DIY-(এসো নিজে করি)//গ্লু গান এবং পাথরের সাহায্যে সুন্দর ঝর্না তৈরী।
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা, প্রতিদিনের মতো আপনাদের সবার মাঝে হাজির হলাম নতুন আরো একটা ডাই পোস্ট নিয়ে। আমার দুইটা একুরিয়াম ছিল। একুরিয়াম দুইটা আমি যখন আমার রুম পরিবর্তন করতে যাচ্ছিলাম। তখন আমার সাথে ধাক্কা লেগে নিচে পড়ে একুরিয়াম দুটো ভেঙ্গে যায়। তো একুরিয়ামের ভিতরে পাথর এবং কিছু লতাপাতা ছিল। এগুলো দেখে ভাবলাম এগুলো ফেলে না দিয়ে। নতুন কিছু করা যায় কিনা। যে ভাবা সেই কাজ সাথে সাথে আমি বাজারে গেলাম এবং একটা গ্লু গান কিনে নিয়ে আসলাম। সেই গ্লু গান, পুরনো পাথর এবং লতা পাতার ব্যবহার করে নতুন একটা ডাই পোস্ট তৈরি করলাম। আমি যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিলাম তখন পাহাড়ের ভিতর দিয়ে চলার সময় অনেক ঝর্ণা চোখে পড়তো। এবং এই ঝর্ণাগুলো দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভির জমাতো পাহাড়ি ঝর্ণার এই মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য। আর সেই চিন্তা ধারা থেকেই গ্লু গানের সাহায্যে একটি ঝর্ণা তৈরির চেষ্টা করেছিলাম।এবং শেষমেশ তা একটু করতে পেরেছি। যা এখন আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। তো চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই পানির ঝরনাটি তৈরি করলাম।
আমি গ্লু গান এবং পাথরের সাহায্যে কিভাবে ঝর্না তৈরি করেছি তা ধাপে ধাপে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
১। গ্লু গান ।
২। রঙিন পাথর ।
৩। প্লাস্টিকের লতাপাতা।
৪। ককশিট।
৫। রঙিন পেন্সিল।
আমি ফ্লোরের উপরে জেল দিয়ে তার উপরে গ্লু গানের সাহায্যে ঝর্ণা তৈরি করে নিলাম। এবং তা শুকানোর জন্য রেখে দিলাম।
তারপর আগে থেকে কেটে নেওয়া কাগজের উপরে ককশিট গুলো লাগিয়ে দিলাম। ককশিট গুলো লাগানো হয়ে গেলে তার উপরে গ্লু গানের সাহায্যে পাথরগুলো লাগিয়ে দিলাম।পাথরগুলো লাগানো হয়ে গেলে রঙিন পেন্সিল এর সাহায্যে রঙিন কাগজটা আরো একটু ব্লু করে নিলাম।
এবার যে জায়গা থেকে ঝরনাটি পড়বে সেই উঁচু স্থান ককশিটের সাহায্যে তৈরি করলাম এবং ককশিটের উপরে গ্লু গানের সাহায্যে পাথরগুলো বসিয়ে দিলাম। পাথরগুলো বসানো হয়ে গেলে রঙিন পেন্সিল দিয়ে রঙিন কাগজটি আরও ব্লু করে নিলাম।
এরপর প্রথম রঙিন কাগজটির উপর ঝর্ণা পরার যে রঙিন কাগজটি তৈরি করেছিলাম সেটি গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম। এবং তার উপরে আগে থেকেই গ্লু গানের সাহায্যে তৈরি করা ঝর্না টি লাগিয়ে দিলাম।
এবার ঝর্না বাহির হওয়ার উপরের স্থানটিতে কয়েকটি রঙিন পাথর লাগিয়ে দিলাম। রঙিন পাথর লাগানোর পর নিচে যেখানে ঝর্না পড়বে, সেখানে গ্লু গানের সাহায্যে পানি তৈরি করে দিলাম। এবং ঝর্ণাটি মাপ মতো কেটে গ্লু গানের সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম।
এবার যেখানে ঝর্না পড়বে সেখানে আরো কিছু রঙিন পাথর দিয়ে দিলাম।
সর্বশেষ ধাপে এসে ঝর্নাটাকে আরো সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করার জন্য আমি ঝর্ণাটির চারিপাশে কিছু লতাপাতা লাগিয়ে দিলাম।
গ্লু গান এবং পাথরের সাহায্যে এই ঝর্ণাটি তৈরি করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। ঝর্নাটি দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছে।আমি আমার একুরিয়ামের পুরাতন জিনিসগুলো ব্যবহার করে, সুন্দর এই ঝর্ণাটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আশাকরি এই সুন্দর ঝর্ণাটির পোস্ট আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে। তো আজ এই পর্যন্তই পরবর্তীতে আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে ইনশাআল্লাহ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ডাই পোস্ট । |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
ওয়াও জাস্ট অসাধারণ! আপনি খুব সুন্দর গ্লু গান এবং পাথরের সাহায্যে সুন্দর ঝর্না তৈরী করেছেন। ঝর্নার চারপাশে রঙিন পাথর দেওয়ার কারণে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আপনার আইডিয়াটা বেশ দারুন ছিল। ঝর্ণা থেকে পানি পড়ার দৃশ্যটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এই ডাই গুলো ঘরে সাজিয়ে রাখলে ঘরের সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। খুবই সুন্দর ছিল।
আসলে বুদ্ধি থাকলে যে ঘর জামাই থাকতে হয় না সেটা আপনার আজকের পোস্ট দেখেই বুঝে গেলাম। আজ বুদ্ধি ছিল বলেই আপনি ভাঙ্গা এ্যাকুরিয়ামের কোন কিছু না ফেলে দিয়ে একটি সুন্দর ঝর্ণা বানিয়ে ফেললেন। যা কিনা দেখতে বেশ দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/mahfuzur888/status/1783348434067726821?t=BbMJTlIodvnViY6mhZxWtw&s=19
গ্লুগান এবং পাথরের সাহায্যে আপনি খুব চমৎকার একটি ঝর্ণা তৈরি করেছেন খুবই চমৎকার হয়েছে অনেক প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে ফুটিয়েছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাই আপনার দুটি একুরিয়াম আপনার রুম পরিবর্তন করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়। তবে ভেঙে গেলেও এত সুন্দর একটি ডাইপোস্ট দেখার সুযোগ হয়েছে। আপনার ডাই পোস্টটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। বেস্ট ডাই পোস্ট মনে হয়েছে আমার কাছে।এত সুন্দর ভাবে ঝর্ণা তৈরি করেছেন দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। ধাপগুলো খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন, অসাধারণ হয়েছে।
পুরানো জিনিস পত্র কিন্তু সত্যি বেশ মূল্যবান। মাঝে মাঝে এসব জিনিস বেশ কাজে লেগে যায়। এই যেমন আজ কাজে লেগে গেল। খুব সুন্দর একটি ঝর্ণা তৈরি করেছেন ভাইয়া। তাও আবার ভাঙ্গা এ্যাকুরিয়ামের জিনিস দিয়ে।
পুরাতন এবং ভেঙ্গে যাওয়া একুরিয়াম দিয়ে আপনি চমৎকার একটি ঝর্ণা তৈরি করেছেন। আসলে এধরনের কাজগুলো ক্রিয়েটিভিটির বহিঃপ্রকাশ। বেশ দারুন একটি কাজ উপহার দিয়েছেন।
ড্রাই ইংরেজি শব্দটির অর্থ শুকনো। এখানে ডাই প্রজেক্ট হবে। আশাকরি বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
আরে বাহ্ আপনি দেখছি চমৎকার ভাবে একটি ঝর্না তৈরি করেছেন। আসলে এধরনের ডাই প্রজেক্ট গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন কালারের পাথর গুলোর জন্য ঝর্নার সৌন্দর্য দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ ভাবে গ্লু গান এবং পাথরের সাহায্যে সুন্দর ঝর্না তৈরী করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি ঝর্ণা দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। আসলে এত সুন্দর ভাবে হাতের কাজ করা সম্ভব আপনার এই পোস্টটি না দেখলে হয়তো বুঝতে পারতাম না। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে স্টেপ বাই স্টেপ শেয়ার করে বর্ণনা দেওয়ার জন্য।
চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় থাকার সময়ের পাহাড়ি ঝর্ণার কথা মনে করে আপনার বাসার ভেঙ্গে যাওয়া আসবাব দিয়ে সুন্দর একটি ঝর্ণা তৈরি করেছেন আপনি।আসলেই ভাইয়া বুদ্ধির মাধ্যমেই যেকোনো পুরোনো বা অকেজো জিনিস দিয়েও নতুন কিছু তৈরি করা সম্ভব সেটা আপনার আজকের পোস্ট এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হলো।ঝর্ণাটি কিন্তু দেখতে অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।তৈরির ধাপ গুলিও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি,আর আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।আপনাকে তার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ভাইয়া।