স্ব-রচিত কবিতা- বৃদ্ধাশ্রম
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো কেমন আছেন সবাই ? আশা করি যে যেখানে আছেন ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্। আপনাদের সবার জীবনের সুস্থতা কামনা করে আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে এলাম আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। মাঝে মাঝে মনের ভিতর নিজের অজান্তেই কিছু কথা ভেসে বেড়ায়। সেই কথা গুলো যদি সাদা কাগজে লেখা যায় তা হয়ে উঠে কবিতা বা সাহিত্য। তাই তো আজও চেষ্টা করছি কিছু লেখার।আসলে কবিতা লেখার অভ্যাস কখনও আমার ছিল না। কবিতার প্রতি আমার দূর্বলদা ছিল। কবিতা আবৃত্তি শুনতে বা কবিতা পড়তে আমার ভালো লাগতো। কিন্তু কবিতা বললেই লেখা হয়ে যায় না। কবিতা লেখার জন্য সময় নিয়ে লিখতে হয়। আমি তো কোন কবি নই। তাই কবিতা সময় নিয়ে ভেবে চিনতে লিখলাম।
আজও আমি আপনাদের জন্য একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। আসলে এই কমিউনিটিতে এসে আপনাদের সবাইকে দেখে আমারও কবিতা লেখার উৎসাহ জাগলো। আর সেই উৎসাহ থেকেই আমিও নিজের মনের আবেগ আর অনুভূতি থেকে ছন্দে ছন্দে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আসলে কবিতা লেখতে আবেগ দক্ষতা সৃজনশীলতা থাকা প্রয়োজন। যার কোনটাই আমার নেই। তবুও যে মন মানে না। তাই মাঝে মাঝে কবিতা লেখার চেষ্টা করি।আর আপনাদের মাঝে একটি করে কবিতা শেয়ার করার জন্য হাজির হই। আজও ঠিক সেই ভাবেই আপনাদের সবার ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণা নিয়ে চলে এলাম আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। আসলে সবারই অনেক স্বপ্ন থাকে। তাই এখন কবিতা নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম আমি যদি আকাশ ছুঁতে পারতাম। তাহলে মেঘও ছুঁতে পারতাম। মেঘের সাথে মনের যত খেলা আছে সকল খেলা করতাম। সূর্যের আলোও ছুঁতে পারতাম। মাঝে মাঝে বিশাল আকাশের দিকে চেয়ে থাকি। আর কল্পনাতে হারিয়ে গিয়ে কত কথা ভাবি । আজও আমি হারিয়ে গিয়ে একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করলাম। জানিনা কেমন হয়েছে আমার আজকের এই কবিতা। তবে আমি আশা করি আজকেও আমার কবিতা আপনাদের ভালো লাগবে। কল্পনার লেখাগুলো কল্পনার মতোই সুন্দর হয়। তাই আজও আমার কবিতা আপনার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমি কি কবিতা লিখলাম দেখে আসি।
খোকা যে আজ হচ্ছে বড়,
বাড়ছে তাহার জ্ঞান,
মায়ের জন্য খোকার মনে,
মায়ার শত ঢেউ ।।
ভাবছে খোকা বড় হয়ে,
কিনবে নতুন বাড়ী,
যে বাড়ীতে খোকার মা যে,
নিজেই হবে রানী।।
দিন মাস সব কেটে গেল,
খোকা এখন বড় হলো,
মস্ত বড় দালান তাহার,
আছে দামী গাড়ী।।
রূপবতী বউ যে খোকার,
সাথে দামী শ্বশুড়,
তাদের জন্য খোকা পাগল,
মায়ের নেই কো কদর।।
এত বড় দালান বাড়ী,
সাথে অনেক ঘর,
এই বাড়ীতে খোকার মায়ের,
নেই কো নিজের ঘর।।
অনেক কিছু চিন্তা করে,
খোকা এখন নিজেই ভাবে,
বৃদ্ধ বয়সে মায়ের জন্য,
বৃদ্ধাশ্রমই সেরা হবে।।
পরিশেষে আপনাদের সবার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করে আজকের মত করে আামার পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো ও হাসিখুশি থাকবেন সবাই।
আমার পরিচিতি
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা। আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন আপনি।আপনার লেখা কবিতার লাইনগুলো পড়তে ছিলাম এবং বাস্তবতা খুঁজে পাচ্ছিলাম।কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার।অনেক সুন্দর সুন্দর কথা কবিতার ভাষায় তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া কবিতা পড়ে দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য।
গতকাল রাতে আপনার এই কবিতাটা পড়ে কমেন্ট করতে গিয়ে ঘুমিয়ে গেছি। আজ সকালে উঠে আবার পড়লাম। আপনি তো কেবল কবিতা লিখেননি লিখেছেন জীবনের এক করুণ দৃশ্যের কথা। এইসব কবিতার জন্য কোন মন্তব্য হয় না মনটা ভারী হয়ে ওঠে। সমাজের উন্নয়ন একদিকে যত হচ্ছে মানসিক অবনতিও ঘটছে। বড় কষ্টদায়ক এই পরিস্থিতি গুলো।
বেশ অনুভূতি মূলক একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাস্তবতাকে অবলম্বন করে আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন। বাস্তবতার একটা টপিক তুলে ধরে আপনি অনেক সুন্দর করে কবিতাটি লিখেছেন। আপনার এই কবিতা পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে সন্তান এরকমই বিয়ের আগে বলে, মাকে রাজরাণী করে রাখবে বড় দালান কোটা তৈরি করে। কিন্তু পরে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। আসক্ত হয়ে যায় বউ সহ ওরকম মানুষদের প্রতি।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আরে বাহ্! আপনি তো দেখছি বেশ দারুন একটি কবিতা লিখেছেন বৃদ্ধাশ্রমকে ঘিরে। আপনার কবিতার প্রতিটি লাইন কিন্তু সত্য বলে প্রতীয়মান। এমন সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি দেখতেছি বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন।বৃদ্ধাশ্রম এমন যে মা-বাবা সন্তান থেকে দূরে চলে যায়। তবে আপনার কবিতার ভাষা অসাধারণ। আসলে মা-বাবা ছোট খোকাটি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে কল্পনা করে। আর যখন ছেলেরা প্রতিষ্ঠিত হয় মা-বাবা অনেক জায়গাতে দেখা যায় বৃদ্ধাশ্রম। বাস্তবিক কথা নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা লিখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।