পোলাও চাল দিয়ে ঝড় ঝড়ে মজাদার খিচুড়ি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় এপার ওপার বাংলার সকল ভাই বোনেরা? কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই অনেক হাসিখুশি ও সুস্থ জীবন ও নিরাপদ জীবন পার করছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় ভালো আছি। আজ ভাবলাম প্রতি সপ্তাহের মতো একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আর তাই প্রতি সপ্তাহের মতো আজও একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম। আসলে রেসিপি পোস্টগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আমরা সবাই ভোজন বিলাসী। বাহিরের খাবার হোক বা বাড়িতে রান্নাই হোক না কেন সবাই কিন্তু মজার খাবারগুলো খেতে অনেক পছন্দ করি। তবে আমি মনে করি বাহিরের খাবার থেকে বাড়িতে রান্না করা খাবারগুলো কিন্তু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থকর খাবার। আর বাড়িতে মজাদার খাবারগুলো রান্না করে সবাই একসাথে খেতে অনেক আনন্দ লাগে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
প্রস্তুত প্রণালী ধাপ-১ প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিলাম। ধাপ-২ এরপর পেঁয়াজগুলো একটু লাল হয়ে এলে তার মধ্যে এক এক করে দারচিনিি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, গোলমরিচ, হলাদগুড়া, মরিচগুড়া, আদারসুন বাটা ও লবন দিয়ে দিলাম। ধাপ-৩ এবার তার মধ্যে পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালো করে লাল কলে কষিয়ে নিলাম। ধাপ-৪ এবার কষানো মসলার মধ্যে ধুয়ে রাখা চাল ও ডাল দিয়ে নাড়া দিলাম ধাপ-৫ এবার চালগুলো কিছুক্ষন মসলার সাথে ভেজে তার মধ্যে পরিমান মত পানি দিয়ে দিলাম। ধাপ-৬ এবার এভাবে চুলায় জ্বালের মধ্যে মজাদার খিচুড়িটি রান্না করতে থাকলাম। ধাপ-৭ এবার যখন খিচুড়ির পানিটা টেনে শুকিয়ে গেছে ও খিচুড়িটা হয়ে এসেছে তখন তার মধ্যে কাঁচামরিচ দিয়ে দিলাম। ধাপ-৮ এবার কাঁচামরিচ দিয়ে দেয়ার পর কিছুক্ষন চুলার জ্বালে রেখে খিচুড়িটি আরও কিছুক্ষন রান্না করতে হবে। শেষ-ধাপ এরপর যখন দেখলাম যে খিচুড়িটি সম্পূর্ন হয়ে গেছে এবং ঝড় ঝড়ে হয়েছে তখন খাওয়ার পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিলাম। পরিবেশন আর এভাবেই আমার আজকের ঝড় ঝড়ে পোলাও চালের খিচুড়ি রেসিপিটির পোস্ট রেডি করে আপনাদের সবার মাঝে শেয়ার করে দিলাম। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলেই আমার স্বার্থকতা। আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগবে। কারন এই মজাদার রেসিপিটি আমার মনে হয় সবাই অনেক পছন্দ করেন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। পরিচিতি আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি। |
---|
খিচুড়ি আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। আর যদি এরকম মজার খিচুড়ি হয় তাহলে তো একেবারে জমে যাবে। আপু আপনার তৈরি করা খিচুড়ি রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন আপু মজার খিচুরী হলে খেতে জমে যায় । সবসময় পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমি বরাবরই খিচুড়ি অনেক পছন্দ করি। খিচুড়ির সাথে মাংস অথবা আচার হলেই বেশ আর কিছু লাগে না। আপনি আজকে পোলাও চাল দিয়ে খুবই চমৎকার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। তৈরি ধাপগুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ভাইয়া খিচুড়ির সাথে মাংস আর আচার হলে আর কিছুই প্রয়োজন হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এমন একটি রেসিপি করে একা একা খেলেন। আর আমার বাসায় নেই গ্যাস নেই। মনে থাকবে আপু। যাই হোক বেশ সুন্দর করে রেসিপি করেছেন দেখেই বুঝলাম। আবার বেশ স্বাদও হয়েছে সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর করে পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
অনেক ভালো হয়েছিল খিচুরী।সত্যি মিস করেছেন। ধন্যবাদ আপু সবসময় পাশে থেকে সাপোট করার জন্য।
দেখেই তো জীভে জল চলে আসল।এমন ঝরঝরে খিচুড়ি আমার পার্সোনাল ফেভরিট।আমাদের বৃষ্টি চাকী খুব সুন্দর খিচুড়ি বানায়। ঠিক বলেছেন, সরষে ইলিশ আর আচার হলে একদম জমে যায়। ধন্যবাদ আপু আমার ফেভরিট খাবার এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারও খিচুরী খুব পছন্দ। হ্যাঁ আমিও শুনেছি বৃষ্টি আপু দারুন খিচুরী রান্না করে। একসময় খেতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
tweeter
খিচুড়ি আমার খুব পছন্দের। খিচুড়ি খেতে সত্যি বেশ দারুন। আপনি পোলাও চাল দিয়ে মজাদার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। খিচুড়ি রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার কাছেও খিচুরী ভালো লাগে। আমার রেসিপি নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পোলাও চাল দিয়ে ঝড় ঝড়ে মজাদার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এজন্য আমিও মাঝে মাঝেই খিচুড়ি রান্না করি আর খাই। পোলাওয়ের চাউল দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খেতে একটু বেশি ভালো লাগে।
আমারও খিচুরী ভীষণ পছন্দ। তাই আমিও প্রায় রান্না করি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
খিচুড়ি খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি আপু। আপনি আজ খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।এমন খিচুড়ি আচার আর ডিম ভাজা ও ভর্তা দিয়ে বেশ মজার হয় খেতে।আমার তো এই রাতেই দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সাথে ভর্তা হলে খিচুরীটি আরও জমে যায়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
পোলাওয়ের চালের খিচুড়ির এতো সুন্দর মিষ্টি ঘ্রাণ বের হয় যে ঘ্রাণ পেলেই জিভে জল চলে আসে।সাথে আচার ও সরিষে ইলিশ হলে তো কোন কথায় নেই।ভীষণ লোভনীয় খিচুড়ি করেছেন আপু।রেসিপিটি দেখেই লোভ লোগে গেলো।পরিবেশ চমৎকার। ধন্যবাদ আপনাকে ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে লোভনীয় খিচুড়ি রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু খিচুরীর সাথে সরষে ইলিশ আর আচার হলে খেতে অনেক স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ মূলবান মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।