মুঠোফোনে ধারণ করা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আজ দিনটা মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটে গেল সকাল থেকে ভাবছি কি পোস্ট করা যায় তখনই মোবাইলের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে এই ছবিগুলো চোখে পড়ে গেল, এই ছবিগুলো ধারণ করেছিলাম আমার দাদু বাড়ি ভুরুঙ্গামারীতে গিয়ে। আমার দাদু বাড়ি ভুরুঙ্গামারী শহর থেকে মোটামুটি দূরে। ভুরুঙ্গামারীর সীমান্তবর্তী এলাকায় আমার দাদু বাড়ি অবস্থিত। আমার দাদু বাড়ি থেকে সীমান্ত ১০০ গজের মতো দূরে হবে।
অনেকদিন শহরে থাকার পর যখন দাদু বাড়ি যাই তখন গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে কতটা যে ভালো লাগে তা সত্যিই বলে বুঝাবার মত নয়। আমি দাদু বাড়ি গিয়ে বেশি দিন থাকতে পারিনা কর্মব্যস্ততার ফলে, তবুও যে কদিন সেখানে গিয়ে থাকি সে কয়দিন সেখানে ভীষণ ভালো লাগে।
শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে কারি বা কতদিন ভালো লাগে, আমার যখন শহরের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে একঘেয়েমি লেগে যায় তখনই আমি দাদু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। সেখানে কিছুদিন সময় কাটানোর পর মনটা একটু ফ্রেশ হয় তখন আবার ফিরে আসি শহরে।
দাদু বাড়িতে গেলে আমার সব থেকে যেটা বেশি করা হয় সেটা হল ফটোগ্রাফি করা। দাদু বাড়ি গিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াই আর মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে সেই গ্রামের দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে ফেলি। কিছুদিন আগে আমি দাদু বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম আজ আপনাদের মাঝে আমি সেই ফটোগ্রাফি গুলোই উপস্থাপন করব, আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
জায়গা : পাথরডুবি, ভুরুঙ্গামারী
সময়: বিকেল ০৫:১৭
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
যেখানে আমার দাদু বাড়ি সেখান থেকে দু চার মিনিট হাটলেই ভারতের সীমান্ত আর সীমান্তর বাহিরের দিকে চোখ জুড়ানো ধান ক্ষেত। যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই সবুজের সমারোহ। সেই ধান ক্ষেতেই এই ফটোগ্রাফিটি ধারণ করা।
জায়গা : পাথরডুবি, ভুরুঙ্গামারী
সময়: বিকেল ০৫:১৯
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
শহরের সূর্যাস্ত আর গ্রামের সূর্যাস্ত আমার কাছে একদমই অন্যরকম মনে হয়, গ্রামে যখন সূর্য অস্ত যায় তখন মনে হয় যে হ্যাঁ সূর্য অস্ত যাচ্ছে। কিন্তু শহরে থাকলে কখন সূর্য অস্ত গেল এদিকে আমাদের খেয়ালই থাকে না। তাই গ্রামে গেলে বেশ ভালোভাবেই সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় ।
জায়গা : পাথরডুবি, ভুরুঙ্গামারী
সময়: বিকেল ০৬:০৬
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
এই ফটোগ্রাফিটিও সেখানেই ধারণ করা যেখানে থেকে এর আগের ফটোগ্রাফিটি ধারণ করেছিলাম। দাদু বাড়িতে গেলে এদিকেই বেশিরভাগ সময় ঘুরে বেড়াই সামনেই কিছুদূর গেলে একটি পুকুর রয়েছে সেই পুকুরের পাড়ে বসে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে।
জায়গা : দুধকুমার নদীর পাড়
সময়: বিকেল ০৫:৪৪
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
এটা হল ভুরুঙ্গামারীর দুধ কুমার নদী। দাদু বাড়িতে গেলেই এখনো এই নদীর পাড়ে বসে অনেক আড্ডা দেয়া হয়। এই নদীর পারে যখন যাই তখন সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় কতই না ডুবাডুবি করেছিলাম এই নদীতে। সত্যি দাদু বাসায় ছোটবেলাটা দারুণভাবে কাটিয়েছিলাম এখন যদিও আগের মত হয় না তবুও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ছোটবেলাটাকে আবার উপভোগ করার।
জায়গা : সীমান্তের কাছেই
সময়: বিকেল ০৫:৪০
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
এই ফটোগ্রাফিটি একদম সীমান্তের কাছেই ধারণ করা, দূরে যেই আচ্ছা আচ্ছা কাজগুলো দেখা যাচ্ছে তার ওপারেই সীমান্তের কাঁটাতার আর গাছগুলোর ১০০ গজ আগে থেকেই ভারতে সীমানা শুরু। ভারতের মানুষজন কাঁটাতারের বাহিরে এখনো চাষাবাদ করে , দূরে যেই ধানের ক্ষেতগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো ভারতেরই জমি।
জায়গা : দুধকুমার নদীর পাড়
সময়: বিকেল ০৪:২৭
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
এটা দুধকুমার নদী অপর দিকের ফটোগ্রাফি। ঠিক নদীর ওপারেই অনেক দূরে যে গ্রামটি দেখা যাচ্ছে ওই গ্রামের পরেই সীমান্ত আর সেই গ্রামেই আমার দাদু বাসায়। দাদু বাড়িতে গেলে এভাবেই ঘুরে ঘুরে সবগুলো গ্রাম দেখে বেড়াই, গ্রাম্য পরিবেশে ঘুরতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। এদিকের প্রত্যেকটি প্রায় গ্রামেই আমাদের আত্মীয় রয়েছে সে আত্মীয়দের বাসাতেও একটু ঘুরে আসা যায় আর কি।
জায়গা : পাথরডুবি, ভুরুঙ্গামারী
সময়: বিকেল ০৫:৪৮
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
সূর্যি মামা তখন ডুবে যাবে অবস্থা , আর গ্রামে এসময় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালোই লাগে সুন্দর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশ ছিল গরম খুব একটা লাগছিল না। গরম না থাকে বাইরে বের হয়েছিলাম ঘোরার জন্য আর কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। সেদিন আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি হয়তো ডিলিট হয়ে গিয়েছে আর কিছু রয়ে গিয়েছিল সেগুলোই আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
জায়গা : পাথরডুবি, ভুরুঙ্গামারী
সময়: বিকেল ০৫:২৮
তারিখ: ০৭/০৮/২০২২
এই জমিগুলোও সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত, জমির পাশে ছোট যে ডোবাটি আপনারা দেখতে পারছেন গ্রামের ভাষায় একে বোকনি বলা হয়। এই ডোবাতে আমার চাচা গ্লাস কাপ মাছ চাষ করেন, এই মাছগুলো যে ঘাস খায় তা আগে আমি জানতাম না এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমার চাচা কিছু ঘাস কেটে এনে সে মাছগুলোকে খেতে দিয়েছিল সে মাছগুলো সুন্দর করে ঘাসগুলো খাচ্ছিল, আমি দেখি অবাক হয়েছিলাম কারণ এভাবে কখনো মাছকে ঘাস খেতে দেখিনি।
যাই হোক বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই, আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের মতামত কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোস্টে আসার জন্য আপনাদের সাথে আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোন পোস্টে সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
OR
TWITTER LINK
গ্রামের দিকে সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্ত আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সে সময় আকাশের দিকে তাকালে মনটা ভরে যায়। আপনার সূর্যাস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। সেই সাথে অন্যান্য যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সেগুলো ও এক কথায় অসাধারণ ছিল। সত্যি এরকম মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই ভালো লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে ভাইয়া। সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি পোস্টে মূলত ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেই ঢুকি। আর এমন চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলে মন ভরে যায়। পাথর ডুবি, দুধকুমার নদীর পাড়, এই জায়গাগুলোর ফটোগ্রাফি অনেক বেশি চমৎকার হয়েছে। আশা করছি সব সময় আপনার কাছ থেকে এমন চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো।
জি আপু আমি সবসময় চেষ্টা করব আপনাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করার। ধন্যবাদ আপনাকে।
সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারণে ভাবছিলেন সকাল থেকে আজ কি পোস্ট করা যায়। তাই মোবাইলে ধারণকৃত সেই দাদুর বাড়ি ভুঙ্গামারিতে গিয়ে যে ফটোগ্রাফি গুলো তুলেছেন, সেগুলা আজ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে দারুন লেগেছে। এবং মনে হচ্ছে, আপনার ফটোগ্রাফির হাত যথেষ্ট ভালো। চালিয়ে যান। সামনে ভালো কিছু হবে, আশা রাখছি।♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মতামত দেয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।