হালকা খাওয়া দাওয়া
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
গরমের প্রকোপ টা কেমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার উপর আবার এই লোডশেডিং। বাসায় লোডশেডিং এর সময় বসে থাকতে কেমন অবস্থা হয় হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। তবুও কি আর করার সহ্য করে বসে থাকতেই হয়। গরমের কারণে প্রতিদিন দুবার করে স্নান ও করি। এই দুবার করে স্নান করার জন্য দুই দিন আগে অসুস্থও হয়েছিলাম। তবুও এ অভ্যাসটা ছাড়তে পারলাম না, গরম যে লাগে প্রচুর।
আমি একবার সকালের দিকে স্নান করি একবার বিকেলের দিকে। সেদিন বিকেল বেলা স্নান করার পর শীতল শরীর নিয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। তখনই আমার বড় মামা (@mayedul) আমাকে কল দেয়, মামা কল দিয়ে বলে চলো বাহিরে কোথাও খেতে যাই। আমি তো শুনেই রাজি হয়ে গেলাম কারন আমি একজন ভোজন রসিক লোক। বাহিরে খেতে আমি ভিষণ পছন্দ করি।
তারপর মামা আমাকে তারাতাড়ি প্রস্তুত হতে বলে, আমিও দেরি না করে প্রস্তুত হয়ে যাই। তারপর মামা মামি ছোট ভাই-বোন কে নিয়ে আমাদের বাসার দিকে চলে আসে আর আমরা এক রিক্সায় করে চলে যাই রেস্টুরেন্টে এর দিকে।
এটা হল সেই রেস্টুরেন্ট আমরা যেখানে গিয়েছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের নাম হলো ইস্টি কুটুম। রেস্টুরেন্টের নামটা সত্যি অনেক সুন্দর। রেস্টুরেন্টের ভেতরটা খুব একটা চাকচিক্য না হলেও তাদের খাবারের মান মোটামুটি ভালই। এর আগেও আমি এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তাই আজ আর অন্য কোথাও না গিয়ে সেখানেই গেলাম, সব থেকে বড় ব্যাপার এই রেস্টুরেন্টটা বেশিরভাগ সময় নিরিবিলি থাকে আর আমার কাছে নিরিবিলি জায়গা খুবই ভালো লাগে।
এটা হল ইষ্টিকুটুম রেস্টুরেন্টের রন্ধনশালা যেখানে তারা নিজের হাতেই সব খাবারগুলো তৈরি করে। কিছুটা বাংলা রেস্তোরার মতই দেখতে। তবে এটা একটা ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট। তাদের ভেতরের পরিবেশ টা একটু চাকচিক্য রাখা উচিত ছিল যেমনটা এখনকার রেস্টুরেন্ট গুলো হয়ে থাকে।
এটা হল রেস্টুরেন্টের ভেতরের বসার জায়গা। মোটামুটি বেশ কয়েকটি চেয়ার টেবিল ছিল আবার এয়ারকন্ডিশনার ও ছিল। আগেই বলেছিলাম তাদের রেস্টুরেন্টটা খুব একটা চাকচিক্য না তবে চালিয়ে নেয়ার মত। ভেতরে এমন বসার জায়গার পাশাপাশি বাহিরে ছিল তাদের বড় একটা জায়গা যেখানে চাইলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে পালন করা যেতে পারে।
খাবারের মেনু কার্ড ছিল কিন্তু মেনু কার্ডের লেখা খুব ভালোভাবে বুঝা যাচ্ছিল না তাই এই বোর্ডের ছবিটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। এর আগের বারের থেকে খাবারের দাম গুলো একটি বেশি মনে হচ্ছিল, তাই আমি জিজ্ঞাসা করায় তারা বলল সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে তাই খাবারের দামটাও একটু বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঠিকই আছে জিনিসের দাম বাড়লে খাবারের দাম তো বাড়বেই।
আমরা মেনু কার্ড দেখে অনেকক্ষণ ভাবার চিন্তা করার পর সামান্য কিছু অর্ডার করেছিলাম। আমরা অর্ডার করেছিলাম ফালুদা এবং চিকেন চপ। যেহেতু গরম তাই অন্য কিছু খাওয়ার রুচি হচ্ছিল না, গরমে ফালুদা খেতে বেশ ভালই লাগে। আর এর আগেও আমি তাদের ফালুদা খেয়েছিলাম আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল তাই আমি ফালুদাই অর্ডার করলাম।
এই হলো আমাদের সব থেকে ক্ষুদে সদস্য। রেস্টুরেন্টের টেবিল হাতে পাচ্ছিল না তবুও বৃথা চেষ্টা করে এভাবেই বসে ছিল আর কি। সে বাহিরে গেলে সব সময়ই এমন হাসিখুশি থাকে, আজকালকার বাচ্চারা এমনই বাহিরে যেতে ভীষণ পছন্দ করে।
অবশেষে আমাদের অর্ডার করা খাবার চলে আসে, মজার ব্যাপার হলো আমরা এতটা সময় সেখানে বসে ছিলাম যে খাবার আসার সাথে সাথেই আমরা খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম ছবি তোলার কথা মনেই ছিল না। তাই খাবারের আসল সৌন্দর্যটা হয়তো আপনাদের বুঝাতে পারলাম না। ফালুদাটা বেশ সুন্দর করে ডেকোরেশন করা ছিল, সব মিলিয়ে ভালই লেগেছে আমার কাছে খাবারগুলো।
খাওয়া-দাওয়া শেষে বিল নিয়ে আসতে বললাম, আমাদের বিল হয়েছিল মাত্র ৩৯০ টাকা। খুব কম টাকায় গুনতে হয়েছে। বিলের তুলনায় খাবারের মান ছিল ভালো লাগার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের স্টাফদের আচরণ খুবই সুন্দর।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আবারো দেখা হবে আমার নতুন কোন এক পোস্টে। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ইষ্টিকুটুম রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর সময়ের সাথে খুব ভালো মানের খাবার উপভোগ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ভাইয়া সেই সাথে আপনাদের সবচেয়ে ক্ষুদে সদস্যকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিউট। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল।
https://twitter.com/mahir4221/status/1558172000534687745?t=ImbMXAR_hQmARu5wwdKMaA&s=19
নামে নয় গুণে পরিচয় এ কথাটা আবারও মানতেই হবে। বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয়তো তারা ডেকোরেশন ঠিকমত করতে পারেনি। কিন্তু আমি যতবারই খেয়েছি কখনো খাবারের মান খারাপ পাইনি। সব মিলিয়ে সময়টুকু ভালো উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে নিম্নচাপের কারণে সারাদিন বাতাস থাকায় সন্ধ্যার সময়টুকু বেশ আরামদায়ক ছিল।
একদম ঠিক বলেছ "সিনান" বাইরে গেলে অনেক হাসিখুশি থাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মামা ভাগিনা মিলে চমৎকার সুময় উপভোগ করেছেন। খাবার গুলো চমৎকার ছিলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কিছুদিন আগে আমিও অসুস্থ হয়ে যায় এইরকম দুইবার গোসল করার জন্য। সেজন্য এখন একবারই করি তবে দেরিতে। এবং এই খাওয়ার অফার পেলে কে আর ছেড়ে দেয়। বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন।
ভাইয়া মামা ভাগ্নে মিলে দারুণভাবে সময় কাটিয়েছেন এবং অনুভব করেছেন। আর এত সুন্দর সুন্দর খাবারের অফার পেলে সময়টুকু এমনিতেই ভালো হবে কেটে যায়। ভাইয়া আমিও গরম হয়ে দুইবার গোসল করে বেশ কয়েকদিন যাবত অসুস্থ ছিলাম।