আমার নৌকা ভ্রমনের কিছু মুহূর্ত || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
সুপ্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
ভ্রমণ করতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই ভ্রমণ করতে ভালোবাসে। আর সেটা যদি হয় নৌকাভ্রমণ তাহলে তো কোন কথাই নেই। নীল আকাশের নিচে দিয়ে নৌকায় করে যেতে যেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। ভ্রমণ করলে আমরা অনেক শিক্ষা অর্জন করতে পারি অনেক অজানা বিষয় জানতে পারি, তাই আমাদের সকলেরই উচিত মাঝে মাঝেই কোথাও না কোথাও ভ্রমণে যাওয়া। আজ আমি নৌকায় করে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে রৌমারী উপজেলা যাব। সেই ভ্রমণ কাহিনীটি আপনাদের মাঝে আজ উপস্থাপন করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কুড়িগ্রাম সদর থেকে চিলমারী নদীবন্দর যেতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা। সেখানে আমরা চাইলে বাস দিয়ে যেতে পারি অথবা সিএনজি দিয়েও যেতে পারি। বাস আসতে অনেকটা সময় লাগে, আমার হাতে যেহেতু সময় ছিল না তাই আমি দেরি না করে সিএনজিতে উঠে পড়ি। কুড়িগ্রাম সদর থেকে আমি রওনা দেই দুপুর একটায়।
কুড়িগ্রাম থেকে বেরোতে বেরোতে আমার একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল। আমার আরও ৩০ মিনিট আগে রওনা দেওয়া উচিত ছিল। যাইহোক আমি সিএনজিওয়ালা মামাকে বললাম আমার নৌকো ধরতে হবে তাই একটু তাড়াতাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সে বলল সমস্যা নেই নৌকো ছাড়ার আগেই আমাকে সে ঘাটে পৌঁছে দেবে। আমি সিএনজি এর পিছনে বসে ছিলাম যেন রাস্তাঘাটের ছবি তুলতে পারি।
শহরের ছোঁয়া পেরিয়ে যখন একটু গ্রামের দিকে ঢুকতে ধরলাম তখনো কেমন যেন পরিবেশটা ভালো লাগতে শুরু করলো। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ ভালো লাগার মত একটা পরিবেশ ছিল সেখানকার। রাস্তার দু'পাশে গাছ তার পাশে ফসলের ক্ষেত তার মাঝ দিয়ে যাচ্ছিলাম সত্যি খুবি ভালো লাগছিল।
সিএনজিওয়ালা মামার কথামতো সে আমাকে ঠিক টাইমেই নৌকা ঘাটে পৌঁছে দিয়েছে। নৌকা ঘাটে এসে দেখি নৌঘটি আছে। যতক্ষণ নওগাঁতে পরিমাণ মত লোক না হয় ততক্ষণ তারা নৌকা ছাড়ে না। গিয়ে দেখলাম নৌকাতে বেশি লোকই নেই তাই বুঝে গেলাম যে নৌকো ছাড়তে আরও দেরি আছে।
নৌকা ছাড়ায় আরো দেরি ছিলো আর আমি দুপুরেও খাই নি তাই ঘাটের উপরের দোকান গুলো থেকে একটু নাস্তা করে নিয়ে আবার নৌকায় এসে বসি।
দেখতে দেখতে নৌকায় অনেক লোক হয়ে গেলো। তখনই আর একটা যাত্রিবাহী নৌকা সেই ঘাটে এসে পৌছালো। তা দেখে ভাবতে লাগলাম এতো মানুষ যায় কোথায় আবার আসেই বা কোথায় থেকে হাহাহা।
অনেকটা সময় বসে থাকার পর নৌকা ছেড়ে দিলো। সত্যি বলতে গেলে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত লাগা শুরু হয়েছিলো, তার উপর ছিলো প্রচুর রোদ। ঠিক ১ঃ৩১ মিনিটে আমাদের নৌকা টি ঘাট ত্যাগ করে। নৌকা ছাড়ার পর সব বিরক্তি নিমিষেই দূর হয়ে গেলো নদীর সুদ্ধ বাতাস গায়ে লেগে।
নৌকায় সবাই সবার মত যাচ্ছেই কেউ কারোর সাথে কথা নেই, আমার আবার একা একা বেশিক্ষণ ভালো লাগছিলো না তার উপর সূর্যি মামা উপর থেকে প্রচুর তাপ দিচ্ছিলো। তাই যাত্রার মজাটা এটু বারানোর জন্য হেডফোন বের করে গান শুনতে শুরু করলাম। ভালই লাগছিলো।
নৌকা ভ্রমন করবো কিন্তু ছবি তুলবো না তা কি হয়? ক্যামেরা নেই তো কি হয়েছে নিজের মুঠোফোন বের করেই অনেক গুলো ছবি তুলে নেই। সূর্য পানি তে পরার কারনে পানি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর চকচকে লাগছিলো তাই ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
দেখতে দেখতে সূর্যি মামা অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছে, তখন আর তার তাপ আমার কাছে তাপ মনে হচ্ছিলো না। বরং ভালোই লাগছিলো। নদীর ঠান্ডা বাতাস তখন গায়ে লাগছিলো, বেশ দারুণ একটা অনুভুতি।
আড়াই ঘন্টা যাত্রা করার পর আমরা আমাদের গন্তব্য স্থলে পৌছে যাই। নদীতে পানি কম থাকার কারনে সময়টা অনেক বেশি লেগেছিল। এমনি ভড়া মৌসুমে এক থেকে দেড় ঘন্টার মত সময় লাগে। এই ছলো নৌকা ভ্রমণের আমার কিছু মুহূর্ত আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে আসার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। শুভ কামনা রইলো সবার জন্য।
ছবি গুলো তোলার মাধ্যম | Redmi 9 |
---|---|
ছবি তুলেছে | মাহির শাহরিয়ার ইভান (@mahir4221) |
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://twitter.com/mahir4221/status/1501476497399627776?t=N6_GJGUofhwVezDOB6D_QQ&s=19
নৌকা ভ্রমণ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। অনেকদিন হয়ে গেছে নৌকা ভ্রমন করা হয় না। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আপনার নৌকা ভ্রমনের কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
নৌকা ভ্রমণ কাহিনী টা বেশ মজার ছিল আপনার দেখে মনে হচ্ছে। আসলে সময় পেলে ভ্রমণ জন্য বের হয়ে পড়ি আমিও। ভ্রমণ করলে মন সতেজ হয়ে যায়।আর অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যায়।
জিভে নৌকা ভ্রমণ করতে সত্যি অনেক মজার। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার নৌকা ভ্রমণের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অনেকটা সময় নৌকা ভ্রমণ করেছেন এবং সেই সাথে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। বোঝাই যাচ্ছে আপনি নৌকা ভ্রমনের সময় অনেক আনন্দ করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নৌকা ভ্রমনে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন দেখছি নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে সত্যি খুব মজা লাগে আমাদের এলাকাতে বর্ষার সময় এইরকম ঘোরাঘুরি হয় নৌকা নিয়ে নদী ভ্রমণের সময় খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে বেশ আকর্ষনীয় লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আদলেই ভ্রমন একমাত্র জিনিস যা মানুষ এর মন কে ফ্রেশ করে দেই।আমরাও এভাবে অনেক নোকা ভ্রমন করেছি এখনো করি ভালই লাগে।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সময়টা শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
ভাইয়া আপনি আজকে নৌকা ভ্রমনের অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমি নৌকা ভ্রমন করতে অনেক ভালোবাসি। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
আমি একবার নৌকা ভ্রমণ করেছিলাম। স্কুলের বন্ধুরা মিলে অনেক মজা হয়েছিলো। আসলে বন্ধুরা মিলে কোথাও গেলে অনেক মজা মাস্তি হয়। আপনার নৌকা ভ্রমণের ছবিগুলো ছিলো মনমুগ্ধকর। আসলে বিকালের সময় আকাশের কালার অনেক সুন্দর থাকে।
ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রোদ বেশি না থাকলে নৌকার ছাদে ভ্রমনের মজাই আলাদা। এটা যারা না করেছে তারা বুঝতেই পারবে না। আমার কেন জানি নদীতে ঘুরতে গেলে মনটা উদাস হয়ে যায়। দারুন একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আমাদের সাথে। শুভকামনা রইল।
উদাস কেনো হয় ভাইয়া? আমার তো ভালই লাগে। আর নৌকার সাদে সত্যিই অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য ।
নৌকা ভ্রমন করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে নৌকায় বসে নৌকা ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্য যাত্রীদের জন্য কঠোর রোদে বসে নৌকার উপর অপেক্ষা করাটা ভীষণ বিরক্তিকর ভাইয়া। তবে আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।