রমনা পার্কের আরও কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
শুভ সন্ধ্যা। কেমন আছেন সবাই? আমার সকল প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সবাই? চাই সবাই অনেক ভালো থাকেন। আমিও আপনাদের সকলের দোয়ায় এই কমিউনিটিতে আপনাদের সবার মাঝে এসে আলহামদুল্লিহ্ অনেক ভালো আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাই আপনাদের জন্য আমার ভালো কিছু পোস্ট করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমি পেরেছি। তবে আমার পোস্টগুলোতে আপনাদের এত মিষ্টি মিষ্টি মন্তব্য ও উৎসাহ পেয়ে এতটাই খুশি হয়ে যাই যে, আপনাদের বোঝানোর ক্ষমতা হয়তো আমার নেই। তবে আমি এখানে আপনাদের সবার মাঝে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আর শেখার কোন শেষ নেই। তাই আমাকে আরও ভালো করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য সবার মাঝে থেকে আমাকেও কিছু না কিছু এই কমিউনিটিতে শেয়ার করে কাজ করে যেতে হবে। আর তাই আজও আমি আপনাদের সবার জন্য একটি ব্লগ নিয়ে আসলাম
আজ ভাবছিলাম আমি আপনাদের মাঝে দুটি ব্লগ শেয়ার করবো। কিন্তু সময় সল্পতার কারনে পরেরটি রেডি করতে একটু দেরি হয়ে গেল। আর আজ যেই ব্লগটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম । তা হলো কিছু ফটোগ্রাফি। আপনারা জানেন যে, আমি প্রতিদিন সকালে নামাজ পড়ে বাহিরে একটু হাটতে যাই। যা আগেও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। কারন খুব সকালের কোলাহল ও যানজট মুক্ত পরিবেশে আমার হাটতে বেশ ভালো লাগে। কিছুদিন আগেও আমি রমনা পার্কের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট করে ছিলাম সেদিন বেশ অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল। আজও কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এসেছি। আমি আসা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আমার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আসা যাক।
এই ছবিটি হচ্ছে ভিজিটরদের সম্ভবত মিটিং চলছিল যেহেতু রমনা পার্কের কিছুটা সাথেই পিজি হাসপাতাল তাই ভিজিটররা এখানে সকাল বেলা মূলত তাদের সারাদিনের কর্ম সূচিগুলো নিয়ে আলোচনা নিয়ে মিটিং করে নিচ্ছে।
এই ছবিটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। আমি অনেক আগে একবার রমনাপার্কে গিয়েছিলাম। এতটা সুন্দর ছিল না। কিন্তু এখন ভেতরটা অনেক সুন্দর করেছে। এটার ভেতরে ঢুকতে পারলাম না । ভেতরে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফুল লাগানো ছিল।
এই ছবিটা দেখেও আমার বেশ ভালো লেগেছে।গেটফুল গাছের মতো করে কিছু পাতাবাহার জাতীয় গাছ জোপা বা থোকা হয়ে সুন্দর সবুজ রঙ্গে সেজে আছে। দেখেই ভালো লাগলো ।মনে হলো আমার মনটিও যেন কিছুক্ষনের জন্য সবুজ রঙ্গে সেজেছে।
ঘুরতে গেলে হাটতে হাটতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়। তাদের বসার জন্য এটি হয়তো বানানো হয়েছে। আমি অবশ্য বিকেলে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি অনেক মানুষ সেখানে বসে আছে। কারন এখন রমনাপার্ক অনেক উন্নত হওয়াতে অনেক মানুষ ঘুরতে যায়।
এই জায়গাটি দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। সকাল বেলা সবুজের সাথে পানির রঙটি মিশে গেছে আর তার মধ্যে সকালের শিশির শিশির রৌদরুর। তার মাঝে মিশে যেন সবুজের সৌন্দর্য্য আরও ফুটিয়ে তুলেছে। যা দেখে আমি অভিভুত হয়ে পড়েছি। তাই লোভ সামলাতে পারছিলাম না। আর নিজের মাঝেও অনেকটা সুস্থতা বোধ করলাম।
দেখেতে পেলাম একটি বাচ্চা সকাল সকাল বাবার সাথে পার্কে এসেছে হাটার জন্য। তখন অবশ্য গরম ছিল। তাই আশে পাশে যাদের বাচ্চা আছে তারা হয়তো তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সকালের ঠান্ডা পরিবেশে হাটার জন্য আসে। আর বাচ্চাটি যখন ঐটাতে বসলো তখন আমার কাছে খুৃব ভালো লাগলো। আমি বললাম ওকে চুপ করে বসে থাকতে। আর আমি ফটোগ্রাফিটি করে নিলাম।
আসলে আমাদের রমনাপার্কটি আর আগের মতো নেই। আপনারা আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন বাচ্চাদের জন্য সেখান অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু রাইড বা খেলার জন্য খুব সুন্দর কিছু ব্যবস্থা করেছে। এরাও বাবা মার সাথে সকালে নিরিবিলি পরিবেশে হাল্কা ঠান্ডা বাতাসে খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের ব্যায়াম করতে এসেছে। আর ওদের দোলনা খাওয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো। ছেলেটি অনেক জোড়ে দোলনা খাচ্ছিল দেখে অনেক চমৎকার লাগছিল ।আর ওদের দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেছে। কেন যে, বড় হলাম ভাবতে ভাবতে আমি ফটোগ্রাফিটি করে নিলাম।
বাচ্চারা এত সুন্দর পরিবেশ আর খেলার সামগ্রী পেলে আর কিছু লাগে না। দেখলাম খুব উৎফুল্ল হয়ে ওরা হারিয়ে গেছে সুন্দর প্রকৃতি আর কিছুটা সময় খেলার মাঝে।
এইটা হলো বৈজ্ঞানিকের নামের নেমপ্লেট। আর এরকম আরও অনেক বৈজ্ঞানিকদের নেমপ্লেট খুব সুন্দর করে রমনা পার্কে রয়েছে। যেগুলো আমি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাই কিছু কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিটি পোস্টটি?। আমি চেয়েছি বর্তমান রমনা পার্কের পরিস্থিতি আপনাদের মাঝে আমার ফটোগ্রাফির মাধমে সবার মাঝে তুলে ধরতে। যেন আপনারা সবাই বাচ্চাদের নিয়ে সুন্দর প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন ।এতে করে আপনাদের ও বাচ্চাদের মন শরীর দুটোই ভালো থাকবে। পরিশেষে আপনাদের সবার মঙ্গল ও সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের ব্লগটি শেষ করছি।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমমি পছন্দ করি ঘোরাঘুরি ও ভ্রমন করতে ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে আমি দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও আর নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পছন্দ করি। আরও পছন্দ করি বেশী ঘুমাতে।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | OPP-A16 |
ফটোগ্রাফার | @mahfuzanila |
ভৌগলিক অবস্থান | রমনা, ঢাকা, বাংলাদেশ |
রমনা পার্কে বেশ কিছু জায়গার ফটো শেয়ার করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। এই ধরনের পরিবেশে ঘুরতে গেলে মনটা সতেজতা অনুভব করে।
ঠিক ভাইয়া এই ধরনের পবিবেশে গেলে মনটা সতেজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সু স্বাগতম আপু। মাঝে মাঝে এই ধরনের অনুভূতি নেওয়া দরকার।
আপনি রমনা পার্কের বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এসব জায়গাগুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমি নিজেও সকাল বেলা নামাজ পড়ে একটু নিরিবিলা হাটা চলা করে থাকি। সত্যি বলতে আপনার রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হতে পেরেছেন এই যেনে আমিও অনেকটা খুশি হয়েছি। আশা করি এভাবে সমসময় সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন।
এরকম পার্ক গুলোতে ঘুরতে গেলে মজাই আলাদা। আপনি দেখতেছি রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি আপনার পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার। খুব সুন্দর করে রমনা পার্কের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।