ঝটপট ডিমের ঝোল রান্নার রেসিপি |•| 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালই আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে যে রেসিপিটি উপস্থাপন করবো এই রেসিপিটি ব্যাচেলরদের সবথেকে পছন্দের একটি রেসিপি, কারণ এই রেসিপিটি খুব সহজেই যে কেউ রান্না করে ফেলতে পারে। যারা বাহিরে মেসে থাকে তাদের জন্য এই রেসিপিটি খুবই উত্তম একটি রেসিপি। এই রেসিপিটি যারা মেসে থাকে আমি তাদেরই বেশি খেতে দেখেছি । আজ আমি আপনাদের মাঝে খুব সহজেই ডিমের ঝোল রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করব। এই রেসিপিটিকে অনেকেই ডিম তেলানিও বলে থাকে।
এই ডিমের ঝোল রেসিপিটি তৈরি করতে খুব কম উপাদানের প্রয়োজন হয় আর খুব কম সময়েই এই রেসিপিটি তৈরি করে ফেলা যায়। আর এই রেসিপিটি খেতেও খুবই সুস্বাদু। আমার তো এই রেসিপিটি হলে আর অন্য কোন তরকারির প্রয়োজন হয় না, এই রেসিপিটি থাকলে আমি একাই অনেকগুলো ভাত সাবার করে দিতে পারি।
আমার আজকের এই পোষ্টে আমি খুব সহজেই আপনাদের মাঝে ডিমের ঝোল রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করব। আপনারা যারা এই রেসিপিটি কখনো টেস্ট করে দেখেননি তারা আমার পোস্টটি অনুসরণ করে অবশ্যই এই রেসিপিটি বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশাকরি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ডিমের ঝোল রান্না করার রেসিপি দেখে আসা যাক।
উপকরণের ছবি | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
ডিম | ৩ টি | |
পেঁয়াজ বাটা | ২ টি | |
রসুন বাটা | ২ টি | |
পেঁয়াজ কুচি | ৩-৪ টি | |
আদা বাটা | ২-৩ টেবিল চামচ | |
লবণ | স্বাদ অনুযায়ী | |
সয়াবিন তেল | পরিমান মত | |
ধনিয়া গুড়া | ১ টেবিল চামচ | |
হলুদ গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ | |
জিরা গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ |
⊕ ধাপ-১ ⊕
প্রথমে একটি কড়াইকে চুলায় বসিয়ে দিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল নিয়ে নেব।
তেল গরম হয়ে এলে পেঁয়াজ কুচি গুলোকে আমরা কড়াইয়ে ছেড়ে দেব।
পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রঙ না হওয়া অব্দি ভাজতেই থাকবো।
⊕ ধাপ-২ ⊕
এবার কড়াইয়ে পরিমাণমতো পানি যোগ করব।
এবার পরিমাণমতো রসুন বাটা এবং পেঁয়াজ বাটা যোগ করব।
তারপর স্বাদ অনুযায়ী লবণ যোগ করব।
এবার আদাবাটা গুলোকে যোগ করব।
তারপর ধনিয়া গুঁড়া এবং হলুদ গুঁড়ো পরিমাণমতো যোগ করে নেব।
এবার ধনিয়া গুঁড়া এবং শুকনো মরিচের গুঁড়ো যোগ করতে হবে।
সবগুলো উপাদান যোগ করা হয়ে গেলে উপাদানগুলোকে ৩-৪ মিনিট কষিয়ে নেব।
⊕ ধাপ-৩ ⊕
এবার সবগুলো উপাদানকে কষানো হয়ে গেলে দিম গুলোকে আমরা কড়াইয়ে ভেঙ্গে দেব।
তারপর কড়াইটিকে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবো যতক্ষণ না ডিমগুলো সিদ্ধ হয়ে আসে।
কিছুক্ষণ পর পর ঢাকনা টিকে তুলে দেখব ডিম সিদ্ধ হয়েছে কিনা। এভাবে কিছুক্ষণ চুলায় রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ডিমের ঝোল রেসিপিটি।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি ভালো লেগেছে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোষ্টে আসার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ডিমের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে অনেক মজা পাওয়া যায় ডিমের ঝোল রান্নার রেসিপি আমি এর আগেও একবার করেছিলাম এটি খেতে বেশ মজাদার লাগে । তবে আপনি যেভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মনে হচ্ছে এটিও খেতে অনেক সুস্বাদু এবং চমকপ্রদ হবে আমি সময় পেলে এমন সুস্বাদু রেসিপি নিজে তৈরি করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আসলেই সাদা ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু। রেসিপিটি খেতে সত্যি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
এভাবে ডিম ভাজি করে আলু এবং বেগুন দিয়ে রান্না খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি তো দেখি খুব অল্পসময়ের মধ্যে ডিমের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সর্টকাটে এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে ডিমের ঝোল রান্না খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি খুব সহজ পদ্ধতিতে ডিমের ঝোল রেসিপি করে দেখিয়েছেন। আমি ডিম রান্না অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ হচ্ছে অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মাঝে মাঝে এই রেসিপিটি খেতে বেশ ভালোই লাগে। মাঝে মাঝে গরম ভাতের সাথে ডিমের ঝোল হলে আর কিছু লাগেনা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/mahir4221/status/1524057486017568773?t=q-eo1-WZGokpbwhYLyfpAg&s=19
ডিমের ঝোল রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আসলে ডিম আমার খুবই প্রিয় আর ডিম ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে। ডিম ভাজি আমার অনেক প্রিয়, ডিমের ঝোল রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার কাছেও ডিম ভাজি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। এভাবে ডিমের ঝোল খেতেও আমি মোটামুটি পছন্দ করি। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
সময় অসময়, সুখ দুখ বিপদ-আপদ সময় স্বল্পতা বা ব্যস্ততা সবকিছুর একটি সমাধান ডিম। আর এই ডিমকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু বানানো যায়। যেমনটি করে আপনি ডিমের ঝোল এর রেসিপি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই আপনার মতামত টি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
এই রেসিপিটি শুধু মেসের লোকজনই কেন খাবে । আমিও মাঝেমধ্যে ঝটপট এই রেসিপি তৈরি করে ফেলি। খুব সহজেই তৈরি করা যায় এবং খেতেও অনেক মজাদার হয়। আমি বিশেষ করে খিচুড়ির সঙ্গে এই রেসিপিটি বেশি খাই। আপনার ডিমের রেসিপি আজকে দেখে আবারও খেতে ইচ্ছা করছে।
হুম হুম আপনাকেও খাওয়ার অনুমতি দেয়া হলো হি হি হি 😁
আসলেই এই রেসিপিটি খেতে খুবই মজার। আমি কখনো খিচুড়ি দিয়ে খাই নি, একবার অবশ্যই খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
ডিম খুব উ্চ্চমানের একটি প্রোটিন সমৃদ্দ খাবার। আগে ম্যাচে থাকতে ডিমের ঝোল তরকারি অনেক খেয়েছি। ডিমের ঝোল রান্না করতে সময় অনেক কম লাগে। ভালো লাগলো অাপনার পোস্টটি দেখে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
জ্বি ভাই একদম ঠিক বলেছেন। আপনার মতামত দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
ডিমের ঝোল দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।আসলে ডিম আমার খবই পছন্দের একটা খাবার আপনি এই খাবারকে খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।