শীতের সকাল
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
![]() |
---|
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ, এই ছয় ঋতুর মধ্যে আমার কাছে সবথেকে প্রিয় ঋতু শীতকাল। শীতকালের প্রাকৃতিক আবহাওয়া শীতকালের সকাল থেকে শুরু করে সবকিছুই আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। বিশেষ করে শীতের সকালটা আমার কাছে একটু বেশিই ভালো লাগে, তারপর যদি গ্রামে থাকা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাছাড়া শীতকালে আমরা নানান রকম পিঠা খাই সেই পিঠাগুলো খেতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি। আরেকটা ব্যাপার হল শীতকালে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পারি, সুট বুট পড়ে একদম ফিট হয়ে থাকতে পারি। এই সকল কারণে শীতকাল আমার কাছে এতটা প্রিয়।
আজ অনেকদিন পর একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম শীতের সকালে কুয়াশার মাঝে হাঁটবো বলে কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার আজ খুব একটা কুয়াশা ছিল না। কুয়াশা না থাকলেও শীতের সকালের ব্যাপারটাই অন্যরকম। হালকা হাঁটাহাঁটি করেছি এবং টোটো রিক্সায় করে শহরের দিকে গিয়েছিলাম। ইচ্ছা করছিল একটু গ্রামের দিক যাওয়ার কিন্তু ভাবলাম আজ তো কুয়াশা পড়েনি আজ গ্রামের দিকে না গিয়ে বরং শহরের দিকেই ঘুরি যেদিন কুয়াশা পড়বে সেদিন না হয় গ্রামের দিকে ঘুরতে যাব।
![]() |
---|
জায়গা : খলিলগঞ্জ কুড়িগ্রাম
সময় : সকাল ০৭:৪১
তারিখ : ২০/১১/২২
বাসা থেকে একটু ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ফ্রেশ হয়ে যখন বাসা থেকে বেরোলাম তখন আমার খুবই শীত করছিল কিন্তু বাহিরে বেরিয়ে যখন এই মিষ্টি রোদের আঁচ গায়ে লাগল তখন কি যে ভালো লাগছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না। কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়েই রোদ পোহালাম মোটামুটি শীত করাটা কমে এলো। শীতের সকালে বাহিরে দাঁড়িয়ে রোদ পোহানোর মধ্যেও আলাদা রকম একটা মজা আছে।
![]() |
---|
জায়গা : খলিলগঞ্জ কুড়িগ্রাম
সময় : সকাল ০৭:৪৩
তারিখ : ২০/১১/২২
![]() |
---|
জায়গা : খলিলগঞ্জ কুড়িগ্রাম
সময় : সকাল ০৭:৪৩
তারিখ : ২০/১১/২২
বাসার মেইনগেট থেকে বেরিয়ে একটু সামনের দিকে গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম। আস্তে আস্তে হাঁটছিলাম আর সূর্যিমামার মিষ্টি আঁচ গায়ে জড়িয়ে নিচ্ছিলাম। তখনো ভালই ঠান্ডা ছিল কিন্তু সূর্যের আচের কারণে ঠান্ডাটা খুব একটা বেশি লাগছিল না যেমনটা বাসা থেকে বেরিয়ে লেগেছিল। এজন্যই হয়তো বলে শীতের সূর্যের স্বাদ মিষ্টি।
![]() |
---|
**জায়গা : খলিলগঞ্জ বাজার **
সময় : সকাল ০৭:৪৪
তারিখ : ২০/১১/২২
![]() |
---|
জায়গা : খলিলগঞ্জ বাজার
সময় : সকাল ০৭:৪৫
তারিখ : ২০/১১/২২
বাসা থেকে বেরিয়ে ২-৪ মিনিট হাটার পরেই খলিলগঞ্জ বাজারে পৌঁছে গেলাম। তখনো বাজার বেশ ফাঁকাই ছিল রাস্তায় খুব একটা গাড়ি ঘোড়া ছিল না আর বাজারে লোকজনও ছিল না। শীতের দিন এই ধরনের বাজার গুলো একটু বেলা করি জাঁকজমক হয়।
![]() |
---|
জায়গা : কুড়িগ্রাম বাস স্ট্যান্ড
সময় : সকাল ০৭:৪৯
তারিখ : ২০/১১/২২
![]() |
---|
জায়গা : সি এন্ড বি মোর
সময় : সকাল ০৭:৫০
তারিখ : ২০/১১/২২
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরেই একটি টোটো চলে এলো আর আমিও সেই টোটো তে চেপে বসলাম শহরের দিকে যাব বলে। শহরের দিকেও সে সময় খুব একটা লোকজন চোখে পড়ছিল না অল্প কিছু গাড়ি ঘোড়াই কেবল রাস্তায় চোখে পড়ছিল। ভালোই লাগে এরকম যানজট মুক্ত রাস্তা।
![]() |
---|
জায়গা : মধুর মোর
সময় : সকাল ০৭:৫১
তারিখ : ২০/১১/২২
রাস্তাঘাট ফাঁকা এবং যানজট মুক্ত থাকায় মধুর মোর পৌঁছাতে আমার খুব একটা সময় লাগলো না সেখানেই আমি টোটো থেকে নেমে পড়ি। এখানে আমার কিছু কাজ ছিল সেই কাজ খুব তাড়াতাড়ি সেরে নিয়ে এবার একটু শহরের ভেতরের দিকে যাব।
![]() |
---|
জায়গা : কলেজ রোড কুড়িগ্রাম
সময় : সকাল ০৮:২৫
তারিখ : ২০/১১/২২
আমার কাজ শেষ করতে করতে একটু বেলা হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তখনও রাস্তাঘাটে তেমন লোক জন ছিল না। ভাবলাম একটু টেস্টিতে যাব কিছু খাওয়ার জন্য কিন্তু টেস্টির সামনে গিয়ে দেখি টেস্টি তখনো খুলেন। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে আর বেশি দেরি না করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম বাসায় গিয়ে সকালের নাস্তা টা সেরে ফেলব।
শীতকাল এখনো ভালোভাবে শুরু হয়নি এরপর একদিন আপনাদের মাঝে কনকনে শীতের সকাল নিয়ে পোস্ট করব। আজ তাহলে এ পর্যন্তই, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোষ্টে আসার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Twitter Link
এখন তো এতো বেশি শীতের দেখা দেয় নি । কিন্তু কয়েকদিন পরে যখন খুবই সুন্দর ভাবে শীত পড়বে সকাল বেলায় তখন খুবই ভালো লাগবে। এখন তো খুব তাড়াতাড়ি রোদ উঠে যায় সকাল হওয়ার সাথে সাথে। আমার কাছে শীতকালের সকাল বেলার দৃশ্য একটু বেশি ভালো লাগে। সকালবেলায় ঠান্ডা আবহাওয়া এবং কুয়াশার ভেতর হাটতে একটু বেশি পছন্দ করি। শীতকাল আমারও খুবই পছন্দের। সব ধরনের ঋতু থেকে শীতকাল একটু বেশি ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে। যার প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমার ভীষণ পছন্দের। আপনি তো দেখছি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। আপনি কুয়াশা না থাকার ফলেও একটু হাটাহাটি করেছেন এবং শহরের দিকে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে খুবই ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনার মত আমিও শীতকাল ভীষণ পছন্দ করি। আর আমি ভেবেছিলাম কুয়াশা পাবো কিন্তু বের হয়ে দেখি কোন কুয়াশাই ছিল না যাইহোক তবুও শীতের সকালে বাহিরে সময় কাটাতে ভালোই লেগেছে।
শীতের দিন আমার কাছে ভীষণ রকম প্রিয়। কেননা গরমের দিন আমার খুবই অসহ্য। গরমের দিনে ভালোভাবে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় না আবার কোন কিছু খেয়েও তৃপ্তি পাওয়া যায় না। সে দিক থেকে শীতকাল অনেক অনেক বেশি ভালো। পিঠাপুলি থেকে শীতকালীন সবজি সবকিছু খেতে অমৃত লাগে। শীতের সকালে রাস্তাঘাট একটু ফাঁকাই থাকে। আর ফাঁকা রাস্তাঘাট থাকার কারণে তোমার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন এসেছে। শীতের সকাল নিয়ে খুব সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে সুন্দর একটি পোস্ট, আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তোমার মত আমিও গরম দিনের থেকে শীতকাল একটু বেশি পছন্দ করি মামা। যাইহোক এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার মত আমারও শীতের সকাল একটু বেশিই পছন্দ। খুব ভালো লাগে শীতের সকালে কম্বলের নিচে ঘুমাতে, এবং বাহিরে গিয়ে শিশির ভেজা ও মিষ্টি রোদে, শীতের সকাল উপভোগ করতে। শীতের সকালে মিষ্টি রোদ গায়ে লাগলে আসলে অনেক ভালো লাগবে ভাইয়া।
শীতের সকালে লেপ কিংবা কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমোতে আসলেই খুব মজা লাগে আপু উঠতেই ইচ্ছা করে না।
যদিও আগের মত খুব একটা শীত এখন পড়ে না, কিন্তু শীতের দিনে সকালের আবহাওয়াটা আসলেই খুব ভালো লাগে। তবে সকাল সকাল কম্বলের নিচ থেকে বের হওয়াটা খুব কষ্টকর 😜। শীতকালেই তো বিভিন্ন পিঠাপুলির উৎসব হয়। আমার কাছেও পিঠাগুলো বেশ ভালই লাগে খেতে। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন আপু আমারও শীতের সকালে এমনটা হয় কম্বলের কিংবা লেপের নিচ থেকে যেন উঠতে ইচ্ছা করে না তবু সে তো সকল উপভোগ করার জন্য একটু কষ্ট করে উঠতে তো হবেই।
শীতকাল এই জন্যই আমার কাছে এতটা প্রিয়, শীতকালে এত সুন্দর সুন্দর পিঠা বাসায় তৈরি করা হয় কি যে ভালো লাগে বলে বোঝাতে পারবো না।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতের কুয়াশামাখা সকাল আমার সব থেকে প্রিয়। আপনার শীতের সকাল এর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আমিও ঠিক আপনার মতো শীতের সকাল পছন্দ করি। সূর্যের কিরণ দেওয়ার ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন।
বেশিরভাগ মানুষই দেখছি শীতের সকাল ভীষণ পছন্দ করে। আসলেই শীতের সকালটা এতটা সুন্দর যে কারো পছন্দ হবেই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীত এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি যার কারণে সকালবেলা খুব একটা কুয়াশা থাকে না তবে এই কুয়াশার সৌন্দর্য টা গ্রাম অঞ্চলে বেশি বোঝা যায়। আমি নিজেও আজকে সকালে হাঁটতে বের হয়েছিলাম আর কুয়াশা ভেজা কিছু ছবি তুলেছি যেটা এই সপ্তাহে শেয়ার করব। যাইহোক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।
জি ভাই ঠিক বলেছেন গ্রামের দিকে ভালোই কুয়াশা দেখতে পাওয়া যায় ভেবেছিলাম গ্রামের দিকে যাব কিন্তু এতটা দেরি হয়েছিল যে সেদিকে আর যাইনি।
শীতকাল আমারও অনেক ভালো লাগে। ছয় ঋতুর মাঝে শীতকাল বেশি ভালো লাগে। এবং শীতকালে সকালবেলা হাটাহাটি করতে এবং রোদে বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। তবে এখনো পুরোপুরি শীত আসে নাই। তবে কুয়াশা না থাকার কারণে আপনি একটু হাঁটাহাঁটি করলেন। আমার কাছে গ্রাম অঞ্চলে শীতকালে হাঁটাহাঁটি করতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরেকটু শীত পড়ুক আমিও ভেবেছি গ্রামের দিকে যাব কারণ শীতকালটা আমার গ্রামে কাটাতেই ভালো লাগে।