আজ রাতে একটি বাংলা নাটক দেখবো বলে ইউটিউব ঘাটাঘাটি করছিলাম তখনই আমার চোখে দুই বছর পুরনো একটি নাটক পড়ে গেল। নাটকটির ভিউ ছিল প্রচুর তাই ভাবলাম নাটকটি দেখি। তাই দেরি না করে নাটক প্লে করে ফেলি। আজ সেই নাটকটির রিভিউ আপনাদের মাঝে আমি উপস্থাপন করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। যারা নাটকটি দেখেননি তারা অবশ্যই দেখবেন, তাহলে চলুন শুরু করা যাক নাটকটির রিভিউ।

---

---

⊕ হোয়াইট হ্যাকার ⊕

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী

নাটক	হোয়াইট হ্যাকার
পরিচালক	মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ
লেখক	মাসুদুল হাসান
অভিনয়ে	আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী, রিয়া, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, তপু মোস্তফা, তুষার মামুন
নাটকের সময়	৩৫ মিনিট

⊕ মূল কাহিনী ⊕

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

নাটকটির শুরুতেই আমরা আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী কে দেখতে পাই। তারা দুজনেই দুজনের মতো বিছানায় বসে একজন মোবাইল ফোনে এবং আরেকজন ল্যাপটপ এ ব্যস্ত ছিল। তখনই আফরান নিশো হঠাৎ চমকে ওঠে, এবং মেহজাবিন চৌধুরি আফরান নিশো কে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। তখনই আফরান নিশো বলে ওঠে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। আফরান নিশো খুবই চিন্তায় পড়ে যায়। আর মেহজাবিন চৌধুরী আফরান নিশোকে বলে এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই একটা আইডি গিয়েছে তো কি হয়েছে, আবার আরেকটি নতুন আইডি খুলে নিতে বলে আফরান নিশো কে। কিন্তু আফরান নিশো তার আইডি হ্যাক হওয়াতে খুবই চিন্তায় পড়ে যায় কোন ভাবেই সে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছিল না।

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

নাটকের একপর্যায়ে আমরা আফরান নিশোকে অন্য একটি মেয়ের সাথে তার গাড়িতে দেখতে পাই। মেয়েটির নাম ছিল রিয়া। তাদের কথোপকথন শুনে বুঝা যাচ্ছিল যে তাদের মধ্যে আলাদা কোনো সম্পর্ক আছে। আফরান নিশো রিয়াকে তার আইডি হ্যাক হওয়ার কথা জানায়, তখন রিয়া আফরান নিশোকে বলে নতুন আরেকটি আইডি খুলে নিতে। কিন্তু আফরান নিশো তার পুরনো আইডিটি নিয়েই চিন্তিত ছিল কারণ সেখানে রিয়ার সাথে তার কথোপকথন ছিল। যে আইডি হ্যাক করেছে সে যদি এগুলোর স্ক্রীনশট পোস্ট করে দেয় এই ভয়টাই আফরান নিশো পাচ্ছিল।

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

এদিকে আফরান নিশো এতটাই চিন্তিত ছিল যে সে তার অফিসের কলিগ এবং একজন বন্ধুকে তার আইডি হ্যাক হওয়ার কথা জানায়। এবং তাদের কাছে এও জানতে চায় যে কেউ তার আইডিটি ঠিক করে দিতে পারবে কিনা। কিন্তু আফরান নিশো তাদের কাছে গিয়ে হতাশ হয়, তাদের দুজনেরই কেউ তাকে সাহায্য করতে পারে না।

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

তারপর মেহজাবিন চৌধুরী আফরান নিশোকে এসে বলে যে মেহজাবিন চৌধুরীর ভাই তার আইডি ঠিক করে দিতে পারবে। মেহজাবিন আফরান নিশোকে এও বলে যে আফরান নিশোর ফেসবুক আইডির সব তথ্য সে তার ভাইকে দিয়েছে যেন সে আইডিটি ঠিক করতে পারে। এটা শুনে আফরান নিশো আরো চিন্তায় পড়ে যায়, কারণ মেহজাবিনের ভাই যদি আইডি ঠিক করে তাহলে সে আফরান নিশো এবং রিয়ার সব কথোপকথন দেখে নেবে।

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

তারপর আফরান নিশো মেহজাবিন চৌধুরীর ভাইয়ের কাছে চলে যায়। এবং তার ভাইকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে সে যেন তার বোনকে তার আইডির বিষয়ে কোন কিছু না বলে। কিন্তু মেহজাবিন চৌধুরীর ভাই মেহজাবিনকে সব বলে দেয়। এটা শুনে মেহজাবিন চৌধুরী খুবই রেগে গিয়েছিল। তারপর আফরান নিশো আবারো মেহজাবিন চৌধুরীর ভাইয়ের কাছে যায় এবং আরো কিছু টাকা ধরিয়ে দেয় যেন সে তার বোনকে কোনোভাবেই এসব বিষয়ে না জানায়।

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

_{স্ক্রিনশটটি YouTube থেকে নেয়া}

দ্বিতীয় বার আফরান নিশো মেহজাবিন চৌধুরীর ভাইয়ের কাছে যাওয়ার কারণে মেহজাবিন চৌধুরী খুবই রেগে যায় এবং আফরান নিশোকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে তার আইডি নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করছে। তখন আফরান নিশো মেহজাবিন চৌধুরী কে সব খুলে বলে, রিয়া নামের মেয়েটির সাথে যে আফরান নিশো কথা বলতো এসব মেহজাবিন চৌধুরী কে বলে। এটা শুনে মেহজাবিন চৌধুরী খুবই রেগে যায়। তারপর এক পর্যায়ে আমরা দেখতে পারি তারা দুজন বসে দুজনের ভুল স্বীকার করছে। এখানে মেহজাবিন চৌধুরী আমাদের চমকে দিয়ে বলবে যে আফরান নিশোর ফেসবুক আইডি সেই হ্যাক করেছিল। তারপর দুজন দুজনের ভুল স্বীকার করে নেয়, আফরান নিশো ভুল স্বীকার করে রিয়ার সাথে কথা বলার জন্য এবং মেহজাবিন চৌধুরি ভুল স্বীকার করে তার আইডি হ্যাক করার জন্য।

⊕ নিজস্ব মতামত ⊕

নাটকটি আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে, নাটকটিতে খুব একটা টুইস্ট না থাকলেও নাটকটি মোটামুটি ভালো লাগার মতই ছিল। নাটকটিতে ছোটখাটো শিক্ষণীয় বিষয় ও ছিল। নাটকের সকলেই তাদের চরিত্র খুবই সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছে যা আমার কাছে ভালই লেগেছে। আপনারা চাইলে নাটকটি দেখতে পারেন আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

⊕ রেটিংস ⊕

কাহিনী	৭.৫/১০
অভিনয়	৮.৫/১০
সব মিলিয়ে	৮/১০

⊕ নাটকটির লিংক ⊕