আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? আশা করছি এই প্রচন্ড গরমের তাপদাহে সবার জীবনে এসেছে কিছুটা স্বস্তি। আর তাই আমিও কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আজ আবারও আপনাদের মাঝে চলে এলাম আমার আরও একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করি বরাবরের মত আমার আজকের এই ব্লগটিও আপনাদের সবার ভালো লাগবে।তাহলে চলুন দেখে আসি আমার আজকের পোস্টি।

দীর্ঘ সময় পর অস্বস্তিকর গরমের পর আগামীকাল মধ্যরাতে একপশলা বৃষ্টি রাজধানীর জন জীবনে মুষলধারে এনে দিয়েছে স্বস্তির বৃষ্টি। আর এই স্বস্তি সকলের মনেও এনে দিয়েছে স্বস্তি। আর প্রকৃতিও যেন ফিরে পেয়েছে নবরূপ। বৃষ্টির মধ্যে নিজেকে উজার করে ভিজিয়ে শরীর আর মন শীতল করতে অনেককেই দেখা গেছে এই মধ্যরাতে বৃষ্টিতে ভিজতে। মনে হচ্ছে যেন এই বৃষ্টি এই রাতে কাউকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। কারন তীব্র তাপদাহের পর এই বৃষ্টির পানিতে যেন রাজধানীর জনগন স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে।

আপনারা জানেন যে অনেকদিন ধরে রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় প্রচন্ড গরমে জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছিল। তার পাশাপাশি সকলের ঘরে ঘরে শোনা গেছে অসুস্থতা, ডায়রিয়া, জ্বর ঠান্ডাসহ আরও অনেক সমস্যা। সবাই যেন এই দিনগুলোতে হাঁপিয়ে উঠেছিল। আর যখন গত মধ্য রাতে সবাই এই বৃষ্টি দেখতে পেল সাথে সাথে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করল।

গতরাতে চারিদেকের আবহাওয়া দেখে মনে মনে ভাবছিলাম যে আজ হয়তো কিছুটা বৃষ্টি দেখতে পাবো আর এই ভাবতে ভাবতে অনেকটা রাত করেই শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম বাতাসে বৃষ্টির কিছুটা ফোটা এসে আমার মুখে এসে পরলো। কারন গরমের জন্য ঘরের জানালা আমার খোলা ছিল। তখনও ভালো মত বৃষ্টি নামেনি। আর তখনি আমি লাফ দিয়ে উঠে গেলাম। আর আমার কানে আসতে থাকলো আশেপাশে মানুষের আনন্দ উল্লাসের আওয়াজ।

আর এই শুনে আমিও নিজেকে আটকে রাখতে না পেরে দৌড়ে গেলাম বারান্দায়। যাওয়ার পর দেখতে পেলাম যে আস্তে আস্তে ভালোই বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে। আর আমাদের আশে পাশের মানুষগুলো ছোট বড় সবাই এত রাতকে উপেক্ষা করে শরীর শীতল করার জন্য বৃষ্টিতে ভিজতে নেমে গেল। আমিও এত রাতে নিজেকে প্রকৃতির ঠান্ডার মাঝে আর শীতল করা বৃষ্টির মাঝে নিজেকেও শীতল করার জন্য নামতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নিচের মেইন গেইট আর ছাদ দুটোই তালা থাকে। যার কারনে মনের ইচ্ছা থাকা সত্বেও নামতে পারিনি।

যাই হোক কি আর করা বারান্দা দিয়ে আমার হাত দু খানা মেলে দিলাম বৃষ্টির মাঝে। আর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানালাম। আর আমার বৃষ্টি ভেজা হাত দুটো দিয়ে আমার সমস্ত মুখখানি একটু শীতল ঠান্ডা করে নিলাম। পাশাপাশি বাতাসের সাথে বৃষ্টিতে নিজেকেও কিছুটা হাল্কা ভেজালাম। তখন হঠাৎ মনে হলো কিছুটা ছবি তুলি। এত রাতে চারিদেকে অন্ধকার আর এত উপর থেকে যেন কিছু দেখা যাচ্ছিল না। আবার তার মাঝে খুব জোড়ে করে বিদ্যুৎ চমকালো। আমি আবার বিদ্যুৎ দেখলেই অনেক ভয় পাই। আর তাই ছবি তোলার ইচ্ছা থাকলেও আর হয়ে ওঠেনি দৌড়ে ঘরের ভেতর চলে আসি আর জানালা দিয়ে বৃষ্টির ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করি। তাই ছবিও তুলতে পারিনি। শুধু শোনা যাচ্ছিল মানুষগুলোর অন্তরের খুশি ভরা আত্মনাদ।

পরিশেষে আর কি লিখবো। আসলে আল্লাহর কাছে মন দিয়ে তার বান্দারা কিছু চাইলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। কিন্তু আমরা চাইতে পারি না। এই যে, এই প্রচন্ড গরম সহ্য করতে না পেরে সবাই আল্লাহর দরবারে কত ফরিয়াদ করেছে। পাশাপাশি ইস্তেখারা নামাজও আদায় করেছে। অবশেষে আল্লাহ রহমতের বৃষ্টি দিয়ে সকলের মনে কিছুটা সস্তি এনে দিয়েছেন।