ভালো বাসলে সবার সাথে ঘর বাধা যায় না
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় পারিবারের সকল ভাই-বোন ও বন্ধু মহল? আমি কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে আপনাদের সবার দোয়ায় ভালো আছি। আমরা সবাই গল্প পড়তে এবং শুনতে বেশ ভালো বাসি। বিশেষ করে আমিও গল্পের ফ্যান। কোথাও কেউ গল্প বলছে শুনলে কান পেতে থাকি। আর মনের অনুভব দিয়ে শুনতে থাকি। তবে আমি গল্প বলা থেকে শুনতে আর পড়তে অনেক পছন্দ করি। আবার মাঝে মাঝে কিছু কিছু গল্প লিখেও থাকি। আজ আমি সবার জন্য একটি গল্প লেখা শুরু করলাম। আমার গল্পটির নাম ভালোবাসলে সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না। তাহলে চলুন কি লিখলাম ভালোবাসলে সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না গল্পটিতে তা দেখে আসি।
সাবনাজ আর সজিব দুজন দুজনকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালো বাসে। তাদের বেড়ে ওঠা একি এলাকাতে ও একি স্কুলে পড়ালেখা ছিল। তারা দুজন ছোট থেকেই কেউ কাউকে একদিন না দেখে থাকতে পারতো না। সেই ছোট থেকেই রোজ তাদের দেখা ও কথা হতো। আর এভাবেই এক সময় তারা বড় হয়ে ওঠে। একি এলাকাতে যেহেতু বসবাস তাই রোজি দুজনের সাথে দেখা হতো। এদিকে সজিবের পরিবারের সবাই এই সম্পর্কের কথা জানতো। কারন তারা তো একি এলাকায় থাকতো।
কিন্তু বড় হয়েও যে, তাদের মাঝে এই সম্পর্ক থেকে যাবে তা সজিবের পরিবার বুঝতে পারেনি। সজিবের পরিবার ভেবে ছিল যে, ছোট থাকতে তারা হয়তো খেলার সাথী ছিল। কিন্তু বড় হবার পর দেখে তাদের সম্পর্ক অন্য দিকে চলছে। অবশ্য তাদের এই সম্পর্কের কথা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু সজীবের পরিবার এটি মেনে নিতে পারে না । কারন সাবনাজ দেখতে বেশ কালো। কিন্তু চেহারাটা ছিল মিষ্টি। কিন্তু এই কালো কি আর ভালোবাসায় বাঁধা মানে? ভালোবাসা মানে না কোন চেহারা কালো গরিব বা ধন দৌলত। আর তাই সজীবের বন্ধুরা যখন সজীবকে বলতো যে, সাবনাজের এত কালো, ওর মাঝে সজীব কি খুঁজে পেয়েছে। তখন সজীব বলতো আমার চোখ দুটো যদি তোদের মাঝে লাগিয়ে দিতে পারতাম তাহলে তোরা বুঝতে পারতি যে, আমি ওর মাঝে কি পেয়েছি।
আর এইভাবেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসা। অবশ্য সজীব ওসাবনাজ এর বন্ধু সারকেল ওদের এই সম্পর্ক এর জন্য অনেক সাহায্য করতো। কিন্তু সাবনাজও জানতো যে, সজীবের সাথে এই সম্পর্ক অনেকে মেনে নিতে পারে না। কারন সজীব দেখতে ছিল লাল টুকটুকে ফরসাএবং ফ্যামিলিও ছিল সাবনাজদের থেকে ভালো। আর সাবনাজ ছিল অনেক কুট কুটে কালো । অবশ্য সাবনাজ প্রথম থেকেই সজীবকে তার জীবন থেকে সরে যেতে বলেছিল। কিন্তু ঐ যে, চোখের ও হৃদয়ের ভালোবাসা তো আর এটা মানতে চায় না। একসময় সজীবের পরিবার সজীবকে বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।(চলবে)
এবার সবাই বলেন তো কেমন হলো আমার আজকের গল্পটি? আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন ও আমার ব্লগের সাথেই থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সমাজে এমন দৃশ্য প্রায় লক্ষণীয়। অনেকে একে অপরকে মনেপ্রাণে ভালোবেসেও যেন একত্রে জীবন সঙ্গী হতে পারেনা বা ঘর বাঁধতে পারে না। তারপরে মানুষ আশা রাখে বেঁচে থাকার এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।আপনার মন্তব্য দেখে একটা গানের কলি মনে পড়ে গেল কেন আশা বেধেঁ রাখি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
গল্পটি মনে হয় আমি জানি। কিন্তু এর শেষটা বলবো না। তবে দারুন সুন্দর করে বাস্তব একটি গল্প কে লেখনীর মাধ্যমে আামাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তব একটি গল্পকে এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু আমার লেখা গল্পে সুন্দর করে সাপোট করার জন্য।
আসলেই প্রকৃত ভালোবাসা ফর্সা কালো, ধনী গরীব, ধর্ম কিছুই মানে না। ভালোবাসার মানুষ কালো হলেও,নিজের কাছে বিশ্ব সুন্দরী মনে হয়। আর সেজন্য শাবনাজ কালো হওয়ার পরও,সজীব তাকে এতোটা ভালোবাসে। যাইহোক শাবনাজ এবং সজীবের এমন মধুর ভালোবাসার কথা জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে পরিবারের কথা অনুযায়ী সজীব বিদেশ গেলেই, ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। যাইহোক গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া জানিনা কি কবে তবে পরের পর্বটি পরার জন্য আমার ব্লগে চোখ রাখবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সাবনাজ ও সাজিবের প্রেম কাহিনি আবারও প্রমাণ করলো ভালোবাসাময় সুন্দর লাগে না।যে যার নয়নে ভালো লাগে সে তাকেই ভালোবাসে।সজিব বন্ধুদের উচিত জবাব দিয়েছেন যে আমার চোখ তোদের চোখে লাগিয়ে দিলে খুঁজে পাবি সাবনাজের সৌন্দর্য ওর মাঝে কি আছে।সজিব সুন্দর তবুও সাবনাজকে ভালোবাসে।আসলেই ভালোবাসা ধনী, গরিব,সুন্দর, অসুন্দর এসব বোঝে না।ধন্যবাদ আপু সজীবও শাহনাজের প্রেমকাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে প্রকৃত ভালোবাসা হয় মন থেকে, তা কোন কিছুকেই মানে না। আর তেমনি তাদের সম্পর্ক ছিল ঠিক এরকম। সজীবের ফ্যামিলি তাদের এই সম্পর্কটাকে মেনে নিতে চায় না এটা বুঝতেই পেরেছি। শেষ পর্যায়ে তো দেখলাম সজীবের ফ্যামিলি তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা দুজন একে অপরকে ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসে। এখন কি সজীব বিদেশে চলে যাবে নাকি থাকবে এটাই ভাবতেছি। এখন দেখা যাক তাদের ভালোবাসার শেষ পরিনতি কি হয়।
প্রেম ধনী-গরিব এবং কালো ফর্সা কিছুই যাচাই করে না।সাবনাজ আর সজিব ছোটকাল থেকে একজনকে একজন পছন্দ করে। তবে তাদের প্রেম ঘাঁটি। যদিও শাবনাজ কালো এগুলো ভালোবাসা যাচাই করে না। ভালোবাসার যাচাই করে মন। তবে আমার কাছে মনে হয় সজীবের ফ্যামিলি একটু অহংকারী হবে। তারা সজীবের প্রেমকে ভালোভাবে মেনে নেই নাই। যদিও এখন তারা সজীবকে বিদেশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত করতেছে। দেখি আপনার পরের পর্বে কি ঘটে সে অপেক্ষায় রইলাম।
সাবনাজ আর সজীবের গল্পটা পড়ে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো আপু। যদিও গল্প এমন জায়গায় শেষ হয়েছে সব ব্যাপার গুলো এখনো বোঝা গেল না। ফর্সা ছেলে আর কালো মেয়ের ভালবাসার গল্প খুব ইন্টারেস্টিং হবে যা বোঝা যাচ্ছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কি হয় এই ভালোবাসার গল্পের।
ছোটবেলা থেকে তারা দুইজনেই একে অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। তা বড় হওয়ার পর এরকম ভালোবাসা দেখেই বুঝতে পারতেছি। সজিবের ফ্যামিলি ছোটবেলায় মনে করত খেলার সাথী হিসেবে এরকমটা করতেছে। তাই তাদেরকে আলাদা করে নি। কিন্তু বড় হওয়ার পর যখন দেখল তারা এরকম একটা সম্পর্কে জড়িত হয়েছে, এটা দেখে সজীবের ফ্যামিলি তো মেনে নিতে পারতেছে না। আর মেয়েটা বেশি কালো বলে এরকমটা করতেছে তারা। তবে সজীব তো থাকে মন থেকেই ভালোবাসে তার রূপ দেখে নয়। তাইতো সবাই যত কিছুই বলুক না কেন সে দূরে সরেনি। এখন কি সজীব বিদেশে চলে যাবে?? দেখতে হবে এই বিষয়টা। তাই অপেক্ষায় থাকলাম।