আমার বাংলা ব্লগ // আলু পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি।।
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
প্রিয় বন্ধুরা আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরো একটা রেসিপি পোষ্ট নিয়ে।বেশ কিছুদিন হলো মুরগির মাংস আর খাওয়া হচ্ছিল না। তাই এবার একটু রুচিটা পরিবর্তনের জন্য মুরগির মাংস রান্না করলাম। আর এই মুরগির মাংস একটু ঝোল বেশি দিয়ে রান্না করেছি। আমার ছেলে মেয়ে একটু ঝোলটা বেশি পছন্দ করে। যদিও ঝেলটা একটু গারো করার জন্য পেঁয়াজের পরিমাণ একটু বেশি দিয়েছিলাম। কাজেই ঝোল টা একটু বেশি হলেও মুরগির মাংসের রান্নাটা কিন্তুু হয়েছিল দারুন সুস্বাদ। আলু পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংসের রান্নাটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তো চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক আমি কিভাবে আলু পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম।
🥗আলু পেয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি।।
👇প্রয়োজনীয় উপকরণ👇
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
১) মুরগির মাংস | ১ কেজি ৫০০ গ্রাম । |
২) আলু | ৫০০ গ্রাম । |
৩) পেঁয়াজ | ৫০০ গ্রাম। |
৪) মসলা | পরিমাণমতো। |
৫) আদা বাটা | পরিমাণমতো। |
৬) অন্য অন্য মসলা | পরিমাণমতো। |
৭) কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো। |
৮) লবন | পরিমান মতো। |
৯) সোয়াবিন তেল | পরিমান মতো। |
ধাপ👇১
প্রথমে আলু পেঁয়াজগুলো ধুয়ে কুচি করে রাখলাম। এবং দুই কেজি ওজনের একটা মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ বাদ দিয়ে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম মাংস কেটে ধুয়ে নিলাম। এবং তিনটি আলাদা আলাদা বাটিতে রেখে দিলাম। যেমনটি আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন।
ধাপ👇২
তারপর একটা প্যানের ভিতরে সামান্য একটু তেল নিলাম এবং তেলটা হালকা গরম হলে তার ভিতরে পেঁয়াজ কুচিগুলো ছেড়ে দিলাম। পিঁয়াজ কুচিগুলো হালকা লালচে কালার হলে তার ভিতরে মসলাগুলো দিয়ে দিলাম।যেমনটি আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন।
ধাপ👇৩
এবার মসলাগুলো ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে ধুয়ে রাখা মুরগির মাংসগুলো দিয়ে দিলাম এবং মুরগির মাংসগুলো মসলা দিয়ে মাখিয়ে তারপরে আলুগুলো দিয়ে দিলাম। যেমনটি আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন।
ধাপ👇৪
এবার চুলা মিডিয়াম আচেঁ রেখে মুরগির মাংস এবং আলুগুলো ভালো করে মসলার সাথে মেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। এবং বেশ কিছুক্ষন জাল দিয়ে মাংস এবং আলুগুলো ভালো ভাবে কষিয়ে নিলাম। যেমনটি আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন।
শেষের-ধাপ👇
মুরগির মাংসগুলো ভালোভাবে কষানোর পরে আগে থেকেই করে রাখা গরম পানি, পরিমাণ মত মাংস গুলোর ভিতরে দিয়ে দিলাম। এবং চুলা মিডিয়াম আচেঁ রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জাল দিয়ে লবণ টেস্ট করে সামান্য জিড়ার গুড়ো দিয়ে নামিয়ে নিলাম। আর এভাবেই আলু পিয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার শেষের ধাপে এসে পৌঁছাইলাম।
পরিবেশন👇
অনেকদিন পর আলু পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।মাংসের ঝোল যেহেতু আমার ছেলে মেয়ের বেশি পছন্দ এজন্য পেঁয়াজ একটু বেশি দিয়ে ঝোলটা গাড় করেছিলাম । এত করে মাংসটা সুস্বাদু হয়েছিল এবং আমার ছেলেমেয়েও ইচ্ছা মতো ঝোল পেয়েছিল।আমি আশা করি রেসিপিটা আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্য্যন্ত্যই পরবর্তীতে আবার দেখা হবে যে কোন একটা নতুন পোস্ট নিয়ে সে পর্য্যন্ত্য আপনারা সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেসিপি । |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার মজাটাই আলাদা। এটি দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমন সুস্বাদু। আমার খুব পছন্দের রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটি আপনার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আরো ভালো ভালো কিছু রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
https://x.com/mahfuzur888/status/1797209020736086152?t=AZR9boQhlmZO9x_K3jLQKQ&s=19
আলু এবং পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি টা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি অলরেডি দুপুরে খেয়েছি। তারপরও আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার ক্ষুদা লেগে গেল। আলু আর মাংসের কম্বিনেশন বেস্ট। উপকরণ এবং ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। দোয়া ও শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু আলু এবং পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপিটা দেখতে যে রকম সুন্দর হয়েছিল খেতে হয়েছিল অসাধারণ সুস্বাদু। রেসিপিটা দেখে যেহেতু আপনার ক্ষুধা লেগেছে আপনার ঠিকানাটা পাঠিয়ে দেবেন আমি পার্সেল করে পাঠিয়ে দিব। যাইহোক এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
মুরগির মাংস আমার খুবই প্রিয় আর যদি দেশি মুরগির মাংস হয় তাহলে তো কথাই নেই।
তবে এই মুরগির মাংস একটু বেশি করে ঝাল দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে একটু বেশি মজা হয়।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই তো জিভে জল চলে এলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন মুরগির মাংস একটু ঝালটা বেশি হলে টেস্টটাও একটু বেশি হয়। এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কেউ কেউ ঝোল বেশি পছন্দ করে, আবার কেউ কেউ ঝোল কম পছন্দ করে। আমি কিন্তু নিজেও ঝোল খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনার আজকের আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। রান্নার কালারটা খুবই সুন্দর হয়েছে। পেঁয়াজ একটু বেশি ব্যবহার করলে আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে খেতে।
জি আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন কারো ঝোল বেশি পছন্দ কারো ঝোল কম পছন্দ তবে আমার ছেলে মেয়ে ঝোল একটু বেশি পছন্দ করে। তাই আমি ঝোলটা একটু বেশি দিয়েছিলাম তবে পেঁয়াজের পরিমাণ বেশি দিয়ে একটু গাঢ় করেছিলাম। যাইহোক এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক ঝাল এবং মজা হয়েছে। এভাবে আলু দিয়ে মুরগীর মাংস ঝোল ঝোল করে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
জি আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন ঝোলটা একটু বেশি হলে অনেকের কাছে ভাল লাগে।তবে আমার ছেলে মেয়ে একটু ঝোলটা বেশি পছন্দ করত। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আরো ভালো ভালো কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। আর এভাবে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
দারুন দারুন, একদম চমৎকার হয়েছে ভাইয়া আপনার পেয়াজ এবং মুরগির মাংসের রেসিপিটি। দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে খাওয়ার। এত চমৎকার ভাবে আপনি মুরগির মাংস রান্না করতে পারেন জেনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর আমাদের মাঝে খুবই সাবলীল ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া এভাবেই চেষ্টা করুন আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করতে পারবেন।
আমি আমার পক্ষ থেকে সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আরো ভালো ভালো কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। পরিশেষে এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মুরগির মাংস সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে রান্না করতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু পেঁয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো হয়েছে আপনার রেসিপি টি।
জি আপনি একদম ঠিক ধরতে পেরেছেন মুরগির মাংসের রেসিপিটা আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আর পেঁয়াজ একটু বেশি দেয়ার জন্য ঝোলটা গাঢ় হয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ ছিল। যাই হোক এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আলু পেয়াজ দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি বেশ দারুণ ছিল।আমারও ঝোল ঝোল করে খেতে বেশ ভালই লাগে।আমিও বেশ কদিন আগে এই রেসিপিটি সম্পন্ন করেছিলাম আপনারটা আমার থেকে ভিন্ন। আপনার টা দেখতে বেশ দারুন লাগতেছে। আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ও প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি শিখতে পারলাম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জি ভাই আমার ছেলে মেয়ে একটু ঝোল বেশি পছন্দ করে বিধায় আমি একটু ঝোলটা বেশি দিয়েছিলাম। তবে পেঁয়াযের পরিমাণ একটু বেশি দেয়ার জন্য ঝোলটা গাড় হয়েছিল এবং অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
বাহ আপনি তো অনেক সুন্দর করে আলু এবং পেঁয়াজ দিয়ে খুব সুন্দর মুরগি মাংস রেসিপি করেছেন। তবে মুরগির মাংস ঝোল খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে এই ধরনের রেসিপির মধ্যে পেঁয়াজ ও মরিচ বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
মুরগির মাংসের ঝোল খেতে আপনার ভালো লাগে জেনে আমারও ভালো লাগলো। আপনার সাথে আমি একমত এ ধরনের রেসিপিতে একটু পেঁয়াজ মরিজের পরিমাণ বেশি দিলে আরো অনেক সুস্বাদু হয়। যাইহোক এত সুন্দর একটি গঠন মূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থেকে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।