হঠাৎ দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশ করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আর সবার জীবনের সুস্থতা কামনা করে আবারও এত রাত করে বসে গেলাম আপনাদের জন্য আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। সকাল থেকে ভাবছিলাম যে কি পোস্ট লিখবো। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি আমাদের এখানে কারেন্ট চলে গেছে। ভেবেছি চলে আসবে। আর তখনই লিখে ফেলবো। ওমা দেখি কারেন্ট আর আসে না। শুরু হয়ে গেল অপেক্ষার প্রহর। আর বেড়ে গেল অস্থিরতা আর ছটফট। কারন আপনাদের মাঝে পোস্ট না করলে যেন ভালো লাগে না। অনেক বিরক্ত লাগছে। বার বার মোবাইলে দেখি কারেন্ট দেখি কখন লাইন আসবে।
কারন আমি আবার সন্ধ্যার পর একটু ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা। বেশ অনেক দিন ধরেই দাতেঁর ডাক্তার এর কাছে সিরিয়াল। দেয়া রয়েছে। হয়তো ডাক্তারের সময় হয়ে না নয়তো আমাদের সময় হয় না। যাক অবশেষে অনেকদিন অপেক্ষার পর আজ ডাক্তারের সিরিয়াল পেয়েছি। তাই ভাবছি সেই ধানমন্ডি যাব কখন আসা হয় জানিনা আগে আগে আমার পোস্টি লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে যাব। কিন্তু কারেন্টের লাইনের জন্য দিতে পারছিনা। এদিকে তো আমার ভাবনা হচ্ছে।
আমাদের বাসা থেকে বের হবার কথা ছিল আছরের পর পর। গিয়েছিলাম আমি আপু আর আমার ভাই। সমস্যা ছিল আমার ভাইয়ের। তাই ভাবলাম আমারও দাতেঁ যেহেতু একটু প্রবলেম দেখা দিয়েছে এই সুযোগে আমিও ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসি। কারন এই ডাক্তারটি ভালো। আর আমাদের বাসা থেকেও যেহেতু অনেকটা দূর তাই ভাবলাম যে এক কাজে আমিও ওদের সাথে গিয়ে দেখিয়ে নিয়ে আসি। নয়তো হেলাফেলা করলে পরে দেখা যাবে এই প্রবলেম আরও বড় আকারে ধারন করেছে। কারন দাঁতের সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর আপু বলল যে আছরের পর পর যাবে এই নিয়েও ভাবছি। আর এদিকে আবার কারেন্টও আসছিল না কখন পোস্ট লিখব তাও ভাবছি।
ওমা হঠাৎ দেখি যাদের সাথে যাব তারা দুজনই ঘুম দিয়েছে। তাই আর কাউকে ডাকলাম না বা ঘুমের ডিস্টাব করলাম না। আরে বুঝলেন না ভাবলাম দুজনে ঘুমাক আর এই ফাকেঁ কারেন্ট এসে গেলে আমি তাড়াতাড়ি পোস্ট রেডি করে ফেলবো। ওমা দেখি কারেন্টতো আর আসে না। মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। হঠাৎ দেখি কারেন্টও চলে এল আর আপুও ফোন দিল যে তাকে কেন ফোন দিয়ে ডেকে তুললাম না। এত কষ্টের পর ডাক্তারের সিরিয়াল পেয়েছি। কখন যবো আর আসবো। আমরা রেডি হয়েছি কিনা? আবার সেই ধানমন্ডি যেতে অনেক জ্যাম। ডাক্তারও এতক্ষন থাকবে কিনা। যাক কি আর করা ভাবলাম বকা না খেতে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে চলে যাই। এসে তাড়াতাড়ি কোন একটা পোস্ট রেডি করবো।
কি আর করা চলে গেলাম ডাক্তারের উদ্দেশ্যে। বাবাগো এটা হচেছ ঢাকা শহর। পাক্কা ২ ঘন্টা জ্যামে বসে। বাংলামটর গিয়ে জ্যামে রিক্সা থেকে নেমে আবারও একটু কাছে গিয়ে আরও একটি রিক্সা নিলাম। আর ভাবলাম যে ডাক্তার পাবো কিনা। কিছুক্ষন পর দেখি ডাক্তার আমাদের ফোন দিল আর কতক্ষন লাগবে আমাদের? আমরা বললাম যে চলে এসেছি। যাক ভালো ভালো ডাক্তার পেয়ে গেলাম।গিয়ে তাকে দেখালাম। দেখে ঔষধ দিলো আর বলল ১ সপ্তাহ পর আবার যেতে। এরই মাঝে হ্যাং আউট শুরু। কি করবো মোবাইলে ডাটা নাই।
ভাইকে বললাম ডাটা দিতে। আর তখনই ভাইয়ার ডাক পড়লো। এমন সময় আপু তার বিকাশ থেকে আমায় ডাটা ভরে দিলো। আর আমি ওখানে থেকে আস্তে সাউন্ড দিয়ে হ্যাং আউট শুনছিলাম। কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করে। কারন সেখানে আরও অনেক পেসেন্টে ছিল। যাইহোক অবশেষে বাসায় রাত ১১টায় এসে পৌঁছালাম। আর এসেই তাড়াতাড়ি আপনাদের জন্য আমার আজকের পোস্ট রেডি করে ফেললাম। আর শেয়ার করে ফেললাম। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। পরিশেষে আপনাদের সবার মঙ্গল আর সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহাফেজ ভালো থাকবেন সবাই।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা। আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ডাক্তার দেখানোর অভিজ্ঞতাটা বেশ দারুণ ও কিছুটা ঝামেলারও বটে ! গ্রীনরোডে সবসময়ই জ্যাম থাকে আর ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটাও সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।
পোস্ট লেখার প্রতি এমন ডেডিকেশন সত্যিই অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশেষ করে যখন জ্যাম, ইন্টারনেট না থাকা আর ব্যস্ততার মাঝেও কিছু ব্যাপারে নিয়মানুবর্তিতা থাকে।
আপনার রোগ আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করি আর শুভকামনা জ্ঞাপন করি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গেলাম তো ডাক্তারের কাছে ২০ মিনিটের রাস্তা দুই ঘন্টা ঠেলে। তবে আমি অবাক হলাম এত রাতে ফিরে যে আপনি পোস্ট করেছেন সেটা দেখে। আর আপনি আবার ফটোগ্রাফি করলেন কখন আপু? ভালোই লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঢাকা শহরের জ্যাম যেন কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। দুই ঘন্টা জ্যামে পড়ে রিক্সা চেঞ্জ করলেন। অবশেষে ডাক্তারের কাছে গেলেন। সবকিছু মিলিয়ে বাসা ফিরতেও আপনার অনেক দেরি হয়ে গেল। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান সময়ে কারেন্টের কারণে কোন কিছু ঠিকমতো করা যায় না। আর ঢাকা শহরে এমনিতে যানজট বেশি দেখা যায়। যাইহোক ভাই এবং বোনের সাথে গিয়ে দাঁতের ডাক্তার দেখিয়েছেন। আসলে দাঁতের সমস্যার কারণে অনেক মানুষের খুব কষ্ট হয়। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই আপু সময় মতো পোস্ট শেয়ার করতে না পারলে আসলে ভালো লাগে না।আপনি ডাক্তার দেখাতে যাবেন তাই আগে আগেই পোস্ট শেয়ার করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন।কিন্তু বিদ্যুৎ এর জন্য আর পারলেন না।এরপর ভাই-বোনরা মিলে ডাক্তার দেখাতে এলেন।সত্যি ঢাকায় এতো জ্যাম খুব বাজে লাগে।অবশ্য আপনারা যে সময়টাতে এসেছেন ওই সময়ে জ্যাম লেগেই থাকে।যাক ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন এটাই ভালো কাজ হলো। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে আশাকরি।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেও এমন সুন্দর করে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।