অহংকার একটি সামাজিক ব্যাধি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সকল ভাই ও বোনেরা? দোয়া করি কাছে দূরে যে যেখানে থাকেন ভালো ও সুস্থ থাকেন। আমরা মানুষ হিসেবে সবাই সবার জন্য এই দোয়াই করবো এটাই সাভাবিক। আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে এলাম কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। সবসময় মনে চায় আপনাদের নিয়ে অনেক গল্প করি। মনের যত কথা আছে সব সবার মাঝে ভাগ করে দেই। সবাইকে নিয়ে হারিয়ে যাই কথার মাঝে। আসলে কথা এমন একটি জিনিস যা হাজার বললেও শেষ হবার নয়। আবার বেশী কথা বললে অনেক বলে বাচাল। আর কম কথা বললে সবাই বলে অহংকারী। আমি কিন্তু ভাই একটু বেশীই কথা বলি। আজ আবারও চলে এলাম আপনাদের মাঝে আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। আজ আমি যেই ব্লগটি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি তা হলো জেনারেল রাইটিং।জেনারেল রাইটিং পোস্টগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আজ আমিও আপনাদের জন্য যেই জেনারেল রাইটিং নিয়ে এসেছি তার বিষয় হলো অহংকার।
Canva দিয়ে তৈরি
আসলে অহংকার এমন একটি বিষয় যা আমাদের সমাজে অনেক মানুষের সাথে জড়িয়ে আছে। আমরা মানুষ জাতি। এই পৃথিবীতে আমারা আল্লাহর জন্য আসতে পেরেছি। তিনি আমাদের না পাঠালে আমরা এই পৃথিবী কি জানতাম না।কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর যখন ছোট ছিলাম অহংকার কি বুঝতাম বা জানতাম না। কিন্তু আসতে আসতে বড় হবার পর সমাজের মানুষের সাথে চলাফেরা করে আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি যে অহংকার কি? অহংকার ও ধাম্ভিকতা কোনটাই থাকা ভালো না। দুদিনের এই দুনিয়া আজ আছি কাল যে বেচেঁ থাকবো তার কোন নেই ভরসা। জন্মিলে মরিতে হইবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যে ভাবে যে সে কখনও মারা যাবে না। অহংকার অনেক ধরনের। কেউ করে টাকা বাড়ি গাড়ির অহংকার, কেউ সৌন্দয্য, কেউ করে জ্ঞান-বুদ্ধির আবার কেউ করে বংশের অহংকার। আমি যখন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিব তখন তো সবকিছুই দুনিয়ায় রেখে যাব।কিছুইতো সঙ্গে নিব না। তাহলে কি লাভ ভাই এত কিছু করে। আমরা যে যাই হই না কেন সবাইকে এক মাটিতে যেতে হবে আর খালি হাতে যেতে হবে। তাহলে কিসের এত অহংকার। কেন মানুষকে অবহেলা করি। মানুষের মনে অহংকারের কারনে কষ্ট দিয়ে কথা বলি। আমি যখন ঐ দুনিয়ায় যাব তখন উপর ওয়ালা কি আমাকে জিজ্ঞেস করবে যে তুমি সুন্দর তোমার জ্ঞান-বুদ্ধি ভালো তোমার টাকা পয়সা আছে? না সবাইকে একই কাঠগড়ায় দাড়ঁ করাবে। আসলে কারো সাথে অহংকার করতে নেই উপর ওয়ালা কখন কাকে কি করে কেউ বলতে পারে না। তাই আসুন আমরা অহংকার মুক্ত জীবন গড়ি।কাছে দূরের সবাইকে আপন করে নিব।সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলাবো। গরীব ধনী সবাই সবার প্রয়োজনে এগিয়ে যাব। কারো মনে কোন প্রকার অংহকার রাখবো না।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমমি পছন্দ করি ঘোরাঘুরি ও ভ্রমন করতে ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে আমি দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও আর নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পছন্দ করি। আরও পছন্দ করি বেশী ঘুমাতে।
সবাই জানে যে আমরা দুনিয়া থেকে চলে যাব তারপরও কিন্তু মানুষ টাকার পেছনেই দৌড়ায় ,টাকা ছাড়া আবার দুনিয়াতে টিকে থাকাও কিন্তু যায় না । কিন্তু অহংকারও আবার প্রত্যেকটা মানুষের গোড়ায় গোড়ায় রয়েছে । মানুষ সবকিছু নিয়ে অহংকার করে ধনী হোক গরিব হোক সবারই কিন্তু অহংকার রয়েছে । কিন্তু মানুষ এটা বুঝে না যে দুই দিনের পৃথিবীতে এত অহংকার করে কি লাভ যার যেটা রয়েছে তার তো সেটাই রয়েছে । অন্যের জিনিস এবং অন্যকে দেখিয়ে কোন কিছু করা আসলেই ঠিক নয় । এটা যদি মানুষ বুঝতো তাহলে তো দুনিয়াটা অনেক সুন্দর হতো ।
বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে আমাকে মুগ্ধ করে দিলেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বর্তমান সমাজে মানুষ মানুষকে টাকা-পয়সা দেখে বিবেচনা করে আপু। অনেক মানুষ ভাবে টাকা থাকলে হয়তো বা সে দুনিয়ার সবকিছুই পেয়ে যায় তার মধ্যে আলাদা একটি অহংকার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তারা এটা ভাবে না যে আমরা দুই দিনের দুনিয়াতে এসেছি কখন যে চলে যায়। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে মানুষ বলে এটা আমার ওটা আমার। কিন্তু তারা একবারও ভাবে না যে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার সময় আমরা কিছুই সাথে নিয়ে যাব না। অহংকার আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অহংকার একটি সামাজিক ব্যাধি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
অহংকার আমাদের সমাজ থেকে যাবে না। এটা আমাদের সমাজে একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়ে গেছে। কিছু মানুষ আছে যারা পড়ালেখায় ভালো হলে কিংবা চাকরি ভালো হলেই অহংকার চলে আসে। আবার অনেক মানুষ আছেন যাদের টাকা-সম্পদ বেশি হলে অহংকার চলে আসে অহংকার এর ধরন টা আসলে পারিবারিকভাবে হয়ে থাকে অনেক সময়। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একদম আমার মনের মত একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আজ। আজ কিন্তু সমাজে সেসব অহংকারী মানুষ গুলোরই কদর বেশী। কিন্তু কি লাভ এমন অহংকার দেখিয়ে। দিন শেষে সবাই কে একই পথের পথিক হতে হবে। বরং অহংকার বাদ দিয়ে সবাই কে এক সাথে নিয়ে পথ চললে সমাজ টা আরও অনেক সুন্দর হবে।
আপু সব সময় উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। তবে যারা অহংকার করে তারা কিন্তু পতন হয়ে যায়। সামান্য ছোট্ট একটা দুনিয়াতে আমাদের অবশ্যই বুঝে শুনে চলা উচিত এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে চলা উচিত। যারা অহংকার করে তারা কখনো মানুষের চোখে ভালোর পাত্র হতে পারে না।
এ কথা সত্য যে অহংকারী মানুষ হলো মানুষের চোখে ঘৃণার পাত্র। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে মানুষ হিসেবে যারা এই পৃথিবীতে অহংকার করে তারা কখনো প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। কেননা আমরা যদি মানুষের সাথে অহংকার করে সেসব মানুষের সাথে না মেলামেশা করি তাহলে কেউ আমাদেরকে কখনোই ভালোবাসবে না। আসলে আমরা যদি আমাদের এই অহংকারকে ত্যাগ করে মানুষের সাথে মেলামেশা করি এবং একে অন্যের সাহায্য করি তাহলে আমরা পৃথিবীতে অনেক বেশি আনন্দ পাব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা সত্যি বলেছেন। আমাদের উচিত অহংকার কে দূরে ঠেলে দিয়ে সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করা। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় অহংকার করাটা সবথেকে বেশি বোকামি। আমাদের মনে রাখতে হবে অহংকার সব সময় পতনের মূল হয়। আপনি সত্যি বলেছেন আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে আমরা কিছুই নিয়ে যাব না পৃথিবী থেকে। আমাদের সবার উচিত অহংকার পরিত্যাগ করে সুন্দর পৃথিবী গঠনের লোককে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো আপু।
একদম ঠিক কথা অহংকার হলো পতনের মূল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অহংকার একটি অভ্যাস, যা নিজেকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে উচ্চ অবস্থানে বসাতে চায়। এর ফলে অতিরিক্ত সন্তুষ্টিতে ভোগে মানুষ যা কখনোই ভালো একটি পরিণাম বয়ে আনে না।
যার যত কম অহংকার, সে তত বেশি গভীরে ঘুরে বেড়ায়। আর তার বিপরীতে মামুলি প্রদর্শন।
ভাইয়া খুব গুরুত্ব পূর্ণ কিছু জানলাম আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।