আমাদের বনলতা নাটকের রিভিউ

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সকল সহযাত্রী ভাই ও বোনেরা? আশা করছি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আসলে বেচেঁ আছি এটাই আলহামদুলিল্লাহ্।পৃথিবীতে কত মানুষ কত পরিবার কত সমস্যায় ও অসহায় অবস্থায় আছে তা আমরা হয়তো জানি না। পৃথিবীতে সবাই কিন্তু সবভাবে সুখি নেই। সবার কোন না কোন সমস্যা রয়েছে।পৃথিবীটা কিন্তু অনেক বড়। আর এই পৃথিবীর মানুষগুলোর সমস্যা মনে হয় পৃথিবী থেকে বড়। আমরা তো পরিবারের চারকোনার মধ্যে বন্দি। তাই কোথায় কে কেমন আছে খবর রাখতে পারিনা। কারো মা নেই, কারো বাবা, আবার কারো বা দেখা যায় নিঃসন্তান। আবার এমনও অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিবন্ধী হয়ে এই পৃথিবীতে আসে।আর এই সকল সন্তানদের জন্য বাবা মাদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্।

আসলে সন্তান যেমনি হোক, কোন সন্তান তার বাবা মার কাছে অবহেলিত নয়। সন্তান পঙ্গু অন্ধ বা প্রতিবন্ধি হলেও প্রতিটি বাবা মার কাছে তার সন্তান অনেক সুন্দর ও অনেক আদরের হয়। আবার সন্তান ভালো অন্ধ বা প্রতিবন্ধী হোক প্রতিটি সন্তানের জন্য বাবা মার আশ্রয় আর ছায়া ও ভালোবাসার অনেক প্রয়োজন। গতকাল আড্ডায় বাবাকে নিয়ে যখন একটি গান শুনছিলাম তখন আমার চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। আমার শরীরের প্রতিটি লোম যেন শিউরে উঠছে বাবার একটু আদর পেতে। কতদিন ধরে বাবাকে দেখিনা। বাবার স্নেহ মমতা অনুভব করি না। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল বাবাকে একবার বাবা বলে ডাকি। আমিতো বাবা বলে ডাকতে পারি, কিন্তু আমার ডাকে সারা দেবার মতো বাবাতো নেই। গানটি আমার হৃদয়ে গেথে রয়েছে। শুধু গানটি মাথায় ঘুরছে। তাই আজ সকালে যখন পিসিতে পাওয়ার আপ পোস্ট রেডি করছিলাম তখন ইউটিউব খুললে হঠাৎএই নাটকটি চোখে পরলো। প্রথমে বুঝতে পারিনি যে এই নাটকটির মধ্যে বাবাকে নিয়ে এরকম একটি করুন কাহিনী ঘিরে রয়েছে। যখন দেখলাম নাটকটি, তখনও খুব খারাপ লেগেছিল। নাটকটির এমন একটি কষ্টের জায়গা ছিল যা দেখে আমার হৃদয়ের একদম গভীরে আঘাত করেছে। তাই ভাবলাম নাটকটির রিভিউ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে নাটক রিভিউ আমি তেমন একটা করি না। আমার মনে হয় এটাতে অনেক সময় লাগে। আসলে কোন কাজ কঠিন না শুধু একটু কয়েকবার করলেই হয়ে যায়। আপনারা যারা নাটকটি দেখেন নি তারা চাইলে দেখে আসতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে আসি আমার আজকের নাটকের রিভিউ।

1200.png

আমাদের বনলতা নাটকের রিভিউ

নাটকের কিছু তথ্য
নামআমাদের বনলতা
পরিচালকএস,আর,সবুজ
অভিনয়রাফসান ইমতিয়াজ সাথী,হিন্দল রায় এবং আরও অনেকে
দৈর্ঘ্য৫২মিনিট
মুক্তির তারিখ০৪ ই জুলাই/২০২৪
ধরননাটক
ভাষাবাংলা
দেশবাংলাদেশ
প্রচারইউটিউব
চরিত্র

★রাফসান ইমতিয়াজ-আবির
★সায়েলা সাথী-বনলতা

কাহিনী সংক্ষেপ

01111.png

প্রাপ্তি: YouTube

নাটকটির মূল কাহিনী হলো একটি প্রতিবন্ধী সন্তান ও বাবার করুন কষ্টের একটি কাহিনীকে ঘিরে। নাটকের প্রথমে দেখা যায় যে বনলতার বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর জনগন তাকে জুতা মারছে আর ধিক্কার দিচেছ এবং বনলতার নায়ক আবির এই খবরটি টিভিতে দেখছে। এই নাটকটিতে বনলতা নামে সায়েলা সাথী অন্ধ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর পুরো নাটক কল্পনা। শুরুতে দেখায় বনলতার বাবা তার জন্মদিনে কেক কেটে বাবা মেয়ে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিচ্ছে।পরদিন বনলতা যখন বাসায় হাটতে গিয়ে লাইট ল্যাম্পে ধাক্কা খেয়ে পরে যায় তখন বনলতাকে তার বাবা উঠিয়ে রেখে বাহিরে যায় এবং বলে যায় যে সে না আসা পর্যন্ত কেউ দরজা ধাক্কালেও যেন দরজা না খোলে। তখন দেখা যায় একটি লোক এসে দরজা ধাক্কায় কিন্তু বনলতা বুঝতে পেরে খোলে না। পরে বাড়ি ওয়ালা আরও একটি ভাড়াটিয়া নিয়ে আসে তাকে বাড়ি দেখাতে এসে দেখে ঐ লোকটি বনলতাদের দরজায়। তখন বাড়িওয়ালা তাকে কিছু বকা দেয় ।তখন লোকটি চলে যায় আর বাড়িওয়ালা নতুন ভারাটিয়াকে নিয়ে ওপরে চলে যায়।

03.png

11.png

05.png

প্রাপ্তি: YouTube

পরে দেখায় বনলতার বাবা ডাক্তার এর সাথে কথা বলছে। ডাঃ বলছে যে অনেকদিন যাবৎ বনলতার বাবার কিডনী রোগে আক্রান্ত।তার হাতে আর কোন সময় নেই। এখন আর মেডিসিন খেয়ে আর অপারেশন করেও কোন লাভ নেই। দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। যেকোন সময় একটি বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সে যেন প্রস্তুত নিয়ে থাকে। তখন বনলতার বাবা জিজ্ঞেস করেন যে আর কতদিন বাচঁবেন। তখন ডাঃ বলেন সেইটা আল্লাহ্ জানেন। তবে আপনি আর মাস তিনেক বাচঁবেন। তখন বনলতার বাবা অনেক ভেঙ্গে পরে এবং বাসায় ফিরে দরজা নক করলে বনতলা দরজা না খুললে টেনশন করে। তখন উপর থেকে অভিনেতা রাফসান ইমতিয়াজ মানে নাটকের নায়ক আবির এসে বলে কোন সমস্যা কি না। তখন বনলতার বাবা বলে তুমি কে তখন ছেলেটি বলে আমি উপর তলার নতুন ভাড়াটিয়া ও হ্যাঁ নাটকটির নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফসান ইমতিয়াজ। তখন বনলতার বাবা বলে আমার মেয়ে দরজা খুলছে না। তখন আবির বলে হবে বাথ রুমে নয়তো কোন রুমে আছে । তখন বনলতার বাবা বলে ও অন্ধ চোখে দেখে না। তখন দরজার নিচ দিয়ে ধোয়া দেখে দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে গিয়ে দেখে রান্না ঘরে আগুন লেগেছে। আর বনলতা ওখানে বসে আছে।

08.png

09.png

প্রাপ্তি: YouTube

তখন বনলতার বাবা বলে তাকে অজিবন হোম ফাউন্ডডেশন এ রেখে আসবে। কিন্তু বনতলা বলে না তুমি আমার বাবা আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমি তোমার সাথে যাবো। তখন বনলতার বাবা বলে। তোমার ওখানে যাবার বয়স হয়নি। পরে দেখতে পাওয়া যায় বনলতার বাবা বনলতাকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বনলতা যেতে চাইছে না। তখন বনলতার বাবা বলে ওরা তোমাকে আমার চেয়ে আদর করবে। আমি না থাকলে কে তোকে আদর করবে। তখন বনলতা বলে তুমি যেখানে যাবে আমিও যাবো। পরে যাবার সময় আবির সাথে দেখা হয়। তখন আবির তাদের তার গাড়িতে লিভ দেয়। আর জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছে। তখন বনলতার বাবা বলে বনলতাকে অজিবন হোম ফাউন্ডডেশন দিতে। এরপর বনলতা ও তার বাবা অজিবন হোম ফাউন্ডডেশনে যায়। পড়ে বনলতার বাবা সেখানে কথা বলার সময় শুনতে পায় সেখানের ওয়ার্ড বয়গুলো তার মেয়েকে নিয়ে বাজে চিন্তুা ভাবনা করছে। তাই সেখানে আর না দিয়ে বনলতাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় সেই বাজে লোকগুলো বনলতার সাথে খারাপ আচরণ করে।

15.png

14.png

প্রাপ্তি: YouTube

পরবর্তীতে দেখা যায় আবির আর তার মা মিলে বনলতাদের বাড়িতে আসে। আর বলে কেন মেয়েকে অজিবস হোম ফাউন্ডডেশন রেখে আসবেন। তখন বনলতার বাবা বলে আমি বাহিরে গেলে ও কখন কোন দূর্ঘনা ঘটিয়ে ফেলে সেই চিন্তা হয়।তখন আবির এর মা বলে আমরা আছি আমাদের প্রতিবেশীদের তো একটা দায়বদ্ধ আছে। দেখা যায় পরদিন বনলতাকে আবিরদের বাড়িতে রেখে আসে। দেখা যায় এভাবে কয়েকদিন কেটে যায়। আবির আর তার মা বনলতাকে অনেক আদর করে। আর খেয়াল রাখে এই দেখে বনলতার বাবা একটু খুশি হয়। আর বনলতা ওতো প্রতিবন্ধি বাচ্চাদের মতো ও আবির এর সাথে খেলতে অনেক পছন্দ করে। হঠাৎ দেখা যায় ডাঃ এর ফোন আসে আর জানতে চায় বনলতার ব্ল্যাড গ্রুপ কি? তখন বনলতার বাবা বলে ও । এটা শুনে ডাঃ বলে তাহলেতো বনলতার কিডনী আপনাকে দেয়া যাবে না। এই শুনে বনলতার বাবা বলে বনলতার কিডনী মিলে গেলেও আমি নিতাম না কারন আমি বাবা।

10.png

12.png

প্রাপ্তি: YouTube

হঠৎ দেখা যায় বনলতার বাবা সকালে বনলতাকে না দেখে ভয় পেয়ে যায়। তখন দেখতে পায় মেয়ে আবিরকে ঘরে নিয়ে আসে। আর আবিরও সকালে হাটতে না গিয়ে বনলতাকে সময় দেয়। এরপর দেখা যায় সেই দুষ্ট লোকটি আবার বনলতার বাবাকে রাস্তায় ধরে আর বলে আপনার তো দুটো কিডনী নষ্ট মরে গেলে আপনার মেয়েকে কে দেখবে? বলে তার কাছে বিয়ে দিয়ে যেতে। আর বলে আপনি মরে গেলে তো আর ওকে দেখার কেউ নেই । আর আমাকে কেউ আটকাতেও পারবে না। এরপর দেখা যায় বনলতার বাবা আবার ডাঃ এর কাছে যায় । গিয়ে বলে তার জন্য কিছু একটা করতে। কারন বনলতার সে ছাড়া কেউ নেই। তাকে বনলতার জন্য বাচঁতে হবে। তখন ডাঃ বলে এটাতো আমাদের হাতে না আপনি বনলতাকে বিয়ে দিয়ে যান। তখন বনলতার বাবা বলে আমার মেয়ে দৃষ্টিহীন ওসাথে প্রতিবন্ধি ওকে কে বিয়ে করবে। এই প্রতিবন্ধীদের কেউ বিয়ে করতে চায় না। এমন কোন সহানুভূতিশীিল মানুষ এই পৃথিবীতে এখনও হয়নি। তখন ডাঃ বলে আপনার আত্মীয় স্বজন বা কাছের কেউ বিয়ে করতে চাইলে তার সাথে বিয়ে দিয়ে যান। তখন বনলতার বাবা চিন্তায় পরে যায় বনলতাকে নিয়ে।

16.png

17.png

প্রাপ্তি: YouTube

এরপর দেখা যায় বনলতার বাবা মনে মনে ভাবে যে আবির এর সাথে মেয়েকে বিয়ে দিবে ।তখন তাই আবিরকে ফোন দিয়ে বাসায় ডেকে নেয়। এই শুনে আবির রেগে যায়। বলে আমার একটা জীবন আছে আমি বনলতা প্রতিবন্ধী বলে সময় দেই। এই বলে এটা না যে ওকে বিয়ে করতে হবে। এই বলে চলে যায়। আবির তার মাকে জানায়। তখন আবির এর মা শুনে রেগে যায়। আর বলে সমাজের দায় বদ্ধতা থেকে আমরা তার মেয়েকে দেখেছি আর এতেই যদি স্বপ্ন দেখে তাহলেতো সমাজ থেকে দায় বদ্ধতা উঠে যাবে। তখন দেখা যায় বনলতার বাবা উপায় না পেয়ে সেই দুষ্ট মানুষটার সাথে বিয়ে দিতে চায়। তার সাথে কথা বলার পর আড়াল থেকে শুনতে পায় যে তার মেয়েকে বিয়ে করছে খারাপ উদ্দ্যেশ্য নিয়ে। তখন বনলতার বাবা তার সাথে বিয়ে দিবে না বলে চলে যায়। তখন বনলতার বাবা অনেক ভেঙ্গে পরে। আর মন খারাপ করে বাসায় ফিরে যায়।

18.png

21.png

111111.png

প্রাপ্তি: YouTube

এরপর বনলতার বাবা অনেক চিন্তা করে ভেবে দেখে যে তার অবর্তমানে তার মেয়েকে দেখার কোন কেউ নেই। তার মেয়েকে মানুষ নামের জন্তু জানোয়ার ছিরে খাবে। এই ভেবে সিদ্ধান্ত নিল মেয়েকে মেরে ফেলবে। তখন বনলতা আসে বাবার কাছে পায়েস রান্না করে দিতে । বাবার হাতের পায়েস বনলতা খুব পছন্দ করে। তখন বনতলার বাবা পায়েস রান্না করে দু্ই বাটিতে ঢেলে তার মধ্যে বিষ মেসায়। এক বাটি বনলতাকে রুমে দিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়। যেন বনলতা না বের হতে পারে। আরেক বাটি খাবে নিজে খাবে তখন আসে আর বলে বনলতাকে বিয়ে করবে। আবির এর মাও মেনে নিয়েছে। তখন বনলতাকে রুমে ডাকতে গিয়ে দেখে বনলতা মরে পরে আছে। এরপর দেখা যায় পুলিশ এসে বনলতার বাবাকে নিয়ে যায়। আর জনগন তাকে জুতা মারে। আর এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

19.png

22.png

ব্যক্তিগত মতামত

আমি ব্যাক্তিগত কি রিভিউ দিব ভাবতে পারছি না। তবে বলবো জানিনা আপনারা কেউ এই নাটকটি দেখেছেন কিনা। না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখেবেন। এই নাটকটির দেখে কান্না করেছি। এই পৃথিবাীতে সবাই স্বার্থপর। আমাদের এই সমাজে এই রকম ঘটনা আরও অনেক ঘটছে । হয়তো কোন টা সবার মাঝে বেরিয়ে আসে আবার কোনটা হয়তো আসেনা। একটি বাবা তার কতটা কষ্ট নিয়ে এমন এক কাজ করতে পারে। এই সমাজে কেউ কারো না।

❤️ব্যক্তিগত রেটিং❤️

১০/১০

❤️নাটকটির লিংক❤️

পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

Sort:  
 2 months ago 

আপু ঠিক বলেছেন এই পৃথিবীটা অনেক বড় কিন্তু আমাদের কষ্ট গুলো যেনো তার থেকেও অনেক বড়। বাবার কথা মনে পড়লে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। আমরা বাবা বলে ডাকতে পারি কিন্তু সেই ডাক শুনলাম মতো মানুষ নেই। পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি দোয়া রইল যেনো সবাই ওপারে ভালো থাকে। যাই হোক আপনি সাথীর খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। সাথীর নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।

 2 months ago 

অনেক ধন্যবাদ পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য সুন্দর দোয়া করার জন্য। অস্ংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 
 2 months ago 

এই নাটকের শেষটা সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। আমি বেশ কয়েকদিন আগে নাটকটা দেখেছিলাম। নাটকের নামটা যেমন সুন্দর তেমনই নাটকের গল্পটাও ভীষণ সুন্দর। ঠিক বলেছেন আপু এই পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর। কেউ অন্যজনের বিপদে পাশে থাকে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু নাটকটার শেষ অংশটা আমারও খারাপ লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

আপনার শেয়ার করা এই নাটকটার রিভিউ পড়ে সত্যি চোখে জল চলে এসেছে। বিশেষ করে নাটকের শেষটা পড়ে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আমার কাছে। আমাদের পৃথিবীর এই মানুষগুলো সত্যি অনেক বেশি স্বার্থপর। মানুষ কিভাবে এরকম হতে পারে। নায়ক যদি আর কিছুক্ষণ আগে আসতো তাহলে হয়তো বনলতা বেঁচে থাকতো। বনলতার বাবা তো আর মন থেকে তাকে বিষ খাওয়াইনি। আমাদের সমাজের এই ধরনের কিছু জানোয়ার মানুষের জন্যই বনলতার মত অনেক মেয়ের জীবনটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। আর এই জন্য বনলতার বাবা তাকে বিষ খাইয়ে দিয়েছে।

 2 months ago 

এই নাটকটি ছোট একটা ক্লিপ আমি সেদিন ফেসবুকে দেখেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল। আজকে আপনাদের রিভিউ এর মাধ্যমে পড়ে ভালো লাগলো। সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো। নাটকের গল্পটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু সময় পেলে নাকটটি দেখে নিয়েন। আমার রিভিউ থেকে নাটকটি আরও সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

আপনি আজকে যে নাটকটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটার কয়েকটা শর্ট ভিডিও আমি দেখেছিলাম। আপনার মাধ্যমে নাটকটার পুরো কাহিনী জেনে নিতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। খারাপ মানুষদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচানোর জন্য শেষ পর্যন্ত বাবা নিজের সন্তানকেই মেরে ফেলেছে। এটা দেখে সত্যি অনেক খারাপ লেগেছে আমার কাছে। নায়ক ও তার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছিল। কিছু সময় আগে আসলেও হয়তো নায়িকা মরতো না। চেষ্টা করবো আমি নাটকটা দেখার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাঁ পৃথিবীতে এমন অসহায় বাবা মা অনেক আছে। সবসময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65792.18
ETH 2695.80
USDT 1.00
SBD 2.90