লাইফ স্টাইল পোস্ট- ঈদের শপিং এর গিফট আইটেম কেনাকাটার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

বন্ধুরা চলছে পবিত্র মাহে রমজান। দেখতে দেখতে সাতটি রোজা চলে গেল আমাদের মাঝ থেকে। আর মাহে রমজানের পর আসবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করি। এই ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সবার পরিবারে কত কেনাকাটার আয়োজন করা হয়। নিজের জন্য নিজের পরিবারের জন্য আবার তার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের গিফটের জন্য ও কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে। আমরা কিন্তু এখনো আমাদের পরিবারের জন্য কেনাকাটা শুরু করিনি। তবে গতকাল একটু আপুর সাথে আড়ং শপিং এ গিয়েছিলাম গিফটের শপিং শুরু করার জন্য। অনেকে বলে যে ১০ রোজার পরে থেকে নাকি শপিং শুরু হয়। বিভিন্ন শপিং গুলোতে মানুষজনের ভিড় বেড়ে যায়। কিন্তু আমি গতকাল আড়ং এ গিয়ে দেখতে পেলাম শপিং অলরেডি শুরু হয়ে গেছে।


আমরা প্রথমে গিফট আইটেম গুলো দিয়ে আমাদের ঈদের শপিং শুরু করেছি। তাই গিফট আইটেম কেনার জন্য আমরা চলে গেলাম আড়ং শপিংমলে। আরং শপিংমলে বাচ্চাদের ও বড়দের কাপড় গুলো খুব ভালো পাওয়া যায়। সেখানের প্রতিটা পোশাকের কাপড় গুলো হয় সফট ও আরামদায়ক। সামনে চলে আসছে প্রচন্ড গরম আর এই গরমে সুতির সফট কাপড় গুলো পড়লে অনেক ইজি ফিল করে। এই আড়ং শপিংয়ে বাচ্চা ও বড়দের পোশাকের পাশাপাশি কসমেটিক্স অর্নামেন্টস আরো অনেক রকমের জিনিস পাওয়া যায়। যা প্রতিটা ফ্লোরে আলাদা আলাদা আইটেম রয়েছে। তাহলে ঈদের সকল শপিং এক মার্কেট থেকে সবাই কিনে নিতে পারে। আমরা প্রথমে গেলাম বাচ্চাদের পোশাকে ফ্লোরে। দেখলাম প্রচন্ড ভির মানুষের জন্য পোশাক দেখা যাচ্ছিল না। আর তাদের হ্যান্ডেল করতে গিয়ে সেখানে সেলসম্যানরাও রোজা রেখে হয়ে যাচ্ছে ক্লান্ত।


এরপর দেখলাম যে যার পছন্দ মতো বাচ্চাদের পোশাকগুলো নিয়ে নিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে একজন একটা পোশাক পছন্দ করে নিল তার দেখাদেখি ওর পোশাকটা আরেকজনের পছন্দ হয়ে গেল। সেই ওই পোশাকটা সেলসম্যানকে দিতে বলছিল। আমরা যেটাই পছন্দ করে নিছিলাম আমাদের পাশের তারাই পোশাকগুলো পছন্দ করছিল। আর আমাদের হাত থেকে চেয়ে নিচ্ছে পোশাক গুলো দেখার জন্য। তো আমরা পছন্দ করে যা নিচ্ছিলাম দেখা গেল তারাও আমাদের পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিল। অনেক সময় শপিংয়ে গেলে এমনটাই হয়। কারো হাতে জিনিস দেখলে আমি পছন্দ করি অথবা আমার হাতে জিনিস দেখলে তাদেরও পছন্দ হয়ে যায়। এরপর আমাদের যতটুকু কিনা প্রয়োজন ততটুকু কিনে নিলাম। তারপর আমরা আস্তে আস্তে আ ড়ং এর সবগুলো ফ্লোর ঘুরে দেখলাম মেয়েদের আইটেম কি উঠেছে আর পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবি বা শার্টগুলো কেমন উঠেছে।

আমরা যেই ফ্লোরেই যাচ্ছি সেই ফ্লোরে দেখতে পাচ্ছি মানুষজন ধুমসে তাদের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছে। কেউ কেনাকাটা করছে সালোয়ার কামিজ, কেউবা পাঞ্জাবি। আবার কেউ কিনছে গিফট আইটেম। আবার কেউবা মোবাইলে ভিডিও কল দিয়ে পরিবারকে দেখিয়ে তাদের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছে। আমার কাছে কিন্তু ঈদের শপিং করতে বেশ ভালো লাগে। ঈদের শপিং না করলেও রোজার ঈদে শপিং গুলোতে গেলে দেখতে ভালো লাগে সবার কেনাকাটা দেখে। তাই আমরাও ঘুরছিলাম আর দেখছিলাম কে কি কিনছে আর তার সাথে কোন জিনিসটার কেমন দাম আছে। আমরাও কিছু শার্ট পাঞ্জাবী আর সালোয়ার কামিজ পছন্দ করেছি। কিন্তু প্রাইস দেখে কেনার মত পছন্দ আর হলো না। এক একটি সালোয়ার কামিজের প্রাইস পছন্দ অনুযায়ী পাঁচ হাজার এর ওপরে। আগে সব সময় আড়ং এ যাওয়া হতো বড় ভাইয়ের জন্য ফতুয়া আর মার জন্য শাড়ি কিনার জন্য।


এরপর আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে এদের শপিংয়ের প্রথম দিন শেষ করলাম। কেমন হয়েছে আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন সে পর্যন্ত আগামীতে আবার নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহ হাফেজ।

This comment has been upvoted to compensate you for the downvote by @bullionstackers on this comment.
For more detail and how to support this initiative, please read this post.
আসলেই ১০ রোজার পর থেকেই ঈদের শপিংয়ের ধুম পড়ে যায়। তবে এখনো পর্যন্ত অনেকে কেনাকাটা করছে। ঈদের শপিং এর গিফটের আইটেম গুলো কেনার জন্য গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্তটা খুবই ভালো ছিল। আসলে শপিংমলে এরকমটা হয়ে থাকে, একজনের একটা পছন্দ হলে অন্য জনেরও এটা পছন্দ হয়।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
শপিং মল গুলোতে গেলে দেখা যায় এখন থেকেই ভিড় শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনি আপনার আপুর সাথে আড়ং এ গিয়েছেন। আমরাও শুনেছি মূলত 10 রোজার পরে সবাই শপিং শুরু করে। আপনারা তো বেশ আগে আগে শপিং করতে চলে গিয়েছেন। গিফটের জন্য জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। মেয়েদের কাছে শপিং শুনলেই যেন ভালো লাগে। শপিং করার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।