ফটোগ্রাফি //দেওয়ালে টানিয়ে রাখা সুন্দর কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
অনেকদিন পর আমি আমার স্যারের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আসলে হঠাৎ করে স্যারের সাথে কিছুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল এবং স্যার তার বাসায় যেতে বলেছিল। আমিও যেহেতু ঢাকায় থাকি, আর স্যারের বাসা আমার বাসার পাশাপাশি। যার কারণে স্যারের বাসায় আমি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আজকে আমি সকালবেলা সেই স্যারের বাসায় গিয়েছি। স্যারের বাসায় গিয়ে তো বাসার ভিতরে পরিবেশ দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে বাসার দেওয়ালে এত সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং গুলো ছিল, এই পেইন্টিং গুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আর এই পেইন্টিং গুলো কে করেছে সেটা আমি জানতে চাইলাম। স্যার বলল তার বড় মেয়ে এই পেইন্টিং গুলো করেছে। তার বড় মেয়ে নাকি পেইন্টিং করতে খুবই ভালোবাসে। যার কারণে পেইন্টিং গুলো দেওয়ালে টানিয়ে রেখেছে,মেয়ের স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য। আর স্যারের মেয়ের দক্ষতা সত্যি অসাধারণ। এই পেইন্টিং গুলো দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই সেই পেইন্টিং গুলোর ফটোগ্রাফি করেছি, আর এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
প্রথমে আমি খুবই সুন্দর একটি পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। এই পেইন্টিংটি হল ঝর্ণার পানি বয়ে চলছে সত্যিই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য নিয়ে এই পেইন্টিংটি অঙ্কন করেছে। পেন্টিংটি দেখে বোঝা যাচ্ছে না এটি হাতর পেইন্টিং করেছে,মনে হচ্ছে একদম কম্পিউটারে ডিজিটাল আর্ট করেছে, সত্যিই অসাধারণ ছিল।
গ্রামের প্রকৃতির পরিবেশের দৃশ্য সকলেই ভালোবাসে। আসলে গ্রাম অঞ্চলের এই দৃশ্যগুলো দেখলেই যেন মন ভরে যায়। আর গ্রামের সৌন্দর্য নিয়েই এই পেইন্টিংটি করেছে। গ্রামের দৃশ্য যেন ফুটে উঠেছে এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে।তাই গ্রামীণ পরিবেশের এই পেইন্টিংটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আর পেন্টিংটি দেখে যেন গ্রামের দৃশ্য চোখের সামনে ভাসতে ছিলো।
নদীর কিনারায় গাছপালার দৃশ্যের পেইন্টিংটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে নদীর কিনারায় গাছপালার দৃশ্য খুবি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এই গাছপালার বাগানের দৃশ্য যেন খুবই ভালে লেগেছে আমার। এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে গাছের ও নদীর দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
পাহাড়ের গা ঘেঁষে ঝরনার বয়ছে। আর এই ঝর্ণার দৃশ্যটি আমি এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে দেখতে পেলাম। পাথরের ঝরনা মাঝে সবুজ ঘাসের দৃশ্য আর ঝর্ণার পানি প্রবাহিত দৃশ্যটি যেন এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।
সবুজ গাছপালার অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য, আর এই গাছপালার মাঝে ফুলের দৃশ্য। ফুল গাছের দৃশ্য ও ফুলের দৃশ্য যেন এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আসলে এই পেইন্টিং গুলো করতে অনেক সময় ও দক্ষতা লেগেছে এবং সে খুবই দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে এই পেইন্টিং গুলো করেছে। আসলে তার দক্ষতা আর তার পেইন্টিং দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।
প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে চারপাশে গাছপালার দৃশ্য, আর মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতের দৃশ্য। এই দৃশ্যগুলো সত্যি অসাধারণ ছিলো।আসলে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো দেখলেই যেন ভালো লাগে। কি অপরূপ সৌন্দর্যময় কালার কম্বিনেশন করেছে। আর এই পেইন্টিংটি সত্যি প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন ফুটিয়ে তুলেছে।
প্রকৃতির অপরূপ সুন্দরময় আরও একটি দৃশ্য দেখতে পেলাম এই পেইন্টিং এর মাধ্যমে। চারপাশের গাছপালা মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নদী এবং পাখিগুলো উড়ে যাচ্ছে। এই প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্যটি দেখে খুবি ভাল লেগেছে।তার এই পেইন্টিং দেখে মন ভরে গেলো আমার।
গোধূলি সন্ধ্যা অপরূপ সৌন্দর্যময় নীল আকাশের দৃশ্যের পেইন্টিং ছিলো।এই দৃশ্যের মধ্যে সূর্যের দৃশ্যও যেন ফুটিয়ে তুলেছে। তার এই পেইন্টিংতে গোধূলির সন্ধ্যাবেলার গাছের ডালে পাখি বসে থাকার সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ও দক্ষতার সাথে পেইন্টিং গুলো করেছে দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আমার প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৬২
স্যারের বাসায় আজকে এসে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, এই পেইন্টিং গুলো দেখতে পেয়ে। আসলে এই পেইন্টিং গুলো যেন এখন স্মৃতি হয়ে রয়েছে। কারণ স্যারের বড় মেয়ে এখন তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে কানাডা থাকে। আর স্যারদের কাছে যেন তার মেয়ের এই পেইন্টিং গুলো স্মৃতি হয়ে রয়েছে। তাই স্মৃতিময় এই পেইন্টিং গুলো স্যার তার রুমের দেওয়ালের টানিয়ে রেখেছে। আর এই পেইন্টিং গুলো আজকে দেখতে পেয়ে আমি ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।তাই শেয়ার করতে পেরে আমারও অনেক ভালো লাগছে।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
https://twitter.com/mahfuzur888/status/1788565548974080127?t=87JNTQf5a4l178AX2TB6NA&s=19
ভাইয়া আপনার স্যারের বাসার দেয়ালে টানানো পেইন্টিং গুলো সত্যি অনেক সুন্দর। আর এরকম সুন্দর পেইন্টিং দেখে ভালো লাগলো। আপনার স্যার অনেক সৌখিন মানুষ বোঝাই যাচ্ছে। দারুন সব পেইন্টিং গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
সত্যিই ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে অবাক হলাম। সেই সাথে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পেইন্টিং এর অনেকগুলো ছবি একসাথে দেখতে পেয়ে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো প্রতিটি ছিল খুবই আকর্ষণীয় এবং মনমুগ্ধকর। তবে ঝরনার পানি বয়ে চলেছে এই পেইন্টিংটি দেখতে তো অসাধারণ লাগছে। সেই সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য এছাড়া গোধূলি সন্ধ্যা এই পেইন্টিং গুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া আপনার স্যারের মেয়ের আর্ট গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর আর্ট তৈরি করে দেখছি। আপনার স্যার তার বড় মেয়ের তৈরি করা আর্ট গুলো স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য দেয়ালে টাঙিয়ে রেখেছে বিষয়টা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপনার পোস্টটি শেয়ার করা প্রতিটা ছবি অংকন অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আসলে কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখব সত্যি ভেবে উঠতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল যে কোন একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট তার মনের চিন্তা ধারার মাধ্যমে সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আসলে আজকে আমার কাছে প্রতিটা অঙ্কন করা ছবি অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এ জাতীয় চিত্র অংকন গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। প্রায় মাঝেমধ্যে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমন সুন্দর সুন্দর চিত্র অংকন টাঙিয়ে রাখা হয়। এদিকে চারুকলাতে ও শুনেছি এমন দারুন দারুন ছবি দেয়ালের টাঙিয়ে রাখে। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর সুন্দর সব ফটো গুলো দেখে।
আমিও কিছু দেয়ালে টাঙ্গানো কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি করেছি খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব। পাহাড়ের এই ছবিটা আমার কাছে বেশ চমৎকার লাগতেছে। প্রতিটা ছবি মনে হচ্ছে বাস্তবে দেখেছি কিন্তু এগুলো যে পেইন্টিং করা বিশ্বাস করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। প্রথম ছবিটা অসম্ভব সুন্দর ছিল। আসলেই মানুষ কত কিছুই না পারে, মানুষের দক্ষতা দেখলে মুগ্ধ হয়ে যায়।
দেয়ালে রাঙানো বেশ অনেক রকমের পেইন্টিং রয়েছে দেখছি। একবার আমিও এই জাতীয় পোস্ট দুই তিন দিন ধরে শেয়ার করেছিলাম। সাতক্ষীরা চারুকলা বিভাগে পরীক্ষা দিতে গিয়ে সেখানে অনেকগুলো এমন ফটো দেখেছিলাম। সব ফটোগুলো আমি ফটোগ্রাফি করে এনেছিলাম। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া অসাধারণ সব চিত্র দেখে।