গ্রামের বাজারে ঘোরাঘুরি এবং খিচুড়ি খাওয়ার অনুভুতি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
সুপ্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
======================================
সে দিন বাসায় বসে খুবই একঘেয়েমি লাগছিলো। বাসায় কোন কাজ ছিলো না তাই সুয়ে বসেই সময় কাটাচ্ছিলাম। এই ভাবে আর কতক্ষন ভালো লাগে বলুন। তাই আর দেরি না করে আমার এক বন্ধু কে কল দিলাম, ভাবলাম এলাকার বাজারে গয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়া যাক, হালকা চা নাস্তা খেলে মনটাও ভালো হয়ে যাবে। তো বাসায় আর দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে হালকা ঠান্ডার কাপড় চোপড় পড়ে বেরিয়ে পরলাম বাজারে উদ্দেশ্যে। বাজার যেতে সময় লেগেছিল ৩-৪ মিনিট বাসার কাছেই বাজার। বাজারে গিয়ে বন্ধুকে কল দিলাম সে বলল ২ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু সে পাক্কা ১০ মিনিট পর এসেছিলো।
আমাদের বাজারে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। চা নাস্তা খেলাম। ভালই লাগছিলো। বাজারে সবাই ছিলো সবার মত ব্যাস্ত, তবুও অনেক চেনা লোকেদের সাথে দেখা হচ্ছিলো কথাও হচ্ছিলো। আসলে এই বাজারের বেশির ভাগ মানুষই আমার চেনা-জানাই৷ এলাকার বাজার বলে কথা।
তো বাজারে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর বন্ধু বলে চল গ্রামের বজারের দিকে ঘুরে আসি , সেও আরো বললো সেখানে নাকি ভালো মানের খিচুড়ি পাওয়া যায়। তাই আমি আর দেরি না করে রাজি হয়ে গেলাম যাওয়ার জন্য। খিচুড়ি খাওয়া বলে কথা না তো আর করতে পারি না।
তো আমরা দেরি না করে টমটম গাড়ি(অটো) তে করে রওনা হই। শহর মানে আমাদের বাসা থেকে সেই বাজার টিতে অটো দিয়ে যেতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। বাজারটির নাম রাজারহাট। যেতে যেতে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য চোখে পরে। রেললাইনের পাশ দিয়ে রাস্তা তার পাশে ক্ষেত আসলেই ভালো লাগার মত একটি যায়গা।
শহরে ছোয়া পেরিয়ে যখন গ্রামের দিকে প্রবেশ করলাম তখন সেখানের দৃশ্য দেখে মনটা কেমন ফুরফুরে হয়ে গেলো। অটোতে করে গান শুনতে শুনতে রাস্তা পারি দিতে ভালই লাগছিল। যেতে যেতা গ্রামের মানুষ গুলোকে দেখছিলাম। সবাই নানান কাজের মধ্যে ব্যাস্ত, কেউ বাজারের ব্যাগ হাতে করে বাজার যাচ্ছে, কেউবা বাজার থেকে নিজ নিড়ে ফিরছে, আবার কেউ কেউ ক্ষেতে কাজ করছে। সব মিলিয়ে দারুণ একটা অনুভুতি।
প্রায় ১৫-২০ মিনিট যাত্রা করার পর আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌছাই। সেখানে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ বাজার টা একটু ঘুরে দেখি।
এটা হলো রাজারহাট বাজার। গ্রামের বাজার হিসেবে বাজারটি ছিলো বেশ বড়। প্রায় সব ধরনের জিনিসই এই বাজারে পাওয়া যায়। বাজারটি আমার কাছে বেশ গোছালো আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন লেগেছে। এটি গ্রামের বাজার হলেও সব দোকান গুলো শহরের মতই ছিলো। মাছের বাজার একদিক, কাচা বাজার একদিক আমার মুদির দোকান গুলো ছিলো অন্য দিকে। বেশ সুন্দর ভাবে বাজারটিকে সাজানো হয়েছে।
বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর আমাদের দুজনেরই খুদা লেগে গেলো। তাই দেরি না করে চলে গেলাম সেই খিচুড়ির দোকানে। সেখানে গিয়ে দেখলাম ভালই ভিড়। ভিড় দেখেই খিচুড়ির স্বাদ কিছুটা আন্দাজ করতে পারছিলাম।
সেই দোকানটিতে যাওয়ার পর তো আমি অবাক। সেখানে গিয়ে দেখি সেখানে শুধু খিচুড়ি নয়, খিচুড়ির পাশাপাশি সেখানে ছোলা বিরিয়ানি এবং পেয়াজিও পাওয়া যায়।
তো আমরা দেরি না করে অর্ডার করে ফেললাম।
১-২ মিনিটের মধ্যেই তারা আমাদের সার্ফ করে। খিচুড়ির মধ্যে ছিলো একটু সালাদ ৩ টি পেয়াজি আর একটি ছোলা বিরিয়ানি। তাছারাও আমরা আলাদা ভাবে পেয়াজি আর ছোলা বিরিয়ানি নিয়েছিলাম। খাবার গুলোর মান ছিলো দারুণ। খুবই মজা লেগেছে আমার কাছে খাবার গুলো।
আমার বন্ধু সবুজের কাছেও খাবারটি দারুণ লেগেছিল। সে তো আমার থেকেও বেশি খেয়েছে। ২ দুজনই একদম পেট পুরে খেয়েছিলাম। আমাদের বিল এসেছিল মাত্র ৯০ টাকা। ৯০ টাকায় এত সুন্দর খাবার ভাবা যায়। সব মিলিয়ে দারুণ ছিলো।
খিচুড়ি খেয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর একটা চায়ের দোকান চোখে পরলো তাই ইচ্ছা হলো একটু চা খাওয়ার। চা টা ছিলো দারুন। চা খেয়ে মনটা একদম চাংগা হয়ে গিয়েছিল।
আমি আসলে কখনো পান খাই না। তবুও সে দিন শখ করে পান খেয়েছিলাম। ভালোই লেগেছিল খেতে।
সব মিলিয়ে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছিলাম সেই বাজারে। বিশেষ করে খিচুড়িটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।
তো ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা আর সেখানে দেরি না করে আবার অটোটে চেপে চলে আসি নিজ এলাকায়।
ছবি তোলার মাধ্যম | Redmi 9 |
---|---|
w3w লোকেশন | https://w3w.co/wholeness.clearances.shall |
জায়গার নাম | রাজারহাট বাজার |
আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।
YouTube |
---|
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://twitter.com/mahir4221/status/1484516847097909248?t=aPffX90lBhWEKhRBfOuguw&s=19
গ্রামের বাজারের ঢ়ততই ঘুরবো ততও থাকতে ইচ্ছে করে। আর গৃরামের বাজার গুলো মধ্যে কিছু দোকান আছে যেগুলো কিছু না কিছু একটা দিয়ে বিখ্যাত। আপনার ঘোরাঘুরি ও খিচুটি খাওয়ার সময়টুকু অনেক মধুর ছিল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
জি ভাইয়া খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।
ভাই,আপনার একটি অলস দিনের সময় এভাবে কাটালেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। কারণ একঘেয়েমি দূর করার জন্য অন্তত নিজেকে কিছুটা আলাদা সময় দেয়া উচিত।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।
দিনের শুরু টা বেশ অলসতায় কাটলেও পরের সময়টা অনেক ভালো কেটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা আনন্দময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন যা আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে গ্রামের বাজারে ঘোরার মজাটাই আলাদা। বাজারে গেলে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে দিতে বাসায় আসতে আসতে লেট হয়ে যায়। গ্রামের বাজারগুলোতে কোন না কোন কিছু দিয়ে কোন দোকান বিখ্যাত থাকে। ভাই আপনার খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতিটা ছিল অনেক সুন্দর সেইসাথে মিষ্টি জর্দা পানের খিলি। কি মজাটা নাহ লাগে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আমি আসলে পান খাই না তবুও আমার কাছে পানটা ভালই লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের বাজারে ঘুরাঘুরি করেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।আমি নিজে একজন গ্রামের বাসিন্দা গ্রামের কোলাহল আমার কাছে নতুন ই থেকে গেলো।খুব দারুম মুহুর্তকাটিয়েছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক দারুণ কেটেছে সময়টা। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পিয়াজি মনে হল সাথে ছোলাবুট । খিচুরীর স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। লেখাটা ছিল অনবদ্য। চা এবং পান পরিপূর্ন করেছে খাওয়ার তৃপ্তি টা। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া খিচড়ি সাথে ছোলা বুট ও পেয়াজি একদম অনবদ্য একটা টেস্ট। আর চা পান আসলেই পরিপূর্ণ করেছিল সময় টাকে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য।