৪২৮ বঙ্গাব্দ,
২৯,অক্টোবর-২০২১
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে এবং আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদ এ অনেক ভালো আছি।
কাল বন্ধুর বাসা ফাঁকা থাকায় তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করলাম বন্ধুর বাসায় থাকব। রাতের খাওয়া-দাওয়া বাহিরে সেরে বন্ধুর বাড়িতে চলে আসি। সেখানে সে তিন জন অনেক আড্ডা দেই। ঠিক রাত তিনটের দিকে সবার এই ক্ষুধা লেগে গেল। তাই ঠিক করলাম খিচুড়ি রান্না করে খাব। ডিম খিচুড়ি, ভীষণ মজার একটি খিচুড়ি খুব সহজেই যে কেউ এই খিচুড়ি রান্না করে ফেলতে পারবে। যারা রান্নায় খুব একটা দক্ষ নয় তাদের জন্য এটি খুবই সহজ একটি রেসিপি। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক ।।।
ছবিটি PICSART দিয়ে এডিট করা
খিচুড়ি রান্নার উপকরন সমুহ
১. চাল (লোক সংখ্যা অনুযায়ী)
২. মুসুর ডাল ( ১কেজি চালে ১ পোয়া ডাল)
৩. ডিম (১ কেজি চালে ৪টি ডিম)
৪. কাচা মরিচ (পরিমাণ মত)
৫. শুকনো মরিচের গুঁড়ো (পরিমাণ মত)
৬. হলুদের গুঁড়ো (পরিমাণ মত)
৭. ধনিয়ার গুঁড়ো (পরিমাণ মত)
৮. জিড়া গুঁড়ো (পরিমাণ মত)
৯. দারচিনি
১০. লং
১১. ছোট এলাচি / বড় এলাচি
১২. আদা বাটা (পরিমাণ মত)
১৩. লবন (সাধ অনুযায়ী )
১৪. পেঁয়াজ (পরিমাণ মত)
১৫ . রসুন (পরিমাণ মত)
১৬. পাচফোড়ন (পরিমাণ মত)
১৭. আলু
খিচুড়ি রান্না প্রক্তিয়া
প্রথমে চাল এবং ডাল একসাথে একটি পাত্রে নেই। পাত্রে নিয়ে চাল এবং ডালগুলোকে সুন্দর ভাবে ধুয়ে ফেলি। ধোয়া শেষে ভালোভাবে পানিগুলো ফেলে দেই।
তারপর আলু গুলোকে বর্গাকার আকৃতিতে কেটে নেই। কেটে নেয়ার পরে আলু গুলোকে একদম পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলি।
তারপর নিজের স্বাদ অনুযায়ী মরিচ নেই মরিচগুলো কে মাঝখান দিয়ে কেটে নিতে হবে। তারপর পেয়াজ গুলোকেও কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। একইভাবে রসুন গুলোকেও কুচি কুচি করে কেটে নেই। তারপর কয়েকটা তেজপাতা নিতে হবে তেজপাতা গুলোকে মাঝখান থেকে চিরে নিতে হবে। তারপর সবগুলোকেই ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তারপর মরিচ পেঁয়াজ রসুন এবং তেজপাতা গুলোকে চাল এবং ডালের পাত্রে ঢালী।
তারপর সব মশলা গুলোকে একে একে দেই। খেয়াল রাখতে হবে কোন মসলা বা লবণ যেন বেশি না পরে।
তারপর সেখানে আপনার চালের পরিমাণে ডিম এবং তেল যুক্ত করি।
সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে যুক্ত করার পর মিশনগুলোকে ভালোভাবে মেখে নেই।
মাখামাখি শেষ করে মিশ্রন গুলোকে কিছুক্ষণ ভাপিয়ে নিতে হবে। মিশ্রন গুলোকে ভাবাতে দিয়ে গরম পানি অন্য একটি চুলায় উঠিয়ে দিবেন। যতক্ষণ পানি গরম হয় নি ততক্ষণ মিশ্রনগুলোকে ভাপিয়ে নিবেন। কিছুক্ষণ পর পর সেগুলোকে নাড়িয়ে দিতে হবে।
তারপর পানি ভালোভাবে গরম হলে রাইস কুকার বা পাতিল যেখানে রান্না করুন সেখানে ঢালতে হবে। প্রথমে খুব বেশি পানি দিয়ে দেবেন না, প্রথমে একটু পানি দেবেন পরে আরো পানি লাগলে দেয়া যাবে।
পানি ঢালার ১০-১৫ মিনিট পর যখন পানিগুলো ফুটতে শুরু করবে তখন ভালোভাবে সেগুলোকে নাড়তে হবে।
নারা শেষে আপনার যদি মনে হয় খিচুড়ি পাতলা করবেন তাহলে আর একটু পানি যুক্ত করতে পারেন। শক্ত খিচুড়ি রান্না করলে পানি দেয়ার দরকার নেই।
এভাবে ৩০-৪০ মিনিটে রান্না করে ফেলুন মজাদার ডিম খিচুড়ি। এই খিচুড়ি টি সত্যি খেতে অসাধারণ খুব সহজেই এই খিচুড়ি যে কেউ রান্না করে ফেলতে পারে। খেতেও বেশ সুস্বাদু।
আমার পোষ্টে আসার জন্য আপনাদের সকলকে মনের অন্তরস্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আমার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এটি আমার প্রথম রেসিপি পোষ্ট কোন ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমি একজন ব্লগার। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার অনেক ভালো লাগে। ছবি তুলতে, খেতে এবং ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সব থেলে বড় শখ ছবি তোলা।
YouTube |
---|
ডিম খিচুড়ি মানেই মনের ভিতর উত্তেজনা কাজ করে এবং খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপনা করেছেন । আপনি উপস্থাপনা করেছেন এবং সত্যিই অনেক ভাল ছিল এবং আপনারা পরিবেশনা অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
কাল রাত ৩ টায় রান্না করেছি ভাইয়া। এক ফ্রেন্ড এর বাসায় হাহা আসলেই অনেক মজার হয়েছিলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম খিচুড়ি সুন্দর একটা রেসিপি। বৃষ্টির দিন গরম গরম খিচুড়ি সাথে বেগুন ভর্তা এবং ডিম ভাজি রাজকীয় একটা খাবারের মতো। খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
জি ভাইয়া একের কথা বলেছেন বৃষ্টির দিনে খাবার সত্যিই রাজকীয় লাগে। আমার কাছেও ভীষণ পছন্দের।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া রাতের বেলা ডিম খিচুড়ি দেখে তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এমনিতেই ডিম খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দের। আপনার রেসিপিটি ও খুবই চমৎকার হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সামনে। ধন্যবাদ আপনাকে ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
হাহা আপু দাওয়াত নেন। আসলেই খেতে অনেক মজার হয়েছিল আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মুল্যবান মতামত এর জন্য।
ডিম খিচুড়ি রান্নার রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল। আর স্বল্প খরচে এরকম রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া খরচ অনেক কম লাগে আর যে কেউ এটা বানাতে পারবে। আর খেতেও বেশ মজার।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।
ডিম দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা যায় এটা আঝেই শুনলাম। ভাইয়া অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটা।তবে প্রতিটা ধাপ দেখে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক টেস্টটি হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ডিম খিচুড়ি অনেক সুন্দর লাগে। বানিয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি খিচুড়ির প্রতি এতটাই এডিকটেড যে আমাকে যদি প্রত্যেক বেলায় শুধু খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয় সাথে ডিম ভাজি দিয়ে তাহলে আমি কোনো অভিযোগ না করে খাব। এই কারণে আম্মু একদিন কি করেছিল টানা দুই দিন সকাল দুপুরে খিচুড়ি রান্না করেছিল আমার যেন অনীহা আসে কিন্তু আমার কখনই কোনো রকমে খিচুড়ির প্রতি অনীহা আসবে না। আপনার খিচুড়িটা দেখে অনেক বেশি মজা হয়েছে মত লাগছে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হাহাহা তাহলে তো আপনাকে দাওয়াত দেয়া লাগতো, মানুষ অনুযায়ী রান্না বেশি করে ফেলেছিলাম।
খিচুড়ি আমারও অনেক ভালো লাগে আপু। মাঝে মাঝেই খাই। আবার বাহিরে গেলে তো খাওয়া হয়ই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্ট তো দেখে আমার মেসে থাকা দিন গুলির কথা মনে পড়ে গেলো।যখন মেসে ছিলাম নিত্য দিনের কাজ ছিল রাতে খিচুড়ি রান্না করা।কত না মজাই ছিল।আপনার খিচুড়ি টাও সেই ছিলো,বিশেষ করে আপনর উপস্থাপনা টা।
হুম ভাইয়া মেসে থাকার মজাই আলাদা৷ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।
কিছু বলার ভাষা নেই ।কারণ ডিম খিচুড়ি রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে। জিভে জল চলে আসছে। খুব ভালোবেসে বানিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইলো
হুম দাদা খেতে অনেক মজার হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য৷ আপনার জন্য শুভ কামনা দাদা ।
ভাইয়া খিচুড়িটা দেখে তো জিভে পানি চলে এলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে দুর্দান্ত হয়েছে আর এমনিতেও খিচুড়ি আমার ফেভারিট তার ওপর আবার ডিম। শুধু একটাই ভয় লাগছে কাঁচালঙ্কা গুলো যেভাবে ভাসছে তাতে তো মনে হচ্ছে যে ভালোই ঝাল হয়েছে আর ঝাল আমি একদম খেতে পারি না, তাহলে কি লঙ্কা কটা কাম দেব? ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আশা করি আপনার কাছ থেকে আরো ভালো ভালো রেসিপি আমরা ভবিষ্যতে উপহার হিসেবে পাবো।
হাহাহা কাঁচালঙ্কা গুলো তে ঝাল কম দাদা, তাই একটু বেশিই দিয়েছি। আর আপনি আপনার সাধ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। তাহলেই হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।