"পুনর্জন্ম"- দ্বিতীয় পর্ব বাংলা নাটক রিভিউ 🎥 || 10% Beneficiaries to @shy-fox 🦊
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? অবশ্যই সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে অনেক ভাল আছি।
আজ আবার হাজির হলাম সেই টানটান উত্তেজনার থ্রিলার নাটকের দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ নিয়ে। আশা করি আপনারা এই রিভিউ টি দেখে নাটকটি দেখার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক পুনর্জন্ম নাটক দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ।
পুনর্জন্ম
ছবিটি নাটক থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে Picsart দিয়ে এডিট করা
নাটকের তথ্য
লেখক | ভিকি জাহেদ |
---|
ডিরেক্টর | ভিকি জাহেদ, মাসুদুল মাহমুদ রুহান (চিফ ডিরেক্টর) |
---|
অভিনয়ে | আফরান নিসো, মেহজাবিন চৌধুরি, সাহেদ আলি, কাজি নওসাবা আহমেদ, মুকুল সিরাজ, মঞ্জুর মিন্টু। |
---|
নাটকের ধরন | ক্রাইম থ্রিলার |
---|
সময় | ৫৭ মিনিট |
---|
সিনেমাটোগ্রাফি | সুমন হোসাইন |
---|
এডিটিং, সাউন্ড, এনিমেশন | অরনব হাসনাত |
---|
নাটকের কাহিনি
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
"পুনর্জন্ম" নাটকের দ্বিতীয় পর্বের প্রথমে আপনারা দেখতে পারবেন একজন পুলিশ আরেকজন পুলিশকে ফোন দিয়ে বলে রাফসান হকের ড্রাইভার 24 ঘন্টা যাবত নিখোঁজ। তখন পুলিশটি চিন্তিত হয় এবং বলে এই রাফসান হকের কাহিনী কি তার আশেপাশে যেই থাকে সেই গায়েব হয়ে যায়। তখন আর একজন পুলিশ উত্তরে বলে রাফসান হক নিজেও অনেক চিন্তিত এবং তাকে অনেক রিকুয়েস্ট করে যেন তাকে খুঁজে বের করা হয়। তখন পুলিশ ইন্সপেক্টর উত্তর দেয় আচ্ছা ঠিক আছে আমি কাল সকালে ব্যাপারটা দেখছি।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
কিছুক্ষণ পর আপনারা দেখতে পারবেন রাফসান হক, নীলা (রোকেয়া) এবং বর্ষাকে। তারা নুরুর হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করছিল। তখন বর্ষা বলে ওঠে তার নুরুকে সুবিধার লোক মনে হয়না তাই সেই গাড়িটা নিয়ে পালিয়েছে। তখন রাফসান থাকে উত্তরে বলে কখনো কারো সম্বন্ধে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়। এবং আরো বলে নুরুল সেলফোন এবং গাড়িটি ট্রাক করা গেলেও সেখানে গিয়ে কিছুই পাওয়া যায়নি।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তার কিছুক্ষণ পর নাটকের একপর্যায়ে আপনারা দেখতে পারবেন রাফসান হককে শেফ এর ড্রেসে, সেখানে সে তার রান্নার ছাত্র দের রান্না শিক্ষা দিচ্ছিল। সেখানেই নিলয় নামে এক ছেলেকে প্রথম দেখা যায়। নিলয় তার রান্নার উপর ছুরি চালানোর দক্ষতা দেখিয়ে রাফসান হককে খুশি করে ফেলে। তখন নিলয় রাফসান হককে বলে সে তার কাছে এক্সট্রা ক্লাস নিতে চায় রান্না তার অনেক বড় একটি শখ। আরো বলে পেশায় নিল একজন ডক্টর, সেটা শুনে রাফসান হক অনেকটাই খুশি হয়ে যায় তার ওপর। তখন থেকে রাফসান হকের সাথে নিলয়ের চলাফেরা শুরু হয়।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তারপর রাফসান কিছু একটা চিন্তা করে রকেয়া কে তার গ্যারেজে দমবন্ধ করে খুন করতে চায়, তাই সে রকেয়া কে কল দিয়ে বলে গ্যারেজের ভেতর তার ফোনটি রেখে এসেছে সেটি নিয়ে এসে তার কাছে রাখতে। রকেয়া সে সময় কাজ করছিল তাই সে বর্ষাকে গ্যারেজে ফোন আনতে পাঠিয়ে দেয়। বর্ষা এবং রকেয়া একই রকম ড্রেস পড়েছিল তাই রাফসান সেটা বুঝতে পারেনি তাই বর্ষা যখন গ্যারেজে ফোনটি নিতে প্রবেশ করল তখন রাফসান রকেয়া মনে করে তাড়াতাড়ি গিয়ে গ্যারেজের গেট টা লাগিয়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে যখন দেখে রোকেয়া বাহিরে তখন সে অবাক হয়ে যায়। তখন সে রকেয়া কে জিজ্ঞাসা করে ফোনটা এনেছে কিনা তখন রোকিয়া উত্তর দেয় সে কাজ করছিল তাই বর্ষা ফোনটা নিতে গিয়েছে। তখন সে চমকে গিয়ে তাড়াতাড়ি বর্ষাকে বের করে ।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তারপর পুলিশ স্টেশন থেকে রাফসানের কাছে ফোন আসে, এবং পুলিশ বলে তার গাড়ি এবং ড্রাইভারকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে যেন দেখতে হসপিটালে যায়। হসপিটালে গিয়ে তারা নুরুকে দেখে অবাক হয়ে যায় সে পুরো ক্ষতবিক্ষত এবং ব্যান্ডেজে মোড়ানো ছিল।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তারপর রকেয়া রাফসান হকের ঘরে ডিপিএস এর কাগজগুলো খুঁজতে যায় এবং কাগজগুলো পেয়েও যায়, তখনই হঠাৎ রাফসান হক চলে আসে। তারপর রোকিয়া খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে। তারপর রাফসান বোতলের মধ্যে থাকা একটি কাটা আংগুল আলমারি থেকে বের করে যা আসল নীলার। আঙ্গুলটির সাথে অনেক কথা বলে তখনই আঙ্গুলটি তার হাত থেকে পড়ে যায় এবং রকেয়া সেটি দেখে। কাটা আঙ্গুলটি দেখার পর রকেয়া অনেক ভয় পেয়ে যায়। তখন রাফসান হক নীলার উদ্দেশ্যে বলে শেয়ার অভিনয় করতে পারছে না তার আর ভালো লাগছে না। নীলাকে খুন করে তার মাংস সে মানুষদের খাইয়েছে এবং অনামিকা আঙ্গুলটি তার কাছে কেটে রেখে দিয়েছে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে। এটি শোনার পর রকেয়া আরো ভয় এবং চিন্তায় পড়ে যায়।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
রকেয়া একটু বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিল তাই সে তাড়াতাড়ি ডিপিএস এর কাগজ গুলো হাতিয়ে নিয়ে সেখান থেকে পালাতে চাচ্ছিল। তাই সে রাফসানের ঘরে যায় আলমারির চাবি চুরি করতে। এখনই রাফসান তাকে ধরে ফেলে, কিন্তু রকেয়া তার হাত থেকে পালায় তখনই তাকে রাফসানের বোন ধরে ফেলে কিন্তু রাফসানের বোন রকেয়া কে আটকায়নি বরং তারা দুজন মিলে রাফসান কে ঘরে বন্দী করে পুলিশকে ফোন দেয়। বর্ষা কিভাবে রকেয়া কে সাহায্য করল তার একটু অতীত ঝলক আপনারা এখানে দেখতে পারবেন। তারপর পুলিশ এসে রাফসানকে জেলখানায় নিয়ে যায়।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তারপর হঠাৎ বর্ষা পুলিশ নিয়ে বাসায় আসে এবং রকেয়া কে চমকিয়ে দেয় এবং বলে যে রাফসানের ঘর থেকে যে আঙ্গুলটি পাওয়া গেছে সেটা নীলার ডি এন এর সাথে ম্যাচ হয় না। তখনই বুঝা যায় এগুলো সব রাফসানের খেলা ছিল সে রকেয়া কে ভয় দেখানোর জন্য এগুলো করেছে এবং রকেয়া কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
তারপর রাফসান এবং নিলয় কে একসাথে খেতে দেখা যায় তখনই নিলয় ওয়াশরুমের কথা বলে বাহিরে যায় এবং পেছন থেকে রাফসানকে এসে মাথায় মারে এবং অজ্ঞান করে দিয়ে চেয়ারের সাথে বেঁধে দেয়। এটা দেখে রাফসান অনেকটাই চমকে যায় এবং রাফসান নিলয় কে জিজ্ঞাসা করে সে কেন এমন করল। তখনই নিলয় চমকে দিয়ে বলে যে রাফসান এর স্ত্রী নীলার সাথে নিলয়ের সম্পর্ক ছিল। যার কারণে রাফসান নীলাকে খুন করেছিল। নিলয় নীলাকে অসম্ভব ভালোবাসত তাই সে রাফসানকে খুন করে তার খুনের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রাফসান তার রূপে বিষাক্ত মাশরুম আগে থেকেই মিশিয়ে দিয়েছিল তাই নিলয় সেখানেই মারা যায়।
ছবিটি YouTube থেকে স্ক্রিনশট নেয়া
আর অন্যদিকে রকেয়া তার বান্ধবীকে জেলে তার বেশে সাজিয়ে বোরকা পড়ে পালিয়ে যায় এবং মরিয়া হয়ে ছুটতে থাকে।
এখানেই শেষ হয় "পুনর্জন্ম" নাটকের দ্বিতীয় পর্ব।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
পুনর্জন্ম নাটকের প্রথম পর্ব দেখার পর দ্বিতীয় পর্ব দেখার জন্য খুব ইচ্ছে হচ্ছিল কারণ নাটকটা এমন যে মনের ভেতর একটা কৌতুহল ভাসিয়ে তুলে। পুনর্জন্ম দ্বিতীয় পর্ব আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। প্রত্যেকটা মুহূর্তে থ্রিলার ছিন। এরপর কি হবে এটা মনে করেই মনের ভিতরে একটা টান টান উত্তেজনা কাজ করে। এক কথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
ভাইয়া পুরো পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অবশ্য এই নাটকটি আপনি যদি না লিখতেন তা হলে হয়তো দেখাই হতোনা।এখন দেখতে ইচ্ছে করছে। ভালো লিখেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। অবশ্যই এই নাটকটা দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
নাটকটির দ্বিতীয় পর্ব না দেখলেই প্রথম পর্বটি বোঝা যাবেনা। দ্বিতীয় পর্ব মাধ্যমে অনেকটাই বুঝতে সুবিধা হয়েছে নাটকটি। খুবই অসাধারণ নাটক।আমি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা যারা যারা দেখেননি একবার দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
অনেক সুন্দর নাটকটি রিভিউ দিয়েছেন পরে অনেক সুন্দর ভাবে বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই নাটকটা আমার এক বন্ধুর উপদেশে আমি দেখি। সত্যি অসাধারণ একটি থ্রীলার নাটক। আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। রাফসান সাহেবের রেসিপি টা কিন্তু জোস।
আপনার রিভিউ টা খুব ভালো হয়েছে।
জি ভাই থ্রিলার মানেই জোস সত্যিই অসাধারণ একটি নাটক ভিকি জাহেদ ভাই তৈরি করেছেন। আপনার মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। যদিও আমি নাটকটি দেখি নি।তবে আপনার পুরো পোস্টটি পড়েই নাটক দেখা হয়ে গেলো।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নাটকটি অবশ্যই দেখে নেবেন সত্যি অসাধারণ একটি নাটক।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া নাটক টা অনেক সুন্দর। নাটকটা আমি দেখেছি তবুও লিখা গুলো পড়তে ভালো লেগেছে।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।