আমার আজকের দিনলিপি | ১১-১০-২০২১ | 10% Beneficiaries @shy-fox 🦊
আজ সোমবার
২৬শে আশ্বিন
১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১১,অক্টোবর-২০২১
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? অবশ্যই সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আমি আজ আমার সারাদিনের দিনলিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সারাদিন আমার সব ধরনের কাজ আমি আমার এই পোস্টে লিপিবদ্ধ করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার সকালবেলা
আজ সকালে একটু তারাতারি উঠতে হয়। আমি আজ সকালে ৭ টার দিকে ঘুম থেকে উঠি। তার পর ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে যাই। আজ সারা দিন বাহিরে কাটাতে হবে তাই গোসল টাও সেরে ফেলি। তারপর ফ্রেশ হওয়া এবং গোসল করা শেষ করে খেতে চলে যাই। আজ আমার এত সকালে ওঠার কারন আমার খালামনি আর খালু আসছে তাই তাদের নিতে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে যেতে হবে। কারন তারা নৌকা পার হয়ে আসবে। তাদের সাথে কিছু মাল সামানা আসছে সেগুলো নিয়ে আসার দায়িত্বই আমার ঘারে পরেছে।
তারপর খাওয়া শেষ করে দেরি না করে রেডি হয়ে যাই। কারন অনেকটা পথ যেতে হবে।।।
বাসা থেকে বের হতে হতে আমার ৯ টা পার হয়ে যায়। তার পর আমার এলাকার বাজারে গিয়ে প্রথমেই ফোন থেকে টাকা বের করি। তার পর দেরি না করে মাহিন্দ্রা গাড়ি তে উঠে রওনা হই।
প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট যাত্রা করার পর আমি আমার গন্তব্য স্থলে পৌছাই। সেখানে পৌছানোর পর মালামাল গুলো গাড়িতে তুলি। গাড়িতে তুলতে তুলতে প্রায় ১২ টা বেজে যায়। আজ খুবই গরম পরেছে তাই দোকান থেকে কোল্ড ড্রিংকস নিলাম। খেয়ে আবার রওনা হলাম রংপুর এর উদ্দেশ্যে।
আমার দুপুরবেলা
এখনো মালামাল গুলো নিয়ে যেতেই আছি। গাড়ি তে মালামাল এর মাঝে বসে গান শুনতে শুনতে পথ পারি দিচ্ছি। খারাপ লাগছে না। আশে পাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পথ পারি দিতে বেশ মজাই লাগছে। তার উপর ফোনে গান বাজছে খারাপ লাগার প্রশ্ন আসে না।
অনেকটা পথ পারি দেয়ার পর তিস্তা ব্রিজে পৌছে গেলাম। সেখানে ব্রিজ টোল দিলাম। খুব খুদা লেগেছিলো তাই হালকা নাস্তা করলাম। গাড়িওয়ালা মামা কেও নাস্তা করালাম। নাস্তা করতে করতে তার সাথে অনেক গল্প করলাম। তার পর আবার শুরু করলাম আমাদের যাত্রা।
তস্তা ব্রিজ পার হয়ে আরো ৪৫ মিনিট পথ পারি দেয়ার পর বাসায় পৌছাই। বাসায় পৌছানোর পর মালামাল গুলো নামাই। মালামাল গুলো নামানো শেষ করে একটু বিশ্রাম নেই। এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে আবার গোসল করি। গোসল শেষ করে পেট পুজোতে লেগে যাই, কথায় পেট শান্ত তো তো দুনিয়া শান্তি।।।
আমার সন্ধ্যাবেলা
বাসায় সুয়ে সুয়ে ক্লান্তি ভাব দূর করার পর আর বাসায় ভালো লাগছিল না। তাই ছোট ভাই সহ একটু ঘুরতে বের হর হই বাহরে।
তার পর ঘোরাঘুরি শেষ করে ক্যাপ্টেন নামে একটা রেস্টুরেন্টে যাই খাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে চিকেন চিজ বার্গার এবং কফি খাই৷ তাদের বার্গারটি অনেক মজার ছিলো।
আমার রাত্রিবেলা
তার পর অনেক ঘুরাঘুরি করার পর বাসায় ফিরে আসলাম। বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে রুমে যাই। তার পর একটু বিশ্রাম নেই আর ফেসবুক চালাই। ফেসবুক চালাতে চালাতে ১০ঃ৩০ বেজে যায়। তখনই রাতের খাওয়ার জন্য ডাক পরে তাই খাওয়ার জন্য টেবিলে চলে যাই। বাহিরে খাওয়ার কারনে পেট একদম ভরা ছিলো তাই অল্প একটু খেয়ে আবার রুমে চলে যাই।।।
এই ছিলো আমার আজকের দিনলিপি। আজ সারাদিন আমি যা যা করেছি তা সব আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমি একজন ব্লগার। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার অনেক ভালো লাগে। ছবি তুলতে, খেতে এবং ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সব থেলে বড় শখ ছবি তোলা।![]()
YouTube |
---|
আপনি আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর একটি দিনিলিপি শেয়ার করছ।যা দেখে বুঝা যাচ্ছে যে আপনি সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই ৯ টায় মহা ঘুমে থাকি হাহাহা। অনেক সুন্দর জায়গা। নদীর ছবি গুলা জাস্ট ওয়াও। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন। দোয়া রইল আপনার জন্য ভাই।
হাহাহা আমি তো ১১ টায়ও উঠি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
রমনা নদী বন্দর এর ছবি গুলো দারুন হয়েছে ভাই এর আগে কখনো দেখা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির কারনে দেখতে পেলাম। অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। শুভ কামনা রইলো ভাইয়া
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
সকাল সাতটায় উঠা ভালোই কষ্টের কাজ,অন্তত আমার জন্য তো অনেক বেশি কষ্টের কাজ এটা।ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে নদীর ছবি গুলো বেশি ভালো।
হাহা আমার কাছেও সকালে ওঠা কষ্টকর অনেক। কারন অনেক রাতে ঘুমাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আশা করছি আপনার দিনটি খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন। বিশেষ করে নদীর পাড়ের মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আমার মনে হচ্ছে নদীর এই সুন্দর আবহাওয়ার মধ্যে আপনার সব চাইতে সুন্দর সময়টা কেটেছে।
জি ভাইয়া নদীর সেই নির্ভেজাল আবহাওয়াতে সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছে, যদিও গরম টা একটু বেশি ছিলো।
আপনার জন্য শুভ কামনা ভাইয়া।
দিনটা খুব ভালোভাবে এবং ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। রাস্তার দুইপাশে ধানক্ষেত খুব সুন্দর লাগছিল। নদী এবং চীলমারি বন্দর টাও খুব সুন্দর ছিল। খুব ভালো লিখেছেন ভাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব চমৎকার একটি দিনলিপি। রমনা নদী বন্দরের দৃশ্য সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। একদিন ইনশাআল্লাহ এসে ঘুরে যাবো। আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। নদীর পাশে নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ অনেক সুন্দর জায়গা ভাইয়া,
আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।
আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে রমনা নদী বন্দরের ছবি গুলো।
আপনারা জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু রমনা বন্দরের দৃশ্য আসলেই অনেক সুন্দর অবশ্যই সময় হলে কখনো ঘুরতে আসবেন রমনা বন্দরে অনেক ভালো লাগবে।
ইনশাআল্লাহ ভাইয়া
ফোটোগ্রাফি গুলি অসাধারণ ভাইয়া।প্রকৃতি,নদী ও সেতুর ছবিগুলো খুব সুন্দর।খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।