আমার প্রথম প্রেমের অনুভূতি || আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২০

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
আজ মঙ্গলবার • ২১শে আষাঢ় • ১৪২৯ বঙ্গাব্দ • ৫ জুলাই -২০২২


মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।


Picsart_22-07-04_02-09-36-335.jpg

কোন কিছুর প্রতি ভালোবাসার অনুভূতিকেই প্রেম বলে। এক কথায় বলতে গেলে প্রেমই ভালবাসা আর ভালবাসাই প্রেম। এই প্রেম শুধু যে মানুষের সাথেই হয় তা কিন্তু না, প্রেম হতে পারে নিজের দেশের সাথে, কোন বস্তুর সাথে, কোন প্রাণীর সাথে, তাছাড়াও বিভিন্ন জিনিসের সাথেই আপনার প্রেম হতে পারে।

নারীর প্রতি পুরুষের কিংবা পুরুষের প্রতি নারীর ভালোবাসার আবেগের বহিঃপ্রকাশকেই আমরা আজকাল প্রেম বলি। প্রেম এমন একটি সম্পর্ক যে সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, বিশ্বাস, আবেগ, ভরসা, একে অপরকে নিজের করে পাওয়ার তীব্র ইচ্ছা ভরপুর থাকে। এই জিনিসগুলো ছাড়া কখনোই প্রকৃত প্রেম সম্ভব নয়।

বিখ্যাত মনিষীগণের প্রেমের বাণী গুলো পড়লেই আমরা বুঝতে পারি, এই পৃথিবীতে প্রেমের ভূমিকা কতখানি। প্রেম আছে বলেই মানুষ এই পৃথিবীতে হাজার বছর বাঁচতে চায়, প্রেম আছে বলেই এই পৃথিবী এতটা সুন্দর। সত্যি প্রেম ছাড়া এই পৃথিবী অকল্পনীয়। পৃথিবী যতদিন আছে এই পৃথিবীতে প্রেমও থাকবে।

love-7163997.jpg

Source

প্রত্যেক মানুষের জীবনেই প্রথম প্রেম বলে একটা শব্দ আছে, যে প্রেমের জুড়ি মেলা ভার। প্রথম প্রেম মানেই অন্যরকম একটা অনুভূতি। প্রথম প্রেমের সেই অনুভূতির সাথে সত্যিই অন্য কোন অনুভূতির তুলনা করা যায় না। প্রথম প্রেমে থাকে এক আকাশ সমান ভালোবাসা, হৃদয় ভরা বিশ্বাস, প্রথম প্রেমে থাকে সারা জীবন একসাথে থাকার এক তীব্র ইচ্ছা, প্রথম প্রেমে আরো থাকে একে অপরকে হারিয়ে ফেলার ভয়। এই অনুভূতিগুলো যারা একবার প্রেমে পড়েছে তারাই বুঝতে পারবে।

তেমন একটা সময় আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। তখন আমার বয়স খুবই কম ছিল। আমি তখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম, আর মেয়েটা পড়তো সপ্তম শ্রেণীতে। মেয়েটির নাম ছিল আনিকা। তখন আমাদের বয়স কম ছিল ভালোমতো বুঝতামও না যে প্রেম কি। তবে সেটাই আমার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল তাই সেই অনুভূতিটাও ছিল অন্যরকম একটা অনুভূতি, যে অনুভূতি হয়তো আমি লিখে পুরোপুরি ভাবে আপনাদের বুঝাতে পারব না।

আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন প্রায় আমার সব বন্ধুরাই প্রেম করত। কিন্তু আমি এ বিষয়গুলোকে একটু এড়িয়ে চলতাম। আমার বন্ধুরা আমাকে সে সময় অনেকবার বলেছিল প্রেম করার কথা। কিন্তু আমি তাদের কথাকে বেশি পাত্তা দিতাম না। আর সে সময় প্রেম ভালোবাসা এতটাও চোখে পড়তো না যেমনটা এখন চোখে পড়ে।

তো এভাবেই চলছিল, সপ্তম শ্রেণী থেকে আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে উঠি এটা সেই সময়ের ঘটনা। জানুয়ারির প্রথম তারিখ গিয়েছিলাম স্কুলে বই আনতে। সব বন্ধুরা একসাথেই স্কুল যেতাম বেশ ভালই মজা হত রাস্তায়। স্কুলে নতুন নতুন অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও ভর্তি হয়েছে তারাও সেদিনই বই নিতে যাবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কথা মতো আমরা সেদিন সকাল সকালেই স্কুলে যাই। স্কুলে গিয়ে আমাদের নতুন ক্লাস রুমে বসিয়ে সকলকে বই প্রদান করা হয়।

আমরা যে ক্লাসরুমে বসে ছিলাম তার পাশেই ছিল সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস রুম। তো বইগুলো নিয়ে আমরা সবাই বেরোচ্ছিলাম তখনই আমার বন্ধুরা আনিকাকে দেখে, আনিকা স্কুলে সেবারই নতুন ভর্তি হয়েছিল আর আনিকা দেখতেও ভীষণ মিষ্টি ছিল। আমার বন্ধুদের মধ্যে দু একজন প্রেম করত না তারা ঠিক করতে থাকে আনিকার সাথে কে প্রেম করবে। এগুলো দেখে আমি সে সময় হাসতাম। তবে আমিও মেয়েটির দিকে দু একবার তাকালাম আর ভাবলাম সত্যিই ভারী মিষ্টি দেখতে তো মেয়েটি।

তারপর আমাদের ক্লাস শুরু হল আমি প্রায় প্রত্যেকদিনই স্কুলে যেতাম। আর আনিকাও মোটামুটি নিয়মিত ছাত্রী ছিল। তার সাথে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে, টিফিনের সময়, ছুটির পর, প্রায় সব সময়ই দেখা হতো। কিন্তু সে একবারো আমার দিকে তাকা তো না। আমি নিজের অজান্তেই তাকে দেখতাম। হয়তো সে সময় তার প্রতি একটা অনুভূতি তৈরি হয়েছিল কিন্তু আমি সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারিনি।

স্কুল থেকে বাসায় এসে আমি বেশিরভাগ সময়ই আনিকাকে নিয়েই ভাবতাম। আর মাঝে মাঝে মুচকি হাসি দিতাম প্রথম প্রেমে পড়েছি বলে কথা। তারপর চলতে চলতে আমি বন্ধুদের আনিকার কথা বলেই ফেলি। তারা এটা শুনে অনেক হাসাহাসি মজা ঠাট্টা করেছিল কারন আমি জীবন ও তাদের এই ধরনের কথা বলিনি।

আমার বন্ধুদের আমি যেদিন আনিকার কথা বলেছিলাম সেদিনই টিফিনের সময় আমার বন্ধুরা কাকে দিয়ে যেন আনিকাকে সিড়ির সামনে ডেকে এনেছিল। আমাকে তারা এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি। আমি বসে ছিলাম ক্লাসরুমে তারপর সিয়াম আমাকে ক্লাস রুম থেকে ডেকে সেই সিড়ির কাছে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়েই দেখি আনিকা দাঁড়িয়ে আছে আর আমার বন্ধু আমি যাওয়ার সাথে সাথেই আনিকাকে বলে মাহির তোমাকে কি যেন বলতে চায়। সত্যি বলতে আমি সেদিন খুবই ভয় পেয়ে ছিলাম। ভয় পেয়ে সেখানে আমি আর এক মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকি নি, দৌড়ে ক্লাসরুমে গিয়েছিলাম।

আমার কিংবা আনিকার বয়স তখন খুব একটা বেশি ছিল না তাই ভয় পাচ্ছিলাম হয়তো আনিকা এবার গিয়ে প্রিন্সিপাল কে আমার নামে বিচার দেবে। তারপর সেদিন ছুটির ঘন্টা বেজে উঠলো, ছুটির ঘন্টা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম, ভাবলাম আনিকা হয়তো প্রিন্সিপালকে বিচার দেয়নি। সেদিন আমি ক্লাস রুম থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে চলে আসি যেন আনিকার সামনে পড়তে না হয়।

তারপর বাসায় গিয়ে আমি মুচকি হেসে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবতেই থাকি। সেই অনুভূতি সত্যিই বলে বুঝাবার মত নয়। বাসায় যতক্ষণ থাকতাম ততক্ষণ ভাবতাম কাল গিয়ে আনিকার সাথে সোজাসুজি কথা বলে প্রেমের প্রস্তাব দেব। সত্যি বলতে সে সময় আমি রাতে অনেক দেরি করে ঘুমাতাম, কারণ ঘুমানোর জন্য শুয়ে শুয়েও আনিকাকে নিয়েই ভাবতাম তাই ঘুমও আসতো না। যতবার ভাবতাম না এখন এগুলো নিয়ে না ভেবে ঘুমিয়ে পরি ততবারই আনিকার কথা মাথায় চলে আসতো আর ঘুম চোখ থেকে নেমে যেত।

পরের দিন স্কুলে একটু সাহস নিয়ে গিয়েছিলাম ভেবেছিলাম আনিকার সাথে কথা বলবো। টিফিনের সময় আমি ভবনের দোতালায় বসে ছিলাম। আর পাশের ভবনের উপরের তলায় আনিকা এবং তার কিছু বান্ধবী মিলে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি যেখানে বসেছিলাম সেখান দিয়েই ওই ভবনে যাওয়ার সিঁড়ি। তাই ভাবছিলাম এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় আনিকাকে ডেকে কথা বলব। দেখতে দেখতেই টিফিনের সময় শেষ হয়ে এলো আর আনিকা ও আমার সামন দিয়ে চলে গেল কিন্তু সেদিনও কিছুই বলতে পারলাম না। তবে সে সামন দিয়ে যাওয়ার সময় একটু মুচকি হেসেছিল, আর সেটা দেখেই সে সময় আমার কি যে ভালো লেগেছিল। আনিকার মুচকি হাসি দেখেই মনে হচ্ছিল তার মনেও আমার জন্য হয়তো অনুভূতি রয়েছে।

এভাবে অনেকদিন চলতে থাকে আমি আনিকাকে কিছুই বলতে পারি না। তারপর আনিকার বান্ধবী তাসনিম আমার সাথে এসে কথা বলে। তাসনিম আমার নাম জানতো তবুও সে এসে আমার নাম শুনতে চায় আর বলে আপনি আনিকাকে পছন্দ করেন তাই না। একটু লজ্জা পেয়ে বললাম হ্যাঁ আপু। তারপর তাসনিম আমাকে বলল আনিকাও আপনাকে পছন্দ করে, এটা বলেই তাসনিম সেখান থেকে চলে গেল। এটা শোনার পর আমার অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। কি করব কি না করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সেদিন ছুটির পর আমি তাসলিমকে ডেকে একটি কাগজে আমার মোবাইল নাম্বারটা লিখে আনিকাকে দিতে বলি, আর বলেছিলাম বাসায় গিয়ে যেন একটা মেসেজ দেয়।

আনিকার বাসা স্কুলের কাছে ছিল তাই আমি তাড়াহুড়া করে বাসায় যাই আনিকা মেসেজ দেবে বলে। বাসায় গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি কোন মেসেজ নেই। আনিকার নিজস্ব ফোন ছিলনা তাই ভেবেছিলাম সে হয়তো এখনো তার মায়ের ফোন নিতে পারেনি। তবু অপেক্ষা করছিলাম কখন সে মেসেজ দিবে। এভাবেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায় তবুও তার মেসেজ আসে না, তারপর বিকেলবেলা আমি খেলতে বের হই। খেলা শেষ করে বাসায় এসে দেখি আনিকা প্রথমে একটি মেসেজ দিয়েছিল, সেই মেসেজের রিপ্লাই না পেয়ে তার কিছুক্ষণ পর আরেকটা মেসেজ দিয়েছে, সে বলেছিল এখন রিপ্লাই দিও না আমি রাতে মেসেজ দেবো আবার। ইস কি যে আফসোস হচ্ছিল কেন যে বাসায় ছিলাম না, বাসায় থাকলে হয়তো সাথে সাথে রিপ্লাই দিতে পারতাম একটু কথা হতো।

তারপর কেমন যেন অস্থির লাগছিল বারবার ভাবছিলাম কখন মেসেজ দেবে, ফোনটা আমি আমার কাছেই রেখেছিলাম কারণ আনিকা যেকোনো সময় মেসেজ দিতে পারে। সেই অপেক্ষা করার মধ্যেও যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। কখনোই কারো ফোন কিংবা মেসেজের জন্য ওইভাবে অপেক্ষা করিনি আর ওইভাবে অস্থিরও হইনি, প্রথম প্রেম বলে কথা।

তারপর সেদিন রাতে আনিকা আবার মেসেজ দেয়, তার সাথে অনেক কথা ও বলি। এটাই ছিল আমাদের প্রথম কথা। তার সাথে আমি কখনোই সামনাসামনি কথা বলার সাহস পায়নি। এ কারণেই আনিকা আমাকে সবসময়ই ভীতু বলেই ডাকতো। তারপর সেদিন রাতে আনিকা আমায় বলে কাল টিফিনের সময় সিঁড়ির সামনে দাঁড়াবে আমরা কথা বলব।

পরের দিন স্কুলে গিয়ে এসেম্বলিতে দাঁড়াই, এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে আমি আনিকাকে খুঁজতে থাকি। কিছুক্ষণ খোঁজার পরে সে চোখে পড়ে যায়, সে দেখি আমার দিকেই তাকিয়ে হাসছে। আহা সে সময় তার হাসি দেখে কি যে ভালো লেগেছিল। এসেম্বলিতে দাঁড়িয়েই আমার মনের ভেতর দিয়ে যেন প্রেমের হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল।

তারপর টিফিনের সময় আনিকার সাথে কথা বলার জন্য সিঁড়িতে গিয়ে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পরেই দেখি আনিকা এবং তাসনিম চলে এলো। আমি একা ভয় পাচ্ছিলাম তাই আমার বন্ধু সিয়ামকে নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপর আনিকা আসে আমাকে এসেই বলে কেমন আছো। আমিও উত্তরে বললাম ভালো আছি। সেখানে দাঁড়িয়ে তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম। কিভাবে যে সেখানে টিফিনের সময় টা শেষ হয়ে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি। আনিকা ক্লাসরুমে যাওয়ার সময় বলেছিল ছুটির পর স্কুলের পাশের গলিতে দাঁড়াতে। স্কুল ছুটির পরেও আমরা সেই গলিতে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি আমাদের মধ্যে অনেক কথা হয়।

সেদিনের পর আমার জীবন যেন একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। সবকিছুই ভালোলাগা শুরু হয়। আগে মাঝে মাঝে স্কুল যেতাম না তবে আনিকাকে পাওয়ার পর আমি একদিনও স্কুল যাওয়া থেকে বিরত থাকি নি। রোজ স্কুলে যেতাম এসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকাতাম সে মুচকি হাসতো, তারপর টিফিনের সময় শিড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করতাম, স্কুল ছুটির পর স্কুলের পাশে সেই গলিতে হাঁটতাম। সব মিলিয়ে দারুন একটা সময় কাটছিল আমার।

দেখতে দেখতেই বার্ষিক পরীক্ষার সময় চলে আসে। ভালোমতোই বার্ষিক পরীক্ষাটা পার করি। তারপর আনিকার সাথে একদিন কথা বলার সময় আনিকা বলে তারা আর রংপুরে থাকবে না। আনিকার বাবার বদলি হয়ে গিয়েছিল অন্য জায়গায়। পুরো পরিবার নিয়েই তার বাবা সেখানে শিফট হবেন। এটা শুনে আমার মনে হচ্ছিল এখানেই হয়তো আমার এই সুন্দর দিনগুলোর সমাপ্তি হবে। তার বাবার যেমন কথা তেমন কাজ , পুরো পরিবার নিয়েই রংপুর থেকে অনেকটা দূরে শিফট হয়ে যায়। যাওয়ার আগে আনিকা আমার সাথে তাসনিম বাসার সামনে দেখা করে আর বলে সমস্যা নেই আমাদের তো ফোনে কথা হবেই।

সে চলে যাওয়ার পর আমাদের প্রথমদিকে মোটামুটি ভালই কথা হতো। কিন্তু দিন দিন আমাদের কথা বলার পরিমাণটা অনেকটা কমে আসে। সেই দূরত্বটা হয়তো আমাদের কথা বলার পরিমাণ কে কমিয়ে দিয়েছিল। এভাবেই দিন দিন কথা বলার পরিমাণ আরো কমে যেতে থাকে। কিন্তু কেন সে কথা বলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিল এটা আমি এখনো জানিনা। এক সময় দু তিন দিন পর কথা হতো, তারপর সপ্তাহে একবার কথা হতো, তারপর কথা বলার পরিমাণ কমতে কমতে একদম শূন্য হয়ে যায়। প্রথমের দিকে এই বিষয়টা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না তবে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।

হয়তো আমাদের একসাথে পথ চলা সে অব্দিই ছিল। তবে প্রথম ভালোবাসা কিংবা প্রেমের অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম। একে অপরের প্রতি একটা অন্যরকম টান থাকে, অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। প্রেমের পরিণতি ভবিষ্যতে কি হবে সেটা হয়তো কেউই বলতে পারবেনা তবে প্রেম তো প্রেমই সেটা যতদিনই থাকুক। সবশেষে একটাই কথা বলব যার সাথে আপনার প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে তাকে আগলে রাখুন, কারণ এটা সত্যি খুবই দামি একটি জিনিস। যারা প্রকৃত ভালোবাসা খুঁজে পায় তারা সত্যিই অনেক ভাগ্যবান।



সমাপ্ত



image.png

PicsArt_03-22-02.27.17.png

আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।

FacebookTwitterYouTube

image.png

standard_Discord_Zip.gif

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Sort:  
 2 years ago 

আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতি শুনে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু আনিকার বাবা বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে ওদেরকে চলে যেতে হয়েছিল এটা শুনে খারাপ লাগলো। তাছাড়া দূরে যাওয়ার পর থেকে আপনাদের দূরত্ব একটু একটু করে বেড়ে গেল সেটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। কিন্তু কেন এরকম হলো তা তো জানতে পারলাম না। আনিকার সাথেও আপনার আর দেখা হলো না। আসলে এরকম দিনের অনুভূতিগুলো থেকেই যায়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

কেন এরকম হয়েছিল সেটার কারণ আমিও জানি না আপু। কখনো জানার সুযোগও পায়নি। পুরো পোস্টটি মন দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

 2 years ago 

অনেক ভালো লাগলো আপনার প্রথম প্রেমের অনুভূতিটা পড়ে। যদিও কারণটি আপনার জানা হয়নি তবে কোন একদিন যদি পুনরায় আনিকার সাথে দেখা হয় তখন সামনাসামনি হয়ে জিজ্ঞেস করে নিবেন কারণটা কি ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হয়তো তার সাথে আর কখনো দেখা হবে না। তবে কখনো দেখা হলে কারণটি আমি জানতে চাইবো না। কারণ জেনে কি আর হবে ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আমার মতে আপনার কারণটা জানা ভালো হবে, কারণ সে যদি কারণটা জানায় তাহলে আপনার পক্ষ থেকেও একটি উত্তর দিতে পারবেন। অন্যথায় মনের ভিতর একটা চাপ থেকে যাবে।

 2 years ago 

এখন আর কোন চাপ নেই ভাই । অনেক আগের কথা তো তাই আর কি। তবে আপনি যেহেতু বললেন দেখা হলে তাকে অবশ্যই প্রশ্ন করে দেখব। ❣️

 2 years ago 

প্রথমদিকে পড়ে খুবই মজা পেয়েছিলাম। তবে শেষের দিকটা কষ্টের ছিল। আজ পর্যন্ত আমি যতগুলো প্রেমের কথা শুনেছি এবং আশেপাশের যেগুলো দেখেছি সেগুলো থেকে একটা জিনিস বুঝেছি প্রথম প্রেম গুলো খুব বেশিদিন টিকে থাকে না। ভাগ্যবান রাই হয়ত প্রথম প্রেমে সফল হয়। তবে আপনাদের এই সম্পর্কটার শেষ টা অন্যরকম ছিল। হুট করেই পথের দূরত্বের সাথে সাথে মনের দুরত্বও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কোনরকম কোন কারণ ছাড়াই।
শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি এতদিনে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন 🤭

 2 years ago 

জি আপু আসলেই আমিও দেখেছি এরকম, প্রথম প্রেম টেকানো সত্যি খুবই কষ্টসাধ্য একটি কাজ।
আর আমি সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি হি হি হি, সময় হলে তাকে দেখতে পারবেন। 😁
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ভালো লাগার মত একটা লেখা পড়লাম। জানিনা মেয়েটা কেন নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিল। তবে পৃথিবীটা তো গোল। কোন এক দিন সামনে পরেও যেতে পারে। সেদিন হয়তো কথার পৃষ্ঠে অনেক কথাই বেড়িয়ে আসবে। আর প্রথম বারের এই অনুভূতি গুলো ভেতরে বড্ড দাগ কেটে যায়। ভালো থাকবেন ভাই। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় রইলাম।

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পুরো পোস্টটি মন দিয়ে পড়ার জন্য। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। ❣️

 2 years ago 

এত সুন্দর একটা মিষ্টি প্রেম এভাবে শেষ হয়ে গেল। ভাবতেই খারাপ লাগছে। অল্প বয়সের প্রেম খুব কম মানুষেরই পূর্ণতা পায়। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু পুরো ঘটনা পড়ার সময় আমি মনে হয় কোন এক স্কুলে হারিয়ে গিয়েছিলাম আর আপনাদের কল্পনা করছিলাম।ভালোই লাগলো পড়তে। দূরত্ব আপনাদের প্রেমের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাই হোক ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

হুম আপু ঠিক ধরেছেন এক সমস্যা ছিলো বয়সের দুই হলো দূরত্ব। যাইহোক আমার গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 63498.69
ETH 2645.91
USDT 1.00
SBD 2.80